Tag Archives: Migratory Birds

Malda News: পরিযায়ীর ভিড়ে, নিরিবিলিতে পাখির কলতান শুনতে যেতে পারেন মালদহের এই অরণ্যে

মালদহ- পুজোর আগেই ভিড় বেড়েছে ভিনদেশি অতিথিদের। আর তাদের দেখতেই এখন থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে অরণ্যে।  প্রতিবছর এই সময়ে এমনি চিত্র ধরা পড়ে মালদহের আদিনা ফরেস্টে। তবে, এই বছর সব থেকে বেশি রেকর্ড সংখ্যক পরিযায়ী পাখির ভিড় হয়েছে। যা বদলে  দিয়েছে আদিনা ফরেস্টের পরিবেশ ।

গোটা অরণ্য জুড়ে  এখন শুধু পাখিদের কলতান। নিরিবিলি এই অরণ্য এখন পুরোটাই বিদেশি পাখিদের দখলে। আর তা দেখতে অরণ্যে ভিড় করেছেন জেলা ও জেলার বাইরের পর্যটকেরা । প্রতিবছরই আদিনা অরণ্যের একাংশ জুড়েই পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করে। এখানে তারা দীর্ঘদিন ধরেই বাসা বেঁধে থাকে।

আরও পড়ুন: নার্সের প্রেমে হাবুডুবু রোগীর আত্মীয়, বজবজের হাসপাতালে চিরকুট দিয়ে বিপাকে যুবক

প্রজনন ঋতু শেষে আবার উড়েও চলে যায়। মূলত  মে মাস থেকে মালদহের আদিনা ফরেস্টে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা শুরু হয়। মে থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত এখানেই থাকে তারা। আর এই সময়েই আদিনা ফরেস্টে পাখি দেখার ভিড় বাড়তে থাকে পর্যটকদের। এইরকমই এক পর্যটক মনোজিৎ মল্লিক বলেন, এতদিন শুনেছিলাম দিনে এখানে  প্রচুর পাখি আছে। এবার তাই দেখতে এসেছি খুব ভাল লাগলো। প্রচুর পাখি দেখলাম সুন্দর পরিবেশ।

আরও পড়ুন: টানা বর্ষণে ফুঁসছে দুই নদী, বাঁধ ভেঙে প্লাবিত খড়গ্রাম এবং বড়ঞা-সহ একাধিক গ্রাম!

আদিনা ফরেস্টের একাংশ জুড়ে গাছের মগডালে শামুকখোল পাখির আনাগোনা। গোটা অরণ্য জুড়েই বিভিন্ন পাখিরা বাসা তৈরি করেছে, কেউ আবার উড়ে বেড়াচ্ছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর রেকর্ড সংখ্যক পাখি এসেছে এমনটাই দাবি বন দফতরের কর্মীদের। আদিনা ফরেস্টে শামুকখোল পাখিদের থাকার মত নিরিবিলি পরিবেশে ও বড় বড় গাছ রয়েছে। সেখানেই পাখি ভিড় করে। আদিনা ফরেস্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারভাইজার ইন্দ্রজিৎ দাস বলেন, মনোরম পরিবেশ পরিযায়ী পাখিদের জন্য এই আদিনা ফরেস্ট। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর রেকর্ড সংখ্যক পাখি এসেছে। এরা আমাদের অতিথি এদের সমস্ত ব্যবস্থা আমরা এই খরচটা করে থাকি। পাখি দেখতে পর্যটকেরাও ভিড় করছেন।

বন বিভাগের পক্ষ থেকেও ফরেস্টে পাখিদের বসবাস উপযোগী করে তুলতে নানান পরিকল্পনা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত খাবার থেকে অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। তাই ক্রমশ আদিনা ফরেস্টে পরিযায়ী পাখির ভিড় বাড়ছে বলে মনে করছেন বন দফতরের কর্তারা।

হরষিত সিংহ

Bankura News: পুজোর আগে বিরাট চমক! পরিযায়ী পাখিদের জন্য দুর্দান্ত উদ্যোগ মুকুটমণিপুরে

বাঁকুড়া: এবার আরও সুন্দর হবে মুকুটমনিপুরের দ্বীপ গুলি। পুজোর আগে মুকুটমণিপুরকে আরও সুন্দর করে তোলার সঙ্গে পরিবেশ সচেতনতার উদ্যোগ নেওয়া হল যৌথভাবে। বাঁকুড়ার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র মুকুটমণিপুরে রয়েছে সবুজ কয়েকটি দ্বীপ। এই দ্বীপগুলি অবস্থিত কংসাবতী জলাধারে। প্রতিবছর দ্বীপে পর্যটকের ভিড় চোখে পড়ার মতো থাকে। এবার সেই দ্বীপেই সবুজায়নের লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নিল দক্ষিণ বনবিভাগ।

বাঁকুড়া দক্ষিণ বন বিভাগের উদ্যোগে কংসাবতী জলাধারের বিভিন্ন দ্বীপে চারা গাছ রোপণ করা হল। কংসাবতী জলাধারে বিস্তীর্ণ এলাকায় বেশ কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে। ঐ দ্বীপগুলিতে চারা গাছ লাগিয়ে সবুজায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বন দফতর।বন বিভাগের আধিকারিকরা মুকুটমণিপুরের পরেশনাথ এলাকার একটি দ্বীপে নৌকায় করে গিয়ে বাবলা, জাম, অশ্বত্থ, বট-সহ বিভিন্ন ফলের গাছের চারা রোপন করল।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় চক্রের মুখ্য বনপাল এস কুনাল ডাইভাল, খাতড়ার মহকুমা শাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়, ও খাতড়ার এসডিপিও অভিষেক যাদব-সহ বন দফতরের একাধিক আধিকারিকরা।বন দফতর জানায়, মুকুটমণিপুর জলাধারে বিভিন্ন সময় প্রচুর পরিযায়ী পাখির আনাগোনা রয়েছে। ওই পরিযায়ী পাখি গুলি এখানে এসে বংশবিস্তার করে ও খাদ্য সংগ্রহ করে।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

এইসব ফলের গাছগুলো লাগান তাহলে পরিযায়ী পাখিদের খাদ্যের সংস্থান হবে। বনদফতর আরও জানায়, গাছগুলিকে প্রতিনিয়ত বনদফতরের কর্মীরা গিয়ে পরিচর্যা করে আসবে। আগামী দিনে জলাধারের যেসব দ্বীপগুলো বর্ষাকালে জলের উপরে থাকে সেগুলিতেও গাছ লাগানো হবে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Kulik Bird Sanctuary: কমছে পাখির সংখ্যা, গুরুত্ব হারাচ্ছে কুলিক পাখিরালয়

উত্তর দিনাজপুর: কমছে পাখির সংখ্যা, গুরুত্ব হারাচ্ছে কুলিক পাখিরালয়। এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পক্ষীনিবাস হিসেবে পরিচিত উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কুলিক পাখিরালয়। বিশেষ পদ্ধতিতে পাখি গণনার ফলাফল থেকে জানা গিয়েছিছ, গত কয়েক বছর ধরেই এখানে পরিযায়ী পাখিদের আসার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কিন্তু এবার পাওয়া গেল চিন্তার খবর।

সম্প্রতি উদ্বেগজনকভাবে কুলিক পাখিরালয়ে পাখিদের আসার সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে কমে গিয়েছে। সাধারণত প্রতিবছর মে মাসে পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটে এখানে। নাইট হেরেন, ওপেন বিল স্টর্ক, কর্মরেন্ট ও এ গ্রেড এই চার প্রজাতির পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠে কুলিক বনভূমি। প্রায় ৬-৭মাস এখানে প্রজনন থেকে শুরু করে শাবকদের লালন পালন ক্রিয়া সম্পন্ন করে পাখিরা। তারপর তারা নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে পাড়ি জন্মায় ভিন দেশে। বছরের পর বছর ধরে এটাই হয়ে আসছে।

আরও পড়ুন: আম কোথায়! বাগানে বাগানে শুধুই হতাশা…চাষি থেকে খাদ্য রসিক মাথায় হাত সবার

কিন্তু ২০২৩ সাল থেকে এই নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। ক্রমশই কমছে এখানে আসা পাখির সংখ্যা। চলুন দেখে নেওয়া যাক গত পাঁচ বছরে কুলিক পাখিরালয়ে আসা পাখির পরিসংখ্যানটা কেমন ছিল। ২০১৮ সালে মোট পাখির সংখ্যা ছিল ৯৩ হাজার ৮৮ ।২০২০ সালে সেটা বেড়ে হয় ৯৯ হাজার ৬৩১। ২০২১ সালে পাখীর সংখ্যা ছিল মোট ৯৮ হাজার ৭৩৯। ২০২২ সাল ৯৯ হাজার ৩৯৩। কিন্তু হঠাৎ ২০২৩ সালে ছন্দ পতন ঘটে। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পরিয়ায়ী পাখিরা সেইভাবে আসেনি গতবছর।২০২২ সালের তুলনায় ২০-২২ হাজার পাখি কম এসেছিল ২০২৩ সালে। ২০২৩ সালে পাখির সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ১৪১। এবছরেও এক‌ই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

পরিবেশ প্রেমীদের মতে, মূলত পাখিরালয়ের পাশ দিয়ে জাতীয় সড়কে প্রতিনিয়ত অজস্র গাড়ি চলাচল করতে থাকায় এবং তার সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে পাখির আসাটা কমে যাচ্ছে। এছাড়াও সময়ে বৃষ্টি না হওয়া এবং খাদ্যের অভাবও পাখির সংখ্যা কমার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

পিয়া গুপ্তা