Tag Archives: Akhil Giri

West Bengal Government: ফের মন্ত্রিসভায় রদবদল, অখিল গিরির পদত্যাগের পর কারা দফতরের দায়িত্বে এবার কে? নতুন চমক

কলকাতা: রাজ্য মন্ত্রিসভায় ফের রদবদল। অখিল গিরির কারা দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হল চন্দ্রনাথ সিনহাকে। রাজ্যের মুখ্যসচিব এ বিষয়ে জারি করলেন নির্দেশিকা। কারা দফতরের মন্ত্রী অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন চন্দ্রনাথ সিনহা। চন্দ্রনাথ সিনহা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের দায়িত্ব ছিলেন। এই দফতরের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কারা দফতরের দায়িত্ব সামলাবেন।

প্রসঙ্গত, দিন সাতেক আগেই রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রদবদলে মানস ভুঁইয়া পেয়েছেন সেচ দফতরের দায়িত্ব। পার্থ ভৌমিক সাংসদ হয়ে যাওয়ায় তাঁর ছেড়ে যাওয়া সেচ দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন মানস ভুঁইয়া। গুরুত্ব বেড়েছে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে চন্দ্রিমা পেয়েছেন পরিবেশ দফতর।

আরও পড়ুন: নির্যাতিতাতে কি ‘ফলো’ করত সঞ্জয়? তদন্ত শুরু CBI-এর! যে বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে…

এছাড়া দফতর বদল হয়েছে গুলাম রব্বানীর। তিনি পরিবেশ দফতরে ছিলেন, রদবদলে এবার অচিরাচরিত শক্তি দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এদিকে, বাবুল সুপ্রিয় তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের দায়িত্বে ছিলেন, সেইসঙ্গে অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন শিল্প পুনর্গঠন দফতরের।

অপরদিকে, সদ্য অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর অভব্য আচরণের জন্য। সেক্ষেত্রে কারা দফতরের মন্ত্রী ছিলেন না। সেই দফতরের দায়িত্বই এবার চন্দ্রনাথ সিনহাকে দেওয়া হল।

Akhil Giri Resignation: অখিল গিরির ইস্তফা গ্রহণ করলেন রাজ্যপাল, মহিলা রেঞ্জার-কাণ্ডে তদন্তের পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীকে

কলকাতা: মহিলা রেঞ্জারকে হুমকি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই জলঘোলা হতে শুরু করেছিল রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে৷ কারামন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির নিঃশর্ত ক্ষমা দাবি করে সরব হয়েছিল বিজেপি৷ দলের তরফ থেকেও এসেছিল ক্ষমা চাওয়া ও পদত্যাগের প্রয়োজনীয় নির্দেশ৷ অবশেষে, অখিল গিরির সেই পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস৷

দুর্যোগ বিধ্বস্ত কেরল থেকে ফিরেই রাজ্যের মন্ত্রিসভা রদবদলের ফাইলে সই করলেন রাজ্যপাল৷ সেখানেই অখিল গিরির পদত্যাগ পত্র গৃহীত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক…’ অখিল গিরি ইস্যুতে আজ পথে নামছে বঙ্গ বিজেপি‌

পাশাপাশি, একজন মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য করার জন্য  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ বিষয়ে তদন্ত করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি৷ সূত্রের খবর, রাজ্যপাল জানিয়েছেন, যাতে সাধারণ মানুষের প্রশাসনের উপর আস্থা থাকে, সেই কথা মনে করে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে অখিল গিরির বিরুদ্ধে তদন্ত করুক। মুখ্যমন্ত্রীকে তেমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

বন দফতরের মহিলা রেঞ্জারকে হুমকি ইস্যুতে ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় নিশানা করেছে বিজেপি। শুধুমাত্র মহিলা রেঞ্জারের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা বা পদত্যাগ করাই নয়, অবিলম্বে অখিল গিরির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে বলে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন: পেঁয়াজের সঙ্গে ভুল করেও রাখবেন না এই আনাজ, হতে পারে বড় সমস্যা

