Tag Archives: BJP West Bengal

BJP West Bengal: দিলীপ ঘোষের মৌনতা কি নতুন কোনও রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত?

কলকাতা: শূন্য দিলীপ ঘোষ। এই ধরনের বক্তব্য যেন বারে বারে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বিজেপি দলে দিলীপ বিরোধীদের মধ্যেই। তবে দিলীপ ঘোষ নির্বাচনের পরে দিল্লিতে তার বরাদ্দ বাস ভবনটি শেষ বারের মতো ছেড়ে আসলেন।

বৃহস্পতিবার সকালবেলা, রাজধানী এক্সপ্রেসে দিলীপ ঘোষ শিয়ালদহ স্টেশনে নামেন। বেলা সাড়ে দশটায় শিয়ালদা স্টেশন থেকে বেরোনোর সময় দিলীপ ঘোষ কার্যত মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তিনি সংবাদ-মাধ্যমের কোন প্রশ্নের উত্তর দেননি। স্টেশন থেকে বেরিয়ে নিজের গাড়িতে করে সোজা নিউ টাউনের বাসভবনের চলে যান। তবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় দিলীপ ঘোষ এ রাজ্যের বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন।তখন তিনি ক্রিকেটার অশোক দিন্দাকে বিধানসভার টিকিট দেন।সেই টিকিটে অশোক দিন্দা জিতেও যায়। তবে বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে দিলীপ ঘোষের লোকসভায় হেরে যাওয়াটা বহু সাধারণ কর্মী স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেনি। যার প্রতিচ্ছবি দেখা গিয়েছিল শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা যখন, মুরলিধর সেন লিনের পার্টি অফিস থেকে দিলীপ ঘোষ বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন পার্টি কর্মীরা তাকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দেন।

আরও পড়ুন: লাচুংয়ে আটকে ১২০০ ভারতীয় পর্যটক, রয়েছেন বিদেশিও, তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ

শুক্রবার ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা, দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে প্রকাশ্যে বলেন, “জো জিতা, ওহি সিকান্দার। ক্যাইসে জিতা? কিউ নেহি জিতা? কৌন কাঠি কিয়া? ওসব কথার কোন মূল্য নেই। পাবলিককে গরম করিয়ে, মিডিয়া দেখিয়ে কোন লাভ নেই। আপনাকে মানুষ ভোট দেয়নি, এটা মেনে নিতে হবে। এটা মেনে আগামী দিনে সংগঠনের দিকে মন দিন”।

অশোক দিন্দার এই বক্তব্যের পরে দিলীপ ঘোষ কিংবা তার অনুগামীরা অশোক দিন্দার বক্তব্য নিয়ে, কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে অনেকে বলছেন, রাজ্যে বিজেপি করতে গেলে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী দু’জনকেই দরকার। তবে সুকান্ত মজুমদারের রাজ্য সভাপতিত্ব কালে দলের অগ্রগতি হয়নি বলেই বেশ কিছু পাটি কর্মী মনে করেন। অনেকে বলছেন, ‘দিলীপ ঘোষের মৌনতা আগাম কোন রাজনৈতিক ঝড়ের আভাস নয় তো?’

Calcutta High Court: রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে নতুন করে আবেদন করতে হবে শুভেন্দুকে, নির্দেশ হাই কোর্টের

কলকাতা: রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি থাকলেও ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপলের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি শুভেন্দু। সেই নিয়ে শুক্রবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে নতুন করে আবেদনের নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।

আরও পড়ুন: আচমকা বজ্রপাত! মর্মান্তিক ঘটনায় মুহূর্তে প্রাণ গেল বিএসএফ জওয়ানের

শুনানি চলাকালীন হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তোলেন, “এ রাজ্যপাল কি গৃহবন্দী?  তাহলে পুলিশ কেন দেখা করতে দিচ্ছে না?” সেই সঙ্গে পুলিশের বাধা দেওয়া নিয়ে শুভেন্দু এবং রাজ্যকে হলফনামাও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সেই নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সওয়াল করেন, “রাজভবনে প্রবেশ এবং প্রস্থান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে পুলিশ। অনির্দিষ্ট নয়, নির্দিষ্ট সংখ্যার প্রতিনিধি নিয়ে ঢুকতে পারেন মামলাকারী। কাল বিকেল ৪টায় সময় কেউ যায়নি এবং কত সংখ্যায় যাবেন তা নির্দিষ্ট ভাবে যোগাযোগ করে পুলিশকে জানানো হয়নি”।

সেই সঙ্গে রাজের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের যুক্তি, “যারা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চান আমরা কাউকে আটকায়নি। কিন্তু কত জন আসবেন এবং ক’টি গাড়ি আসবে সেটা আমাদের জানাতে হবে। অগুণতি লোক আর গাড়ি বললে কি করে হবে?”

শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ছিল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি থাকলেও দেখা করতে দেয়নি পুলিশ। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দেন, রাজ্যপাল অনুমতি দিলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী এবং ভোট পরবর্তী অশান্তিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা। তবে সেই সঙ্গে রাজ্যপালের অনুমতি পেলে কত জন তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন এবং যদি গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে ক’টি গাড়ি রাজভবনের ভিতরে যাবে সেটা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে কোনও ব্যক্তিকে জানাতে হবে পুলিশকে। যদিও পরে যাতে হেনস্থার শিকার না হতে হয়, সেই জন্য আক্রান্তদের কারও পরিচয় নথিভুক্ত করা যাবে না, এমনই নির্দেশ বিচারপতির।