Tag Archives: Labour

Migrant Labours Accident: পেটের দায়ে বিহার থেকে বাংলায় কাজে এসেছিলেন, নদীতে নামতেই ভয়ঙ্কর পরিণতি দুই তরুণীর

পূর্ব বর্ধমান: বুধবার জেলায় ঘটে গেল একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পেটের দায়ে বিহার থেকে বাংলায় কাজ করতে এসে নদীতে তলিয়ে গেলেন দুই তরুণী! তাঁদের সন্ধানে ভাগীরথী নদীতে জোরদার তল্লাশি অভিযান চলছে।

এদিন দুপুরে ভাগীরথী নদীতে স্নান করতে নেমে ছিলেন বিয়ার থেকে আসা প্রতিমা কুমারী মাঝি ও মালতী কুমারী মাঝি। পেটের দায়ে তাঁরা বাংলার ইটভাটায় কাজ করতে এসেছিলেন। পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার অন্তর্গত নন্দগ্রাম এলাকার একটি ইটভাটাতে কাজ করতেন তাঁরা। এক সহকর্মী জানিয়েছেন, ইটভাটার পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীতে স্নান ও জামা কাপড় কাচার জন্য ওখানকার শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই নেমেছিলেন। মোট সাতজন ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ‌ই প্রতিমা ও মালতী তলিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: বাড়িতেই মজুত কোটি কোটি টাকার মাদক! সঙ্গে নগদ ৩২ লক্ষ, টাকা গোনার মেশিন উদ্ধার

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কালনা থানার পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। দুপুর দুটো নাগাদ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডুবুরিরা নিখোঁজ ওই দুই তরুনীর খোঁজে নদীতে নামেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে জলের মধ্যে চলে তল্লাশি। তবে বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ তরুণীদের কোনও খোঁজ মেলেনি।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Viral Young Man: সাইকেল নিয়ে দিনমজুরের অবাক কাণ্ড

কোচবিহার: সমাজ সচেতনতার বার্তা দেওয়া এবং দেশ ভ্রমণের ইচ্ছে। এই দুই বিষয়ে যখন একত্রে মিলে যায় তখন মানুষ করতে পারে না এমন কাজ বলতে গেলে নেই। এমনটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন বাঁকুড়া জেলার এক যুবক। তাঁর নাম বিপ্লব সিংহ। তিনি পেশাগতভাবে একজন দিনমজুর। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ার রানিবাঁধ এলাকায়।

ছোট থেকেই তাঁর দেশ ঘুরে দেখার অদম্য ইচ্ছে। মূলত এই কারণেই একদিন সাইকেল নিয়ে দেশ ভ্রমণের বেরিয়ে পড়েন। তবে শুধুমাত্র দেশ ভ্রমণ নয়, পাশাপাশি দেশের মানুষকে সমাজ সচেতনতার বিভিন্ন বার্তা দিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত।

আরও পড়ুন: ৬ মাসের উপর বন্ধ চা বাগান, এখন চালু হল না ভাতা

বিপ্লব সিংহের সাইকেলের সামনে একটি ল্যামিনেশন করা কাগজের মধ্যে লেখা রয়েছে এই সমাজ সচেতনতার বার্তাগুলি। প্রথমত, ধূমপান ও মদ্যপান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এছাড়াও বাইক চালানোর সময় সব সময় হেলমেট পরা উচিত। তাতে নিজের জীবন যদি বাঁচে। তেমনই অন্যের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়। দ্বিতীয়ত, পরিবেশ রক্ষা মানব সমাজের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই তো মাটি এবং গাছপালা রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। যাত্রা শুরু করেছিল বাঁকুড়া থেকে। সেখান থেকে এসে যায় ভুটান পর্যন্ত। তারপর সেখান থেকে এসে যায় অরুণাচলপ্রদেশ। তবে তাঁর এখানেই ইচ্ছে শেষ হয়নি।গোটা দেশের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা বাকি।

বিপ্লব সিংহ জানান, ছোট থেকেই তাঁর দেশ ঘুরে দেখার অদম্য ইচ্ছে ছিল। সামর্থের অভাবে এতদিন স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি। পেশাগতভাবে দিনমজুরির কাজ করে সংসার চলে তাঁর। তবে কিছুদিন পূর্বে তাঁর এলাকার এক সমাজসেবী চিত্তরঞ্জন মাহাত তাঁকে উৎসাহ প্রদান করেন। তারপরেই তিনি সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন দেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্য।

এখনও পর্যন্ত ৩৬ দিনে প্রায় সাড়ে ছাব্বিশশো কিলোমিটার সাইকেল চালিয়েছেন। চলার পথে রাত্রিযাপন করতে তিনি থামছেন বিভিন্ন থানাগুলিতে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২২ টি থানায় রাত্রি যাপন করেছে। আগামী দিনে আরও অনেকটা পথচলার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।

সার্থক পণ্ডিত

Tea Garden Labour Crisis: ৬ মাসের উপর বন্ধ চা বাগান, এখন চালু হল না ভাতা

আলিপুরদুয়ার: আইন অনুযায়ী চা বাগান বন্ধ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই চালু করে দিতে হয় ফাউলাই ভাতা। কিন্তু এই ভাতা থেকে বঞ্চিত বন্ধ কালচিনি চা বাগানের শ্রমিকরা। পুরো কথাটি হল ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট টু দ্য ওয়ার্কার অফ লকড আউট ইন্ডাস্ট্রিজ, যার সংক্ষেপে নাম ফাউলাই।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের প্রতিমাসে ১৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। বাগান বন্ধ হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় বেতন। তখন এই ফাউলাই ভাতাটুকুই সম্বল হয় চা শ্রমিকদের। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার নিয়ম করেছে, চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ৬ মাসের মধ্যে চালু হয়ে যাবে এই ভাতা। ফের বাগান না খোলা পর্যন্ত এটা চলতেই থাকবে।

আরও পড়ুন: তুমুল তাণ্ডব বাইসনের, শেষে ঘুম পাড়ানি গুলিতে কাবু

গতবছর দুর্গা পুজোর মুখে বন্ধ হয় কালচিনি চা বাগান। বেতন সমস্যার পাশাপাশি বোনাস নিয়ে মতের মিল না হওয়াতে কর্তৃপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে যায়। বাগান কবে ফের চালু হবে তা জানে না কেউ। এই পরিস্থিতিতে শেষ সম্বল ফাউলাই ভাতা কবে মিলবে এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। এই ভাতা না মেলায় প্রচন্ড কষ্টে দিনযাপন করছেন চা বাগানের শ্রমিকরা। এবারে লোকসভা ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-মন্ত্রীরা এই বন্ধ ভাতা দ্রুত চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোট মিটে প্রায় একমাস হতে চললেও এখনও একটা টাকাও পাননি এই বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকরা।

অনন্যা দে

Livelihood Crisis: টোটো চালানোই ভবিষ্যৎ! কবে খুলবে কুলিক দুগ্ধ প্রকল্প

উত্তর দিনাজপুর: তালা বন্ধ গেট, চারিদিকে আগাছা ও জঙ্গলে ভর্তি। আচমকা দেখে কোনও পরিত্যক্ত বাড়ি বলে মনে হলেও আদতে এটা বন্ধ হয়ে যাওয়া সরকারি দুগ্ধ প্রকল্পের প্রতিষ্ঠান। রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪ নম্বর কমলাবাড়ি (১) গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন কর্ণজোড়ায় অবস্থিত কুলিক দুগ্ধ প্রকল্প। প্রায় বছর তিনেক আগে এই প্রকল্পে ভাটা পড়ে থাকলেও বর্তমানে একেবারেই বন্ধ।

অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন দুগ্ধ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। দুগদ্ধ প্রকল্প বন্ধ থাকায় কর্মসংস্থান হারিয়ে কেউ চালাচ্ছেন টোটো। কাউকে আবার বাইরে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে হচ্ছে। জানা গিয়েছে, একসময় এই দুগ্ধ প্রকল্পে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন কর্মী কাজ করতেন। এছাড়াও দুই দিনাজপুর জেলা থেকে প্রচুর পরিমাণে দুধ আমদানীও হত। যার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রায় ৪০ জন গোয়ালা এবং বেশ কিছু সরবরাহকারী। এখানেই বাইরে থেকে আসা দুধকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পরিশুদ্ধকরণের পর প্যকেটজাত করা হত। দুধের পাশাপাশি ঘি, পনীর-সহ অন্যান্য দুগ্ধজাত সামগ্রীকে বাজারজাত করা হত সরকারিভাবে।

আরও পড়ুন: দোতারাকে সঙ্গী করে দিব্যি আছেন শিলিগুড়ির সুভাষ

কিন্তু আচমকা দুই বছর আগে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তীব্র আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত দিন আনা দিন খাওয়া কর্মীরা৷ হারিয়েছেন কর্মসংস্থান, ফলে বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছেন তাঁরা। প্রকল্পের প্রাক্তন অস্থায়ী কর্মী সুশীল সরকার বলেন, প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুরাবস্থায় দিন কাটছে। এখনও বকেয়া পারিশ্রমিক পাননি। গোয়ালা থেকে শুরু করে স্থায়ী, অস্থায়ী শ্রমিক মিলিয়ে একাধিক পরিবার এখন কর্মহীন। ভোট মিটতেই প্রকল্পটিকে সচল করার দাবি জানাচ্ছেন এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হওয়া কর্মীরা।

পিয়া গুপ্তা

Hand Fan: গ্রামের ভরসাতেই টিকে হাতপাখা

উত্তর ২৪ পরগনা: প্রচণ্ড দাবদাহে আমজনতাকে কিঞ্চিত শক্তি দিয়ে সোমবার সন্ধের পর দক্ষিণবঙ্গের বহু জায়গায় নেমেছে বৃষ্টি। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস হল, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আবার তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে। এমনিতেই দু’দিন আগে পর্যন্ত টানা তপপ্রবাহে বিধ্বস্ত গোটা দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। এই সময়ে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে হাত পাখার চাহিদা। কিন্তু যারা হাতপাখা তৈরি করেন তাঁরা কেমন আছেন?

নিজেরা গরম সহ্য করে অপরের শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার কাজ করেন হাতপাখার কারিগরেরা। তবে আধুনিকতার যুগে অনেকাংশেই রুগ্ন হয়ে পড়েছে এই শিল্প। গরমের হাত থেকে বাঁচতে বাড়িতে ফ্যান, এসি, কুলার আসায় কদর কমেছে হাত পাখার। ফলে একরকম অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে এই শিল্প। মূল্যবৃদ্ধির কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আর‌ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই শিল্প। তবুও আশা নিয়েই পাখা তৈরি করে চলেছেন উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার হাতপাখা শিল্পীরা।

আরও পড়ুন: চেনা মাঠে অচেনা লড়াইয়ে সুজাতা, ভূমিকা বদল মেনে নেবে জনতা?

এক জন পাখা শিল্পী দিনে পাঁচ থেকে সাত হাজার পাখা প্রস্তুত করতে পারেন। তাঁদের মজুরি নির্ধারিত হয় কাজের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। তবে পাখা শিল্পীদের আক্ষেপ, দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর তাঁরা যে মজুরিটুকু পান তাতে ঠিক মত সংসার চলে না। তাঁদের আবেদন, এই পাখা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে যদি সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে খুব ভাল হয়। অতীতে এই হাত পাখার চাহিদা এতটাই ছিল যে জেলা ছাড়িয়ে বিহার, ওড়িশার মত প্রতিবেশীর রাজ্যগুলিতে ও পৌঁছে তো গোবরডাঙার হাতপাখা। তবে দিন বদলের ফলে এখন কোন‌ওরকমে টিকে আছেন এই পাখা প্রস্তুতকারকরা।

রুদ্রনারায়ণ রায়

International Labour Day 2024: কাজ না করলে ভাত জুটবে না! মে দিবসের তাৎপর্য ‘ব্যর্থ’ কৃষকদের কাছে

উত্তর ২৪ পরগনা: গ্রীষ্মের এই প্রখর দাবদাহের মধ্যেও কাজ করে যেতে হচ্ছে। শরীর ক্লান্ত লাগলেও বিশ্রাম নেওয়ার উপায় নেই। আন্তর্জাতিক শ্রমদিবসের দিন এটাই বড় আক্ষেপ হতভাগ্য কৃষকদের। মে দিবসে যখন সর্বত্র শ্রমিকের, কর্মীর অধিকার নিয়ে চর্চা হচ্ছে তখন এই বাংলার কৃষকরা যেন সবকিছু থেকেই বঞ্চিত।

