বীজ বোম

Seed Bomb: দিনে-দুপুরে সরকারি অফিসে তৈরি হল হাজার খানেক বোমা! তারপর যা হল…

বাঁকুড়া: দিন দুপুরে সরকারি অফিসে বানানো হল হাজার খানেক তাজা বোমা! তারপর দেদার চলল ‘বোমাবাজি’। শুশুনিয়া পাহাড়ের ঘটনা। কিন্তু এই বোমাবাজিতে সবাই বেজায় খুশি। কী ভাবছেন, পাগলের প্রলাপ? তবে এই বোমা যে সে বোমা নয়, বিশেষ এই বোমার বিস্ফোরণে পাথরেও প্রাণের সঞ্চার হয়।

এটা হল সবুজ বিস্ফোরণ। হ্যাঁ ঠিকই শুনলেন, বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের পাথুরে ন্যাড়া জমিতে সবুজ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এখানে ২০২৩ সালে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে বীজ বোমা ফেলা হয়েছিল। সেই বিস্ফোরণের ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই সফল হয়েছে পরীক্ষার সেই প্রথম ধাপ, গজিয়েছে গাছপালা। পাথুরে ন্যাড়া পাহাড় হয়েছে সবুজ।

আরও পড়ুন: জনগণের তাড়ায় বন্ধ করাই যাচ্ছে না লেভেল ক্রসিংয়ের গেট, পরের পর লেট লোকাল ট্রেনের

২০২৪ সালে সফলতার ধারা বজায় রাখতে প্রায় এক হাজারটি বীজ বোমা তৈরি করে ছড়ানো হল শুশুনিয়া পাহাড়ে। বীজ বোমা তৈরি করে দুর্গম পাহাড়ে চড়াই পার করে ন্যাড়া অংশে বীজ ছড়ালেন ছাতনা বন দফতরের কর্মীরা এবং স্থানীয় মানুষজন। শুশুনিয়া পাহাড়ের পাথুরে বন্ধ্যা অঞ্চলগুলিতেও এর ফলে দেখা যাচ্ছে গাছ। ছাতনা বন দফতরের মস্তিষ্কপ্রসূত এই বীজ বোমা গুরুত্ব পাচ্ছে গোটা দেশে।

শুকনো গোবরকে মাটি এবং জল দিয়ে ভিজিয়ে মণ্ড বানিয়ে তাতে জৈব সার মিশিয়ে বিভিন্ন উদ্ভিদের বীজ লাগিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। তারপর অঙ্কুরিত হলেই সেই বল আকারে বীজ বোমা যে কোনও বন্ধা জমিতে ছড়িয়ে দিলেই প্রাণ সঞ্চার সম্ভব। সম্প্রতি শুশুনিয়া পাহাড়ের পাথুড়ে ন্যাড়া অংশে বীজ বোমা ছড়ায় ছাতনা বন দফতর।

ইতিমধ্যেই অঙ্কুর দেখা দিয়েছে সেই বন্ধ্যা পাথুরে অঞ্চলে। যে গাছের শিকড় মাটিতে তাড়াতাড়ি ধরতে পারবে সেই ধরনের বীজ ব্যবহার করা হয়েছে, যেমন বট এবং অশ্বত্থ। মহীরুহের বীজ ব্যবহার করার কারণ জিজ্ঞাসা করায় রেঞ্জ অফিসার জানান, একটি মহিরুহ একটি বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখার কাজ করে। সাপ থেকে শুরু করে পোকামাকড় কিংবা পাখি, সবই এই গাছগুলিকে কেন্দ্র করে থাকতে পারবে। তাই এমন উদ্যোগ।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী