নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: দাদুকে কেড়ে নিয়েছিল ক্যানসার। তাই মাধ্যমিকে দশম স্থানাধিকারী বাঁকুড়ার সৌমিক খাঁ বড় হয়ে হতে চায় চিকিৎসক। সৌমিকের দাদু পাঁচ বছর আগে কর্কটরোগে মারা যান। তখন থেকেই সৌমিকের সিদ্ধান্ত ছিল চিকিৎসক হওয়ার। সেই লক্ষ্যেই চলে পড়াশোনা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় তাক লাগানো রেজাল্ট করে বাঁকুড়ার নাম উজ্জ্বল করলেন কৃতী ছাত্র সৌমিক।
টেক্সট বুকের উপর জোর দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে সৌমিক। প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা ধরে কঠিন পড়াশোনা করে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। মেধাতালিকায় সারা রাজ্যে দশম স্থান পেয়েছে সে। দারুণ রেজাল্ট করে সৌমিক খাঁ জানায় সে আরও ভাল রেজাল্ট আশা করেছিল। টেস্টের চেয়ে কম নম্বর পেয়েও দশম হয়েছে সৌমিক। যদিও সামান্য খেদ থেকে গেলেও সাফল্য বেশ উপভোগ করছেন বলেই জানিয়েছে এই কৃতী পড়ুয়া।
আরও পড়ুন : প্রতিকূলতাকে জয় করে সাফল্য! মাধ্যমিক উত্তীর্ণ চার বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াকে ঘিরে খুশির আমেজ
মাত্র তিনটি বিষয়ে প্রাইভেট টিউশন ছিল সৌমিকের। ভৌত বিজ্ঞান, ইংরেজি এবং অঙ্ক ছাড়া বাকি বিষয়গুলি বাবা মায়ের কাছেই পড়েছে সে। সৌমিকের মা রুম্পা পাত্র জানান ছেলের রেজাল্ট আরও ভাল হবে বলেই আশা করেছিলেন তিনি। কিন্তু দশম হয়েছে সে। তাতেই খুশি সকলে।
আগামী দিনে যারা মাধ্যমিক দেবে তাদের উদ্দেশে সৌমিক বলে, সেলফ স্টাডির উপরে গুরুত্ব দিতে। পড়াশোনাটা ভাল করে করতে গেলে পাঠ্য পুস্তকের উপরে জোর দিতে উপদেশ দিয়েছে এই কৃতী ছাত্র। এছাড়াও নোটের উপর নির্ভর করে নয়। নিজে পড়াশোনা করে, বিষয়টি বুঝে পড়লেই আসবে সাফল্য, মত সৌমিকের।