সামশেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জে গঙ্গা ভাঙনের জেরে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা 

Ganga Erosion: বৃষ্টি শুরু হতেই আস্ত রাস্তা তলিয়ে গেল গঙ্গায়! আবার ভাঙন আতঙ্ক সামশেরগঞ্জে

মুর্শিদাবাদ: বর্ষাকাল আসতেই আসন্ন বিপদের ভয়াবহতার কথা ভেবে আতঙ্কিত সামশেরগঞ্জের মানুষ। বৃষ্টি শুরু হতেই গঙ্গা বক্ষে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তারই ধাক্কায় ফের ভাঙন শুরু হয়েছে সামশেরগঞ্জের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে। এবার টানা বৃষ্টির জেরে ধসে গেল সামশেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ গ্ৰামের রাস্তা।

প্রতাপগঞ্জ থেকে ধুলিয়ান যাওয়ার দ্বিতীয় রাস্তাটি গঙ্গা গর্ভে চলে গিয়েছে। বর্তমানে শুধু সাইকেল ও বাইক যাতায়াত করার মত রাস্তার এক ফালি অংশ অবশিষ্ট আছে। তবে কাকুড়িয়া থেকে কোনও মতেই ধুলিয়ান যাওয়া আর সম্ভব নয়। স্থানীয়দের দাবি, খুব দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা হোক। নাহলে আগামী দিনে রাস্তার বাকি অংশটাও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: তিন মাস ধরে বেতন হয়নি, প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গেট মিটিং চা শ্রমিকদের

গঙ্গা ভাঙনের যন্ত্রণা অবশ‍্য নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরে এই যন্ত্রণায় জর্জরিত ফরাক্কা ও সামশেরগঞ্জের মানুষ। চোখের পলকেই অনেক ঐতিহ্যবাহী জায়গা, ঘরবাড়ি, চাষের জমি সব গঙ্গা গিলে খেয়েছে। আবার বর্ষাকাল এসে যাওয়ায় সেই ভাঙন শুরু হয়েছে।

মুর্শিদাবাদ জেলার এক জ্বলন্ত সমস্যা হল এই গঙ্গা ভাঙন। নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেলে বা কমলেই এই ভাঙন দেখা যায়। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের তাই আতঙ্কে ও ভয়ের আবহে দিন কাটাতে হয়। রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কাজ চলছে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের। কিন্তু প্রকৃতির করাল গ্রাসে ভাঙনের আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু হঠছে না। তাই সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে এখন আতঙ্কের ছবি। নদী পাড় থেকে বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই। সরিয়ে নিচ্ছেন আসবাব পত্র, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম।

কৌশিক অধিকারী