Tag Archives: North Bengal Train Accident

Train Accident: সাতসকালে দুঃসংবাদ! উত্তরবঙ্গে ফের বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনা, লাইনচ্যুত ৫ বগি

জলপাইগুড়ি: আজ মঙ্গলবার সকালে ফের লাইনচ্যুত মালগাড়ি। ব্যাহত উওর পূর্ব ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ। নিউ ময়নাগুড়ির বেদগাড়ায় এ দিন সকালে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। হঠাৎই বিকট শব্দে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। স্থানীয় বাসিন্দারা এত সকালে এমন ভয়ানক শব্দ পেয়ে ছুটে এসে দেখেন ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। সাতসকালে দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তৎক্ষণাত রেল দফতরে খবর দেওয়া হয়।

Kanchankanya Express: ট্রেনচালকের তৎপরতায় অল্পের জন‍্য বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস!

শিয়ালদহঃ দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস। লেভেল ক্রসিং-এর গেট নামানো নেই জ্বলছে সবুজ বাতি। সেই ক্রসিং দিয়ে যাতায়াত করছে প্রচুর যানবাহন। জরুরি ব্রেক ট্রেন চালকের। প্রাণ বেঁচে গেল অনেক পথযাত্রীর! ঘটনাটি চালশা থেকে মালবাজার স্টেশনে মধ্যবর্তী একটি লেভেল ক্রসিং-এ।

মঙ্গলবার বিকেলে হতেই পারতো আরও একটা বড় রেল দুর্ঘটনা। চলে যেতেই পারত বেশ কয়েকটি প্রাণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এমন কোনও পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি। ট্রেন চালক তথা ট্রেনের অন্যান্য কর্মীদের তৎপরতায় বরাত জোর প্রাণে বেঁচে গেলেন বেশ কয়েকজন পথচারী। ঘটনাটি ঘটেছে চালসা-মালবাজার স্টেশনের মধ্যবর্তী একটি লেভেল ক্রসিংয়ে।

আরও পড়ুনঃ রথযাত্রায় পুরী যাবেন? চিন্তা করবেন না! স্পেশ‍্যাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল

জানা গেছে, শিয়ালদাগামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস চালসার দিক থেকে প্রচন্ড গতিতে মালবাজারের দিকে ছুটছিল। এই পথে চা বাগানের ভেতর দিয়ে বেশ কয়েকটি রেলগেট রয়েছে। এমনই একটি রেলপথ শোনগাছি চা বাগান এলাকায়। দ্রুত গতিতে ছুটে আসার ট্রেন থেকে হঠাৎ চালক দেখতে পান রেল গেট নামানো নেই। অথচ সিগন্যালে সবুজ বাতি অর্থাৎ থ্রু পাস। রেল গেটের গার্ড পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে না থাকায় চালকের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে গাড়ি থামিয়ে দেন চালক। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেনটি প্রায় রেলগেট ছুঁয়ে গেছে।

রেলগেট খোলা থাকায় সেই সময় প্রচুর বাইক, সাইকেল এবং ছোট গাড়ি পারাপার করছিল সেই লাইনের ওপর দিয়ে। হঠাৎ ট্রেনের হর্ণ এবং ব্রেকের শব্দে দুই পাশে দাঁড়িয়ে পড়েন পথচারীরা। ফলে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রত্যক্ষদর্শী আজমত আনসারী জানাচ্ছেন, ‘ট্রেন টানা হর্ন না দিলে আমরা রেললাইনে উঠেই পড়তাম।’

এদিন ট্রেন থামিয়ে নেমে আসেন চালক এবং অন্যান্য কর্মীরা। রেলের ম্যানুয়ালে বলা আছে এমন পরিস্থিতিতে খোঁজ নিতে হবে গেটম্যানের। অনেক সময় অসুস্থতা বা অন্য কোনও গুরুতর কারণে গেটম্যান সিগন্যাল না দিলে এভাবেই সেই রেলকর্মীর খোঁজ নেন ট্রেনের চালক ও গার্ড। কিন্তু গেটম্যানের ঘরে ঢুকতেই অবাক সবাই। বহাল তবিয়তেই রয়েছেন তিনি। তড়িঘড়ি নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইতে থাকেন এই রেলকর্মী। কিন্তু ততক্ষণে খবর পৌঁছে গেছে স্টেশন পর্যন্ত।

