Tag Archives: madhyamik examination 2024

Madhyamik 2024 Result: Success Story: বাবা লটারিবিক্রেতা, মা বন্ধ চাবাগানের শ্রমিক, অভাবের সংসারে মেয়ে মাধ্যমিকে বাজিমাত করে মনোবিদ হতে চান

অনন্যা দে, আলিপুরদুয়ার: উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে সাইকোলজিকাল থেরাপিস্ট হতে চায় কালচিনি বন্ধ বাগানের মেহেক ওঁরাও। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৮৫% নম্বর পেয়েছে সে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অন্তর্গত কালচিনির এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়া সে। মেহেকের বাবা লটারি বিক্রেতা। মা বন্ধ বাগানের শ্রমিক। বাগান বন্ধ তাই মায়ের কাজ নেই। তার বাবা একা সংসার চালাচ্ছেন। এত অভাবের মাঝেও বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে মেহেকের।

মেহেকের কথায়, “বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে সাইকোলজিকাল থেরাপিস্ট হতে চাই। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনো করলে অনেক চাকরির দিক খোলা থাকে। আমি তার মধ্যে একটি নিয়ে এগিয়ে যাব।”

আরও পড়ুন : প্রদীপে দিন এই জিনিস! অভাব থেকে সাড়ে সাতী দূর হয়ে হবে টাকার বর্ষা

মেহেকের এই ফলে খুশি তার বাবা, মা। সংসারে অভাব অনটন মেহেকের পড়াশুনো থামিয়ে দিতে পারেনি দেখে তাঁরা গর্বিত। মেহেকের কথা থেকে আরও জানা যায় যে স্কুলের তরফে অনেক সহযোগিতা সে পেয়েছে। টিউশন ছিল না তার। স্কুলশিক্ষকরা পড়াশুনোতে সাহায্য করেছেন।

Madhyamik Examination 2024: রোজই দোকান খুলত কিশোর, এমনকি মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনেও, ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে করল পাস

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মুদিখানা দোকান চালিয়ে বসেছিলেন মাধ্যমিক পরীক্ষায়। জয়নগর এর দক্ষিণ বারাসাতে শিবদাস হাই স্কুলের ছাত্র সাহেব। সংসারের অভাব অনটনের জন্য খুলেছিলেন একটি মুদিখানা দোকান তার পাশাপাশি নিজের পড়াশোনাটাও চালিয়ে যাচ্ছিলেন সে। পরিবারের তারা চারজন সদস্য বাবা-মা এবং ছোট্ট একটি ভাই। তার জীবনে প্রথম বড় পরীক্ষা দিয়েছিল মুদিখানা দোকান চালাতে চালাতেই।

পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে হয়তো কোন র‍্যাঙ্ক করতে পারিনি। কিন্তু সে ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বরাবরই ছিল তার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ। তাই এভাবেই দোকান চালিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গেয়েছে সে। বাবা সেভাবে দোকানে আসতে পারেন না তাই সে বাধ্য হয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি এই দোকান চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন – KKR Team News: কেকেআর কি Playoffs 2024 এ ফিল সল্টকে খেলাতে পারবে, বোর্ডের বড় সিদ্ধান্ত

পরীক্ষা কটা দিন সে ভালভাবে দোকান খুলতে পারত না। পরীক্ষা চলাকালীন সে প্রতিদিন সকালে এক ঘন্টা করে দোকান চালিয়ে তারপর সেই দোকান বন্ধ করে ওই পরীক্ষায় দিতে চলে যেত। তারপর বাড়িতে এসে অল্প কিছু খাওয়া দাওয়া করে আবারও দোকান খুলে বসে পড়তে সাহেব।

দোকান চালাতে চালাতে বইয়ের পাঠাতে চোখ বুলিয়ে নিত সে। আর এভাবেই পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও পড়াশুনা চালিয়ে যেতে চাই। এবং পড়াশোনা করি পরিবারে পাশে থেকে আগামী দিনে যাতে এই অভাবকে দূর করতে পারে, সেভাবেই সে জীবন সংগ্রামে লড়ে যাচ্ছে। তবে তার পরিবারের সংসারের চালাতে তাদের এই দোকানের উপরেই মূলত ভরসা। তাই সে পড়াশোনার পাশাপাশি। এই দোকান চালিয়ে আর সংসারে একমাত্র ভরসা।

Suman Saha

Malda News: কৃষক পরিবারের ছেলের সাফল্যে তুলকালাম! জেলায় সম্ভব্য প্রথম রাজ্যে ষষ্ঠ সাহাবুদ্দিন

মালদহ: নিজের সামান্য কৃষি জমি চাষ করেই তিন ছেলে মেয়ের পড়াশোনার খরচ বহন করছেন বাবা। সেই কৃষকের ছেলেই নজরকাড়া ফল করল মাধ্যমিকে। রাজ্যে যৌথ ভাবে ষষ্ঠ তথা মালদহে সম্ভব্য প্রথম কৃষকের ছেলে সাহাবুদ্দিন আলি।কালিয়াচকের মোজমপুর হাজী শেখ সুভানী বিশ্বাস হাই স্কুলের ছাত্র।

মালদহে সম্ভব্য প্রথম হয়েছে এই স্কুল থেকেই। সাহাবুদ্দিন আলির প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। এমন নজরকাড়া ফলাফলে খুশি পরিবার-সহ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।বাবা সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি সামান্য একজন কৃষক। কৃষি কাজ করে তিন ছেলে মেয়ের পড়াশোনা করাই। ছেলেরা এমন সাফল্য আমি খুব খুশি।

আগামীতে সাহাবুদ্দিন আইআইটিতে পড়াশোনা করে এগিয়ে যেতে চাই। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সাহাবুদ্দিন। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে পরিবারের লোকেরা ভেবেছিলেন ভাল ফল করবে। এমনকি পরীক্ষার পর সাহাবুদ্দিন ভাল ফলের আশা করেছিল। রাজ্যে ষষ্ঠ নয়, সাহাবুদ্দিনের আশা করেছিল আরও ভাল ফলের। এদিন সাহাবুদ্দিন বলে, ফল ভাল হবে আশা করেছিলাম তাই সকাল থেকেই টিভির পর্দায় নজর রেখেছিলাম। পরীক্ষার সময় কিছুটা ভয় পেয়ে গেছিলাম তাই কয়েকটা পরীক্ষা খারাপ হয়েছিল। নয়তো আরও ভাল ফল হতো আমার।মালদহের কালিয়াচক থানার মজোমপুরে বাড়ি সাহাবুদ্দিনের। বাবা সাহিফুদ্দিন আহমেদ পেশায় কৃষক।

মা শিউলি খাতুন একজন গৃহবধূ। তিন ভাই বোন সাহাবুদ্দিনেরা। নিজের সামান্য জমিতে কৃষিকাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি তিন ছেলে মেয়ের পড়াশোনা করান বাবা সাইফুদ্দিন। ছেলেরা এমন ফলাফলে খুশি তিনিও। আগামীতে কৃষিকাজ করে ছেলেকে আরও উঁচু স্তরে পড়ানোর ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলে একজন বড় হয়ে ডাক্তার হোক। কিন্তু ছেলের ইচ্ছে আগামীতে সে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। আইআইটি লাইনে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে তার। তাই ছেলের ইচ্ছের বিরুদ্ধে না গিয়ে, তাকে আইআইটি পড়ানোর ইচ্ছে বাবার। দুস্থ পরিবার প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন। তার এমন নজর কারা সাফল্যে খুশি আশেপাশের বাসিন্দাড়াও। মালদহের নামজাদা কোন স্কুলে পড়ে নয়, প্রত্যন্ত স্কুলে পড়াশোনা করেই মেধা তালিকায় উঠে এসেছে তার নাম।

হরষিত সিংহ

Madhyamik 2024 Result Success Story: পাঠ্যবইয়ে গুরুত্ব দিয়েই মাধ্যমিকে দশম, কর্কটরোগে দাদুকে হারিয়ে ডাক্তার হতে চান প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্র সৌমিক

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: দাদুকে কেড়ে নিয়েছিল ক্যানসার। তাই মাধ্যমিকে দশম স্থানাধিকারী বাঁকুড়ার সৌমিক খাঁ বড় হয়ে হতে চায় চিকিৎসক। সৌমিকের দাদু পাঁচ বছর আগে কর্কটরোগে মারা যান। তখন থেকেই সৌমিকের সিদ্ধান্ত ছিল চিকিৎসক হওয়ার। সেই লক্ষ্যেই চলে পড়াশোনা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় তাক লাগানো রেজাল্ট করে বাঁকুড়ার নাম উজ্জ্বল করলেন কৃতী ছাত্র সৌমিক।

টেক্সট বুকের উপর জোর দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে সৌমিক। প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা ধরে কঠিন পড়াশোনা করে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। মেধাতালিকায় সারা রাজ্যে দশম স্থান পেয়েছে সে। দারুণ রেজাল্ট করে সৌমিক খাঁ জানায় সে আরও ভাল রেজাল্ট আশা করেছিল। টেস্টের চেয়ে কম নম্বর পেয়েও দশম হয়েছে সৌমিক। যদিও সামান্য খেদ থেকে গেলেও সাফল্য বেশ উপভোগ করছেন বলেই জানিয়েছে এই কৃতী পড়ুয়া।

আরও পড়ুন : প্রতিকূলতাকে জয় করে সাফল্য! মাধ্যমিক উত্তীর্ণ চার বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াকে ঘিরে খুশির আমেজ

মাত্র তিনটি বিষয়ে প্রাইভেট টিউশন ছিল সৌমিকের। ভৌত বিজ্ঞান, ইংরেজি এবং অঙ্ক ছাড়া বাকি বিষয়গুলি বাবা মায়ের কাছেই পড়েছে সে। সৌমিকের মা রুম্পা পাত্র জানান ছেলের রেজাল্ট আরও ভাল হবে বলেই আশা করেছিলেন তিনি। কিন্তু দশম হয়েছে সে। তাতেই খুশি সকলে।

আগামী দিনে যারা মাধ্যমিক দেবে তাদের উদ্দেশে সৌমিক বলে, সেলফ স্টাডির উপরে গুরুত্ব দিতে। পড়াশোনাটা ভাল করে করতে গেলে পাঠ্য পুস্তকের উপরে জোর দিতে উপদেশ দিয়েছে এই কৃতী ছাত্র। এছাড়াও নোটের উপর নির্ভর করে নয়। নিজে পড়াশোনা করে, বিষয়টি বুঝে পড়লেই আসবে সাফল্য,  মত সৌমিকের।

WB Madhyamik 10th Result 2024: প্রতিকূলতাকে জয় করে সাফল্য! মাধ্যমিক উত্তীর্ণ চার বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াকে ঘিরে খুশির আমেজ

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: সব প্রতিকূলতাকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে আনল বিশেষভাবে সক্ষম চারজন পরীক্ষার্থী। জীবনের প্রতি পদেই এদের দিতে হয় পরীক্ষা! রয়েছে শত বাধা। সব বাধা পেরিয়ে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় সফল জলপাইগুড়ির বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এই চার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হল রাজ্যজুড়ে। সকাল থেকেই অধীর আগ্রহে খানিক ভয়, খানিক উৎকণ্ঠা নিয়ে টেলিভিশনের সামনে অপেক্ষা করছিল লক্ষ লক্ষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।

প্রথম ১০-এর তালিকায় এত পড়ুয়ার মধ্যে কোথাও নিজের জায়গা করতে পারেনি জলপাইগুড়ির কোনও পড়ুয়াই। তাই সকাল থেকেই মন খারাপ শহরের বাসিন্দাদের। কিন্তু বেলা বাড়তেই প্রকাশ্যে আসে জলপাইগুড়ির চার বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়ার সাফল্যের খবর। বিদ্যা সরকার, ঋক সরকার, সায়ন্তনী রায় ও পায়েল রায়-এরা চারজনই জন্ম থেকেই মূক ও বধির।  তাদের প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ১৯০, ২২৭, ১৮৪, ২২৮। নম্বর যা-ই হোক না কেন, জন্ম থেকেই নিজেদের মতো করেই লড়াই চালাচ্ছে এরা।

