দেওয়ালে ছবি আঁকছেন চিত্রশিল্পী

Lok Sabha Election 2024: ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের দাপটে ভোটের বাজারেও কাজ নেই দেওয়াল লেখকদের

শিলিগুড়ি: শিয়রে লোকসভা ভোট। প্রচার চলছে তুঙ্গে। তবে এই প্রচারের একটা বিশেষ অঙ্গ হল পোস্টার, হোর্ডিং। এখন যেদিকেই চোখ যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নিত্যনতুন ডিজাইনের হোর্ডিং, ফ্লেক্স ছেয়ে গিয়েছে। অথচ একসময় দেওয়াল লিখন‌ই ছিল ভোট প্রচারের অন্যতম কৌশল। ফলে দেওয়াল চিত্রশিল্পীদের ছাড়া ভাবাই যেত না ভোট প্রচারের কথা।

শুধু তাই নয়, পুজোর প্যান্ডেলে হোক বা যেকোন‌ও বিজ্ঞাপন, একসময় সবটাই হত চিত্রশিল্পীদের হাত দিয়ে। বিশেষ করে ভোটের সময় তাঁদের নাগাল পাওয়া মুশকিল ছিল। তখন সকাল হলেই রং-তুলি নিয়ে শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় হাজির হয়ে যেতেন এই চিত্র শিল্পীরা। তবে ডিজিটাল যুগে আর কদর নেই সেই শিল্পীদের। কারণ এখন ফ্লেক্সের মাধ্যমেই বেশিরভাগ প্রচার সারছে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলি। ডিজিটাল প্রিন্টিং ব্যবস্থা এসে যাওয়ায় এই প্রচার পদ্ধতি আরও দ্রুতগামী এবং সুসংহত হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: ভোট প্রচারে বেরিয়ে সত্যাগ্রহ বিজেপি প্রার্থীর! কারণ জানলে অবাক হবেন

অতীতে দেওয়াল শিল্পীরা একদিনে ৮ থেকে ১০ টি অর্ডারের কাজ করে যথেষ্ট উপার্জন করতেন। তাতে দিব্যি সংসার চলে যেত। কিন্তু এখন ডিজিটাল প্রিন্টিং এসে যাওয়ায় এবং ফ্লেক্সের রমরমা বাড়ায় তাঁদের চাহিদা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির স্থানীয় চিত্র শিল্পী রমেন রায় বলেন, আগে আমাদের যে পরিমাণ চাহিদা ছিল তা আর এখন নেই‌। হকার্স কর্নার চিত্র শিল্পীদের দোকানে ভর্তি ছিল। এখন খোঁজ করলে গুনে গুনে দুটি দোকান পাবেন। কারণ পেটের টানে বাকিরা পেশা বদলাতে বাধ্য হয়েছেন। আরেকজন শিল্পী খোকন দাস বলেন, ভোট এলে আগে দিনে ১০ টা কাজ থাকত। এখন ১০ দিনে একটা কাজ মেলাও দুষ্কর। এই অবস্থায় দেওয়াল চিত্রশিল্পীরা চান না তাঁদের পরবর্তী প্রজন্ম এই শিল্পকলার সঙ্গে জড়িয়ে হোক।

অনির্বাণ রায়