Tag Archives: Teenager

Bangla Video: পড়ুয়াদের বয়ঃসন্ধির কথা শুনছে পুলিশ!

পূর্ব মেদিনীপুর: জেলা পুলিশের মানবিক মুখ। ছাত্র-ছাত্রীদের বয়ঃসন্ধির কথা শুনবে পুলিশ! পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এমনই মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হল। নিরাপত্তার পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব পালনে এবার ছাত্র-ছাত্রীদের বয়ঃসন্ধিকালের কথা শুনবে পুলিশ। এর জন্য স্কুলে স্কুলে লাগানো হচ্ছে স্বয়ংসিদ্ধা নামক বাক্স।

বয়ঃসন্ধি প্রতিটা মানুষের জীবনে একটা বিশেষ সন্ধিক্ষণ। এই সময় শরীরের ভেতরে হরমনগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক এবং শারীরিক নানা পরিবর্তন ঘটে। ফলে ফুটে ওঠে কিছু বৈশিষ্ট্য ও পরিবর্তন। যে সময় মনের সুপ্ত বাসনা অনেক সময় পারিপার্শ্বিক সামাজিক বা পারিবারিক ভয়ে প্রকাশ হয় না।

আরও পড়ুনঃ ডলোমাইটের পাহাড় যেন! রেলের সাইডিং সরানোর দাবিতে আন্দোলন

মনোবিদদের মতে, পূর্ণাঙ্গ মানুষ হওয়ার পথে বয়ঃসন্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। এই সময় শরীর ও মনের বিকাশ ঘটে। এই সময় ছেলেমেয়েরা তাদের মনের কথা খুলে বলতে ভয় পায়। ভয় পায় তাদের শারীরিক চাহিদার কথা সবার সামনে তুলে ধরতে। ফলে মনের মধ্যে সুপ্ত বাসনা অনেক সময় বিপথগামী করে তোলে তাদের। বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েদের প্রতি যত্ন নেওয়ার কথা বলে থাকেন মনোবিদরা। বর্তমান সময়ে পরিবার ও স্কুলে কৈশোর পেরিয়ে বয়সন্ধিতে থাকা ছাত্র-ছাত্রীরা মনের কথা খুলে বলতে পারে না। এবার তাদের মনের কথা জানতে বিশেষ উদ্যোগ নিল পূর্ব মেদনীপুর জেলা পুলিশ।

‘স্বয়ংসিদ্ধা’ প্রচার অভিযান শুরু করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে স্কুলে পৌঁছে যাচ্ছে। কখনও হয়ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা পুলিশের সামনেই নিজেদের অসুবিধার কথাগুলো তুলে ধরেছে, কখনও বা তারা একটু ইতস্তত বোধ করছে সবার সামনে নিজের মনের কথা খুলে বলতে। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েরা নিজের নিজের মনের মধ্যে চলা কথাগুলো চেপে রাখলেও নানান মানসিক ও শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। তাই বিভিন্ন স্কুলে জেলা পুলিশের উদ্যোগে চালু করা হয়েছেস্বয়ংসিদ্ধা বাক্স। যার মাধ্যমে বয়ঃসন্ধির ছেলেমেয়েরা পুলিশকে খুব সহজেই জানাতে পারবেন তাদের মনের কথা।

এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য জানান, বয়ঃসন্ধিকালে ছাত্র-ছাত্রীদের নানা সমস্যা থাকে। তারা মন খুলে সব কিছু বলতে পারে না। মন খুলে বলতে না পারায় তাদের সমস্যা হয়। যা তাদের বিপথগামী করে তুলতে পারে। স্কুলে স্কুলে স্বয়ংসিদ্ধা নামক একটি বাক্স লাগানো হচ্ছে। সেই বক্সে ছাত্ররা তাদের মনের কথা জানানোর পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার অভাব বোধের কথা জানাতে পারবে। তাদের সেই মনের কথা জেনে সংশ্লিষ্ট উপদেশ হচ্ছে। এ পর্যন্ত জেলার ১০০টি স্কুলে এ ধরনের বাক্স লাগান হয়েছে। পুজার মধ্যে জেলার প্রায় সব স্কুলে আমরা পৌঁছে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।’

সৈকত শী

Teenager Drowned: মর্মান্তিক! রিলস বানাতে গিয়ে জলে ঝাঁপ, ঘটে গেল বিরাট অঘটন, নাবালকের নির্মম পরিণতি!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সংরক্ষিত এলাকায় জলের স্রোতের সঙ্গে রিলস বানাতে গিয়ে ভেসে গেল এক কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের উত্তর ভাগ পাম্পিং স্টেশনে। নিখোঁজ কিশোরের নাম মহম্মদ শামিম। তার বাড়ি বারুইপুরেরই মল্লিকপুরে। এখনও পর্যন্ত তার কোনও হদিশ পাওয়া যায় নি। বারুইপুর থানার পুলিশ স্থানীয় মৎসজীবীদের নামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। যদিও তার সঙ্গীর কিছু হয়নি।

এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য উত্তরভাগ পাম্পিং স্টেশন যেন এক পর্যটন কেন্দ্র। প্রায়ই বিভিন্ন জায়গার মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়ে। কলকাতা পৌর এলাকা, রাজপুর সোনারপুর, বারুইপুরের একটা অংশের জল এই উত্তরভাগ পাম্পিং স্টেশন হয়ে বিদ্যাধরী ও মাতলা নদীতে গিয়ে পড়ে। জমা জল পাম্পিং স্টেশন হয়ে খালে পড়ার সময় বিরাট স্রোতের সৃষ্টি হয়। তা দেখতে ভিড় জমান অনেকেই।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

এই দৃশ্য দেখতে এবং ভিডিওর জন্য রিলস বানাতে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বারুইপুরের মল্লিকপুর এলাকা থেকে এখানে এসেছিল কিশোর মহম্মদ শামিম ও মহম্মদ রাকিব।জলের স্রোতে শামিম ভেসে যায়। রাকিব-সহ অন্যরা তাকে আটকানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হলে বারুইপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাগ সরদার। বিধায়ক বলেন,এটা ভ্রমণ কেন্দ্র বা আড্ডা মারার জায়গা নয়। নিরাপত্তারক্ষীরা বারণ করলে তাদের মারধর করা হয়। প্রশাসন দেহ খোঁজার চেষ্টা করছে।

সুমন সাহা

Teenager Death: বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায়, সারারাত তল্লাশির পর সকালে কিশোরের দেহ উদ্ধার

জলপাইগুড়ি: করলা নদী থেকে উদ্ধার হল বছর ১৫-এর কিশোরের দেহ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার চার বন্ধু মিলে নদীর ধারে এসেছিল। তার মধ্যে তিনজন নদীর জলে স্নান করতে নামে। তখনই আনন্দ মালাকার নামে বছর ১৫-এর ওই কিশোর নদীর জলে তলিয়ে যায়। বুধবার রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও তার সন্ধান মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকালে নদী থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়।

জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত ডেঙ্গুয়া ঝাড় চা বাগান সংলগ্ন পাতকাটা অঞ্চলের মালী পাড়ার ঘাটের কাছে বুধবার এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আনন্দ মালাকার নদীতে তলিয়ে যাওয়ার সময় তার বন্ধুরা উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে তাদের থেকেই বিষয়টি জানতে পারেন স্থানীয়রা। এরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সিভিল ডিফেন্স ও পুলিস।সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা নদীতে স্পিড বোট নামিয়ে ওই কিশোরের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু বুধবার রাত পর্যন্ত তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে বৃহষ্পতিবার সকালে স্থানীয়রা নদীতে একটি দেহ ভাসতে দেখেন।

আর‌ও পড়ুন: বজ্রপাতে একের পর এক চাষির মৃত্যু, সকলেই মাঠে কাজ করছিলেন

খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে নদীর জলে ভেসে ওঠা দেহটি উদ্ধার করে। পরিজনরা দেহ দেখে আনন্দ মালাকার বলে সনাক্ত করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ির পুলিশ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয় দেহটি। সকাল বেলায় এমন মর্মন্তিক দৃশ্য দেখে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।

সুরজিৎ দে

Teenager Death: পুকুরে তলিয়ে যাচ্ছিল জমজ ভাই, একজন বাঁচলেও অন্যজনকে রক্ষা করা গেল না

হুগলি: বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরে স্নান করতে নেমে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল ১২ বছরের এক কিশোরের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির হিন্দমোটরের রাধাগোবিন্দ নগরে। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত কিশোরের নাম আরিয়ান সাউ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রদীপ কুমার সাউ পরিবার নিয়ে হিন্দমোটর জনতা রোড এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তাঁর যমজ ছেলে। বুধবার দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর বন্ধুদের সাথে পুকুরে স্নান করতে যায় দুই জমজ ভাই। স্নান করতে করতে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তলিয়ে যায় আরিয়ান। তার ভাই’ও ভেসে যাচ্ছিল। তাদের সঙ্গে থাকা বাকি কিশোরেরা ভয়ে পুকুর থেকে উঠে আশেপাশের লোকজনকে ডাকতে থাকে। স্থানীয় এক যুবক এসে বাঁচানোর চেষ্টা করেন।

আর‌ও পড়ুন: রাত দুপুরে পুলিশের গাড়িতে গুলি চালাল কারা! কাঁপছে জলপাইগুড়ি

ওই যুবক জলে নেমে বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে শেষে জলের তলায় আরিয়ানকে খুঁজে পায়। ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় পুলিশ এবং দমকল। উদ্ধারের পর‌ই দ্রুত ওই কিশোরকে স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা আরিয়ানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকা জুড়ে।

কিশোরের এই মর্মান্তিক মৃত্যু প্রসঙ্গে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, দুই ভাই জলে চান করতে নেমেছিল। ওদের সঙ্গে আরও একজন ছিল। হঠাৎ করে দুই ভাইকে তলিয়ে যেতে দেখে সেই ছেলেটি আশেপাশের লোকজনকে ডাকতে যায়। স্থানীয় এক যুবক দ্রুত জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক ভাইকে রক্ষা করলেও অপরজনকে বাঁচাতে পারেনি।

রাহী হালদার

First Aid: পুকুরের ৭-৮ ফুট তলায় পড়ে থাকা কিশোরের দেহে প্রাণ ফিরিয়ে দিলেন সুকুমার! সুন্দরবনে ম্যাজিক

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রাথমিক চিকিৎসার স্বেচ্ছাসেবকের প্রশিক্ষণ যে এভাবে কাজে লেগে যাবে তা আর কে জানত। সেই বিদ্যে কাজে লাগিয়ে জলে ডুবে যাওয়া কলকাতার বছর তেরোর কিশোরের প্রাণ বাঁচালেন সুন্দরবনের সুকুমার হালদার। মৈপিঠ কোস্টাল থানা এলাকার ঘটনা।

যে কিশোরের মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে তার নাম অরিত্র দে। বাড়ি কলকাতা টালিগঞ্জে। ঘটনাটি ঘটেছে মৈপিঠ কোস্টাল থানার বিনোদপুর গ্রামে। অরিত্র বিনোদপুর গ্রামে কাকার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। এদিন সকালে কাছের একটি পুকুরে স্নান সে করতে নামে। কিন্তু ভাল করে সাঁতার না জানায় তলিয়ে যায়। পাড়ে দাঁড়িয়েছিল অরিত্রর বছর চারেকের বোন। বেশ কিছুক্ষণ দাদাকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার করে বাড়ির লোকজনকে ডাকে। ছুটে আসেন অরিত্রর মা-কাকিমারা। তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচি ও কান্নায় চেঁচামেচিতে জড়ো হয়ে যান পাড়ার কয়েকজন। জলে নেমে খোঁজা শুরু হয়।

আর‌ও পড়ুন: ভুটানে টানা বৃষ্টিতে বিপন্ন কালচিনি, ক্রমশ ভয় বাড়ছে

সুকুমার হালদার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা কাছেই নিজের বাড়িতে কাজ করছিলেন। তিনি মাসকয়েক আগে জলে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। হইচই শুনে ছুটে এসে দ্রুত পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনিও। কিছুক্ষণের মধ্যে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সাহায্যে জল থেকে উদ্ধার করে আনেন অরিত্র’র অচৈতন্য দেহ। এরপর প্রশিক্ষণ শিবিরে শেখা পদ্ধতি মেনে কিশোরের শ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করেন সুকুমারবাবু। কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্বাস নিতে শুরু করে ওই কিশোর। পরে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে অক্সিজেন দেওয়া হয় তাকে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠে কলকাতার অরিত্র। কার্যত সুকুমার হালদারের জন্যই নতুন জীবন ফিরে পায় সে।

এই প্রসঙ্গে সুকুমার’বাবু বলেন, পুকুরের প্রায় সাত-আট ফুট নীচে পড়েছিল দেহটি। তুলে এনে যেভাবে শেখানো হয়েছিল, সে ভাবেই শ্বাস ফেরানোর চেষ্টা করি। ততক্ষণে কান্নাকাটি শুরু হয়ে গিয়েছিল আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে। ছেলে দম নিতে আমরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।

সুমন সাহা

Teenager Missing: বাবার সঙ্গে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে টেনে নিয়ে গেল কুমির! নাবালকের সন্ধানে নদীতে চিরুনি তল্লাশি

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এক নাবালককে কুমির টেনে নিয়ে গিয়েছে বলে আতঙ্ক ছড়াল সুন্দরবন। তৎক্ষণাৎ নদীতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে প্রশাসন। যদিও মানিক ভক্তা (১৩) নামে ওই কিশোরের এখনও সন্ধান মেলেনি। পাথরপ্রতিমার জি প্লটের গোবর্ধনপুরে মঙ্গলবার সকাল থেকে নদীর বুকে তন্ন তন্ন করে খোঁজ চলছে ওই কিশোরের।