আরও পড়ুন : গরমে উপকারী হলেও ব্লাড সুগারে কি মিছরি খাওয়া যায়? মিছরি খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে? জানুন

বড় হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অসীম ইচ্ছে। আর এতেই খুশির আমেজ শহর জুড়ে। এ যেন খরার মধ্যেও এক চিলতে বৃষ্টি। জলপাইগুড়ির ইন্দিরা কলোনির বাসিন্দা ঋক সরকারের এই সাফল্যে খুশি তার মা এবং পরিবারের সকলে। অন্যদিকে, নেতাজি পাড়া পরেশ মিত্র কলোনির বাসিন্দা বিদ্যা সরকারের বাড়িতেও উৎবের আমেজ। তবে, এখনও অনেকটা পথ পেরিয়ে যাওয়া বাকি। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পুলিশ হতে চায় বিদ্যা। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও হার না মানা লড়াই চালাচ্ছে এদের প্রত্যেকেই। এই খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্রই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ জলপাইগুড়িবাসী।

Madhyamik Exam: মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই পালাল ছাত্রী! কাণ্ডটা কী? দেখুন ভিডিও

Social Media Effect : সামাজিক মাধ্যমে আলাপ। Madhyamik দিয়েই দুই ছেলের বাপের সঙ্গে পালাল ছাত্রী! ইন্টারনেট সহজলভ্য হয়ে যাওয়ার কুফল এটা। সাবধান।  দেখে নিন বাংলা নিউজ ভি়ডিও (Watch bangla news video)৷

Madhyamik Examination 2025: আগামী বছরের মাধ্যমিকে কোন দিনে কী বিষয়ের পরীক্ষা? ঘোষণা করল রাজ্য, জেনে নিন বিস্তারিত

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার পর আগামী বছরের অর্থাৎ ২০২৫-এর মাধ্যমিক পরীক্ষা কবে থেকে শুরু হবে তার দিন ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী বছরের মাধ্যমিক শুরু হবে শেষ হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। আর এবার কোন দিনে কী পরীক্ষা হবে তারও সূচি বিস্তারিত জানালো রাজ্য। ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে প্রথম ভাষার পরীক্ষা, ১৫ ফেব্রুয়ারি হবে দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা, ১৭ ফেব্রুয়ারি হবে ইতিহাস, ১৮ ফেব্রুয়ারি হবে ভূগোল, ১৯ ফেব্রুয়ারি হবে জীবন বিজ্ঞান, ২০ ফেব্রুয়ারি হবে ভৌত বিজ্ঞান,২২ ফেব্রুয়ারি হবে অঙ্ক এবং ২৪  ফেব্রুয়ারি হবে ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা।

মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৪West Bengal Madhyamik Result 2024

সাধারণত মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিনেই পরবর্তী বছরের পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এবার তার আগেই ঘোষণা করে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা এগিয়ে আনা হলেও আগামী বছর থেকে নির্দিষ্ট সময় মাধ্যমিক হচ্ছে বলেই দাবি রাজ্যের। চলতি বছরে মূলত লোকসভা নির্বাচনের জন্য ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় মাধ্যমিক যা শেষ হয় এ দিন। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল,তার নির্দেশে আগামী বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে,২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।”

পাশাপাশি এ বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রশ্নপত্রে কিউআর কোড-এর ব্যবহারের দরুণ একাধিক পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, যারা প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল করার চেষ্টা করেছিল। মোট ৩৬ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে চক্রান্তের তত্ত্বও সামনে এনেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন “বেশ কিছু লোক অসাধু কাজ করছিল, প্রশ্নপত্র ছবি তুলে বাইরে বার করার চেষ্টা করছিল।এটা পরীক্ষার্থীদের কাজ নয়, এটা বাইরের কিছু মানুষের কাজ। এর জন্য আমরা কিউ আর কোড ব্যবহার করেছি। অসাধু চক্রের মাথাদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোট ৩৬ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন “একটা নির্দিষ্ট গ্রুপ এই প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে। এটা সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা। মালদহ জেলা মূলত কাজ করেছে, কিছু করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা।” আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যজুড়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তা নিয়েও রাজ্য যে সতর্ক এ দিন তা দাবি করেন শিক্ষা মন্ত্রী। তিনি বলেন, “উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও অসাধু চক্র নানা চক্রান্ত চালাবে, আমরা সব ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কত বা কতগুলি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা নিয়ে আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার  সাংবাদিক বৈঠক করবে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

North 24 Parganas News: মাধ্যমিক শেষের আগেই জারি ১৪৪ ধারা! সন্দেশখালিতে আশঙ্কায় পরীক্ষার্থীরাও

সন্দেশখালি: উত্তপ্ত সন্দেশখালিকে শান্ত করতে তৎপর প্রশাসন। চলছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এরই মধ্যে উত্তাল সন্দেশখালি। সন্দেশখালির দ্বীপে দ্বীপ অশান্তির আগুনে তপ্ত হয়ে উঠছে। এর মধ্যে চরম সমস্যায় পড়েছেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষ দিনের আগেই অশান্ত সন্দেশখালিকে শান্ত করতে তৎপর- প্রশাসন।

এ দিন সকাল থেকেই দেখা গেল  শুনশান রাস্তাঘাট। উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। গতকাল রাত থেকেই ত্রিমোহিনী বাজার-সহ সন্দেশখালি থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। যদিও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে যাওয়া আসায় কোনও রকম সমস্যায় না পড়তে হয় তার জন্য বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

উল্লেখ্য গত ৩-৪ দিন সন্দেশখালিতে দফায় দফায় গ্রামবাসীরা সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায়। গতকাল শুক্রবার যা চরমে পৌঁছায়। সন্দেশখালির বিস্তৃর্ণ দ্বীপে দ্বীপে আদিবাসী গ্রামবাসী মহিলাদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি ছিল, শুক্রবারের পর আজ শনিবার ফের আন্দোলনে শামিল হবেন তাঁরা। এর পর শুক্রবার রাতেই বিশাল বাহিনী দিয়ে সন্দেশখালি থানা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। শুরু হয় রুটমার্চ। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও রাতের মধ্যেই সন্দেশখালি পৌঁছন। এর পর সন্দেশখালি থানা এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধরা জারি করে পুলিশ।

শনিবার সকালে পরিস্থিতি এখনও থমথমে। রাস্তাঘাট শুনশান। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন স্থানীয়দের একাংশ। তবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ও কি এই বিশৃঙ্খলা থাকবে? শান্তিতে কি পরীক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারবে না? তা নিয়ে একপ্রকার উদ্বিগ্ন রয়েছেন পরীক্ষার্থীরা-সহ অভিভাবকরাও। যদিও সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর পুলিশের।

জুলফিকার মোল্যা

Madhyamik Examination 2024: প্রশ্ন ফাঁসের জের, আরও দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হল মাধ্যমিকে

কলকাতা: মাধ্যমিকে ফের পরীক্ষা বাতিল দুই পরীক্ষার্থীর। অঙ্ক পরীক্ষার দিনেও সোশ্যাল সাইটে প্রশ্নপত্র বেরিয়ে যাওয়া আটকাতে পারল না পর্ষদ। পূর্ব বর্ধমান ও কলকাতা এই দুই জেলা থেকে দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হল। মূলত অঙ্ক পরীক্ষার দিন অর্থাৎ এ দিন পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার ঘরে ঢুকে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার অভিযোগ উঠেছে।

সেই অভিযোগেই দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা এ দিন বাতিল হল। এ নিয়ে ৩০জনেরও বেশি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। প্রশ্নপত্র বিশেষ কোডের ব্যবহার করেছে পর্ষদ। এই কোডের মাধ্যমে কোন প্রশ্নপত্র সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হওয়া মাত্রই পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে পারবে পর্ষদ। তার মাধ্যমে অঙ্ক পরীক্ষার দিনেও ধরা পড়ল দুই পরীক্ষার্থী। তবে অঙ্ক পরীক্ষার দিন মালদা জেলা থেকে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল করার ঘটনা না ঘটলেও পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢোকার সময় চার পরীক্ষার্থী মোবাইল নিয়ে ধরা পড়েছিল।