প্রতিবছরের মতে এবারেও ১ মে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। কিন্তু এই দিনটি সম্পর্কে সত্যিই কি অবগত শ্রমজীবী মানুষ? পয়লা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে শ্রমিকরা কাজের বিরতি নিয়ে এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করলেও ছুটি নেই বসিরহাটের মিনাখাঁর ক্ষেত মজুর ও কৃষকদের।

আর‌ও পড়ুন: অঙ্গন‌ওয়াড়ি কেন্দ্র না শাসকদলের অফিস? খোলা আকাশের নিচেই হচ্ছে শিশুদের রান্না

কথা বলে দেখা গেল বেশিরভাগ কৃষকই আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের গুরুত্ব, তাৎপর্য সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নন। এই অসহায় মানুষগুলো একটা সহজ জিনিস ধরে নিয়েছেন, কাজ করলে তবেই পেটে দুটো ভাত জুটবে। কিন্তু একটা মানুষের যেমন কাজ করা প্রয়োজন তেমনই তাঁর জীবনে বিশ্রাম, বিনোদনের দরকার আছে সেগুলো পরিস্থিতির চাপে বেমালন ভুলে গিয়েছেন এই কৃষকরা। আর তাই টানা তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোদ্দুরে পুড়ে জমিতে কাজ করছেন। ওঁরা এইভাবে উদায়স্ত খাটছেন বলেই পেটে ভাত জুটছে আমাদের।

জুলফিকার মোল্যা

International Labour Day 2024: মে দিবসের দিন‌ই কর্মহীন ৮০০ শ্রমিক! বন্ধ হল চা বাগান

জলপাইগুড়ি: আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের দিন‌ই কর্মহীন হয়ে পড়লেন ৮০০ শ্রমিক! ডুয়ার্সের তোতাপাড়া চা বাগানের ঘটনা। বুধবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা দেখেন মালিকপক্ষের তরফ থেকে কর্মবিরতির নোটিশ ঝোলানো হয়েছে। ১ মে’র দিন‌ই এমন ঘটনা ঘটবে কে আর ভেবেছিল!

হঠাৎ কাজ হারিয়ে মাথায় হাত জলপাইগুড়ির এই চা বাগানের শ্রমিকদের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মে দিবসের প্রাক্কালে রাতের অন্ধকারে বাগানে কর্মবিরতির নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। আর এতেই রাতারাতি কর্মহীন হয়ে পড়েন তোতাপাড়া চা বাগানের প্রায় ৮০০ জন চা শ্রমিক।

আর‌ও পড়ুন: পশু-পাখিদের হিট স্ট্রোক ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা

জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই চা বাগানটিতে কর্মরত শ্রমিকদের পাওনা গন্ডাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। তবে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েই বাগান বন্ধ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে জানিয়েছে চরম আর্থিক সঙ্কট চলছে। যদিও শ্রমিকদের দাবি, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বাগানটিকে বন্ধ করা হয়েছে। তাঁরা দ্রুত বাগান খোলার দাবিতে সরব হন। শ্রমিকদের অভিযোগ, পিএফ, গ্র্যাচুইটির মত অন্যান্য পাওনা গন্ডার পাশাপাশি সম্প্রতি সেখানে শ্রমিকদের ৩ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া পড়ে আছে। সেই বকেয়া টাকারই দাবি জানিয়েছিলেন শ্রমিকরা।

বকেয়া পরিশোধের উদ্দেশ্য নিয়ে বানারহাট বিডিও অফিসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। যদিও সেখানে মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন না। পরে চিঠি দিয়ে মালিকপক্ষ এক সপ্তাহের মজুরি মিটিয়ে দেয়। তারপরের দিনই বন্ধ করে দেওয়া হল চা বাগান। ফলে এখানকার শ্রমিকরা শুধু কাজই হারালেন না, তাঁদের অর্থ বকেয়াও রেখে দিল বাগান কর্তৃপক্ষ।

সুরজিৎ দে