অখিল গিরিকে গত রবিবার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ফোন করে ওই মহিলা রেঞ্জারের কাছে নিঃস্বার্থ ক্ষমা এবং পদত্যাগ পত্র দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু অখিল গিরি ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে মোটেই রাজি হননি৷ তিনি যে অনুতপ্ত নন, সে কথা জানিয়ে শুধুমাত্র পদত্যাগ করার ঘোষণা করেছিলেন অখিল। ‌

Akhil Giri: ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইব, কোনও আধিকারিকের কাছে নয়!’ এবার কী করবেন, জানিয়ে দিলেন অখিল

কলকাতা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেও তিনি কোনও সরকারি আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাইবেন না৷ দলের নির্দেশ মতো মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার পরেও নিজের অবস্থানে অনড় প্রাক্তন কারামন্ত্রী এবং রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি৷ তাঁর স্পষ্ট কথা, গত শনিবার তাজপুরে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য তিনি অনুতপ্ত হলেও ক্ষমা চাইবেন না৷

অখিল গিরি জানিয়েছেন, মুখ্যসচিবের মাধ্যেম মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ ই মেলে পদত্যাগপত্র পাঠানোর পর এ দিন নবান্নে নিজের লিখিত পদত্যাগপত্রও পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ আজ বিধানসভাতেও যাওয়ার কথা অখিলের৷

আরও পড়ুন: দু’ দফায় নিহত ৩০০, পদত্যাগের দাবি! চাপের মুখেও কঠোর অবস্থান, কী করবেন হাসিনা?

প্রাক্তন কারামন্ত্রী বলেন, ‘উত্তেজনার মাথায় যা বলেছি তার জন্য অনুতপ্ত৷ কিন্তু যা করেছি তার জন্য অনুতপ্ত নই৷’ অখিল জানিয়ে দিয়েছেন, গোটা ঘটনার কথা তিনি নিজেও মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত ভাবে জানাবেন৷ বিধানসভায় দেখা হলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলবেন৷

কিন্তু মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পর কী করবেন অখিল? প্রাক্তন কারামন্ত্রী বলেন, ‘২০২৬ সাল পর্যন্ত আমি বিধায়ক আছি৷ মানুষের জন্য কাজ করব৷ দল যা নির্দেশ দেবে পালন করব৷’

গত শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে জবরদখল আটকাতে যাওয়া বন দফতরের এক মহিলা রেঞ্জারকে হুমকি দেওয়া এবং কুকথা বলার অভিযোগ ওঠে অখিলের বিরুদ্ধে৷ এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই দ্রুত তৎপর হয় তৃণমূল নেতৃত্ব৷ অখিল গিরিকে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার পাশাপাশি ওই মহিলা আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাওয়ারও নির্দেশ দেয় শাসক দল৷ যদিও প্রথম থেকেই অনড় অখিল জানিয়ে দেন, দলের নির্দেশ মেনে পদত্যাগ করলেও তিনি বন দফতরের ওই মহিলা অফিসারের কাছে ক্ষমা চাইবেন না৷

‘অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক…’ অখিল গিরি ইস্যুতে আজ পথে নামছে বঙ্গ বিজেপি‌

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: অখিল গিরি ইস্যুতে আজ, সোমবার পথে নামছে বঙ্গ বিজেপি‌। রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চা আজ, সোমবার প্রতিবাদ মিছিল করতে চলেছে কলকাতায়। মহিলা রেঞ্জারকে হুমকি কাণ্ডে অখিল গিরিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবিতে বিজেপির সেন্ট্রাল আভিনিউ সংলগ্ন মুরলীধর সেন লেন কার্যালয়ের সামনে থেকে বেলা তিনটেয় শুরু হবে মিছিল। ‌

আরও পড়ুন– অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! মঙ্গলবার থেকে আরও বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে

পদ্ম শিবিরের তরফে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি ফাল্গুনী পাত্রের নেতৃত্বে হবে মিছিল। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের কারা দফতরের মন্ত্রী অখিল গিরি যেভাবে একজন মহিলা রেঞ্জারকে নজিরবিহীনভাবে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন তাতে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

বন দফতরের মহিলা রেঞ্জারকে হুমকি ইস্যুতে ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় নিশানা করেছে বিজেপি। শুধুমাত্র মহিলা রেঞ্জারের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা বা পদত্যাগ করাই নয়, অবিলম্বে অখিল গিরির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে বলে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন– সাপ্তাহিক রাশিফল ৫ অগাস্ট – ১১ অগাস্ট: দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই দেশে একটা আইনের শাসন আছে। সরকারি অধিকারিককে কাজে বাধা দিলে ব্যবস্থা নেবে আদালত। সুব্রত বক্সি তো বিচারপতি বা আদালত নয়, তিনি কিভাবে এই সিদ্ধান্ত নেবে। এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি। যারা সিবিআই, ইডি আধিকারিকদের উপর আক্রমণ করেছিল। তাদের তৃণমূল বাঘ বলেছে। অখিল গিরি ভেবে ফেলেছেন উনি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ তাই মহিলা রেঞ্জারের সঙ্গে এই দুর্ব্যবহার করার সাহস দেখিয়েছেন।’’

রাজ্য বিজেপি শিবিরের কথায়, ‘‘অখিল গিরির হুমকির যে ভিডিও সামনে এসেছে তাতে উনি বন দপ্তরের দুর্নীতির কথাও বলেছেন।‌ কী সেই দুর্নীতি সেটাও ফাঁস করার‌ আমরা দাবি জানাচ্ছি।’’ বলা বাহুল্য, অখিল গিরিকে রবিবার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ফোন করে ওই মহিলা রেঞ্জারের কাছে নিঃস্বার্থ ক্ষমা এবং পদত্যাগ পত্র দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু অখিল গিরি ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে মোটেই যে তিনি অনুতপ্ত নন সে কথা জানিয়ে শুধুমাত্র পদত্যাগ করার ঘোষণা করেছেন। ‌এই আবহেই আজ, সোমবার অখিল গিরিকে গ্রেফতারের দাবিতে পথে নামছে বিজেপি।

Akhil Giri: মমতার নির্দেশে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা, এবার সরকারি গাড়িও ছাড়লেন অখিল গিরি

কলকাতা: মহিলা রেঞ্জারকে হুমকির ঘটনায় দলের নির্দেশে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অখিল গিরি। কারামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা ঘোষণার পর সরকারি গাড়ি ছাড়লেন তিনি। ইমেল পাঠিয়ে পদত্যাগের পর সরকারি গাড়ি ছাড়লেন অখিল গিরি।

পদত্যাগ করে অখিল গিরি সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘দলের নির্দেশ মেনে নিয়েছি,পদত্যাগ করছি মন্ত্রিত্ব থেকে। আগামিকাল কলকাতায় গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়ে আসব। সুব্রত বক্সী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী সারাক্ষণ টিভি দেখে, পদত্যাগ করতে বলেছেন। আমি পদত্যাগ করে সাধারণ মানুষের পাশে থাকব। আমি বিধায়ক থাকব, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে লড়াই করব। ২.৪৫-এ সুব্রত বক্সী নিজে ফোন করে আমাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। আমি লিখে ফেলেছি, পাঠানো হয়নি পাঠিয়ে দেব। কালকে হার্ড কপি পাঠাব। আমি কোনও ভাবে মন্ত্রিত্ব ছাড়ার ব্যাপারে অনুতপ্ত না।’

আরও পড়ুন: স্কুটিতে চেপে যাচ্ছিল বাবা-মেয়ে, সঙ্গে ট্রলি, ব‍্যাগ খুলতেই যা বেরল! পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ, গ্রেফতার দু’জনেই

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তাজপুরে বন দফতরের জায়গায় দোকান বসানোকে কেন্দ্র উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। মহিলা রেঞ্জ অফিসারকে কুকথা কথা বলে রাজ্য রাজনীতির চর্চায় উঠে এসেছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। মহিলা বন আধিকারিককে প্রকাশ‍্যে কুকথা বলায় কারামন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয় তৃণমূল। সুব্রত বক্সী জানিয়ে দেন সেকথা।

আরও পড়ুন: ৪ বা ৬ নয়, গুণে গুণে ৫! বলুন তো ‘সকলের’ হাতে-পায়ে ৫ টি করেই কেন আঙুল থাকে? কারণ জানলে মাথা ঘুরে যাবে

পরে অখিল সে দিনের ঘটনার জন‍্য দু:খপ্রকাশ করেন। রবিবার তিনি জানান, “আমি রাগান্বিত হয়ে উত্তেজিত ভাবে যে কথা বলেছি সেটা অনুচিত। একজন আধিকারিককে যে কথা বলেছি সেটা আমার উচিত হয়নি। তবে এই পরিস্থিতি আমি যদি না হাতে নিতাম তাহলে অন্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে যেত ওখানে।”

Akhil Giri Resigns: মহিলা রেঞ্জারকে হুমকি! মমতার নির্দেশে কারামন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ অখিল গিরির

কলকাতা: মহিলা রেঞ্জারকে হুমকির ঘটনায় দলের নির্দেশে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন অখিল গিরি। পদত্যাগপত্র লিখে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সোমবার লিখিত ভাবে তা জমা দেবেন। রবিবার সকালে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী টেলিফোনে কারামন্ত্রী অখিলকে জানিয়ে দেন, যে মহিলাকে তিনি অপমান করেছিলেন, তাঁর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং দলের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিতে হবে।

পদত্যাগ করে অখিল গিরি সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘দলের নির্দেশ মেনে নিয়েছি,পদত্যাগ করছি মন্ত্রিত্ব থেকে। আগামিকাল কলকাতায় গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়ে আসব। সুব্রত বক্সী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী সারাক্ষণ টিভি দেখে, পদত্যাগ করতে বলেছেন। আমি পদত্যাগ করে সাধারণ মানুষের পাশে থাকব। আমি বিধায়ক থাকব, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে লড়াই করব। ২.৪৫-এ সুব্রত বক্সী নিজে ফোন করে আমাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। আমি লিখে ফেলেছি, পাঠানো হয়নি পাঠিয়ে দেব। কালকে হার্ড কপি পাঠাব। আমি কোনও ভাবে মন্ত্রিত্ব ছাড়ার ব্যাপারে অনুতপ্ত না।’

আরও পড়ুন: খিদে পেলেই বিস্কুট খান? এর ফলে শরীরে কী হচ্ছে জানেন? বিশেষজ্ঞের চমকে দেওয়া মতামত

শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তাজপুরে বন দফতরের জায়গায় দোকান বসানো কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। মহিলা রেঞ্জ অফিসারকে কটূ কথা বলে রাজ্য রাজনীতির চর্চায় উঠে এসেছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। একের পর এক হুমকি দেওয়ার পর অবশেষে অনুতপ্ত মন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। রবিবার তিনি জানান, “আমি রাগান্বিত হয়ে উত্তেজিত ভাবে যে কথা বলেছি সেটা অনুচিত। একজন আধিকারিককে যে কথা বলেছি সেটা আমার উচিত হয়নি। তবে এই পরিস্থিতি আমি যদি না হাতে নিতাম তাহলে অন্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে যেত ওখানে।”

আরও পড়ুন: ১৪ দিন চিনি না খেলে শরীরে কী হয় জানেন? বিশেষজ্ঞের টিপস শুনলে চমকে যাবেন!

