ধলুয়া বাড়ির শিব মন্দিরে পুজো দিচ্ছে ভক্ত

Sawan 2024: বিষ্ণুপুরে না হয়েও এই মন্দিরে দেখা যায় টেরাকোটা শিল্প! শ্রাবণ মাস এলেই উপচে পড়ে ভিড়

কোচবিহার: জেলা শহরের আরেকটি বেশ পুরনো মন্দির হল ধলুয়াবাড়ির শিব মন্দির। এই মন্দির কোচবিহারের রাজার আমলে স্থাপন করা হয়েছিল। এখানে পুজো করা হয় শিবলিঙ্গ এবং নারায়ণ। এই মন্দির প্রাচীন স্থাপত্য নির্মাণ শৈলীতে তৈরি করা। এই মন্দিরের গায়ে বিষ্ণুপুর ঘরানার টেরাকোটার শিল্প দেখতে পাওয়া যায়। এখানে প্রবেশের গেটের সামনে রয়েছে দুটি নন্দীর মূর্তি, যা মহাদেবের বাহন রূপে পরিচিত। আর ঠিক মন্দিরের পাশেই রয়েছে প্রাচীন কালের একটি পাতকুয়ো। যদিও বর্তমানে এই কুয়োকে সংস্কার করে সুন্দর করা হয়েছে।

কোচবিহারের এই প্রাচীন মন্দিরের পুজো কমিটির সম্পাদক শ্যামল দাস জানান, বছরের অন্যান্য সময়ে এই মন্দিরে ভক্তদের আনাগোনা কম থাকলেও শ্রাবণ মাসে ভক্তদের সংখ্যা বেড়ে যায়। এই সময় সকাল থেকে মন্দিরে ভক্তদের আনাগোনা শুরু হয়। দূর দূরান্ত থেকেও বহু পর্যটক আসেন এই মন্দির দর্শনে। মূল মন্দিরের পাশেই দর্শনার্থীদের জন্য বসার জায়গা রয়েছে। পুজো দিয়ে দর্শনার্থীদের বসার জন্য বিশ্রাম ঘরও বানানো হয়েছে মন্দির চত্বরে। এই মন্দিরের পরিবেশ যেকোন‌ও পর্যটকের মনকে খুব সহজেই আকর্ষণ করে। তাই প্রতিদিন বহু মানুষ এই মন্দিরে ভিড় জমান পুজোর সময়।

আর‌ও পড়ুন: বাইকে তারাপীঠে এসেছিল বিহারের পাঁচ বন্ধু, ফেরার পথে সব শেষ!

মন্দিরের এক ভক্ত স্বপ্না দাস জানান, শ্রাবণ মাসে এই মন্দিরে ভক্তদের সংখ্যা লক্ষাধিক হয়ে যায়। সকাল থেকে বহু মানুষ আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে। স্থানীয় বাসিন্দা সুচিস্মিতা দত্ত শর্মা জানান, এই মন্দির জেলার পর্যটনে অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। জেলার বুকে আর কোনোও মন্দিরে এই ধরনের টেরাকোটা শিল্প দেখতে পাওয়া যায় না। তাই তো এই মন্দিরের আকর্ষণে দূর দূরান্তের বহু পর্যটক ছুটে আসেন। তবে এই মন্দিরের সংস্কারের দরকার। দ্রুত সেই সমস্ত কাজ করা হলে মন্দিরটি আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।

বর্তমান সময়ে জেলার এই বিশেষ মন্দিরকে ঘিরে বাইরের পর্যটকদের আকর্ষণ চোখে পড়ার মত। সারা বছর পর্যটকেরা কমবেশি আসতেই থাকেন এই মন্দির দর্শনে। তবে শ্রাবণ মাসে এই সংখ্যাটা বেড়ে যায় অনেকটাই। রাজ আমলের সুপ্রাচীন এই মন্দির জেলার ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে।

সার্থক পণ্ডিত