Tag Archives: 15th August

Indian Railways: ট্রেন ও স্টেশন থেকে গ্রেফতার অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করা বাংলাদেশি

নিয়মিত তল্লাশির সময় উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সুরক্ষা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার ২২৫ অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের (বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা) শনাক্তকরণের ধারাবাহিক লড়াইয়ে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) ১ জানুয়ারী থেকে ১৫ আগস্ট, ২০২৪ পর্যন্ত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের বিভিন্ন স্টেশনে তল্লাশি চালানোর সময় ২২৫ জন অনুপ্রবেশকারী এবং ১৬ জন ভারতীয় দালালকে গ্রেপ্তার করে। এই মাসের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী ২২ জন অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে। ১ অগাস্ট, ২০২৪-এর একটি ঘটনায়, আগরতলার আরপিএফ টিম জিআরপি/আগরতলার সাথে যৌথভাবে আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে একটি নিয়মিত তল্লাশি চালায়।

আরও পড়ুনঃ নর্থ ইস্ট কাউন্সিলের এ বারের বৈঠকের আয়োজন করতে চলেছে ত্রিপুরা

তল্লাশির সময় তাঁরা সন্দেহভাজন নাগরিকত্বের ১০ জন ব্যক্তিকে (০৩ জন মহিলা ও ০৭ পুরুষ) স্টেশন চত্তরে শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের ভ্রমণের কোনও তথ্য দিতে পারেনি এবং কোনও বৈধ নথিপত্রও দেখাতে পারেনি। পরে তারা স্বীকার করে যে বাংলাদেশ থেকে তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে এবং ট্রেনের মাধ্যমে দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পরে ধৃত সমস্ত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে অফিসার ইন-চার্জ/গভর্মেন্ট রেলওয়ে পুলিশ/আগরতলার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর আগে, জুলাই ২০২৪-এর ২ এবং ২৩ তারিখে আগরতলা স্টেশন থেকে যথাক্রমে ১১ এবং ৪ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার করা হয়েছিল।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আরপিএফ দ্বারা স্টেশন এবং ট্রেনে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গা এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের উপর কড়া নজর রাখার জন্য নিয়মিতভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেকোনও ধরনের সন্দেহজনক কার্যকলাপ শনাক্ত করতে বিভিন্ন স্তরে মোতায়েন করা আরপিএফ কর্মীরা খুব সতর্ক হয়ে থাকে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, মালদা থেকে আগরতলা সমস্ত স্টেশনে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে রেল। এমনকি বিভিন্ন ট্রেনেও চলছে স্পেশাল চেকিং।

West Medinipur News: এই লাইব্রেরিতেই চলত বিপ্লবী কার্যকলাপ, পাঠাগারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল হেমচন্দ্র কানুনগোর

পশ্চিম মেদিনীপুর: তখন পরাধীন ভারতবর্ষ। দেশের জন্য গর্জে উঠছে যুবক যুবতীরা। লক্ষ্য পরাধীনতার গ্লানি থেকে দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করা। দিকে দিকে সংঘটিত হচ্ছে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন। এগিয়ে এসেছিলেন তৎকালীন অবিভক্ত মেদিনীপুরের তরুণ প্রজন্ম। বাংলা-ওড়িশা সীমানা এলাকা দাঁতনে আর্ত পীড়িত মানুষের সেবা এবং শরীর চর্চা ও এলাকায় পড়াশোনোর সংস্কৃতি তৈরি করতে কয়েকজন তরুণেরা। বাঁশ, মাটি দিয়ে চালাঘর তৈরি করে শুরু করলেন পাঠাগার। আজ থেকে প্রায় ৯৮ বছর আগে ১৯২৬ সালে দাঁতনের বুকে তৈরি হয় লাইব্রেরী। আর্ত-পীড়িত মানুষদের শুধু সেবা আর্তি শুধু নয়, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই লাইব্রেরীর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৯২৫ সালের ডিসেম্বরে একটি সাধারণ সভা আয়োজিত হয়। এরপর থেকে একাধিক সভার পর সিদ্ধান্ত হয় দাঁতনে সমাজ সেবামূলক এবং পাঠাগারের জন্য একটি ক্লাব গঠন করা হবে। ১৯২৬ এর জুন মাসে প্রতিষ্ঠিত হয় দাঁতন সমাজ সেবক সমিতি ও সাধারণ পাঠাগার। এই পাঠাগারের দুটি শাখা, একটি গ্রামীণ সাধারন মানুষদের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করা অর্থাৎ সমাজ সেবামূলক কাজ অন্যটি পাঠাগার। শুধু তাই নয়, মানুষের সেবা করার পাশাপাশি, পাঠাগারে গড়ে ওঠে ব্যায়ামাগার। প্রথম পর্যায়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা অনেকেই যুক্ত ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে।

শুধু শরীর চর্চা কিংবা পড়াশোনা নয়, এই ব্যায়ামাগারের আড়ালে চলতো ব্রিটিশ তাড়ানোর নানা ফন্দি। চলত মিটিং। ব্রিটিশ শাসকদের চোখকে ফাঁকি দিতে আলোচনা চলত এখানে। তৎকালীন সময়ে চরমপন্থী এবং নরমপন্থী দুই মনোভাবাপন্ন বিপ্লবীরা এখানে বসেই আলোচনা চালিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে প্রায় শতবর্ষের দিকে পা বাড়ানো এই লাইব্রেরীর স্বাধীনতা আন্দোলনে ভূমিকা যথেষ্ট। এরপর ধীরে ধীরে আড়ে বহরে বাড়তে থাকে। বর্তমানে সরকার অধীনস্থ এই লাইব্রেরী। রয়েছে বেশ হাজারও বই, বহু মানুষ এখানে আসেন পড়াশোনোর জন্য।

আরও পড়ুনঃ Independence Day 2024: স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রিত হাওড়ার  বিশেষভাবে সক্ষম সাঁতারু রিমো 

তবে, প্রাচীন নথি ঘেঁটে জানা যায়, এই পাঠাগারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল অগ্নিযুগের বীর বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগোর। তিনি পাঠাগারের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। এখনও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে দাঁতনের টাউন লাইব্রেরী। অবিভক্ত মেদিনীপুরের ইতিহাস ঘাটলে জ্বলজ্বল করে ওড়িশা সীমানা এলাকার এই লাইব্রেরির কথা, যা সাধারণ মানুষের সেবার জন্য নয়, পরাধীনতার গ্লানি থেকে দেশকে রক্ষা করতে যার ভূমিকা ছিল চিরস্মরণীয়।

রঞ্জন চন্দ