কাজ না থাকায় বসে রয়েছেন শ্রমিক

Mango Cultivation: গাছে আম নেই, কর্মহীন বহু শ্রমিক

নদিয়া: আম বাগানে আম নেই। এবার অফ সিজনে এবং আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় আমের ফলন অনেকটাই কম হয়েছে। ফলে মরশুমে আমবাগানে ঠিকে শ্রমিকের কাজ করতেন যারা তাঁদের অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

শান্তিপুর এলাকায় প্রচুর আমবাগান ছিল। পরিবেশ কর্মীদের আন্দোলন সত্ত্বেও বহু আম বাগানের গাছ কেটে সেই জমি প্লটিং করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তারপর‌ও শান্তিপুর থানা এলাকায় এখনও প্রচুর আমবাগান আছে। শান্তিপুরের হিমসাগর আমের স্বাদ সর্বজনবিদিত। কিন্তু এবছর আম বাগানে আম নেই। আমের মুকুল কম এসেছিল, যেটুকু ছিল সেটাও তীব্র রোদে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবারে আমের ফলন কম হওয়ার পিছনে অকাল বৃষ্টি এবং অনাবৃষ্টি মূল বলে জানিয়েছেন বাগান মালিক এবং কৃষকরা।

আরও পড়ুন: জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই পেশায় থাকতে চান ওঁরা, বংশপরম্পরায় চাকভাঙা যেন নেশা!

শান্তিপুরের অর্থনীতির সঙ্গে আমবাগান ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। গ্রীষ্ম-বর্ষা ভিত্তিক এটি একটি অর্থকরী ফসল। প্রতি বছর আমবাগান পরিচর্যা, বাগান পাহারা, ফল সংগ্রহের জন্য অভিজ্ঞ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। সাধারণত বাগানের কাজ মাঘ-ফাল্গুন মাসে শুরু হলেও, বৈশাখ-জৈষ্ঠ মাসে চুক্তি ভিত্তিক প্রচুর শ্রমিক নেওয়া হয় বাগানে। ভাল ফলন হলে বাগান মালিক বেশি অর্থোপার্জনের আশায় বেশি টাকায় শ্রমিক রাখেন। বাগানে এই দু-তিন মাস ভালখাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। শ্রমিকেরা অধিক উপার্জনের টাকায় দেনা মেটানোর সুযোগ পান। বাগানে অনেক পথ কুকুরের আমদানি হয় উচ্ছিষ্ট খাবারের লোভে। অবশ্য তাতে বাগান মালিকের‌ও লাভ। কারণ কুকুর খুব ভাল পাহারাদার। তাই তারাও আদরযত্ন পায়। এক বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান।

কিন্তু এবছর বাগানে আম না থাকায় পাল্টে গেছে পুরো ছবিটাই। শান্তিপুর এলাকার কয়েক হাজার মানুষের কাজ হল না এবারের আমের মরশুমে। আম রাখার বাঁশের ঝুড়ির চাহিদাও নেই। সব মিলিয়ে অনেকটা আর্থিক ক্ষতি বাগান মালিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন কাজে যুক্ত শ্রমিকদের।

এদিকে আমের ফলন কম হওয়ায় এবার জামাইষষ্ঠীতে ভাল প্রভাব পড়তে পারে। বাগান মালিকদের অনুমান, জামাইষষ্ঠীর সময় বাজারে আমের দর ১০০ টাকা প্রতি কেজিতে উঠতে পারে।

মৈনাক দেবনাথ