প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

Narendra Modi lok sabha rally: প্রণামের পাল্টা এ কী করলেন প্রধানমন্ত্রী! আপ্লুত মহিলা

পূর্ব বর্ধমান: হাতের কাছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঞ্চে তাঁকে সামনে পেয়ে প্রণাম করতে গেলেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা। তাঁর অন্য পরিচয় তিনি বিজেপির জেলা মুখপাত্র অনিন্দিতা পাল। নরেন্দ্র মোদি আঙুল তুলে পা ছুঁতে নিষেধ করলেন। একটু ঝুঁকে প্রণাম সাড়লেন অনিন্দিতা। এবার অবাক হওয়ার পালা। প্রত্যুত্তরে তাঁকে পাঁচবার প্রণাম করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ঘটনায় আপ্লুত অনিন্দিতা। বললেন, প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে এক মঞ্চে থাকাটাই বিরাট পাওনা। তার পরের প্রণামের ঘটনায় আমি আপ্লুত। উনি আসলে মাতৃশক্তিকেই সম্মান জানালেন।

আরও পড়ুন: ধোনির খেলা হলেই দেখা যায় তাকে, চেন্নাইয়ের গ্যালারিতে উষ্ণতা ছড়ান, কে এই তরুণী?  

শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানে নির্বাচনী জনসভা করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বেলা ১১টায় কলকাতা থেকে বর্ধমানে আসেন তিনি। তিনটি হেলিকপ্টার একসঙ্গে নামে। তার একটিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ ও বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে সভা করেন তিনি। দুই প্রার্থীর উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। প্রায় ৪৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পর কৃষ্ণনগরের উদ্দেশে উড়ে যায় তাঁর হেলিকপ্টার। তার পর বোলপুরে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: আইপিএলের মাঝেই দুঃসংবাদ, টেস্টের সিংহাসন হাতছাড়া ভারতের, কোথায় নামলেন রোহিতেরা? 

এই জনসভায় তিনি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ করে বলেন, “আমি তো আগেই বলেছিলাম, এদের সবচেয়ে বড় নেতা নির্বাচনে দাঁড়াবেন না। সেটাই হলো। পালিয়ে রাজস্থানে গেলেন, সেখান থেকে রাজ্যসভায় ঢুকলেন। আমি আগেই বলেছিলাম, শাহজাদা ওয়ান ডে হারবে। হারের ভয়েই ওয়ানডে ভোট শেষ হতেই দ্বিতীয় আসনে প্রার্থী হয়ে গেলেন। তার চেলারা বলেছিলেন, আমেঠি থেকে লড়বেন। কিন্তু হারের ভয়ে আমেঠিতে দাঁড়ালেনই না। পালিয়ে রায়বেরেলিতে গিয়ে জেতার রাস্তা খুঁজছেন। এরা ঘুরে ঘুরে সবাইকে বলে ভয় পেয়ো না। আমিও এদেরকে বলছি, ভয় পেয়ো না পালিয়ে যেও না।” সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ও বামেদেরও কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।