Tag Archives: common cold and cough

ঋতু পরিবর্তনে জ্বর সর্দিতে কাবু? সুস্থ হওয়ার পরামর্শ জেনে নিন বিশেষজ্ঞের থেকে

ঋতু পরিবর্তনে জ্বর সর্দিতে কাবু? সুস্থ হওয়ার পরামর্শ জেনে নিন বিশেষজ্ঞের থেকে

Cold and Cough: কাশির চোটে ঘুম উড়েছে রাতের? জ্বরে কাবু? কী করা উচিত? নিজে ডাক্তারি করতে গিয়ে হচ্ছে বড় ভুল! জানুন বিশেষজ্ঞের মত

পশ্চিম বর্ধমান: ঋতু পরিবর্তনের সময় ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে জ্বর সর্দির উৎপাত। শুকনো কাশিতে জেরবার আট থেকে আশি সকলে। এমন সময় অনেকেই চিকিৎসককে থোড়াই কেয়ার করে মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন। তাতে আদতে ক্ষতি হচ্ছে শরীরের। অথচ ঘরোয়া কিছু চিকিৎসাতেই এই শুকনো কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তেমনটাই জানিয়েছেন একজন রেজিস্টার্ড মেডিকেল প্র্যাকটিশনার নিমাই চন্দ্র শীট।

তিনি জানিয়েছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই জ্বর সর্দির এই সাধারণ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কোথাও কোথাও থাকছে কাশির সমস্যা। কিন্তু একটু সাবধান থাকলেই এই সমস্যা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যাবে।

আরও পড়ুন: বোঝাতে পারেনি, শুধু অসহ‍্য যন্ত্রণা! মূক ও বধির বালকের মলদ্বারে পেন ঢুকিয়ে…আত্মীয়ের কাণ্ডে শিউরে উঠছে দেশ

এই সময় গায়ে হালকা চাদর দিয়ে রাখলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা কমবে। যদি মাস্ক ব্যবহার করা যায়, তাহলে আরও বেশি ভাল হয়। অন্যদিকে বাড়ির বয়স্ক এবং নতুন সদস্যদের যতটা সাবধানে রাখা যায় ততটাই ভাল।

নিমাইবাবু সাবধান করেছেন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া থেকে। তিনি বলছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। খুব সমস্যা হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে নিয়ম মেনে। যদি কাশি সাত দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু উপায় কাশি কমানোর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর যেমন নুন, আদা খাওয়া এবং গার্গল করা অথবা হলুদ দিয়ে দুধ সেবন করা  উপকারী প্রমাণিত হয়।

নিমাই বাবু বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় এই ঠান্ডা লাগা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। শুকনো কাশি দিনে কম হলেও রাতে বেশি হবে। তাই যতটা সম্ভব ঘরোয়া পদ্ধতিতে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

খুব প্রয়োজন ছাড়া ওষুধ না খাওয়ায় ভাল। আর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া থেকে বারবার সাবধান করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলছেন, শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় ঠান্ডা লাগলে সমস্যা হয়। নাক থেকে জল পড়ে। ফলে তাদের যতটা সাবধানে রাখা যাবে ততই মঙ্গল।

নয়ন ঘোষ

Bitter Gourd Leaves: সস্তার ’শাকেই’ বাজিমাত! জব্দ হবে হৃদরোগ থেকে বদহজম! বুলেট গতিতে কমবে ওজন

সকলের বাড়িতেই প্রায়ই লাউ শাক খাওয়া হয়। সহজলভ্যতা তুলনামূলক ভাবে বেশী এবং এটা দামে অপেক্ষাকৃত সস্তা।

সকলের বাড়িতেই প্রায়ই লাউ শাক খাওয়া হয়। সহজলভ্যতা তুলনামূলক ভাবে বেশী এবং এটা দামে অপেক্ষাকৃত সস্তা।
পটাশিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এবং অন্যান্য উপাদানে সমৃদ্ধ লাউ শাক ভর্তা, ভাজা, তরকারি, বা রস করেও খাওয়া যায়।  লাউ শাকের কী কী উপকারিতা আছে জেনে নিন-
পটাশিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এবং অন্যান্য উপাদানে সমৃদ্ধ লাউ শাক ভর্তা, ভাজা, তরকারি, বা রস করেও খাওয়া যায়। লাউ শাকের কী কী উপকারিতা আছে জেনে নিন-
রক্ত উৎপাদনে সাহায্য করেঃলাউ শাকে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। যা দেহে রক্তের পরিমাণ বাড়ায়।
রক্ত উৎপাদনে সাহায্য করেঃ
লাউ শাকে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। যা দেহে রক্তের পরিমাণ বাড়ায়।
হাড় শক্ত ও মজবুত করেঃলাউ শাকে আছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। এই শাক খেলে হাড় শক্ত ও মজবুত হয়। তাই বাড়ন্ত শিশুদের হাড় সুগঠিত করার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় লাউ শাক রাখা উচিত।
হাড় শক্ত ও মজবুত করেঃ
লাউ শাকে আছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। এই শাক খেলে হাড় শক্ত ও মজবুত হয়। তাই বাড়ন্ত শিশুদের হাড় সুগঠিত করার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় লাউ শাক রাখা উচিত।
ঠান্ডাজনিত সমস্যা কমায়ঃলাউ শাকে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ অনেক বেশি। এই শাক ঠান্ডা, সর্দি, এবং ঠান্ডাজনিত অন্যান্য ক্রোনিক ডিজিজকে দূরে রাখে।
ঠান্ডাজনিত সমস্যা কমায়ঃ
লাউ শাকে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ অনেক বেশি। এই শাক ঠান্ডা, সর্দি, এবং ঠান্ডাজনিত অন্যান্য ক্রোনিক ডিজিজকে দূরে রাখে।
শরীর ঠান্ডা রাখেঃলাউ শাক শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শরীর ঠান্ডা রাখে। একই সঙ্গে এই শাক মস্তিষ্কও ঠান্ডা রাখে। ফলে উত্তেজনা ও রাগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার এই শাক ঘুমের সমস্যাও দূর করে। ফলে অনিদ্রা রোগীদের জন্য লাউ শাক আদর্শ একটা খাবার।
শরীর ঠান্ডা রাখেঃ
লাউ শাক শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শরীর ঠান্ডা রাখে। একই সঙ্গে এই শাক মস্তিষ্কও ঠান্ডা রাখে। ফলে উত্তেজনা ও রাগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার এই শাক ঘুমের সমস্যাও দূর করে। ফলে অনিদ্রা রোগীদের জন্য লাউ শাক আদর্শ একটা খাবার।
পাকস্থলী সুস্থ রাখেঃলাউ শাক ফাইবারের একটা উৎকৃষ্ট উৎস। এটা কোষ্ঠকাঠিন্য পরিষ্কার রাখে এবং পাইলস প্রতিরোধ করে। লাউ শাক ফাইবার সমৃদ্ধ তাই অনেকক্ষণ পেটে থাকে। আবার এই শাকে ক্যালরি ও ফ্যাট অনেক কম। ফলে ক্ষুধা কমে যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
পাকস্থলী সুস্থ রাখেঃ
লাউ শাক ফাইবারের একটা উৎকৃষ্ট উৎস। এটা কোষ্ঠকাঠিন্য পরিষ্কার রাখে এবং পাইলস প্রতিরোধ করে। লাউ শাক ফাইবার সমৃদ্ধ তাই অনেকক্ষণ পেটে থাকে। আবার এই শাকে ক্যালরি ও ফ্যাট অনেক কম। ফলে ক্ষুধা কমে যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়ঃলাউ শাকে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন, এবং জিয়াজ্যান্থিন নামক উপাদান। লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিন দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং চোখের নানা ধরণের রোগ প্রতিরোধ করে। আবার এর বিটা ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়ঃ
লাউ শাকে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন, এবং জিয়াজ্যান্থিন নামক উপাদান। লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিন দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং চোখের নানা ধরণের রোগ প্রতিরোধ করে। আবার এর বিটা ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

Home Remedies of Soar Throat: আপনার ঘরেই আছে গলা ব্যথার ওষুধ! ব‍্যবহার করুন এইভাবে একদিনে মিলবে উপকার!

.হালকা হালকা শীত, শীত ভাব। ফ্যান অফ করলে লাগছে গরম, অন করলে ঠান্ডা ৷ কোন দিকে যাবেন, বোঝার আগেই গলা ব্যথা, জ্বর জ্বর ভাব। সঙ্গে কাশি।
.হালকা হালকা শীত, শীত ভাব। ফ্যান অফ করলে লাগছে গরম, অন করলে ঠান্ডা ৷ কোন দিকে যাবেন, বোঝার আগেই গলা ব্যথা, জ্বর জ্বর ভাব। সঙ্গে কাশি।
এই সময়টাই সচেতন থাকতে হবে একটু। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলেই, খুব সহজেই নিস্তার পেতে পারেন সিজন চেঞ্জের শরীর খারাপ থেকে।
এই সময়টাই সচেতন থাকতে হবে একটু। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলেই, খুব সহজেই নিস্তার পেতে পারেন সিজন চেঞ্জের শরীর খারাপ থেকে।
গোল মরিচ ও জল: ১কাপ গরম জলে আধা চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়ো , ১চা চামচ মধু ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর হালকা গরম থাকতে পান করতে হবে।
গোল মরিচ ও জল: ১কাপ গরম জলে আধা চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়ো , ১চা চামচ মধু ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর হালকা গরম থাকতে পান করতে হবে।
লবঙ্গঃ ১/২ টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে রাখুন। নরম হয়ে আসলে এটিকে চিবোতে হবে চুইংগামের মত। চাইলে মুখে জল রেখেও এই কাজ করা যায়। খেয়ে ফেললেও ক্ষতি নেই।
লবঙ্গঃ ১/২ টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে রাখুন। নরম হয়ে আসলে এটিকে চিবোতে হবে চুইংগামের মত। চাইলে মুখে জল রেখেও এই কাজ করা যায়। খেয়ে ফেললেও ক্ষতি নেই।
দারুচিনি চাঃ ঘরোয়া এই মসলা ঠান্ডা জনিত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।যা স্বাস্থ্যকর ও সংক্রমণরোধী। ১-২টি দারিচিনি টুকরো নিয়ে ১-২ কাপ জলে সিদ্ধ করে সেই জল পান করা যেতে পারে। আবার চায়ের সাথে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
দারুচিনি চাঃ ঘরোয়া এই মসলা ঠান্ডা জনিত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।যা স্বাস্থ্যকর ও সংক্রমণরোধী। ১-২টি দারিচিনি টুকরো নিয়ে ১-২ কাপ জলে সিদ্ধ করে সেই জল পান করা যেতে পারে। আবার চায়ের সাথে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে।

Cough And Cold: বুকে ঘরঘর শব্দ? জমা কফে কষ্ট পাচ্ছেন ? অ্যান্টিবায়োটিক নয়, জমা কফ দূর করুন এই ঘরোয়া উপায়ে

শীত আসছে-আসছে করছে! এই সময়ে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সর্দি-কাশি, বুকে কফ বা শ্লেষ্মা জমার সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমদিকে অনেকেই বুকে কফ জমাকে খুব একটা পাত্তা দেন না! কিন্তু অবহেলা করলে,ফল হতে পারে মারাত্মক! সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে শ্বাসযন্ত্রে। কাজেই প্রথম থেকেই সচেতন হন! ঘরোয়া উপায়ে মোকাবিলা করুন বুকে কফ জমার সমস্যার–

নুন জল– নুন শ্বাসযন্ত্র থেকে কফ দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস উষ্ণ জলে এক চা চামচ নুন মিশিয়ে দিনে দু- তিনবার গারগেল করুন।
লেবু এবং মধু– লেবু জলে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। মধু শ্বাসযন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে, বুক থেকে কফ বা শ্লেষ্মা দূর করে
হলুদ– হলুদে থাকা কারকুমিন নামের উপাদান বুকের জমা কফ, শ্লেষ্মা দূর করে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট দ্রুত কমিয়ে দেয়। হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান গলা ও বুকের খুসখুসানি, জ্বালা, ব্যথা দূর করে। এক গ্লাস উষ্ণ জলে এক চিমটে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন গারগেল করুন। পাশাপাশি, এক গ্লাস দুধে আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। এর মধ্যে মেশান দু’ চা চামচ মধু এবং এক চিমটে গোল মরিচের গুঁড়ো। দিনে ২-৩ বার এই মিশ্রণ পান করলে বুকে জমা কফ বার হয়ে যাবে।
পেঁয়াজ– একই পরিমাণের পেঁয়াজের রস, লেবুর রস, মধু এবং জল একসঙ্গে মিশিয়ে ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ উষ্ণ অবস্থায় দিনে তিন থেকে চারবার পান করলে উপকার পাবেন।
রসুন– এতে রয়েছে অ্যালিসিন নামের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগ। রসুন চিবিয়ে খেলে অ্যালিসিন সক্রিয় হয়ে শ্বেত রক্তকণিকার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, ফলে সাধারণ সর্দি-কাশি যে ভাইরাসের জন্য হয়, সেগুলির বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।
তুলসী পাতা– শ্বাসযন্ত্রের যে কোনও সমস্যা মেটাতে কার্যকর তুলসী পাতা। এই পাতার অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল যৌগ শুকনো কাশি কমাতে সাহায্য করে। মধুর সঙ্গে কয়েকটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা তুলসী পাতার রস ও মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়। Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন