Tag Archives: bjp bangla bandh

BJP Bangla Bandh: দিনভর বন্‌ধের জেরে তীব্র উত্তেজনা হুগলি জুড়ে! মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীদের, হিমশিম পুলিশও

হুগলি: উত্তরপাড়া থেকে চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল কিংবা তারকেশ্বর সর্বত্রই পড়ল বাংলা বন্‌ধের প্রভাব। অশান্তি, হিংসা, মারামারিতে আহত কমপক্ষে ১৫ জন। হিন্দমোটর স্টেশনের গন্ডগোলেই মাথা ফেটেছে পাঁচজন বিজেপি কর্মীর। গুরুতর আহত দুই বিজেপি কর্মীকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে কলকাতার হাসপাতালে। বন্‌ধের দিন সকাল থেকেই বিজেপি কর্মীদের রেল অবরোধের খবর উঠে আসছিল বিভিন্ন জায়গা থেকে। কোন্নগর, চন্দননগর, উত্তরপাড়া, সব জায়গাতেই বিজেপি কর্মীরা রেল অবরোধ করে।

আরও পড়ুন: কোথাও তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, কোথাও বা ট্রেনে পাথর-বাসে আগুন, বিজেপির বাংলা বনধ কি আদৌ সফল

মানকুন্ডু স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ ধরে আপ ও ডাউন দুই লাইনের ট্রেন আটকে চলে বিক্ষোভ। বিক্ষুব্ধ জনতাদের ছত্রভঙ্গ করতে বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়। লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের প্রয়োগ করতে হয় পুলিশকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। অপরদিক থেকে পুলিশের উপরেও পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতির সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে বিক্ষোভের আঁচ, উত্তেজিত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা হিন্দমোটর স্টেশনে রেল অবরোধ করতে আসলে খণ্ডযুদ্ধ লেগে যায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে। কম করে পাঁচজন বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটে। গুরুতর আহত দুই বিজেপি কর্মীকে প্রথমে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতির জন্য তাঁদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।

গোটা জেলা জুড়ে বনধের প্রভাব থাকলেও দিনভর খোলা ছিল বাজার হাট। মাছের দোকান থেকে কাঁচা সবজি কিংবা মুদিখানার দোকান সেসব খোলা ছিল। সিঙ্গুরে এলাকায় মন্ত্রী বেচারাম মান্না বেরিয়ে পড়েন বনধের বিরোধিতা করতে। বাজারে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানান।

রাহী হালদার

Bengal Bandh-Rail: স্টেশনে স্টেশনে রেল অবরোধ, শিয়ালদহ-হাওড়া শাখায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল, নাজেহাল অফিসযাত্রীরা

কলকাতাঃ সকাল থেকেই বনধের মিশ্র প্রভাব বাংলায়। রাস্তায় বাস-অটো চললেও ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে বারে বারে। বন্ধের সমর্থনকারীরা রেল লাইনের জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখানোয় নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা। বারুইপুর-বারাকপুর স্টেশনে রেল অবরোধ বিজেপির। শিয়ালদহ মেন লাইনে নানা জায়গায় অবরোধ।

শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবারে রেল অবরোধ। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লক্ষ্মীকান্তপুরে রেল অবরোধ বিজেপির। নামখানা লাইনে ওভারহেড তারে কলাপাতা দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। ট্রেন নামখানা লাইনের গোচারণ স্টেশনে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে রেখে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় অবরোধ।

আরও পড়ুনঃ রোজ রাতে দুটো রুটি, তাতেই ম্যাজিক…! জেট গতিতে বাড়বে আয়রন, হিমোগ্লোবিন, জানুন বানানোর পদ্ধতি

বনগাঁ স্টেশনে রেল অবরোধ বিজেপির। বিজেপি উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। মুর্শিদাবাদ স্টেশনে বিজেপির অবরোধ, হাজির বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। নামখানা শাখার গোচরণ স্টেশনে রেল অবরোধ বিজেপির। শিয়ালদহ দক্ষিণের একাধিক রেল স্টেশনে অবরোধ, বিপর্যস্ত পরিষেবা। হুগলি স্টেশনেও রেল অবরোধ।

আরও পড়ুনঃ নিম্নচাপের রক্তচক্ষু! দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভারী বৃষ্টি টানা আর কতদিন? আবহাওয়ার মেগা আপডেট

হুগলি, কাটোয়া, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা, মুর্শিদাবাদ, কৃষ্ণনগরে প্রভাব পড়ে ট্রেন চলাচলে। বিভিন্ন লাইনে পর পর দাঁড়িয়ে পড়ে লোকাল ট্রেন। বিজেপির ডাকা বনধে সকালেই রেল অবরোধ হুগলি স্টেশনে। ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল আটকে দেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। রেললাইনে শুয়ে পড়েন। ব্যারাকপুর স্টেশনেও রেল অবরোধ করে বিজেপি। রেললাইন ধরে হেঁটে পরিশেবা বিঘ্নিত করেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। বিজেপির সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে, বনধের বিরোধিতায় পথে নেমেছে তৃণমূল।

Bengal Bandh Today: বনধ সমর্থনে স্টেশনে স্টেশনে বিজেপির পিকেটিং, পথ অবরোধ, পাল্টা পথে তৃণমূল! জনজীবন ছন্দে রাখতে তৎপর পুলিশ

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের উপর পুলিশী লাঠিচার্জ অত্যাচারের প্রতিবাদে বুধবার ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বনধের সমর্থনে এদিন সকাল থেকেই রাস্তায় দেখা গেল বিজেপি নেতা ও কর্মীদের। পিকেটিং শুরু হয়েছে রেলপথেও।

সকাল থেকেই জেলায় জেলায় পথ অবরোধে নেমেছে পদ্ম বাহিনী। জায়গায় জায়গায় বনধ বানচাল করতে পাল্টা পথে নেমেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধস্তির ছবিও উঠে এসেছে। তবে মোটের উপর স্বাভাবিক জনজীবন।

আরও পড়ুন: সাগরে নতুন’ হুঁশিয়ারি! আবহাওয়ার চরম রদবদল! বৃষ্টির ‘মহাখেলা’ শুরু কবে? তারিখ বলে সতর্ক করল আইএমডি!