সূত্রের খবর অভিযুক্ত রেলকর্মী জানিয়েছেন অন্যমনস্কতার জন্যই এই ভুলটি হয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল দপ্তর। তবে দপ্তরের তরফে মুখ খুলতে রাজি হননি কেউ।

Kanchenjunga Express accident: প্রধানের তৎপরতায় রেল দুর্ঘটনাতে আহত অজিত মন্ডলের সঙ্গে দেখা করতে গেল পরিবার

মুর্শিদাবাদ: কাঞ্চনজঙ্খা রেল দুর্ঘটনায় আহত হন মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার বাসিন্দা অজিত মন্ডল। গ্রামের এক বাসিন্দাকে জলপাইগুড়িতে আশ্রমে নিয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসা করানোর জন্য তারপরে বাড়ি ফিরছিলেন অজিত মন্ডল। কাঞ্চনজঙ্খা ট্রেনের জেনারেল বগিতে ছিলেন অজিত মন্ডল। আর তখনই তিনি দুর্ঘটনায় আহত হন। তারপরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে। অজিত মন্ডলের পরিবারের আর্থিক অবস্থা সংকটে থাকায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা দুর্ঘটনার পরে তাঁকে দেখতে যেতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ ছিল।

আরও পড়ুনঃ পড়ে রইল কেক, খিচুড়ি-মাছ ভাজা! মেয়ের জন্মদিনেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় চিরঘুমে বাবা

ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে সংবাদ মাধ্যমে। নিউজ ১৮ লোকালে খবর সম্প্রচার হওয়ার পরেই তার পরিবারের সদস্যরা ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছেন শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক‍‍্যাল কলেজে। বিনিয়াগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ জাকির হোসেন তিনি পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেন। এবং তারপরেই পরিবারের সদস্যরা রওনা দিয়েছেন শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান অজিত মণ্ডল শিলিগুড়িতে নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহত অজিত মন্ডলের স্ত্রী প্রতিমা মন্ডল জানিয়েছেন, তোমাদের পরিবারে আর্থিক সংকট রয়েছে। আমি বিড়ি বেঁধেই সংসার চালায়। স্বামী সব্জি বিক্রেতা। গ্রামের এক বাসিন্দাকে নিয়ে সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে একটি আশ্রমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। সেই চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফেরার পথেই এই ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়। আমরা ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি। কি করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না।

বর্তমানে বেনিয়াগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ জাকির হোসেন তিনি আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানের কথায়, আমাদের গ্রামের যুবক ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। বিষয়টি জানতে পারি। আমরা আগামী দিনে সাহায্য করব। এখন দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুক অজিত মন্ডল এটাই আমরা চাইছি।

কৌশিক অধিকারী

Kanchanjunga Express Accident: পড়ে রইল কেক, খিচুড়ি-মাছ ভাজা! মেয়ের জন্মদিনেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় চিরঘুমে বাবা

বালিগঞ্জ: বাড়ি ফিরে আর খাওয়া হলো না খিচুড়ি মাছ ভাজা। মেয়ের জন্মদিনের আগেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল কলকাতার বালিগঞ্জের বাসিন্দা শুভজিৎ মালীর। বর্তমানে তাঁর নিষ্প্রাণ দেহ পড়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক‍‍্যাল কলেজের মর্গে। বালিগঞ্জের ১৭ জামির লেনের বাসিন্দা শুভজিৎ মালীর বাড়িতে এখন শোকের ছায়া।

আরও পড়ুনঃ ইঞ্জিনে ছিল ‘ভিজিলেন্স কন্ট্রোল ডিভাইস’, তবুও ঘটল দুর্ঘটনা! ঘাতক মালগাড়ি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন

বাড়িতে রয়েছে ১১ বছরের ছোট মেয়ে, মেয়ের আবদার ছিল বাবা বাড়িতে এলে জন্মদিনের কেক কাটবে। মেয়ের আবদারের কারণেই তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফেরার জন্য তিনি উঠেছিলেন অভিশপ্ত সেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। এর পরেই ঘটে সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, যাতে প্রাণ যায় বালিগঞ্জের বাসিন্দা শুভজিৎ মালির।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুভজিৎ মালিকে কর্মসূত্রে প্রায়ই যেতে হয় ভিন রাজ্যে। সম্প্রতি একটি চারচাকা গাড়ি চালিয়ে সেই গাড়ি ডেলিভারি দিতে গিয়েছিলেন নাগাল্যান্ডে। সেখানে গাড়ি ডেলিভারি দিয়ে ফিরছিলেন কলকাতায়। এই কাজ তিনি দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে করে আসছেন, গাড়ি নিয়ে ভিন রাজ্যে যান, সেখানে ডেলিভারি দিয়ে ফিরে আসেন কলকাতায়। মেয়ের আবদার মেটাতে দ্রুত বাড়ি ফেরার জন্যেই ট্রেনে চেপে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। আর এরপরেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় বালিগঞ্জের বাসিন্দা শুভজিৎ মালি। ইতিমধ্যেই তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে।

