Tag Archives: buffalo milk

Health Tips of Raw Milk: কাঁচা দুধ খাওয়া উপকারী? নাকি জাল দেওয়া? ‘আসল’ সত্যি বলে দিলেন বিশেষজ্ঞ! খাওয়ার আগে জানুন

আজকাল, তরুণ-তরুণীদের মধ‍্যে কাঁচা দুধ খাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দুধ ক্যালসিয়ামে পরিপূর্ণ যার কারণে এটি আমাদের হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করে। হৃদস্পন্দন রক্ষা করে এবং রক্তে জমাট বাঁধতে দেয় না।
আজকাল, তরুণ-তরুণীদের মধ‍্যে কাঁচা দুধ খাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দুধ ক্যালসিয়ামে পরিপূর্ণ যার কারণে এটি আমাদের হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করে। হৃদস্পন্দন রক্ষা করে এবং রক্তে জমাট বাঁধতে দেয় না।
একই সঙ্গে মাংসপেশি ও স্নায়ুর শক্তশালী রাখার জন্যও দুধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে, কাঁচা দুধ পান করার পিছনে লোকেরা যুক্তি দেয় যে কাঁচা দুধে পুষ্টিকর উপাদান বেশি থাকে এবং এটি পান করা অ্যালার্জি এবং হাঁপানির ঝুঁকিও হ্রাস করে। একই সময়ে, যাদের ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্যও এটি উপকারী।
একই সঙ্গে মাংসপেশি ও স্নায়ুর শক্তশালী রাখার জন্যও দুধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে, কাঁচা দুধ পান করার পিছনে লোকেরা যুক্তি দেয় যে কাঁচা দুধে পুষ্টিকর উপাদান বেশি থাকে এবং এটি পান করা অ্যালার্জি এবং হাঁপানির ঝুঁকিও হ্রাস করে। একই সময়ে, যাদের ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্যও এটি উপকারী।
কাঁচা দুধে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়েটিশিয়ান ডাঃ এরিন রোজি বলছেন, আপনি যদি সরাসরি গরু বা মহিষের কাঁচা দুধ পান করেন তবে তাতে অনেক ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকে।
কাঁচা দুধে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়েটিশিয়ান ডাঃ এরিন রোজি বলছেন, আপনি যদি সরাসরি গরু বা মহিষের কাঁচা দুধ পান করেন তবে তাতে অনেক ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকে।
কাঁচা দুধে ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া, সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া, লিসচেরিয়া মনোসাইটোজেনের মতো ব্যাকটেরিয়া থাকে যা পেটের জন্য বড় ক্ষতি করতে পারে। যদি তাঁদের থেকে কোন তাত্ক্ষণিক প্রভাব নেই, কিন্তু ইমিউন সিস্টেমের উপর অনেক প্রভাব আছে। ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমির মতো সমস্যা তাৎক্ষণিক হতে পারে। এমনকী এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার সামান্য ঝুঁকিও রয়েছে।
কাঁচা দুধে ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া, সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া, লিসচেরিয়া মনোসাইটোজেনের মতো ব্যাকটেরিয়া থাকে যা পেটের জন্য বড় ক্ষতি করতে পারে। যদি তাঁদের থেকে কোন তাত্ক্ষণিক প্রভাব নেই, কিন্তু ইমিউন সিস্টেমের উপর অনেক প্রভাব আছে। ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমির মতো সমস্যা তাৎক্ষণিক হতে পারে। এমনকী এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার সামান্য ঝুঁকিও রয়েছে।
এসব মানুষের ঝুঁকি বেশিড. এরিন রোজি বলছেন, এসব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া কাঁচা দুধের সঙ্গে পাকস্থলীতে গেলেও তা সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে খুব একটা পার্থক্য তৈরি করে না, বরং শিশু, বয়স্ক ও গর্ভবতী নারীরা অনেক পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন এবং এ থেকে তাঁরা অসুস্থও হয়ে পড়তে পারেন।
এসব মানুষের ঝুঁকি বেশি
ড. এরিন রোজি বলছেন, এসব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া কাঁচা দুধের সঙ্গে পাকস্থলীতে গেলেও তা সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে খুব একটা পার্থক্য তৈরি করে না, বরং শিশু, বয়স্ক ও গর্ভবতী নারীরা অনেক পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন এবং এ থেকে তাঁরা অসুস্থও হয়ে পড়তে পারেন।
কাঁচা দুধ সম্পর্কে মিথ কী-লোকেরা বিশ্বাস করে যে ফুটন্ত দুধ পুষ্টিকর উপাদানগুলি ধ্বংস করে। যদিও বৈজ্ঞানিক সত্য হল এটি পুষ্টি উপাদানগুলির ক্ষতি করে না। আমরা যদি ২০ সেকেন্ডের জন্য ৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত গরম করি, তাহলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মারা যাবে, তখন এর কোনও ক্ষতি হবে না। একে ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করে ২০ সেকেন্ডের মধ্যে শূন্য ডিগ্রিতে নিয়ে আসা হয়, যাতে এতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে না পারে এবং দুধ স্বাস্থ্যবান হয়ে ওঠে।
কাঁচা দুধ সম্পর্কে মিথ কী-
লোকেরা বিশ্বাস করে যে ফুটন্ত দুধ পুষ্টিকর উপাদানগুলি ধ্বংস করে। যদিও বৈজ্ঞানিক সত্য হল এটি পুষ্টি উপাদানগুলির ক্ষতি করে না। আমরা যদি ২০ সেকেন্ডের জন্য ৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত গরম করি, তাহলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মারা যাবে, তখন এর কোনও ক্ষতি হবে না। একে ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করে ২০ সেকেন্ডের মধ্যে শূন্য ডিগ্রিতে নিয়ে আসা হয়, যাতে এতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে না পারে এবং দুধ স্বাস্থ্যবান হয়ে ওঠে।

Cow Milk vs Buffalo Milk in Benefits: গরুর দুধ না মোষের দুধ? কোনটা খেলে রোগা হবেন? ভাল থাকবে হার্ট? জানুন চুমুক দেওয়ার আগে

ব্যালান্সড ডায়েটের অন্যতম অংশ দুধ। ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার পর্যন্ত নানাভাবে দুধ খাওয়া যায়। গরুর দুধের পাশাপাশি মোষের দুধও ডায়েটে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই দুয়ের মধ্যে কোনটা বেশি পুষ্টিকর? তাই নিয়ে দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে।
ব্যালান্সড ডায়েটের অন্যতম অংশ দুধ। ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার পর্যন্ত নানাভাবে দুধ খাওয়া যায়। গরুর দুধের পাশাপাশি মোষের দুধও ডায়েটে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই দুয়ের মধ্যে কোনটা বেশি পুষ্টিকর? তাই নিয়ে দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে।

 

গরু না মোষ-কোন প্রাণিজ দুধের পুষ্টিগুণ বেশি, সুস্থ থাকার জন্য কোনটা ডায়েটে থাকা দরকার, সে বিষয়ে বলেছেন পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা।
গরু না মোষ-কোন প্রাণিজ দুধের পুষ্টিগুণ বেশি, সুস্থ থাকার জন্য কোনটা ডায়েটে থাকা দরকার, সে বিষয়ে বলেছেন পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা।

 

গরুর দুধের তুলনায় মোষের দুধে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে পেশিশক্তি তৈরি, শারীরিক বৃদ্ধি এবং সার্বিক সুস্থতায় বেশি কার্যকর হয়। তবে গরুর দুধও প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং একাধিক ভিটামিন ও খনিজে ভরা। হাড়ের সুস্থতায় কার্যকর গরুর দুধ।
গরুর দুধের তুলনায় মোষের দুধে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে পেশিশক্তি তৈরি, শারীরিক বৃদ্ধি এবং সার্বিক সুস্থতায় বেশি কার্যকর হয়। তবে গরুর দুধও প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং একাধিক ভিটামিন ও খনিজে ভরা। হাড়ের সুস্থতায় কার্যকর গরুর দুধ।

 

মোষের দুধে স্নেহজাতীয় পদার্থও বেশি। ফলে কর্মশক্তির বেশি যোগান দেয়। ফ্যাট সল্যুবল ভিটামিন এ,ডি, ই এবং কে শোষণ করতে সাহায্য করে।
মোষের দুধে স্নেহজাতীয় পদার্থও বেশি। ফলে কর্মশক্তির বেশি যোগান দেয়। ফ্যাট সল্যুবল ভিটামিন এ,ডি, ই এবং কে শোষণ করতে সাহায্য করে।

 

সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করা মোষের দুধ ইমিউনিটি শক্তি গড়ে তোলে। অন্যদিকে ভিটামিন এ, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম ভরা গরুর দুধও সাহায্য করে রোগ প্রতিরোধে।
সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করা মোষের দুধ ইমিউনিটি শক্তি গড়ে তোলে। অন্যদিকে ভিটামিন এ, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম ভরা গরুর দুধও সাহায্য করে রোগ প্রতিরোধে।

 

গরু এবং মোষের দুধে থাকা প্রচুর পটাশিয়াম সাহায্য করে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে। সোডিয়ামের মাত্রা বজায় রেখে নিয়ন্ত্রণে রাখে ব্লাড প্রেশার।
গরু এবং মোষের দুধে থাকা প্রচুর পটাশিয়াম সাহায্য করে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে। সোডিয়ামের মাত্রা বজায় রেখে নিয়ন্ত্রণে রাখে ব্লাড প্রেশার।

 

ফ্যাটের পরিমাণ বেশি হলেও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে মোষের দুধ বেশি কার্যকর গরুর দুধের তুলনায়। ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়াম থাকে বলে ত্বকের যত্নেও উপকারী গরু ও মোষের দুধ।
ফ্যাটের পরিমাণ বেশি হলেও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে মোষের দুধ বেশি কার্যকর গরুর দুধের তুলনায়। ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়াম থাকে বলে ত্বকের যত্নেও উপকারী গরু ও মোষের দুধ।

 

গরুর দুধের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। শরীরকে জলশূন্যতার হাত থেকে রক্ষা করে।
গরুর দুধের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। শরীরকে জলশূন্যতার হাত থেকে রক্ষা করে।

 

গরুর দুধের প্রোটিনের অংশ দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। ওজন নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত সহায়ক। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ডেয়ারি প্রডাক্ট কমায় ওবেসিটি রিস্ক।
গরুর দুধের প্রোটিনের অংশ দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। ওজন নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত সহায়ক। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ডেয়ারি প্রডাক্ট কমায় ওবেসিটি রিস্ক।

 

ল্যাক্টোজ কনটেন্ট বেশি হওয়ায় গরুর দুধের তুলনায় মোষের দুধ হজম করা কঠিন। মোষের দুধ বেশি দুষ্পাচ্য। তবে টোকোফেরল, রেটিনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকার কারণে মোষের দুধ ক্রনিক অসুখের আশঙ্কা কমায়।
ল্যাক্টোজ কনটেন্ট বেশি হওয়ায় গরুর দুধের তুলনায় মোষের দুধ হজম করা কঠিন। মোষের দুধ বেশি দুষ্পাচ্য। তবে টোকোফেরল, রেটিনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকার কারণে মোষের দুধ ক্রনিক অসুখের আশঙ্কা কমায়।

 

কেউ কেউ গরুর দুধের মৃদু স্বাদ পছন্দ করেন। কারওর আবার পছন্দ মোষের দুধের ঘন ও ভারী স্বাদ। নির্দিষ্ট জনের শরীরের ধাঁচ এবং ধাত, ওজন, সুস্থতা, পছন্দসই স্বাদ এবং হজমের ক্ষমতা দেখে তবেই ডায়েটিশিয়ান ঠিক করে দেন তিনি গরুর দুধ না মোষের দুধ খাবেন।
কেউ কেউ গরুর দুধের মৃদু স্বাদ পছন্দ করেন। কারওর আবার পছন্দ মোষের দুধের ঘন ও ভারী স্বাদ। নির্দিষ্ট জনের শরীরের ধাঁচ এবং ধাত, ওজন, সুস্থতা, পছন্দসই স্বাদ এবং হজমের ক্ষমতা দেখে তবেই ডায়েটিশিয়ান ঠিক করে দেন তিনি গরুর দুধ না মোষের দুধ খাবেন।