Tag Archives: adventure

Adventure: সাইকেলে হাওড়া থেকে কেদারাথ যাবেন ২ বন্ধু! কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এই অভিযান, জানালেন বিশেষজ্ঞরা

রাকেশ মাইতি, হাওড়া: হেঁটে বা সাইকেল বাইক ভ্রমণের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে একাংশের মানুষের মধ্যে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পর্যটকদের লক্ষ্যে রয়েছে পাহাড়। সারা দেশের মানুষ ছুটে যায় পাহাড়ে বদ্রীনাথ থেকে কেদারনাথ। এই প্রবণতা এ বাংলাতেও ভীষণ ভাবে। বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে বদ্রীনাথ কেদারনাথের টানে সাইকেলে বাইক তো বটেই। এমনকি হেঁটেও পৌঁছচ্ছেন মানুষ।

এ বার উত্তরাখণ্ড পাড়ি দিলেন হাওড়ার ১৭ বছরের ২ যুবক। যেন মন চাইলেই যাওয়া হচ্ছে কেদারনাথ। বর্তমান সময়ে হেঁটে অথবা সাইকেলে করে কেদারনাথ যাত্রার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে মতামত জানালেন অভিযাত্রীরা।আসলে ছোট থেকেই শিবের ভক্ত হাওড়ার সাঁকরাইলের ১৭ বছরের দুই বন্ধু রোহিত সর্দার এবং আদি দাস | ইচ্ছে ছিল কেদারনাথ শৈবতীর্থে পৌঁছে সেখানে গিয়ে শিবের মাথায় জল ঢেলে আসবেন | তবে আর্থিক প্রতিকূলতা তাঁদের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়ায়| এতটা পথ সাইকেলে পাড়ি দেওয়া কঠিন | অবশেষে টাকা জমানোর পর পরিবারের লোকজন বাধা দিলেও তাঁরা থেমে থাকেননি| অবশেষে তাঁদের কেদারনাথের প্রতি ভক্তি ও টান দেখে শেষ পর্যন্ত পরিবারের লোকেরা অনুমতি দিয়েছেন | গত কয়েক বছরে সাইকেলে কেদারনাথ যাত্রার প্রবণতা দারুণভাবে দেখা যাচ্ছে |

আরও পড়ুন : এই খাবারগুলি খেলেই চড়চড়িয়ে বাড়বে ইউরিক অ্যাসিড? এগুলি খেলে কমবে অসহ্য গাঁটের ব্যথা! জানুন সুস্থতার চাবিকাঠি

এ বিষয়ে মতামত জানালেন অভিযাত্রী অর্ক এবং রিক্তা | আর পাঁচ জনের মতোই ইচ্ছেপূরণ করতে কেদারনাথ যাত্রা দু’বন্ধুর। দীর্ঘ এই পথ সাধারণ সাইকেলে পাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকেই। এই যাত্রায়, প্রতিদিন প্রায় ৬০-৮০ কিমি পথ অতিক্রম করবেন বলে জানান রোহিত ও আদি। অল্প বয়সে এই দীর্ঘপথ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা একবারেই শূন্য। যে কারণে সিদ্ধান্ত নিতে তাঁদের অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে বলেও জানান রোহিত,আদি |

কিন্তু সমস্ত কিছু মহাদেবের টানে নিজেদের ইচ্ছা পূর্ণ করতে স্বল্প পুঁজি, কিছু খাবার নিয়ে মনের জোরে তাদের এই যাত্রা বলে জানান তাঁরা |অভিযাত্রী  অর্ক এবং রিক্তার বক্তব্য, প্রতিকূল জায়গায় কথা ভেবে সব দিক বিবেচনা করেই সকলের ভাবা উচিত সাইকেলে বা হেঁটে যাত্রার কথা |

Purulia Tourism: অ্যাডভেঞ্চার সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মেলবন্ধন, দুই’ই পাবেন পুরুলিয়ার এখানে এলে

পুরুলিয়া: পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে পুরুলিয়া অন্যতম প্রধান জায়গা দখল করে আছে। কাছে-পিঠে দু’দিনের বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনেকেই এখন দিঘা-পুরীর বদলে লাল মাটির এই জেলাকে বেছে নিচ্ছেন। এক এক মরশুমে পুরুলিয়ার একেকরকম রূপ পর্যটকদের প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। জেলার আনাচে কানাচে সর্বত্র ছড়িয়ে আছে নানান পর্যটন কেন্দ্র। সারা বছরই বহু মানুষ সে সমস্ত জায়গাতে ভিড় করেন।

আর‌ও পড়ুন: জমিদারের ভরসার লেঠেল আজও লাঠি ছাড়েননি, তবে অন্যভাবে কাজে লাগছে

পুরুলিয়ার পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম জয়চন্ডি পাহাড়। অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস ও ট্যুরিজমের জন্য খুবই জনপ্রিয় এই পাহাড়। রক ক্লাইম্বিং ও নেচার স্টাডি ক্যাম্প সহ নানান অ্যাডভেঞ্চারের আমেজ উপভোগ করা যায় এখানে এসে। প্রতিবছর নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এখানে ভিড় করেন উঠতি পর্বতারোহীরা। পাহাড়ে ওঠার নানান কলা কৌশল শেখেন তাঁরা। প্রতিবছরই রাজ্যের বহু পর্বতারোহণ সংস্থা এখানে ক্যাম্প করে। আগে এখানে এলে পর্যটকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা সেইভাবে ছিল না। কিন্তু রাজ্য সরকার জয়চন্ডি পাহাড়কে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর এখানে গড়ে উঠেছে যুব আবাস ও পথসাথী।

১৯৭৮ সালে জগৎ বন্দিত চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় এখানেই তাঁর ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমার শ্যুটিং করেছিলেন। তখন থেকেই এই পাহাড়ের সৌন্দর্যের টানে ছুটে এসেছেন বহু মানুষ।

এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলেন, আগের তুলনায় অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে জয়চন্ডি পাহাড়। ‌চারিদিক ভীষণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।‌ ছবি তোলার জন্য দুর্দান্ত স্পট এটি। এই জায়গায় এলেই একেবারেই মন ভাল হয়ে যায় সকলের। ভীষণই অ্যাডভেঞ্চারাস আর চারিদিক খুবই সুন্দর। দুর্দান্ত জায়গা এটা। ঘুরতে আসার মজা চুটিয়ে উপভোগ করা যায় এখানে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

জয়চন্ডি পাহাড়ের উপরেই আছে মা চণ্ডীড় মন্দির। ৫২০-টা সিঁড়ি অতিক্রম করে এই মন্দিরে পৌঁছতে হয়। অনেকেই এই মন্দিরের পুজো দিতে যান জয়চন্ডি পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে। আর এই পাহাড়ের উপরে উঠলেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মন ভরে যাবে আপনার। পুরুলিয়া ট্যুর প্ল্যানে থাকলে তাই অতি অবশ্যই আপনাকে আসতে হবে এই জয়চন্ডি পাহাড়ে।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি