মদনমোহন দেবের নৌকাবিহার

MadanMohan Temple: কোচবিহারে মদনমোহনদেবের ঐতিহ্যবাহী নৌকোবিহারের সাক্ষী থাকতে অগণিত ভক্ত সমাগম

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: রাজ আমলের রীতি মেনে কোচবিহারের মদনমোহন বাড়িতে মদন কাম পুজো হয়। রীতি অনুযায়ী কথিত, এই পুজোতে  মদনমোহন সাগরদিঘিতে আসেন নৌকাবিহার করতে। বানেশ্বর, ষান্ডেশ্বর এবং গুঞ্জবাড়ি থেকে বিগ্রহ আসেন এই মদনমোহন বাড়িতে। দীর্ঘ সময় ধরে এই রীতি মেনেই চলে আসছে এই পুজো। প্রাচীন পুজো ও মদনমোহন দেবের নৌকাবিহারের সময় বহু মানুষ ভিড় জমান।

মন্দিরের পুরোহিত শিবকুমার চক্রবর্তী জানান, ‘‘দ্বাদশীর দিন কাঠামিয়া মন্দিরের সামনে কয়েকটি বাঁশে লাল কাপড় পরানো হয়। এর পর সোমবার চতুর্দশীর দিন সকালে পুজোর আয়োজন করা হয়। বিশেষ পুজোর পর পূর্ণিমার সন্ধ্যায় সাগরদিঘিতে নৌকাবিহার করেন মদনমোহন দেব। দীর্ঘ সময়ের এই প্রাচীন রীতি ও প্রথা রাজ আমল থেকে অটুট রয়েছে। এই নিয়ম বা প্রথার কোনওরকম অন্যথা হয়নি। বর্তমান সময়ে এই পুজো চলাকালীন বহু ভক্ত ভিড় জমান। আবার অনেকে কৌতূহল প্রকাশ করেন এই বিশেষ পুজোর বিষয়ে।”

কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্টবোর্ডের সেক্রেটারি কৃষ্ণগোপাল ধারা জানান, ‘‘প্রতিবছরের মতো এই বছরেও বেশ সমারোহের সঙ্গে এই বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। মদনমোহন দেবকে সাগরদিঘিতে নৌকোবিহার করতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বিশেষ এই রীতির সাক্ষী থাকতে কোচবিহারের বহু মানুষ ভিড় জমান। তবে সুরক্ষার বিষয় মাথায় রেখে ডুবুরি ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা না ঘটে এই বিশেষ নিয়ম চলাকালীন সময়ে। উৎসবে ভক্তদের জল থেকে দূরে রাখতে পুলিশ থাকছে পর্যাপ্ত।’’

আরও পড়ুন : ডাবের জল নাকি লেবুর শরবত? কোনটা বেশি উপকারী? গরমে সুস্থ থাকতে কোন পানীয়ে চুমুক দেবেন? জানুন

বর্তমান সময়ের রাজ আমল অতীত। রাজ আমলের সমস্ত দায়ভার বা দায়িত্ব পালন করে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। তবে রাজ আমলের রীতি ও প্রথা কোনো অংশে ক্ষুণ্ণ হতে দেয়নি এই বোর্ডের কর্মকর্তারা। বর্তমান সময়েও একই রকম জাঁকজমকের সঙ্গে এই বিশেষ রীতির পালন করা হয়। মদনমোহন দেবের নৌকাবিহার করার সময় তাঁর সঙ্গে নৌকায় থাকেন মন্দিরে পুরোহিত। এছাড়া বাকি বিগ্রহ দিঘির পাড়ে রাখা থাকে সুসজ্জিত ভাবে।”