আলিপুরদুয়ার: শস্য ক্ষেতে নতুন আতঙ্কের নাম বনটিয়া। ঝাঁকে ঝাঁকে এসে সাবাড় করে দিচ্ছে শস্য ক্ষেত। পরিস্থিতি এমনই যে কৃষকরা কিছুই করতে পারছেন না, যেন দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।আলিপুরদুয়ার জেলাজুড়েই ঘটছে এই ঘটনা।
বন টিয়ার এই উৎপাতের বিষয়টি জানানো হয়েছে বন দফতরকে। সকালে বনটিয়া পাখি ও রাতে বুনো হাতির তাণ্ডবে মারাত্মক ক্ষতিগ্ৰস্থ হচ্ছেন আলিপুরদুয়ার জেলার সাঁতালি ও লতাবাড়ি এলাকার কৃষকরা। সকালে ঝাঁকে ঝাঁকে বন টিয়া চলে আসে শস্যক্ষেতে। এলাকার কৃষকদের ভুট্টা ক্ষেতে হানা দিয়ে ভুট্টা খেয়ে চলে যাচ্ছে। কিছুই বাঁচছে না। এদিকে সন্ধে হলেই বুনো হাতির দল এলকার কৃষকদের শস্যক্ষেতে হানা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! সরকারের পরিত্যক্ত জমি এখন ফলের বাগান
এই পরিস্থিতিতে বন টিয়াকে কীভাবে আটকাবেন তা বুঝতে পারছেন না একটু ঝগড়া। ভুট্টা এখনও পাকেনি, তার আগেই কাঁচা ভুট্টা সাফ করে দিচ্ছে পাখি। কয়েকজন কৃষক টিয়া পাখি ঠেকাতে গেলে তারা ঠুকরে রক্তাক্ত করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এই বিষয়ে অভিযোগ জানালেও বন দফতর কিছু করছে না বলে অভিযোগ। যদিও হ্যামিলটনগঞ্জ রেঞ্জের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাঁরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
অনন্যা দে
উত্তর ২৪ পরগনা: হিঙ্গলগঞ্জে পাখির টানে স্কুলে ফিরছে পড়ুয়ারা। স্কুলে গেলে দেখা মিলবে বারান্দায় ও স্কুলের আঙিনায় গাছে গাছে বাঁধা আছে একাধিক কৃত্রিম বাসা। বাসায় আছে একাধিক নাম না জানা অজানা পাখি। শুধুমাত্র শহর নয়, গ্রামেও দিনের পর দিন কমছে গাছের সংখ্যা। ফলে কমে যাচ্ছে পাখিদের থাকার জায়গা। আর তাই স্কুল প্রাঙ্গণে পাখিদের বসবাসের জন্য তৈরি করা হয়েছে এই বাসা।
আরও পড়ুন: ‘আনস্মার্ট’ ভুটরি স্মৃতি ফেলে চলে যেতে চায় অন্যত্র
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জের কনকনগর সৃষ্টিধর ইনস্টিটিউশনে এমন অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের তরফ থেকে। স্কুলে প্রায় দেড়় হাজার ছাত্রছাত্রী আছে। সুন্দরবন অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীদের স্কুলমুখী করে তোলার পাশাপাশি পডুয়াদের বিভিন্ন ধরণের পাখিদের সঙ্গে পরিচিতি ঘটাতে এমন উদ্যোগ। এর ফলে একদিকে যেমন পাখির আনাগোনা বেড়েছে, তেমনই ছাত্রছাত্রীরাও স্কুলে গিয়ে পাখির সহাবস্থানে খুশি হচ্ছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কখনও কখনও ছাত্রছাত্রীরা টিফিনের বাড়তি খাবার পাখিদেরও খাওয়ায়। সুন্দরবন এলাকার পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে এমন অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন শিক্ষকরা। তাঁদের দাবি, এর ফলে সুফলও মিলছে। প্রত্যন্ত এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের শিশুরা এখানে পড়াশোনা করতে আসত। কিন্তু কয়েক বছর আগে স্কুলছুটের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক পুলক রায় চৌধুরি বলেন, ‘’পাখি বা যে কোনও পোষ্যই শিশুদের কাছে আকর্ষণীয়। তাই আমরা স্কুলে এমন বাসা তৈরি করেছি। এর ফলে পাখিরা যেমন নিরাপদ বাসস্থান পাবে তেমনই ছেলেমেয়েরাও স্কুলমুখী হবে। সব মিলিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলে পাখি ও ছাত্র-ছাত্রীদের সহাবস্থানে অন্যান্য নজির দেখা গেল।
জুলফিকার মোল্লা
মুর্শিদাবাদ: দুই পরীযায়ী পাখি চোরাচালানকারীকে গ্রেফতার করে কান্দি মহকুমা আদালতে তুলল বন দফতর। পরে আদালতের নির্দেশে সেই পরিযায়ী পাখিগুলোকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। গোটাটাই হল বন দফতরের তত্ত্বাবধানে।
আরও পড়ুন: এই কাজগুলো করলে আমের মুকুল ঝরবে না, টুসটুসে রসালো ফলে ভরে উঠবে গাছ
পুলিশের নজর এড়িয়েই চলছিল পাখি শিকারের কারবার। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের নগর বাজারে এই পাখি উদ্ধার করে বন দফতর। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে ২২ টি পাখি উদ্ধার হয়েছে। ধৃত আমিনুল ইসলাম শেখ ও ফিরোজ শেখ খড়গ্রাম থানার এড়োয়ালি গ্রামের বাসিন্দা। বন দফতর সূত্রে খবর, খড়গ্রামের বিল এলাকায় সাইবেরিয়া সহ বিভিন্ন প্রান্তের পরিযায়ী পাখির দল সম্প্রতি ভিড় জমিয়েছিল। কিন্তু ওই দুই চোরাচালানকারী বিল এলাকা থেকে পাখিগুলি ধরে নগর বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তাদের হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছে থেকে মোট ২২ টি বগারী পাখি উদ্ধার হয়েছে। পরে কান্দি আদালতের বিচারক পরিযায়ী পাখিগুলিকে মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি অভিযুক্তদের ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশও দিয়েছেন।
কৌশিক অধিকারী
Just another WordPress site