একদিকে যখন বনধে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে শৈলশহর দার্জিলিং ও সংলগ্ন এলাকায়, দোকানপাট খুলেছে চেনা ছন্দে অন্যদিকে তেমন বিভিন্ন জায়গায় স্টেশনে স্টেশনে শুরু হয়েছে অবরোধ।

বারাসাত স্টেশনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা রেল অবরোধ করে। আবার পাল্টা নাম তৃণমূল শিবির। তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা অবরোধ তুলতে এলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বাসন্তীতেও বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা বাসন্তী হাইওয়ের পালবাড়ি বাজারের কাছে পথ অবরোধ শুরু করেছে।পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ধস্তাধস্তি ও উত্তেজনা শুরু হয়ে গিয়েছে।

ঘটনায় বাসন্তী থানার পুলিশ বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দারকে আটক করে। প্রায় ৩০ মিনিট পথ অবরোধ করার পরে পুলিশ বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দারকে আটক করার পরে অবরোধ উঠে যায়। এরপরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আরও পড়ুন: ক্যাশলেস টিকিট! বুকিং কাউন্টারে QR Code মেশিন চালু করল উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে

দুর্গাপুরেও বেশ কয়েকটি রুটের বাস আটকে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি সমর্থকেরা। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই এর নেতৃত্বে মিছিলে নামে পদ্ম শিবির। দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে দোকান পাট জোর করে বন্ধ করার চেষ্টা করে বিজেপি সমর্থকেরা। অন্যদিকে বাঁকুড়ায় এখনও পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বনধের সেই অর্থে কোনও প্রভাব নেই এই জেলায়। দোকানপাট খোলা রয়েছে।

Bangla Bandh: বুধবারের বিজেপির বাংলা বনধ নিয়ে কী অবস্থান রাজ্য সরকারের? স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন আলাপন

কলকাতা: বিজেপির ডাকা বুধবারের ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধ কোনওভাবেই মানা হবে না। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,”আজ সারাদিন ধরে রাজ্যে দফায় দফায় অশান্তির চেষ্টা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে ছাত্রদের প্রতি সহমর্মিতা রয়েছে। সিবিআই-এর কাছে তদন্তভার আছে। কিন্তু আজ মহানগরকে ও বুধবার বাংলাকে স্তব্ধ করার যে চেষ্টা আছে তা অসমর্থন যোগ্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানাচ্ছে বুধবারের বনধকে মানা হবে না।

Bangla Bandh: ‘২৮ অগাস্ট কোনও বাংলা বনধ হবে না…’ হুঁশিয়ারি কুণালের! ‘বেড়াতে যাবেন নাকি নবান্নে?’ কটাক্ষে বিঁধলেন বিজেপিকে

কলকাতা: এটা ‘নবান্ন অভিযান’ নয়, ‘সমাজবিরোধীদের অভিযান’। বিজেপির বাংলা বনধের ঘোষণার পরেই প্রতিক্রিয়ায় ফেটে পড়লেন কুণাল ঘোষ। বিজেপিকে চরম নিশানা করে তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য, ‘কি ভেবেছিল? নবান্ন অভিযান ডাকবে আর পুলিশ থাকবে না?’ আন্দোলনকারীরা প্রথম কাজ করেছে ব্যরিকেড ভাঙা। এরপরে পুলিশকে পাথর, ইট মারা হল। একাধিক পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।’

মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান নিয়ে কুণালের তীব্র তোপ,’ পুলিশ প্রথমে কিছু বলেনি। আপনাদের ইচ্ছা মতো বেড়াতে যাবেন নাকি নবান্নে? বিজেপি গুণ্ডা আর সিপিএমের ডিএ মঞ্চের ক্যাডাররা করল এই অভিযান। এর পর আবার বাংলা বনধ ডাকল। এখন আর জাস্টিস চাইছে না। এখন চেয়ার চাইছে। এটা একটা বড় প্লট, ষড়যন্ত্র। পুলিশ রক্তাক্ত হয়েও সংযম দেখিয়েছে। গায়ে আজ রক্ত মেখেছে পুলিশ। ৯৩ সালের ২১ জুলাই হত না যদি পুলিশ এমন সংযত থাকত।

আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টি…! কবে কমবে দুর্যোগের দাপট? শনি রবিবার বিরাট সতর্কতা বাংলায়! জানিয়ে দিল আইএমডি

তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষের সাফ কথা, “আগামিকাল, বুধবার, ২৮ অগাস্ট কোনও বাংলা বনধ হবে না। বাংলা বনধ সাধারণ মানুষ ব্যর্থ করবে। শকুনেরা অরাজকতা করছে। এদের ফাঁদে পা দেবেন না। রাজনৈতিক অরাজকতা করছে ওরা। সুকান্ত মজুমদারের ডাকা বনধ ব্যর্থ করুন। এখন ওদের অবস্থা জাস্টিস নয়, চেয়ার চাই। প্ররোচনায় পা দেবেন না। শিয়ালদহতে পোস্টার ছিঁড়েছে। সোমবার ছাত্র সমাবেশের পোস্টার ছিঁড়েছে। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের মেরেছে।”