মুর্শিদাবাদ: ঐতিহাসিক জেলা মুর্শিদাবাদ। এখানকার একটা বড় অংশের মানুষ পর্যটনের উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঐতিহাসিক হাজারদুয়ারীতে আজও দেখা মেলে চাঙ্গা চালকদের। পর্যটক এলেই তাঁদের দুটো পয়সা রোজগার হয়। লোকসভা নির্বাচনের কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে জোরকদমে প্রচার চলছে সর্বত্র। সেই মহা গুরুত্বপূর্ণ ভোটের আগে কেমন আছেন এখানকার টাঙ্গা চালকরা।?
ঐতিহাসিক জেলা হলেও পরিকাঠামোর অভাব ও পর্যাপ্ত পরিকল্পনার অভাবে মুর্শিদাবাদের পর্যটন ক্রমশই গুরুত্ব হারাচ্ছে। নেই পর্যটকদের ভিড়। টাঙ্গা অর্থাৎ ঘোড়ার গাড়ির চালকরাও আর আগের মত উৎসাহী মানুষ পান না। ফলে তাঁদের রোজগার কমছে। আধুনিক যানবাহনের দাপটে টাঙ্গা নিয়ে ঘোরাটাও ক্রমশ মুশকিলের হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদিও একের পর এক ভোট চলে যায় কিন্তু তাঁদের কথা ভাবার কেউ নেই।
আরও পড়ুন: শহরকে সাজানো হলেও পানীয় জলের যোগান পর্যাপ্ত নয়! গরমে রাস্তায় নেমে এলেন মহিলারা
দীর্ঘদিন এখানকার ঘোড়ার গাড়ির ভাড়া বৃদ্ধি হয় না। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলেও আয় বাড়ার সুযোগ নেই টাঙ্গা চালকদের। এই পরিস্থিতিতে এখানকার ঘোড়ার গাড়ির চালকদের দাবি, একটা ঘোড়ার পিছনে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে টাঙ্গা চালিয়ে সেই টাকাটুকুও প্রতিদিন তোলা যাচ্ছে না। কারণ টোটোর দাপট বাড়ায় পর্যটকরাও আর সহজে ঘোরার গাড়িতে চড়তে চাইছেন না। ফলে এবারের ভোটে অনেক টাঙ্গা চালকের কথাতেই সমর্থনের রং পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেল। অনেকেই আবার লালের দিকে ঝোঁকার ইঙ্গিত দিলেন।
কৌশিক অধিকারী