তিনি আরও বলেন, “আমি একজন মন্ত্রী হিসেবে আধিকারিককে এমন কথা বলে পরে দুঃখ পেয়েছি। আমি এই ধরনের কথা বলার জন্য অনুতপ্ত কিন্তু আমি মনে করি ওই এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমার উচিত ছিল।” শনিবার তাজপুরের গোটা ঘটনা রাজ্য রাজনীতির চর্চার মূল কেন্দ্র হওয়ার পর রবিবার সকাল থেকে কার্যত থমথমে তাজপুরের ওই এলাকা। তবে বন দফতরের তরফ থেকে রাতভর ওই এলাকায় পাহারা দেওয়া হয়েছে।

সুজিত ভৌমিক

জবরদখল আটকানোয় মহিলা অফিসারকে শাসালেন মন্ত্রী অখিল, দেখুন ভিডিও

ফের বিতর্কে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি৷ এবার পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে সমুদ্র সৈকতে বন দফতরের জায়গা জবরদখল মুক্ত করতে যাওয়া বন দফতরের মহিলা রেঞ্জারকে রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে শাসালেন রাজ্যের কারামন্ত্রী এবং স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি৷ রীতিমতো হুমকির সুরে মহিলা অফিসারকে মন্ত্রী বলেন, আপনার আয়ু আর বেশি দিন নেই৷ আপনি আমাদের কর্মচারী, মাথা নিচু করে থাকবেন৷ শুধু তাই নয়, ওই মহিলা রেঞ্জারকে বেয়াদপ, জানোয়ার বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী৷ মন্ত্রী এই রূপ দেখে তাঁর সঙ্গে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারাও ওই মহিলা রেঞ্জারকে উদ্দেশ্য করে শাসানি দিতে থাকেন৷

Akhil Giri: ‘আপনি আমাদের কর্মচারী, মাথা নিচু করে থাকুন!’ মহিলা অফিসারকে শাসালেন মন্ত্রী অখিল

তাজপুর: ফের বিতর্কে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি৷ এবার পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে সমুদ্র সৈকতে বন দফতরের জায়গা জবরদখল মুক্ত করতে যাওয়া বন দফতরের মহিলা রেঞ্জারকে রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে শাসালেন রাজ্যের কারামন্ত্রী এবং স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি৷ রীতিমতো হুমকির সুরে মহিলা অফিসারকে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনার আয়ু আর বেশি দিন নেই৷ আপনি আমাদের কর্মচারী, মাথা নিচু করে থাকবেন৷ শুধু তাই নয়, ওই মহিলা রেঞ্জারকে বেয়াদপ, জানোয়ার বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী৷ মন্ত্রী এই রূপ দেখে তাঁর সঙ্গে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারাও ওই মহিলা রেঞ্জারকে উদ্দেশ্য করে শাসানি দিতে থাকেন৷’

যদিও এই ঘটনায় যথেষ্টই ক্ষুব্ধ বন দফতর৷ সূত্রের খবর, সিসিএফ এবং ডিএফও-র থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে বন দফতর৷ ওই রিপোর্ট এলেই ঘটনার ভিডিও ক্লিপ সহ তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো হবে৷ রাজ্যের শাসক দলও মন্ত্রী অখিল গিরির এই আচরণকে সমর্থন করেনি৷

বন দফতর সূত্রে খবর, তাজপুর সমুদ্র সৈকতে বন দফতরের জায়গা জবরদখল করে অবৈধ ভাবে দোকান এবং ঘর তৈরি করা হয়৷ কিন্তু কিছুদিন আগে জলোচ্ছ্বাসের জেরে ওই সমস্ত বেআইনি নির্মাণ সমুদ্রে তলিয়ে যায়৷ অভিযোগ, গতকাল রাতে ফের ওই জায়গায় দোকান এবং ঘর তৈরি করতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ এ দিন সকালে বন দফতরের নিরাপত্তা বাহিনীকে নিয়ে সেই বেআইনি নির্মাণ আটকাতে যান ওই মহিলা ফরেস্ট অফিসার৷ তখনই ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ওই মহিলা আধিকারিককে ধমকাতে শুরু করেন মন্ত্রী এবং রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি৷ ওই মহিলা অফিসারের অভিযোগ, মন্ত্রী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অবৈধ নির্মাণ করান৷ বাধা দিতে গেলেই মহিলা অফিসারের সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি৷

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ওই মহিলা অফিসারের দিকে রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে মন্ত্রী বলছেন, ‘আপনি কত বড় অফিসার আমি দেখে নেব৷ আপনার আয়ু আর বেশি দিন নেই৷ খুব বড় জোর আট থেকে দশ দিন৷’
ওই মহিলা অফিসার তখন বলেন, ‘স্যর আমি ডিউটি করছি বলে আপনি আমাকে সরিয়ে দেবেন? আপনি বলেছিলেন যে দোকান বসবে না৷’

এর পরেও ওই মহিলা অফিসারের সঙ্গে মন্ত্রী এবং তাঁর অনুগামীদের তর্কাতর্কি চলতে থাকে৷ তখন মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘শুনুন ম্যাডাম, সবাইকে নিয়ে চলুন৷ বেশি দিন থাকতে পারবেন না৷ কে বিট অফিসার আমি জানি, বন দফতরে কী দুর্নীতি হয় আমি জানি৷ সব বিধানসভায় ফাঁস করে দেব৷ আপনি এখানে থাকবেন না৷ এরা সারা বছর থাকবে৷ আপনার কি রাষ্ট্রপতির মতো ক্ষমতা? কারও কথা শুনতে চান না৷ পঁচিশ ফুট আমরা নিলাম৷ এর ভিতরে আপনি আসলে ফিরে যেতে পারবেন না বলে দিলাম৷ আপনি আমাদের কর্মচারী, মাথা নিচু করে থাকবেন৷ বেশি কথা বলবেন না৷ এত বড় বেয়াদপ, জানোয়ার রেঞ্জার এর আগে আসেনি৷’

যদিও মন্ত্রী অখিল গিরির এই মন্তব্য ভাল ভাবে নেয়নি তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসও৷ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘অখিল গিরি যে ভাবে কথা বলেছেন তা দল অনুমোদন করে না। মুখের ভাষা, শব্দ চয়ন, শরীরী ভাষার তীব্র নিন্দা করছি। এই আচরণ করে ঠিক করেননি। এগুলো আপত্তিকর। বন দফতরের জমিতে দোকান বা কাঠামো ছিল। বন দফতর বলার পরেও সরাননি। আবার নতুন করে শুরু করায় বন দফতর আপত্তি জানায়। তারপর অখিল গিরি কারামন্ত্রী যা আচরণ করেন তা নিন্দনীয়। তার প্রয়োজন হলে বীরবাহা হাঁসদা বনমন্ত্রীকে জানাতে পারতেন। কারামন্ত্রীর উচিত ছিল বনমন্ত্রীর সাথে কথা বলা। অখিল গিরির উচিত ক্ষমা চাওয়া, কারামন্ত্রী সমর্থন যোগ্য কাজ করেননি। বন দফতর অফিসার নিজের কাজ করতে গিয়েছিলেন। এই আচরণের জন্য বিরুপ প্রভাব পড়ে। দল বিড়ম্বনায় পড়েন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নজর রাখছেন। দল যোগাযোগ করছে।’

যদিও এই ঘটনায় নিজের জায়গাতেই অনড় রয়েছেন কারামন্ত্রী৷ নিজের আচরণের পক্ষে সাফাই দিয়ে তাঁর দাবি, ‘আমরা দু মাসের জন্য ওই জায়গা চেয়েছিলাম, কিন্তু ওই মহিলা অফিসার কোনও কথা শুনতে চাননি৷ বাধ্য হয়ে আমি ওই কথাগুলি বলতে বাধ্য হয়েছি৷’ প্রসঙ্গত এর আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কেও কুকথা বলেছিলেন অখিল গিরি৷ সেক্ষেত্রেও বিতর্কের পর ক্ষমা চেয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন কারামন্ত্রী৷