কর্মবিরতির ডাক অস্থায়ী কর্মীদের 

Balurghat District Hospital: বিল ছাড়ছে না ট্রেজারি! বেতন না পেয়ে কাজ বন্ধ ১১৬ অস্থায়ী কর্মীর, ব্যাহত হাসপাতালের পরিষেবা

দক্ষিণ দিনাজপুর: কাজ করার পরেও দীর্ঘদিন মিলছে না বেতন। গত আট-ন’মাস ধরেই নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও এজেন্সির মালিককে জানিয়েও লাভ হয়নি। তারই প্রতিবাদে দিন ১১৬ জন অস্থায়ী কর্মী বকেয়া বেতনের দাবিতে কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে ব্যাহত হয়েছে হাসপাতালে কাজকর্ম।

বেতন না পেয়ে কর্মবিরতির পথে হাঁটা এই ১১৬ জন অস্থায়ী কর্মী বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুরনো বিল্ডিংয়ে কাজ করেন। ঠিক করে বেতন না পাওয়ার এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ। কর্মবিরতি চললে পরিষেবা বিঘ্নিত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: সাতসকালে তুলকালাম সবজি বাজারে! ক্রেতারা খানিক স্বস্তি পেল

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুরোনো ভবনে প্রায় ১০০-র বেশি অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। বালুরঘাটে জেলা হাসপাতালের পুরোনো ভবনে কর্মীরা একটি এজেন্সির মাধ্যমে কাজ করে থাকেন। এছাড়াও জেলাতে প্রায় ২৫০ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। যাঁরা ২৭ টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ করেন। অভিযোগ, গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে নিয়মিত টাকা পাচ্ছে না এজেন্সি। যার ফলে অস্থায়ী কর্মীদেরও সময়মতো বেতন দিতে পারছে না তারা। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলাশাসককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে এজেন্সির তরফে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। এই ১১৬ জন অস্থায়ী কর্মীর বেতনের জন্য প্রতি মাসে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ট্রেজারিতে বিল পাঠানোর পরেও সেই বিল পাস না হওয়ার ফলে বিপত্তি দেখা দিয়েছে।

এই বিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ জানান, জেলা হাসপাতাল থেকে ঠিকাদার সংস্থার পাঠানো বিল ট্রেজারিতে পাঠালেও ট্রেজারি অফিসার সেই বিল ছাড়তে চাইছেন না। একাধিকবার জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরে জানিয়েও এই সমস্যার সমাধান হয়নি। তিনি কার্যত অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বকেয়া থাকার বিষয়টি মেনে নেন।

এদিকে অস্থায়ী কর্মীদের কর্ম বিরতির ফলে হাসপাতালের ইনডোর, আউটডোর, পিপি ইউনিট, ডায়ালিসিস, সিসিইউ, এসএনসিইউ, লিফট সহ সমস্ত পরিষেবায় প্রভাব পড়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা থেকে সাফাই কোনও কিছুই কার্যত এদিন থেকে আর হচ্ছে না। এভাবে এতজন কর্মী একসঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতিতে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

সুস্মিতা গোস্বামী