জুলজিক্যাল পার্ক 

Summer Tourist Spot: গরমেও পাবেন আরাম, এই জায়গায় এলে প্রাণ জুড়াবে আপনারও

পূর্ব বর্ধমান: ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু এই তীব্র গরমের জন্য কোথাও যেতে পারছেন না? বর্ধমানে এমন এক জায়গার সন্ধান দেব আজ যেখান থেকে ঘুরে এলে শান্তি পাবেন। কারণ এই জায়গাটি অন্যান্য জায়গার থেকে অনেকটা ঠান্ডা। গরমের সময় ঘুরে বেশ কিছুটা স্বস্তি পাবেন। তবে চিন্তা করবেন না, বেশি সময় লাগবে না। মাত্র ১ দিনের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন পূর্ব বর্ধমানের এই জায়গা থেকে।

বর্ধমান শহরে রয়েছে রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্ক। এই পার্কের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের পশুপাখি। পাশাপাশি মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন আপনারাও। গরমের সময় দারুণ ঠান্ডা থাকে এই জায়গা, তাই গরম নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। এই রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্ক প্রসঙ্গে জু-সুপারভাইজার তরুণকান্তি ব্যানার্জী বলেন, এই বর্ধমান শহরের মধ্যে রমনাবাগান একটা ছোট্ট জায়গা। ১৪-১৫ হেক্টর জায়গার মধ্যে গড়ে উঠেছে পার্কটি। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বর্ধমান শহরের অন্যান্য জায়গার থেকে এই জায়গায় অনেক ঠান্ডা। বেশ কয়েক ডিগ্রি তাপমাত্রায় এখানে কম থাকে। বাগানকে আরওনতুন রূপে সাজিয়ে তোলার চিন্তাভাবনা রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই নতুন রূপে রমনাবাগানকে দেখতে পাবে সকলে।

আরও পড়ুন: প্রাক্তনদের লড়াইয়ে জমজমাট বিষ্ণুপুর, হ্যাটট্রিক করতে পারবেন সৌমিত্র?

বর্ধমান ষ্টেশন থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দুরেই রয়েছে এই রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্ক। ষ্টেশন থেকে টোটো অথবা টাউন সার্ভিস বাসে করে সহজেই চলে আসতে পারবেন এই জায়গায়। কেউ যদি মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে চান তাহলেও আসতে পারবেন। পার্কিং-এর যথাযথ ব্যবস্থা রয়েছে এই জায়গায়। বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহের প্রত্যেকদিন এই রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্ক খোলা থাকে বলেই জানা গিয়েছে। সকাল ১০ থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই জুলজিক্যাল পার্ক। পার্কের সামনে আসার পর টিকিট কেটে প্রবেশ করতে পারবেন ভিতরে। ভিতরে প্রবেশ করলেই পুরোটা ঘুরে দেখতে পাবেন চিতা বাঘ, হরিণ , ময়ূর, ভাল্লুক, কুমির সহ আরও বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি।

এছাড়াও পার্কের মধ্যে বসার জায়গা এবং পানীয় জলের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। একদিনের জন্য এই জায়গায় মনোরম পরিবেশে সময় কাটিয়ে আসতে পারেন আপনিও। এখানে রাত্রি যাপনের কোনও ব্যবস্থা নেই। তবে বর্ধমান শহরে প্রচুর থাকার এবং খাবার হোটেল রয়েছে। বাড়ি ফেরার সমস্যা থাকলে তাঁরা সেই সমস্ত হোটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিতে পারেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী