মালদহ: ভূগর্ভস্থ জলের স্তর ক্রমশই কমছে। এই বিষয়ে মানুষের অতি শীঘ্রই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এই সচেতনতার অভাবেই একে একে হারিয়ে যাচ্ছে ছোট জলাশয় থেকে একাধিক নদী। অনেক ক্ষেত্রেই ছোট ছোট জলাশয় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। মালদহ জেলা জুড়ে একাধিক নদী ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম বেহুলা নদী। এই নদী প্রায় হারিয়ে গিয়েছে বললেই চলে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ও হারিয়ে যাওয়া এই নদীকে পুনরুদ্ধার করতে সচেতনতার কাজ করে চলেছে মালদহের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। শুধুমাত্র বেহুলা নদী নয়, জেলাজুড়ে তারা বিভিন্ন নদী-জলাশয় বাঁচানোর জন্য কাজ করে চলেছে। এমনকি ভূগর্ভস্থ পানীয় জল রক্ষা করতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছেন তাঁরা। সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবার এক নতুন পথ অবলম্বন এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার।
আরও পড়ুন: ৫০০ বছরের প্রাচীন এই পুজো শুরুর আগে ওড়ানো হয় নিশান
কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতার বার্তা দিতে মালদহের গৌড় মহাবিদ্যালয়ের সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করেছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষের মধ্যে সহজেই তার প্রভাব পড়বে। সেই লক্ষ্যই এমন উদ্যোগ। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক রূপক দেব শর্মা বলেন, পরিবেশ বাঁচাতে আমাদের এমন পরিকল্পনা। মূলত আমরা নদী ও ভূগর্ভস্থ পানীয় জল বিষয়ে সচেতনতার কাজ করছি। কলেজের সঙ্গে আমাদের মৌ স্বাক্ষর হয়েছে। আগামীতে কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ করবে।
আরও পড়ুন: কুমোরের চাকা ছাড়াই বাড়িতে সহজে তৈরি করুন মালসা, হবে উপরি রোজগার
পাশাপাশি কলেজ পড়ুয়াদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পরিবেশ বাঁচানো কাজ করবে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মূলত মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের জলাশয়, নদী বাঁচানোর কাজ করবেন তারা। নদীর তীরবর্তী গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কলেজ পড়ুয়ারা বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও ভূগর্ভস্থ পানীয় জল রক্ষা করার জন্য কীভাবে ভূগর্ভস্থ পানীয় জল বৃদ্ধি পাবে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেবে তারা। গৌড় কলেজের ভূগোল বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদরা মূলত এই কাজে নিযুক্ত হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ইতিমধ্যে একত্রে কাজ শুরু করেছে।
হরষিত সিংহ