Tag Archives: bear
গোপন ক্যামেরায় ব্ল্যাক বেয়ারের ৪০০ টি সেলফি ! দেখুন এবং উপভোগ করুন
সেলফি তুলতে আমরা প্রায় সবাই খুবই ভালোবাসি। নিজেদের সুন্দর দেখানোর জন্য ভিন্ন ভঙ্গিমায় ক্যামেরার আলোর ঝলকানির সামনে নিজেদের তুলি ধরি। মানুষের কাছে ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু কখনও কি কেউ শুনেছেন যে বন্য ভল্লুক সেলফির জন্য পোজ দিতে পারে ? একদম ঠিক ভাবছেন। ভাইরাল হওয়া এই পোস্টে এমনি কিছু জিনিস সোশ্যাল মিডিয়াতে সকলকে অবাক করে দিয়েছে।
এমন অনেক বন্যপ্রাণী আছে যারা অদ্ভুত ধরণের ডিভাইস বা মেশিন দেখলে সেগুলোকে উপেক্ষা করে অন্যদিকে চলে যায় , আবার অনেক প্রাণী এগুলোকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করে। বন্য ভল্লুকগুলোর এরকম একগুচ্ছ ছবি রাতের অন্ধকারে ওই গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ৪৬,০০০হাজার একরের বেশি জায়গা জুড়ে OSMP দ্বারা নয়টি ক্যামেরা ইনস্টল করা হয়েছিল। এই ধরণের ক্যামেরাগুলি ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ফুটেজ রেকর্ড করতে পারে। রাতে নিশাচর প্রাণীদের চলাফেরা ,তাদের ক্রিয়াকলাপের ছবি তোলার জন্য এই ক্যামেরাগুলোর অবদান অনস্বীকার্য।
এই ক্যামেরাগুলিতে আওয়াজ কম হয় এবং এগুলো ইনফ্রারেড আলো ব্যবহার করে। বোল্ডার, কলোরাডো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রুক্ষ পাহাড়ে একটি বন্য ভাল্লুকের সেলফি সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষকে হতবাক করে দিয়েছে। বোল্ডার ওপেন স্পেস অ্যান্ড মাউন্টেন পার্কস (ওএসএমপি) প্রশাসন টুইটার হ্যান্ডেলে এই পোস্টটি শেয়ার করেছেন। ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া এনেছে। ছবির সঙ্গে পোস্টের ক্যাপশনে লেখা আছে “সম্প্রতি, একটি ভালুক একটি ওয়াইল্ডলাইফ ক্যামেরা আবিষ্কার করেছে যা আমরা বোল্ডার ওপেন স্পেসের জন্য বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহার করি। ক্যাপচার করা ৫৮০টি ছবির মধ্যে প্রায় ৪০০টি ছিল বিয়ারের সেলফি। ” পোস্টটি এখানে দেখুন-
Recently, a bear discovered a wildlife camera that we use to monitor wildlife across #Boulder open space. Of the 580 photos captured, about 400 were bear selfies.? Read more about we use wildlife cameras to observe sensitive wildlife habitats. https://t.co/1hmLB3MHlU pic.twitter.com/714BELWK6c
— Boulder OSMP (@boulderosmp) January 23, 2023
ওএসএমপি-র একজন সিনিয়র বন্যপ্রাণী পরিবেশবিদ উইল কিলি বলেছেন যে মোশন ডিটেকটিং ক্যামেরাগুলি তাদের স্থানীয় বন্যপ্রাণীরা কীভাবে তাদের চারপাশের ভূখণ্ডকে ব্যবহার করে তা আরও ভালভাবে বোঝার একটি সুযোগ দেয়। কিলি আরও বলেছেন “এই ক্যামেরাগুলি ওএসএমপি কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ বন্যপ্রাণী এলাকা চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। আমরা তাদের কাছ থেকে যে তথ্য সংগ্রহ করি তা সংবেদনশীল প্রাকৃতিক অঞ্চলগুলিকে রক্ষা করতে সাহায্য করার জন্য হ্যাবিটেট প্রোটেক্টিভ ব্যবস্থার সুপারিশ করতে ব্যবহার করা হয়। “
শুধু তাই নোই এমন এমন জায়গায় এই ক্যামেরাগুলিকে ইনস্টল করা হয় যেখানে বন্যপ্রাণী কার্যকলাপের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। যেমন বরফের মধ্যে কোন প্রাণীর পায়ের ছাপ।
এই পোস্টটি টুইটারে শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা তাদের প্রতিক্রিয়া মন্তব্য বিভাগে পোস্ট করেছেন। তাদের মধ্যে কিছু কমেন্টস নিচে দেওয়া হল।
নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া :
“ভাল্লুকের চিন্তাভাবনা: হে মানুষ, আমি দেখতে সুন্দর। আমাকে সেটা বিশ্বকে দেখাতে দিন এবং হ্যাঁ অবশ্যই ,আমাকে এক টন ছবি তুলতে হবে, আপনি সেরাগুলো কিভাবে বেছে নেবেন ??”
অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, “সে শুধু মনে করে যে সে খুবই সুদর্শন, এবং ক্যামেরাটির তার সৌন্দর্যকে ধরে রাখা উচিত । আমাদের মধ্যে অনেকেই ক্যামেরা লাজুক হয়ে থাকে। হয়তো এই ভালুকটি আমাদের সবাইকে আরও হাসতে শেখাতে চেষ্টা করছে এবং আমাদের ছবি তুলতে দিতে ।”
শিকার দেখেই রাস্তা আটকাল ভাল্লুক, আগাপাশতলা শুঁকল…তারপর!
#মেক্সিকো: শিশুপাঠ্য বইয়ের সেই ভাল্লুকের গল্পের পুনরাবৃত্তি যেন। মেক্সিকোর চিপিনকিউ ইকোলজিকাল পার্কে ভাল্লুকের খপ্পড়ে পড়েছিলেন কয়েকজন মহিলা। মৃতের মতো নিথর হয়ে থেকে প্রাণে বাঁচলেন তাঁরা। গোটা ঘটনার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেল-এ প্রকাশিত ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, তিন মহিলা পথে যেতে যেতে হঠাৎই ভল্লুকের খপ্পড়ে পড়ে। ভল্লুকটি যথারীতি শিকার ভেবে তাঁদের শুঁকতে শুরু করে।
This girl has nerves of steel.
She actually took a selfie with the big guy… pic.twitter.com/I3Ezyn8q7G
— Rex Chapman?? (@RexChapman) July 19, 2020
ভাল্লুক সাধারণত প্রাণের স্পন্দন বুঝলেই আক্রমণ শানায়। সেই নিয়ম অল্পবিস্তর জানেন সকলেই। ফলে বেড়াতে বেরোনো ওই তিন মহিলা ভাল্লুকটি শুঁকতে শুরু করলে নিথর হয়ে যান। শ্বাসপ্রশ্বাসও বন্ধ করে দেন। বেশ কয়েকবার পরখ করার পর হাল ছেড়ে দেয় ভাল্লুকটি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন ওই মহিলারাও। গোটা ঘটনা ভিডিও করেন দূরে দাঁড়ানো কয়েকজন।
Oh. my. goodness. She’s a rock.
I want this girl in my foxhole… pic.twitter.com/4oT67HFKPg
— Rex Chapman?? (@RexChapman) July 19, 2020
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সান’ জানাচ্ছে এই প্রথম নয়। এর আগেও এই চিপিনকিউ ইকোলজিকাল পার্কে ভাল্লুকের খপ্পড়ে পড়েছে মানুষ। গত বছর নভেম্বরেই এক মহিলাকে আগাপাশতলা শুঁকে, আচড়ে ছেড়ে দেয় এক ভাল্লুক। বিয়ার স্মার্ট সোস্য়াইটির মতে সবচেয়ে ঘাতক হল বাদামী ভাল্লুক। কালো ভাল্লুক তুলনায় কম হিংস্র।