যদিও তাদের পরীক্ষা বাতিল করেনি পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রে খবর ওই চার মোবাইল ফোন চেকিং করার সময় ধরা পড়েছে। অন্যদিকে আগামী ১২ তারিখ এই পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আরও কী পদক্ষেপ তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। এ দিন অঙ্ক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। অনেকেই প্রশ্নপত্র নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন৷

Madhyamik Examination 2024: পারিবারিক বিবাদের জেরে চরম বিপাকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, শিকেয় উঠল পড়াশোনা

তমলুক: চলছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষা চলাকালীন পারিবারিক বিবাদের কারণে বিপাকে পড়েছেন এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পারিবারিক বিবাদ এর কারণে এই বর্তমান সময়ের সময়ে এসেও হ্যারিকেনের আলোতে পড়াশোনা করতে হচ্ছে। ফলে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে সারাদিনে মাত্র তিন ঘন্টা পড়াশোনা করেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আর এমনই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার অন্তর্গত বাড়ধূর্পা গ্রামে। ভাইয়ে ভাইয়ে গন্ডগোলের জেরে ভুক্তভোগী মাধ্যমিকের এক ছাত্রী।

বাড়ধূর্পা গ্রামে অনন্যা ঘোড়াই নামে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী স্থানীয় এক স্কুল থেকে এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছেন। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় তার পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৈদ্যুতিক আলো। কারণ রাতের বেলায় পড়াশোনা করার জন্য বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবহার করতে পারছে না। বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অথচ পরিবারে বিদ্যুতের কোনও বকেয়া বিল নেই। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা কোনও রকম নোটিশ ছাড়াই পাড়া-প্রতিবেশীদের চাপে তাদের পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। আর তাতেই ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রাতের বেলায় পড়াশুনা করছে হ্যারিকেনের আলোয়। জানা যায় পারিবারিক বিবাদের কারণেই ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বাড়ধূর্পা গ্রামে ঘোড়াই পরিবারে পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ এক দশক ধরে গন্ডগোল চলছে। সেই গন্ডগোলেরই শিকার হল এবারের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীছাত্রী।

আরও পড়ুন-                            একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা

আরও পড়ুন-                            একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা

মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগেই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ায় সমস্যায় পরীক্ষার্থী। হ্যারিকেনের আলোতেই কষ্ট করে পড়াশোনা করতে হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে। বিদ্যুতের বিল সঠিক সময়ে দিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও কোনও কারণ না দেখিয়ে বিদ্যুৎ কেটে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বাবার দাবি, কোনওরকম নোটিশ ছাড়াই বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা পাড়া-প্রতিবেশী ও তার অন্যান্য ভাইয়ের চাপে পড়ে তার বাড়ির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করেছে। আর বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে অসুবিধার সম্মুখীন ওই পরীক্ষার্থী। ৩১ জানুয়ারি রাতের বেলা বিদ্যুৎ দফতরের লোকেরা গ্রামবাসীদের চাপে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছেন বলে দাবি ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীর পরিবারের।

এই ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ দফতরে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওনাল ম্যানেজার রঞ্জিত কুমার মন্ডল জানান, বৈদ্যুতিক বিল মেটানো থাকলে কোনওভাবেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যায় না। এই ক্ষেত্রে বিল মেটানো থাকা সত্ত্বেও কেন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হল তা তিনি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছেন। এবং এই ব্যাপারে যাতে অতি শীঘ্র বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় সেই ব্যাপারে তিনি দফতরের কর্মীদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। সম্পত্তি নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে পারিবারিক গন্ডগোলের কারণে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা একপ্রকার চাপে পড়েই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করায় বিপাকে পড়েছেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।

সৈকত শী