নদীতে মাছ ধরছেন একজন বয়স্ক ব্যক্তি

River Fishing: প্রবল বৃষ্টিতে ফুঁসছে নদী, তার‌ই মধ্যে ঘোলা জলে মাছ ধরতে হুটোপুটি

কোচবিহার: উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকাগুলিতে বর্ষার বৃষ্টি হচ্ছে প্রবল পরিমাণে। ফলে জলের স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে উত্তরবঙ্গের প্রায় সমস্ত নদীর। ইতিমধ্যেই বেশকিছু নদী বেশ অনেকটাই আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে। শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যেই ভেঙে গিয়েছে বহু এলাকার নদী পারাপারের বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো। ফলে সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। তবে এরই মাঝে কোচবিহারের তোর্ষা নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে চোখে পড়ল একেবারেই ভিন্ন ছবি। নদীর বেড়ে ওঠা ঘোলাটে জলেই মাছ ধরতে ব্যস্ত বহু মানুষ। একপ্রকার আনন্দ করেই মাছ ধরছেন তাঁরা।

নদীর পাড়ে বসবাসরত প্রবীণ বাসিন্দা আব্দুল হামিদ জানান, বর্ষায় নদীর জল বাড়লে আতঙ্ক দেখা দেয় এইসব এলাকায়। বাঁশের সাঁকো ভেঙে গেলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসুবিধা তৈরি হয়। তখন বিকল্প আয়ের খোঁজে নদীতে এই মাছ ধরার কাজ করেন তিনি সহ এলাকার আরও অনেকে। এছাড়া বাড়িতেও এই মাছ দিয়েই খাওয়ার পর্ব সুন্দরভাবে হয়ে যায়। নদীয়ালি মাছের চাহিদা বাজারে থাকে সবসময়। ফলে বাজারে এই মাছ উঠতেই বিক্রি হয়ে যায়। তাই এই মাছ ধরে বিক্রি করলে কিছু উপার্জন করা সম্ভব সহজেই।

আর‌ও পড়ুন: প্রজাপতি পার্কে দেখা নেই প্রজাপতির! বেহাল অবস্থা রামসাইয়ের

নদীর পাড়ের আরেক বাসিন্দা মঙ্গল দাস জানান, নদীর জল বাড়ার ফলে আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। তাই আতঙ্ক ভুলতে নদীর মাছ ধরতে ব্যস্ত করে রেখেছেন নিজেকে। এতে খাবার পাতে নদীর সুস্বাদু মাছ পাওয়া যায়। এছাড়া কাজ না থাকায় এই মাছ ধরে কিছুটা হলেও আয় করা সম্ভব হয়।

নদীর পাড়ের বাসিন্দা বিমল রায় জানান, তোর্ষা নদীর জল বাড়লে তখন মাছের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই সময় পুঁটি, বোরোলি, ট্যাংরা, মাগুর, কই, খোলসা, চিংড়ি আরও বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যায়। এই সমস্ত মাছের স্বাদ অনেক বেশি। ফলে এই মাছগুলি ধরে নিজেরা যেমন খান তেমনই বাজারে বিক্রি করে দুটো পয়সা রোজগার করেন।

সার্থক পণ্ডিত