সুমন সাহা

Kanchanjunga Express Accident: ইঞ্জিনে ছিল ‘ভিজিলেন্স কন্ট্রোল ডিভাইস’, তবুও ঘটল দুর্ঘটনা! ঘাতক মালগাড়ি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন

শিলিগুড়িঃ সোমবারই ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। তারপর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল টানা প্রায় ২৪ ঘণ্টা। অবশেষে ফের ছন্দে ফেরার চেষ্টায় রাঙাপানি। মঙ্গলবার সকালেই ডাউন লাইনে ট্রায়াল রান শুরু করল রেল। অন্যদিকে আপ লাইনে ওভারহেড তার সারানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে লাইন সারানোর কাজ করতে গিয়ে জখম হয়েছেন ২ রেলকর্মী। দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই চলছে তাঁদের চিকিৎসা। রেলের মেডিক‍্যাল টিম তদারকি করছে।

আরও পড়ুনঃ কাঞ্চনজঙ্ঘা কাণ্ডে দোষ কার? তদন্ত শুরু! ছন্দে ফিরছে রাঙাপানি, ডাউন লাইনে চালু হল ট্রায়াল রান

ঘাতক মালগাড়ির ইঞ্জিন নম্বর ছিল 43616। WAG 9HC মডেলের এই locomotive গুলি তৈরি হয়েছে Banaras locomotive works এ। এই সিরিজের সমস্ত ইঞ্জিন এ রয়েছে vigilance control device। এই ব্যবস্থায় চালক ও সহকারী চালক কোনও কাজ না করলে সে ধরে নেবে চালক ও সহকারী চালক স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। সঙ্গে সঙ্গে চালকদের সজাগ করার জন্য অ্যালার্ম বাজবে। তাতেও কাজ না হলে ট্রেনের ব্রেক নিজে থেকেই কাজ করবে এবং ফলে ট্রেন থেমে যাবে। এই ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি কাজ করল না কেন, সেই প্রশ্ন উঠছে।

এদিকে রাঙাপানি ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করছেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। আজ মঙ্গলবারই শিলিগুড়ি পৌঁছনোর কথা জনক কুমার গর্গের। বিকেলেই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন তিনি। আগামিকাল বুধবার থেকে শুরু হবে জিজ্ঞাসাবাদ।

স্টেশন মাস্টার, কাঞ্চনজঙ্ঘার মোটরম্যান, পণ্যবাহী ট্রেনের চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যে কোনও ব্যক্তিও তাঁর মতামত জানাতে পারেন সিসিআরএসের কাছে গিয়ে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষের ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ আগেই দিয়েছে রেল। উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য সুরক্ষা কমিশনার জনক কুমার গর্গের তত্ত্বাবধানে এই তদন্ত হবে।

Kanchanjunga Express Accident: চোখ বন্ধ করলেই সামনে ভাসছে দুর্ঘটনার ছবি! প্রতক্ষ্যদর্শীদের মুখেই শুনুন আসল গল্প

শিলিগুড়ি: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং মালগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ। সোমবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে এনজেপি থেকে রাঙাপানির কাছে। জানা গিয়েছে, শিয়ালদাগামী ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মেরেছে মালগাড়ি। তার জেরে লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধারকাজ। রেলের তরফে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮ ,আহত ৫০ জন। রেলের তরফে রেসকিউ টিম সহ, সেনা এবং পুলিশ সকলেই উদ্ধারকাজ করছে।

Kanchenjunga Express Accident: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ঘটনা ফেরাল গাইসালের স্মৃতি! প্রতক্ষ্যদর্শীদের চোখে আতঙ্ক

শিলিগুড়ি: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং মালগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ। সোমবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে এনজেপি থেকে রাঙাপানির কাছে। জানা গিয়েছে, শিয়ালদাগামী ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মেরেছে মালগাড়ি। তার জেরে লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধারকাজ। রেলের তরফে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮ ,আহত ৫০ জন। রেলের তরফে রেসকিউ টিম সহ, সেনা এবং পুলিশ সকলেই উদ্ধারকাজ করছে।

