শোলা দিয়ে তৈরি মুকুট

Shola Artist: অন্নপ্রাশন, বিয়ে ও ঠাকুরের মুকুট! এই শিল্পীর শোলার কাজ করেই চলে সংসার

কোচবিহার: বেশকিছু শোলা শিল্পী কোচবিহার জেলার ভেটাগুড়ির এলাকা বসবাস করেন। তাঁরা বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের শোলার জিনিস তৈরি করে বিক্রি করেন। তবে বছরের এই বিশেষ সময়ে শোলার জিনিসের দাম ও চাহিদা বেড়ে ওঠে। তাইতো এই সময়ে শিল্পীদের কর্মব্যস্ততাও বেড়ে ওঠে অনেকটাই। ভেটাগুড়ির এক শোলা শিল্পী দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে এই কাজ করেই সংসার প্রতিপালন করে আসছেন। এছাড়া বছরের অন্যান্য সময়ও তাকে অর্ডার অনুযায়ী জিনিস বানিয়ে দিতে হয়। তবে এই সময়ে শোলার মুকুটের বেশ অনেকটাই চাহিদায় থাকে।

শিল্পী অশোক বর্মন জানান, দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর আগে তাঁর এই কাজের হাতেখড়ি হয় শচিন মালাকার নামে এক ব্যক্তির কাছে। তারপর থেকেই তিনি এই কাজ করে যাচ্ছেন। দীর্ঘ সময় কেটে গিয়েছে। তবে এই পেশা দিয়েই তিনি সংসার সামলাচ্ছেন। বছরের অন্যান্য সময়ে উপার্জন কিছুটা কম হয়। তাই এই মরসুমে যতটা সম্ভব উপার্জন করে নিতে হয় তাঁকে। তবে তাঁদের তৈরি এই মুকুট দিয়ে বিয়ে থেকে শুরু করে ঠাকুর সাজানোর কাজে লাগে বলে আনন্দিত হন তিনি।”

আরও পড়ুন: নদীতে ভেসে যাওয়ার সময় উদ্ধার বীর আজ অনেক পরিণত, চলছে কুনকি করার প্রশিক্ষণ

তিনি আরও জানান, “একটা সময় ছিল যখন কোচবিহারে প্রচুর শোলা পাওয়া যেত। তবে এখন ভালো মানের শোলা বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। তাইতো এখন শোলার দাম পড়ে যায় অনেকটাই বেশি। সেজন্য এখন শুধুই শোলা দিয়ে মুকুট বানাতে অনেক খরচ হয়। তাই আর্ট পেপার এবং জরি ব্যবহার করে থাকেন তাঁরা, মুকুটের খরচ কিছুটা কমাতে। চলতি বছরে পুজোর মুকুট থেকে শুরু করে অন্নপ্রাশন এবং প্রচুর বিয়ের মুকুটের অর্ডার এসেছে তাঁর কাছে। সেজন্য বেশ অনেকটাই কর্মব্যস্ততা রয়েছে তাঁর।”

নতুন প্রজন্ম এই কাজের প্রতি কম ঝুঁকছে। তবে জেলার এই শিল্পীরা আজও দীর্ঘ সময়ের পুরনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। যতদিন তিনি পারবেন ততদিন তিনি এইভাবেই শোলার জিনিস বানিয়ে যাবেন এমনটাই জানিয়েছেন এই শিল্পী।

সার্থক পন্ডিত