পাঁচমিশালি Sea: সমুদ্রের ঢেউ চৌকো! ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত! বিজ্ঞানীদের কথা শুনলে পায়ের তলার মাটি সরে যাবে Gallery July 1, 2024 Bangla Digital Desk দিঘা বা পুরীর সমুদ্রে কখনও ছোট ঢেউ, কখনও বিশালাকৃতির ঢেউ লক্ষ্য করা যায়। এই ধরনের ঢেউ দেখতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু ঢেউয়ের প্রকারভেদ আছে। যা ঘাতক। না, ছোট বা বড় ঢেউ নয়, এই ঢেউ বর্গাকৃতির। বিষয়টি শুনে হয়তো অবাক লাগতে পারে। কিন্তু সমুদ্র বড়ই রহস্যময়। সেখানে মাঝে মাঝে চৌকো ঢেউও ওঠে। আর চৌকো ঢেউ তৈরি হওয়া মানে কিন্তু চিন্তার কারণ। চৌকো ঢেউ খুব একটা দেখা না গেলেও যখন সমুদ্রের জলের উপরিভাগ এবং তার তলার অংশে ২ বিপরীতমুখী কারেন্ট বইতে থাকে, তখন একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায়। এই বিপরীতমুখী কারেন্ট বয় সাধারণত জোয়ার ভাটার সময়। আর এই সংঘাত এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। একে বলা হয় ক্রস সি বা স্কোয়ার ওয়েভ। যা কেবলই বিপরীতমুখী কারেন্টের ওপর নয়, দেখে মনে হয় জলের ওপর যেন কেউ চৌকো কেটে দিয়েছে। যেমন চাষের জমিতে চৌকো করে আল দেওয়া হয়, ঠিক তেমনই দেখতে লাগে চৌকো ঢেউকে। যা জলের ওপর বিশাল জায়গা জুড়ে অনেক চৌকো ঢেউ তৈরি করে। মনে হয় জলের বিশাল একটা অংশ জুড়ে যেন চৌকো চৌকো করে জল দিয়ে দাগ করা হয়েছে। শুধুই দুই বিপরীতমুখী কারেন্ট নয়, তার সঙ্গে এই এলাকায় চলা হাওয়ার ধরন, সমুদ্রের তলদেশের টোপোগ্রাফি, সবের ওপর নির্ভর করে এই চৌকো ঢেউ তৈরি হবে কিনা। খোলা সমুদ্রেই মূলত এই ঢেউয়ের দেখা মেলে। তবে অনেক সময় উপকূলের কাছাকাছিও এই ধরনের ঢেউ দেখা যায়।
পাঁচমিশালি Knowledge: সে কী! সমুদ্রের ঢেউ চৌকো! দেখেছেন কখনও? হয় কিন্তু! নিয়ে আসে ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত! Gallery June 14, 2024 Bangla Digital Desk দিঘা বা পুরীর সমুদ্রে কখনও ছোট ঢেউ, কখনও বিশালাকৃতির ঢেউ লক্ষ্য করা যায়। এই ধরনের ঢেউ দেখতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু ঢেউয়ের প্রকারভেদ আছে। যা ঘাতক। না, ছোট বা বড় ঢেউ নয়, এই ঢেউ বর্গাকৃতির। বিষয়টি শুনে হয়তো অবাক লাগতে পারে। কিন্তু সমুদ্র বড়ই রহস্যময়। সেখানে মাঝে মাঝে চৌকো ঢেউও ওঠে। আর চৌকো ঢেউ তৈরি হওয়া মানে কিন্তু চিন্তার কারণ। চৌকো ঢেউ খুব একটা দেখা না গেলেও যখন সমুদ্রের জলের উপরিভাগ এবং তার তলার অংশে ২ বিপরীতমুখী কারেন্ট বইতে থাকে, তখন একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায়। এই বিপরীতমুখী কারেন্ট বয় সাধারণত জোয়ার ভাটার সময়। আর এই সংঘাত এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। একে বলা হয় ক্রস সি বা স্কোয়ার ওয়েভ। যা কেবলই বিপরীতমুখী কারেন্টের ওপর নয়, দেখে মনে হয় জলের ওপর যেন কেউ চৌকো কেটে দিয়েছে। যেমন চাষের জমিতে চৌকো করে আল দেওয়া হয়, ঠিক তেমনই দেখতে লাগে চৌকো ঢেউকে। যা জলের ওপর বিশাল জায়গা জুড়ে অনেক চৌকো ঢেউ তৈরি করে। মনে হয় জলের বিশাল একটা অংশ জুড়ে যেন চৌকো চৌকো করে জল দিয়ে দাগ করা হয়েছে। শুধুই ২ বিপরীতমুখী কারেন্ট নয়, তার সঙ্গে এই এলাকায় চলা হাওয়ার ধরন, সমুদ্রের তলদেশের টোপোগ্রাফি, সবের ওপর নির্ভর করে এই চৌকো ঢেউ তৈরি হবে কিনা। খোলা সমুদ্রেই মূলত এই ঢেউয়ের দেখা মেলে। তবে অনেক সময় উপকূলের কাছাকাছিও এই ধরনের ঢেউ দেখা যায়। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি-র দাবি, এই ধরনের ঢেউয়ের মুখে পড়ে বেশ কয়েকটি জাহাজডুবির ঘটনাও ঘটেছে। ফ্রান্সের আইল ডে রে-তে এই ধরনের ঢেউ দেখা যায়। সমীক্ষা বলছে, উষ্ণায়ণের কারণে ঢেউয়ের চরিত্র বদলাচ্ছে। আরও ভয়ঙ্কর এবং শক্তিশালী হয়ে উঠছে সমুদ্রের ঢেউ। যার জেরে উপকূলীয় এলাকা ধ্বংসের মুখে পড়ছে।
পাঁচমিশালি Earth: মাটির উপরে নয়, ভূপৃষ্ঠের নীচে মিলল বিশাল সমুদ্র! ডুবে যাবে পৃথিবী? আসছে ভয়ঙ্কর বিপদ? Gallery May 25, 2024 Bangla Digital Desk শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি, পৃথিবীর গভীরে লুকিয়ে রয়েছে এক সুবিশাল সমুদ্র! বিজ্ঞানীদের নতুন এই দাবি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কয়েকজন গবেষক দাবি করেছেন, ভূপৃষ্ঠের নীচে এক বিপুল জলের ভাণ্ডার রয়েছে। শুধু তাই নয়, নীলাভ পাথরের মধ্যে নাকি লুকিয়ে আছে এই সমুদ্র! পৃথিবীতে এখন অন্যতম বড় সমস্যা জলের সঙ্কট। অনেকে দাবি করেন, যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয় তবে তা হবে জলের কারণেই। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ প্রতিবছর কমপক্ষে এক মাস প্রবল জলকষ্টে ভোগেন। এমন পরিস্থিতিতে ভৃপৃষ্ঠের নীচে বিশাল সমুদ্রের সন্ধান পাওয়ার দাবি নিঃসন্দেহে কৌতূহল জাগিয়েছে অনেকের মনে। এই সমুদ্রের জল কতটা ব্যবহারযোগ্য, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইভানস্টনের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল গবেষক গত কয়েক বছর ধরে এই বিপুল জল ভাণ্ডারের খোঁজে ছিলেন। অবশেষে সাফল্য মিলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। গবেষকদের দাবি, ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৭০০ কিলোমিটার নীচে রয়েছে এই সুবিশাল সমুদ্র। এই সমুদ্রের আকার-আয়তন নিয়েও কৌতূহল দেখা দিয়েছে। গবেষকদের দাবি, বিশ্বের সব মহাসাগরের আয়তন যোগ করলে যা হয়, তার তিন গুণ আয়তন এই নতুন সমুদ্রের। রিংউডাইট নামে এক নীলাভ পাথরের মধ্যে নাকি রয়েছে এই সমুদ্র। নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণার নেতৃত্বে থাকা গবেষক স্টিভেন জ্যাকবসেন জানান, পৃথিবীর বেশিভাগ জল আসে ভূপৃষ্ঠের নীচ থেকেই। তিনি বলেন, ‘রিংউডাইট পাথরটি স্পঞ্জের মতো। এই পাথরের জলধারণ করার ক্ষমতা অনেক বেশি।’ রিংউডাইট পাথর কীভাবে এত জল ধরে রাখতে পারে? বিজ্ঞানীদের কথায়, এই পাথরের গঠন খুবই অদ্ভুত। পাথরের যে কেলাসাকার গঠন রয়েছে তার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে জলধারণ ক্ষমতার রহস্য। কেলাসাকার গঠন হল পাথরের পরমাণুর বিন্যাস। এই বিন্যাসই হাইড্রোজেনকে আকর্ষণ করে। যার ফলে অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে পারে রিংউডাইট পাথর। জানা গেছে, এই গবেষণায় মোট ২০০০টি সিসমোগ্রাফ ব্যবহার করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে এসব সিসমোগ্রাফ ব্যবহার করা হয়েছে। সিসমোগ্রাফ যন্ত্রগুলোর মাধ্যমে ৫০০টি ভূমিকম্পের তরঙ্গকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেন গবেষকেরা। গবেষকদের দাবি, তরঙ্গগুলো পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তরের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু জায়গায় তার গতি কমে যায়। কেন এই গতি শ্লথ হয়ে গেল, তার অনুসন্ধান শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। সেই অনুসন্ধান করতে গিয়েই পৃথিবীর গভীরে থাকা এই বিশাল জলভাণ্ডারের খোঁজ পান তারা। ২০১৪ সালে কানাডার একদল গবেষকদের গবেষণায় এমন সুবিশাল জলরাশির ইঙ্গিত মিলেছিল। ওই গবেষকেরা আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসা এক হিরে নিয়ে গবেষণা করছিলেন। সেই গবেষণা করতে গিয়েই রিংউডাইট পাথরের খোঁজ পান তারা।