আরও পড়ুনঃ কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রেলের! মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লাখ

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সেই ঘটনায় অনেক যাত্রীই আহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ হাকিম বলেন , ‘ঈদের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ জোরে বিকট একটা আওয়াজ শুনি। দেখি মালগাড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেনকে ধাক্কা মেরেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা গ্রামের লোকেরা এসে দেহ উদ্ধার করার চেষ্টা করি। বহু লোক আহত হয়েছে। ৫-৬ টা মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। আহতদের মেডিক‍্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, নির্ধারিত সময় মেনেই আজ সকালে নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছায় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি চলে আসে। আর সেটি ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে সজোরে ধাক্কা মারে। তার জেরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়।

এক যাত্রী বলেন, ট্রেনের গতি সেভাবে ছিল না।মনে হচ্ছে ২০ কিমি গতিতে যাচ্ছিল ট্রেনটা। তখনও ঘুমের মধ্য়ে ছিলাম। আচমকাই বিরাট ঝটকা। আমাদের কামরা কিছুটা পেছনের দিকে ছিল। এরপর ট্রেন থামার পরে দেখলাম এস৪ আর এস৫ আলাদা হয়ে গিয়েছে। তার পেছনের কামরাগুলি দেখলাম উলটে গিয়েছে। সবাই চিৎকার করছিল, কাঁদছিল…অপর এক যাত্রী বলেন, দুর্ঘটনার পরে কেউ সহায়তার জন্য় আসেনি। নিজেরাই আমরা বেরিয়ে আসি। প্রচন্ড আতঙ্কের মধ্যে আছি।

শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ৪২জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২০জনকে ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকারী টিম দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করেছে সকলকে। এই দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘উদ্ধারকাজ কেমন চলছে সেটা পরিচালনার জন্য এসেছে। আবহাওয়া খারাপ থাকা সত্ত্বেও সকলে কাজ করছেন। আমাদের অনুরোধ সকলে যেন একজায়গায় থেকে এই কাজ করে যান।’ তবে সূত্রের খবর, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জেরে একাধিক ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি বগিকে বাদ দিয়ে বাকি ট্রেন রওনা দিয়েছে শিয়ালদার দিকে।

অনির্বাণ রায়

Kanchenjunga Express accident: কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রেলের! মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লাখ

নয়াদিল্লিঃ সোমবার সাত-সকালেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা রাজ্যে। ফাঁসিদেওয়ায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। তাতেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় দু-দুটি বগি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কমপক্ষে আট জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। চলছে উদ্ধারকাজ।

আরও পড়ুনঃ কাঞ্চনজঙ্ঘার ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মোদির, ঘটনাস্থলের পথে মমতা, রেলমন্ত্রী

ইতিমধ‍্যে, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন। রেলের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে, গুরুতর আহতদের জন্য ২.৫ লাখ এবং আহতদের ৫০০০০ টাকা দেওয়া হবে। অপরদিকে, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। দফায় দফায় ঘটনার আপডেট নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকার নেতা মন্ত্রীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁচ্ছানোর জন‍্য রওনা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এরইমধ্যে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। নিম্নলিখিত নম্বরগুলিতে ফোন করে যাত্রীদের খোঁজখবর নিতে পারবেন তাঁদের পরিবারের লোকজন। দেখে নিন নম্বরগুলি।

ট্রেন নম্বর ১৩১৭৪ (কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস) এর হেল্পলাইন নম্বর

শিয়ালদহ স্টেশন
১) ০৩৩২৩৫০৮৭৯৪
২) ০৩৩২৩৮৩৩৩২৬
৩) রেলওয়ে টেলিফোন: ৩৩৩২৬

শিয়ালদহ কন্ট্রোল রুম:
১) ১০৭২৫
২) ০৩৩২৩৫১৬৯৬৭
৩) ০৩৩২৩৮৩২৫৯৪
৪) রেলওয়ে টেলিফোন: ৩২৫৯৪

নৈহাটি স্টেশন
১) ০৩৩২৫৮১২১২৮
২) রেলওয়ে টেলিফোন: ৩৯৩০০
৩) ০৩৩২৫৮০৫২৪৪

দক্ষিণেশ্বর স্টেশন
১) ০৩৩২৩৮৩২৫৯০
২) রেলওয়ে টেলিফোন: ৩২৫৯০
৩) ০৩৩২৩৮৩২৫৯০