Tag Archives: creativity

Bangla Video: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়াল নান্দনিকতা, শিল্প ভাবনা দেখলে আপনিও মুগ্ধ হবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর: বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রকাশিত দেওয়াল পত্রিকা সাধারণ একটি বিষয়। যেখানে ছাত্রছাত্রী কিংবা শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিভিন্ন ধরনের লেখা প্রকাশিত হয়। মূলত বই ছাড়িয়ে বিভিন্ন লেখা দেওয়ালে বৃহৎ আকারে প্রকাশিত হয় বলে দেওয়াল পত্রিকা বলা হয়। তবে এই দেওয়াল পত্রিকা যদি হয় একটু ভিন্ন ধরনের কিংবা ক্রিয়েটিভ, তবে একটু অবাক হতে হয়। তথাকথিতভাবে স্বাভাবিক একটি দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশ নয়, একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেওয়াল পত্রিকায় ফুটিয়ে তুলেছে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন রুচি এবং সংস্কৃতিকে।

আরও পড়ুন: ক্রিয়েটিভ ডান্সের ‌যুগে কিভাবে একজন শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী প্রতিষ্ঠা পাবে, দেখুন

প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকার নান্দনিকতা ফুটে উঠেছে দেওয়াল পত্রিকায়। যা উৎসর্গীকৃত করা হয়েছে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্দেশ্যে। ভিন্ন ধরনের সৃজনশীল এই দেওয়াল পত্রিকার প্রশংসা করেছেন সকলে। দেওয়াল পত্রিকা সাজিয়ে তোলা হয়েছে ফেলে দেওয়া মাটির হাড়ি, মাটির ঘোড়া, মাটির চা খাওয়ার কাপ, গামছা, স্লেট বোর্ড সহ বিভিন্ন পরিবেশ বান্ধব উপকরণ দিয়ে। বেশ কয়েক দিনের প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তৈরি করেছেন এই বিশেষ দেওয়াল পত্রিকা। মাটির হাঁড়িকে টুকরো টুকরো ভাবে ভেঙে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের মুখ। শুধু তাই নয় রবীন্দ্র কেন্দ্রিক এই বিশেষ দেওয়াল পত্রিকা ‘মৃৎস্না’ প্রকাশ পেয়েছে।

যেখানে একদিকে যেমন রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন কবিতা তেমনইবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা নানান কবিতাও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও দুপাশে স্লেটের ওপর ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানান বিমুর্ত ছবি। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন আয়োজনে খুশি সকলে। পাশাপাশি এদিন এই দেওয়াল পত্রিকার মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নারী স্বাধীনতা ও নারী সুরক্ষার বিষয়কে। যেখানে স্লেটের উপর নানান ছবি এঁকে শিক্ষার্থীরা ফুটিয়ে তুলেছেন এই বিষয়কে।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন জায়গায় বাহারি নানান জিনিস দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় দেওয়াল পত্রিকাকে। তবে এখানে বাহারি কোনও জিনিসের আয়োজন নেই এমনকি আলোকসজ্জাতেও রয়েছে তেল চোবানো সলতে দেওয়া প্রদীপ। যা প্রকাশ পেয়েছে গ্রামীণ সংস্কৃতির এক নতুন ধারা। দেওয়াল পত্রিকার সাজসজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে চায়ের কাপ। চায়ের কাপ গুলিকে নান্দনিক ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অলংকরণে ব্যবহার করা হয়েছে গামছাকে।শিল্প ভাবনায় প্রতিষ্ঠানের শিল্প শিক্ষক সোমনাথ তামলি।স্বাভাবিকভাবে শিক্ষার্থীদের অভিনব ভাবনা-চিন্তা এবং দেওয়াল পত্রিকার মধ্য দিয়ে সৃজনশীল এই মনোভাবকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ

Artistic Siblings: শৈশবের মাধুরী মিশেছে সৃষ্টিশীলতায়, ফেলে দেওয়া নারকেলের খোলা কাজে লাগিয়ে বাজিমাত খুদে ভাইবোনের

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: উল্টোরথকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়ার দুই ভাই বোনের কাণ্ড দেখুন। নারকেলের খোলার উপরে জায়গা করে নিলেন জগন্নাথদেব। আবার জায়গা করে নিল বাচ্চাদের জনপ্রিয় কার্টুন ‘ছোটা ভীম’-এর চরিত্র চুটকি। নারকেলের খোলার উপরে জগন্নাথদেব বানালেন তারা। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ঋক গড়াই এবং তার দিদি রিকু গড়াই বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। গড়াই ভাইবোনের বাবা মা দুজনেই চাকরিজীবী! ছোট থেকেই বাড়িতে একা থাকার সময় হাতের কাজ করে থাকে এই দু’জনে। ঘর সাজানোর জিনিস থেকে শুরু করে রঙিন ছবি কিংবা নারকেল দিয়ে জগন্নাথদেব, সবই একসঙ্গে করে থাকে দুই খুদে।

পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ঋক গড়াই বানিয়েছে একটি জাহাজ। যে জাহাজ দেখতে হুবহু পাল তোলা পুরানো দিনের যুদ্ধ জাহাজের মতো। ঋক বলেছে স্কুলের আঁকার শিক্ষক প্লেন, জাহাজ সম্পর্কে ভাল করে বোঝানোর পরেই তার নিজের মত করে জাহাজ তৈরি করার ইচ্ছা হয়। তার এই জাহাজ ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ছাত্রদের হাতের কাজের প্রতি উৎসাহ দিতে একটি মিউজিয়াম করার কথাও উঠেছে ইতিমধ্যে। এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছেন, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী এবং বাঁকুড়া জেলা স্কুলের শিক্ষক মহাদেব মুখোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন : মাটির নীচে ঘুমিয়ে কয়েকশো বছরের অতীত, ইতিহাসের টানে আসুন ঘরের কাছেই এই ঐতিহাসিক কেন্দ্রে

সমাজ পাল্টেছে। যুগ বদলে যাচ্ছে। বড় বড় শহর গুলিতে রং তুলি ছেড়ে হাতে স্মার্টফোন ধরেছে স্কুলপড়ুয়ারা। কিন্তু বাঁকুড়ায় অন্য ছবি। এখনও যে বাবা মা বাড়িতে না থাকলে আঁকার খাতা নিয়ে বসে ছাত্র-ছাত্রীরা, তাদের এই জ্বলন্ত উদাহরণ হল ঋক ও রিকু। উল্টোরথের দিন নারকেলে তারা ফুটিয়েছে জগন্নাথ দেবকে। শৈশবের মাধুরী মিশিয়েছে সৃষ্টিশীলতায়।