চুঁচুড়া নাম্বারা হাসপাতালের ছবি

Maternal Death: সন্তানের জন্ম দিয়েই অসুস্থ একের পর এক প্রসূতি, মৃত্যু একজনের! ইমামবাড়া হাসপাতালে চাঞ্চল্য

হুগলি: প্রসূতি মায়েদের সিজার হওয়ার পরই সঙ্কটজনক হয়ে পড়ছে শারীরিক অবস্থা। একই দিনে সিজার হওয়া পাঁচ প্রসূতির শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটে। একজনের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে। অঞ্জলি মণ্ডল নামে নৈহাটির ওই মহিলার সন্তান প্রসবের পর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। শেষে তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল থেকে কলকাতায় রেফার করা হয়। সব মিলিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে হুগলি জেলার এই সরকারি হাসপাতালটি।

ইমামবাড়া হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত সোমবার হাসপাতালে পাঁচ জন প্রসূতি সিজারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেন। অভিযোগ, তার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই পাঁচজনই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। সকলকেই হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। পাশাপাশি পাঁচ শিশুকে এসএনসিইউ ইউনিটে স্থানান্তরিত করানো হয়। মঙ্গলবার রাতে দুই প্রসূতি মাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসিইউ অ্যাম্বুলেসে করে কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করে।

আর‌ও পড়ুন: এক সপ্তাহে তিনটি খাঁচা বন্দি, ডুয়ার্সে কি চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়েছে?

প্রসূতিদের পরিবারের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগেই ওই দুই মাকে কলকাতায় পাঠিয়েছে। সিজারে গাফিলতি রয়েছে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে বাকি প্রসূতিদের পরিবারের মধ্যে। বর্তমানে তিন প্রসূতি হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর এই ঘটনায় নড়েচরে বসেছে। জেলার স্বাস্থ্য আধিকারীকরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এই প্রসঙ্গে হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলি কর বলেন, কী থেকে এমনটা হল তা নিয়ে আমরাও চিন্তিত। তদন্ত করছি। মায়েদের কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। সেটা প্রেশার বাড়া-কমা থেকে হতে পারে। এখানে ওষুধপত্র দেওয়াতেও খুব একটা কাজ না হওয়ায় দু’জনকে আরজি কর হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছে। সিসিইউ-তে থাকায় পরিবারের সদস্যরা ভয় পেতে পারেন। তবে প্রসূতিরা সুস্থ হয়ে ভালোভাবে বাড়ি ফিরবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

রাহী হালদার