প্রতিকি ছবি

First Aid: পুকুরের ৭-৮ ফুট তলায় পড়ে থাকা কিশোরের দেহে প্রাণ ফিরিয়ে দিলেন সুকুমার! সুন্দরবনে ম্যাজিক

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রাথমিক চিকিৎসার স্বেচ্ছাসেবকের প্রশিক্ষণ যে এভাবে কাজে লেগে যাবে তা আর কে জানত। সেই বিদ্যে কাজে লাগিয়ে জলে ডুবে যাওয়া কলকাতার বছর তেরোর কিশোরের প্রাণ বাঁচালেন সুন্দরবনের সুকুমার হালদার। মৈপিঠ কোস্টাল থানা এলাকার ঘটনা।

যে কিশোরের মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে তার নাম অরিত্র দে। বাড়ি কলকাতা টালিগঞ্জে। ঘটনাটি ঘটেছে মৈপিঠ কোস্টাল থানার বিনোদপুর গ্রামে। অরিত্র বিনোদপুর গ্রামে কাকার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। এদিন সকালে কাছের একটি পুকুরে স্নান সে করতে নামে। কিন্তু ভাল করে সাঁতার না জানায় তলিয়ে যায়। পাড়ে দাঁড়িয়েছিল অরিত্রর বছর চারেকের বোন। বেশ কিছুক্ষণ দাদাকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার করে বাড়ির লোকজনকে ডাকে। ছুটে আসেন অরিত্রর মা-কাকিমারা। তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচি ও কান্নায় চেঁচামেচিতে জড়ো হয়ে যান পাড়ার কয়েকজন। জলে নেমে খোঁজা শুরু হয়।

আর‌ও পড়ুন: ভুটানে টানা বৃষ্টিতে বিপন্ন কালচিনি, ক্রমশ ভয় বাড়ছে

সুকুমার হালদার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা কাছেই নিজের বাড়িতে কাজ করছিলেন। তিনি মাসকয়েক আগে জলে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। হইচই শুনে ছুটে এসে দ্রুত পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনিও। কিছুক্ষণের মধ্যে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সাহায্যে জল থেকে উদ্ধার করে আনেন অরিত্র’র অচৈতন্য দেহ। এরপর প্রশিক্ষণ শিবিরে শেখা পদ্ধতি মেনে কিশোরের শ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করেন সুকুমারবাবু। কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্বাস নিতে শুরু করে ওই কিশোর। পরে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে অক্সিজেন দেওয়া হয় তাকে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠে কলকাতার অরিত্র। কার্যত সুকুমার হালদারের জন্যই নতুন জীবন ফিরে পায় সে।

এই প্রসঙ্গে সুকুমার’বাবু বলেন, পুকুরের প্রায় সাত-আট ফুট নীচে পড়েছিল দেহটি। তুলে এনে যেভাবে শেখানো হয়েছিল, সে ভাবেই শ্বাস ফেরানোর চেষ্টা করি। ততক্ষণে কান্নাকাটি শুরু হয়ে গিয়েছিল আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে। ছেলে দম নিতে আমরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।

সুমন সাহা