কুলিক পক্ষী নিবাস

Kulik Bird Sanctuary: কমছে পাখির সংখ্যা, গুরুত্ব হারাচ্ছে কুলিক পাখিরালয়

উত্তর দিনাজপুর: কমছে পাখির সংখ্যা, গুরুত্ব হারাচ্ছে কুলিক পাখিরালয়। এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পক্ষীনিবাস হিসেবে পরিচিত উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কুলিক পাখিরালয়। বিশেষ পদ্ধতিতে পাখি গণনার ফলাফল থেকে জানা গিয়েছিছ, গত কয়েক বছর ধরেই এখানে পরিযায়ী পাখিদের আসার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কিন্তু এবার পাওয়া গেল চিন্তার খবর।

সম্প্রতি উদ্বেগজনকভাবে কুলিক পাখিরালয়ে পাখিদের আসার সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে কমে গিয়েছে। সাধারণত প্রতিবছর মে মাসে পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটে এখানে। নাইট হেরেন, ওপেন বিল স্টর্ক, কর্মরেন্ট ও এ গ্রেড এই চার প্রজাতির পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠে কুলিক বনভূমি। প্রায় ৬-৭মাস এখানে প্রজনন থেকে শুরু করে শাবকদের লালন পালন ক্রিয়া সম্পন্ন করে পাখিরা। তারপর তারা নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে পাড়ি জন্মায় ভিন দেশে। বছরের পর বছর ধরে এটাই হয়ে আসছে।

আরও পড়ুন: আম কোথায়! বাগানে বাগানে শুধুই হতাশা…চাষি থেকে খাদ্য রসিক মাথায় হাত সবার

কিন্তু ২০২৩ সাল থেকে এই নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। ক্রমশই কমছে এখানে আসা পাখির সংখ্যা। চলুন দেখে নেওয়া যাক গত পাঁচ বছরে কুলিক পাখিরালয়ে আসা পাখির পরিসংখ্যানটা কেমন ছিল। ২০১৮ সালে মোট পাখির সংখ্যা ছিল ৯৩ হাজার ৮৮ ।২০২০ সালে সেটা বেড়ে হয় ৯৯ হাজার ৬৩১। ২০২১ সালে পাখীর সংখ্যা ছিল মোট ৯৮ হাজার ৭৩৯। ২০২২ সাল ৯৯ হাজার ৩৯৩। কিন্তু হঠাৎ ২০২৩ সালে ছন্দ পতন ঘটে। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পরিয়ায়ী পাখিরা সেইভাবে আসেনি গতবছর।২০২২ সালের তুলনায় ২০-২২ হাজার পাখি কম এসেছিল ২০২৩ সালে। ২০২৩ সালে পাখির সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ১৪১। এবছরেও এক‌ই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

পরিবেশ প্রেমীদের মতে, মূলত পাখিরালয়ের পাশ দিয়ে জাতীয় সড়কে প্রতিনিয়ত অজস্র গাড়ি চলাচল করতে থাকায় এবং তার সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে পাখির আসাটা কমে যাচ্ছে। এছাড়াও সময়ে বৃষ্টি না হওয়া এবং খাদ্যের অভাবও পাখির সংখ্যা কমার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

পিয়া গুপ্তা