এদিকে তল্লাশি অভিযানের সময় যত এগিয়ে চলেছে ততই হতাশ হয়ে পড়ছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের দাবি, মানিককে কুমিরেই টেনে নিয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের থেকে বিষয়টি জেনে তল্লাশি অভিযানে নামে বন দফতর। তাদের সহযোগিতা করছে স্থানীয় প্রশাসন। শাসকদলের অঞ্চল সভাপতি শেখ নুর ইসলামের উদ্যোগে লঞ্চ এবং ট্রলার জোগাড় করে তল্লাশি অভিযানে নামানো হয়েছে। সেই লঞ্চ এবং ট্রলারে করে নদীতে খোঁজ চলছে ওই বালকের।

আর‌ও পড়ুন: জল মুক্ত এলাকার আশ্বাস পেতেই হাসি ফুটল আন্দুলবাসীর মুখে

ছবি, ভিডিও করা হচ্ছে সমস্ত প্রক্রিয়ার। জানা গিয়েছে, সত্যদাসপুরের বাসিন্দা হুকুম ভক্তার ছেলে মানিক। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই কিশোর নিজের বাবার সঙ্গে নদীতে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল। হঠাৎ তাকে কুমির টেনে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত বন দফতর এবং পুলিশকে খবর দেন গ্রামবাসীরা। সঙ্গে সঙ্গে বন কর্মী ও পুলিশ এলাকায় ছুটে আসে। সেই থেকে টানা তল্লাশি চলছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে ডিএফও মিলন মণ্ডল জানান, তঁদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। কিন্তু পাড় থেকে কুমিরের টেনে নিয়ে যাওয়ার কোনও চিহ্ন তাঁরা পাননি। যদিও ছেলেটির সন্ধান চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নবাব মল্লিক

Two Teenage Girls Death: বড়দের ছাড়াই একসঙ্গে পুকুরের স্নান করতে গিয়েছিল, ভয়ঙ্কর পরিণতি দুই কিশোরীর…

কোচবিহার: আচমকাই পুকুরে ডুবে মৃত্যু হল দুই কিশোরীর। আকস্মিক এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ঘুঘুমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গাঙ্গালের কুঠিতে। পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় ওই দুই কিশোরী। স্থানীয়রা দ্রুত দুজনকে উদ্ধার করে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই কিশোরীর একজনের নাম মৌসুমী পারভিন (১২)। অপরজনের নাম নুর বানু (৯)। এদিন দুপুরে দুজনে একসঙ্গে পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল। আচমকাই জলে ডুবে যায় তারা। স্থানীয়রা তৎপরতার সঙ্গে দুজনকে উদ্ধার করেন জল থেকে। তারপর দ্রুত তাদেরকে মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

আরও পড়ুন: পেটের দায়ে বিহার থেকে বাংলায় কাজে এসেছিলেন, নদীতে নামতেই ভয়ঙ্কর পরিণতি দুই তরুণীর

কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, দুজনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে জলে ডুবে যাওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। একইসঙ্গে গ্রামের দুই কিশোরীর মৃত্যুতে সকলে ভেঙে পড়েছেন।

সার্থক পণ্ডিত

Teenager Death: রোদের মধ্যে রিলস তৈরি করতে গিয়ে কিশোরীর মৃত্যু

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রিলিসের নেশা কীভাবে যে তরুণ প্রজন্মের জীবনে সর্বনাশ ডেকে আনছে তা আবারও প্রমাণ পাওয়া গেল। এই প্রখর রোদের মধ্যে রিলস তৈরি করতে গিয়ে সোনারপুরে মৃত্যু হল কিশোরীর। উল্লেখ্য, কদিন আগেই এক যুবক স্কুলের ছাদের রেলিং থেকে ঝুলে রিলস তৈরি করতে গিয়ে পড়ে মারা গিয়েছিল।

এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে মানুষ বাড়ি থেকে বাইরে বের হওয়ার সাহস দেখাতে পারছে না। আর সেখানে দাবদাহের মধ্যেই রিলস তৈরি করছিল সোনারপুরের রাধাগোবিন্দ পল্লির কিশোরী আলপনা মণ্ডল। এই রোদের মধ্যে রিলস তৈরি করতে করতে আচমকা সে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। স্থানীয় একজন তাকে সঙ্গে সঙ্গে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় সোনারপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: বাড়ির গরু ভেবে সামনে যেতেই আঁতকে উঠলেন কৃষক!

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আলপনার বাবা ও মা কাজে গিয়েছিল। ফলে বাড়িতে সে একাই ছিল। সেই সুযোগে এক বান্ধবীর সঙ্গে মিলে রিলস তৈরি করছিল। প্রচন্ড রোদের মধ্যে কাজ করছিল তারা। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে বর্তমান প্রজন্মের এই বিপজ্জনক প্রবণতায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন বড়রা।

সুমন সাহা