সুন্দরবনের মৎস্যজীবী রা

Sundarban Fishermen: খাঁড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা! সুন্দরবনে হাহুতাশ মৎস্যজীবীদের

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের মানুষ বড় অসহায়। বেঁচে থাকতে প্রতি মুহূর্তে তাঁদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। হয় ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনের গহীন অরণ্যে গিয়ে মধু সংগ্রহ করতে হবে। তাতে যে কোনও সময় রয়্যাল বেঙ্গল এসে ঘাড় মটকে প্রাণ নিয়ে নিতে পারে! সুন্দরবনে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয় বাঘের আক্রমণে। আর না হলে কুমিরের বিপদ ঘাড়ে নিয়ে খাঁড়িতে বা ঘাটে ঘাটে নোনা জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে মাছ, মীন, কাঁকড়া সংগ্রহ করতে হবে। কিন্তু এবার তাতেও টান পড়ার অবস্থা। কারণ সুন্দরবনের খাঁড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন দফতর!

আরও পড়ুন: রথের মেলায় গিয়ে আর ফিরল না ক্লাস নাইনের ছাত্র! বন্ধুদের বিরুদ্ধে ‘খুনের’ অভিযোগ

সুন্দরবনের দরিদ্র মৎস্যজীবীরা নদীর খাঁড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরে কোন‌ওরকমে জীবিকা নির্বাহ করেন। এখন সেই জীবিকাতেই টান পড়ার দশা। কিছুদিন আগেই খাঁড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরার স্থায়ী বিএলসি বা অনুমতি পত্র দেওয়ার দাবিতে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের দফতরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। এই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে মৎস্যজীবীদের কয়েকজন প্রতিনিধি সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেন। তাদের দাবি ছিল, বৈধ অনুমতি পত্রের নামে বনকর্মীরা হেনস্থা করছে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের। মৎস্যজীবীদের জাল, নৌকা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে সুন্দরবনের নদী, খাঁড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরার জন্য যে অনুমতি বা বিএলসি লাগে তা বাতিল করে দিতে চাইছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প। স্থায়ী বিএলসির বদলে অস্থায়ী বা প্রভিশানাল বিএলসি প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু মৎস্যজীবীদের দাবি তাঁদের স্থায়ী বিএলসি চাই।

কিন্তু সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প কিছুতেই মৎস্যজীবীদের এই দাবি মানতে চাইছে না বলে অভিযোগ। কিন্তু পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে হাই অনুমতি পত্রের আশা আর বিশেষ একটা করা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি কার্যত মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার সমান বলে অভিযোগ সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের।

সুমন সাহা