Tag Archives: Delhi crime

Delhi Coaching Centre Flood: দিল্লির IAS কোচিং সেন্টারে পড়ুয়াদের মৃত্যুতে ধৃত ইউটিউবার মনুজ কাঠুরিয়া, কিন্তু কী কারণে এই গ্রেফতারি?

নয়াদিল্লি: ব্যবসায়ী মনুজ কাঠুরিয়ার জন্য শনিবারটা অন্যান্য দিনের মতোই শুরু হয়েছিল। রাজধানী দিল্লিতে প্রবল বর্ষণ চলাকালীন স্ত্রী এবং বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ঘণ্টা প্রতি ১৫ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল তাঁর গাড়িটি। ওই গতিবেগেই জলমগ্ন রাজিন্দর নগরের বড় বাজার রোডের রাউস আইএএস স্টাডি সার্কেল পেরিয়েছিলেন মনুজ। সেখান থেকে তাঁর বাড়ি অবশ্য প্রায় এক কিলোমিটার দূরে স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের কাছে।

তবে মনুজ তখনও জানতেন না, তিনি কী কাণ্ড ঘটিয়ে এসেছেন! কারণ জলমগ্ন রাস্তা গাড়ি চালিয়ে পেরোনোর সময় রাউস আইএএস স্টাডি সার্কেলের গেট ভেঙে ফেলেছিলেন মনুজ। যেখানে বেসমেন্ট জলমগ্ন হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩ আইএএস পড়ুয়া। আসলে ওই বেসমেন্টেই ছিল স্টাডি সেন্টারের লাইব্রেরি। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর ১০৫ ধারার আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে মনুজ কাঠুরিয়া।

আরও পড়ুন: ১৪ দিন চিনি না খেলে শরীরে কী হয় জানেন? বিশেষজ্ঞের টিপস শুনলে চমকে যাবেন!

মনুজের আইনজীবী রাকেশ মালহোত্রা News18-কে জানান যে, তাঁর মক্কেল যে রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই রাস্তায় ঘণ্টা প্রতি ১৫ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রাফিক মুভমেন্টের অনুমতি ছিল। ফলে তাঁর মক্কেল অনুমোদিত সীমার মধ্যেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আসলে মনুজ যে লেনে গাড়ি চালাচ্ছিলেন, সেখানেই ছিল ওই বিল্ডিং। জলমগ্ন অবস্থায় ছিল রাস্তাঘাট। আর প্লাবিত রাস্তায় মনুজ গাড়ি চালানোর সময় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়, যা গিয়ে ধাক্কা মারে ওই বিল্ডিংয়ে। গেটটি ভেঙে যায় এবং ভিতরে জল ঢুকে যায়। যেখানে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায় আর মৃত্যু হয় ৩ পড়ুয়ার।

আরও পড়ুন: অলকা ৩৫ বছর স্বামীর থেকে আলাদা, কখনও শানু-কখনও উদিত! গায়িকার প্রেমজীবন চরম গোপনে রাখা

এখানেই শেষ নয়, মনুজের পক্ষে সওয়াল করে রাকেশ মালহোত্রা বলেন যে, “যাতায়াতের জন্য রাস্তাটা খোলা ছিল। ফলে সেখান দিয়ে শুধুমাত্র মনুজ কাঠুরিয়ার গাড়ি যায়নি। তাঁর আগে এবং পরে অন্যান্য গাড়িও সেই রাস্তা দিয়ে গিয়েছে।” আইনজীবীর কথায়, “রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিল্ডিংয়ের ভিতরে কী চলছে, সেটা জানা সম্ভব নয়। আশপাশে থাকা সমস্ত বিল্ডিংয়ে জলোচ্ছ্বাস ধাক্কা মেরেছে। আসলে ওই বিল্ডিংয়ের মালিক নিজের জায়গার অপব্যবহার করছেন এবং পৌর সংস্থার তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। গাড়ির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য ওই এলাকায় কোনও ট্রাফিক কিংবা স্থানীয় পুলিশ অফিসার ছিলেন না। একজন ব্যক্তি সেই রাস্তা দিয়ে গিয়েছেন, যেটি খোলা ছিল। তাহলে এতে তার ভুলটা কোথায়?”

মনুজের আইনজীবী আরও বলেন যে, “দিন কয়েক আগেই ওই এলাকা জলমগ্ন হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি নিজের অভিযোগে জানিয়েছিলেন, যে পরিমাণ জল ওই রাস্তায় জমছে, তাতে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দিল্লির মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (এমসিডি) এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এখন আন্দোলনরত পড়ুয়াদের শান্ত করতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হল। আসল অপরাধীকে না ধরে এই গ্রেফতারি চলছে। আসলে এত অভিযুক্ত তৈরি করা হচ্ছে, যাতে আসল অপরাধী ছাড়া পেয়ে যায়।” মঙ্গলবার অবশ্য মনুজের জামিনের কথা ছিল। কিন্তু সোমবার স্থানীয় আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, আগামী ১২ অগাস্ট পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখতে হবে তাঁকে।

এদিকে News18-এর কাছে মনুজের স্ত্রী সীমা বলন, “রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে পুলিশ আসে এবং আমার স্বামীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। তারা জানায় যে, ওই প্রতিষ্ঠানের পাশ দিয়ে যখন আমার স্বামী গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন, তখনই এই ঘটনাটি ঘটেছে। ফলে এই সংক্রান্ত বিষয়ে তারা আমার স্বামীকে জেরা করতে চান। আর এমনিতে বাড়িতে পুলিশ এলে তো উদ্বেগ-আতঙ্ক হবেই। কিন্তু তারা আমাদের আশ্বস্ত করে জানায় যে, এতে অপরাধমূলক দায় থাকবে না। ওই একই গাড়িতে তাঁকে যেতে বলা হয়। আর জেরা শেষে সেই গাড়িতেই তিনি দ্রুত ফিরে আসবেন বলেও আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়।”

সীমা বলে চলেন, “এর মিনিট কুড়ির মধ্যেই তাঁর শ্বশুরের কাছে একটি ফোন আসে। তাতে পুলিশ জানায় যে, মনুজকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। সীমার কথায়, আমরা স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। কারণ তখনও অভিযোগের ধারাগুলি জানতাম না। এরপরেই জানতে পারলাম যে, সবথেকে ভয়ঙ্কর ১০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হচ্ছে। যা জামিনঅযোগ্য। পরের দিন আমাদের আইনজীবী এফআইআর কপি পাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু সংবেদনশীল ঘটনা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যায় তারা। তারপর শুনানির সময় বিচারকের সামনে আমাদের হাতে এফআইআর-এর কপি তুলে দেওয়া হয়। যাতে প্রস্তুতির জন্য আইনজীবীর কাছে কোনও সুযোগই না থাকে।”

মনুজ কাঠুরিয়ার স্ত্রীর বক্তব্য, “ব্রেক লাইট অন ছিল। যে পরিস্থিতিতে জল গাড়ির বনেটে উঠে আসে, সেই পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা তো সকলেই করেন। তাই তিনি অবিরাম ব্রেকিং করছিলেন। কিন্তু যখন উনি বুঝেছিলেন যে, জল বনেটের উপর উঠে আসছে, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। গাড়ি ঘোরানো সম্ভব ছিল না। তাই তাঁকে বাধ্য হয়েই জলমগ্ন রাস্তা পেরিয়ে নিরাপদ স্থানে যেতে হয়েছে।” তবে এসবের মধ্যেও অবশ্য ভারতীয় বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা হারাচ্ছেন না সীমা।

বরং তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস যে, যেহেতু মনুজ কোনও অন্যায় করেননি, তাই খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবেন তিনি। প্রসঙ্গত, মনুজ কাঠুরিয়া সেদিন ২০২১ মডেলের Force Gurkha – 4×4 চালাচ্ছিলেন। এই গাড়িটি ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে হিমাচল প্রদেশের সোলানে রেজিস্টার করানো হয়েছিল। নিজের গাড়ি নিয়ে তাঁর একটি ইউটিউব চ্যানেলও ছিল। যার নাম ‘ইন্ডিয়ান ওভারল্যান্ডার’। এই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৮.২১ হাজার। এখনও পর্যন্ত পোস্ট করা হয়েছে ৪৯টি ভিডিও।

Delhi Crime: মেয়ের ফ্ল্যাটে ঢুকল বাবা, আলমারিতে মিলল সেই মেয়ের দেহ! লিভ-ইন পার্টনারের বীভৎস কাণ্ড!

নয়াদিল্লি: দিন কয়েক ধরে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না বাবা। এমনকী সন্তানের খারাপ পরিণতির কথাটাও বারবার মনে উঁকি দিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে বাবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল! একটি বাড়ির আলমারি থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর মেয়ের দেহ। খোদ রাজধানীর বুকে এহেন ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির দ্বারকা এলাকার ঘটনা। সেখানকার একটি বাড়ির আলমারি থেকে মিলেছে ২৬ বছর বয়সী যুবতীর দেহ। এই ঘটনায় তরুণীর লিভ-ইন পার্টনারের দিকেই আঙুল তুলছেন তাঁর বাবা। দিন কয়েক ধরে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে গত বুধবার পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ একটি পিসিআর কল আসে। যিনি কল করেছিলেন, তিনি জানান যে, তাঁর মেয়ে হয়তো খুন হয়ে গিয়েছেন। এই খবর পাওয়া মাত্রই দ্বারকার রাজাপুরী এলাকার সংশ্লিষ্ট বাড়িতে পৌঁছে যায় ডাবরি থানার একটি দল।

আরও পড়ুন: ভিতরে ভর্তি কঙ্কাল, ৩৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বিমান ফিরল এয়ারপোর্টে! বিশ্বের বড় রহস্য এই ঘটনা

উচ্চপদস্থ এক পুলিশ অফিসার সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ফ্ল্যাটে ঢোকা হয়। তারপর একটি ঘরের আলমারির মধ্যে থেকে ওই যুবতীর দেহটি উদ্ধার হয়। ক্রাইম টিম এবং এফএসএল গোটা ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছে। পুলিশ এ-ও জানায় যে, ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ওই যুবতীর বাবাও। তিনি অভিযোগ করেন, লিভ-ইন পার্টনার ভিপল টেলরের হাতেই খুন হয়েছেন তাঁর মেয়ে। অটোপ্সির জন্য আপাতত ওই যুবতীর মৃতদেহ ডিডিইউ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: পরিবারের ১১ জনেরই একসঙ্গে মৃত্যু! গণ আত্মহত্যা নাকি খুন? ভারতের সবথেকে রহস্যময় মৃত্যু-ঘটনা

মেয়ের সঙ্গে শেষ বার কথা হওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি অভিযোগ করেন যে, মেয়ে মাঝেমাঝেই বলত যে, লিভ-ইন পার্টনার ভিপল তাঁকে মারধর করতেন। এমনকী ভিপলের হাতে খুন হতে পারেন বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন ওই যুবতী।

ওই যুবতীর বাবা জানান, গত দেড় মাস ধরে লিভ-ইন পার্টনার ভিপলের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া করে থাকছিলেন ওই যুবতী। আপাতত সুরাতের বাসিন্দা ওই অভিযুক্তকে পাকড়াও করার জন্য তল্লাশি অভিযান চলছে জোরকদমে। মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ভিপলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (খুন)-র অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকী ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যদিও এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে রাজধানী দিল্লির বুকেই লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালার হাতে নৃশংস ভাবে খুন হয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী শ্রদ্ধা ওয়ালকর। প্রেমিকার দেহের ৩৫ টুকরো করেছিল অভিযুক্ত। ২০২২ সালের মে মাসের ঘটনা। আর শ্রদ্ধা খুনের নৃশংসতায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশের মানুষ।

Burari Death: পরিবারের ১১ জনেরই একসঙ্গে মৃত্যু! গণ আত্মহত্যা নাকি খুন? ভারতের সবথেকে রহস্যময় মৃত্যু-ঘটনা

একের পর এক কাগজে লেখা ধর্মীয় বিশ্বাসের কথা। কোথাও লেখা, ‘একই গোষ্ঠীর ১১ জন যদি একই ধর্মীয় মত মেনে চলে, তবে মোক্ষ লাভ করা সম্ভব।’ কোনও কাগজে আবার লেখা, ‘চোখ এবং মুখ কাপড়ে ঢেকে ফেললে, মনের ভয় অনেকটাই কেটে যায়।’ দিল্লির একই পরিবারের ১১ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে, এমনই সব নথি উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
একের পর এক কাগজে লেখা ধর্মীয় বিশ্বাসের কথা। কোথাও লেখা, ‘একই গোষ্ঠীর ১১ জন যদি একই ধর্মীয় মত মেনে চলে, তবে মোক্ষ লাভ করা সম্ভব।’ কোনও কাগজে আবার লেখা, ‘চোখ এবং মুখ কাপড়ে ঢেকে ফেললে, মনের ভয় অনেকটাই কেটে যায়।’ দিল্লির একই পরিবারের ১১ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে, এমনই সব নথি উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
যা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করছিল পুলিশই। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ১১ জনের মধ্যে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে গলায় দড়ি দিয়ে। তাঁদের শরীরে কোনো রকমের ধস্তাধস্তির বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
যা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করছিল পুলিশই। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ১১ জনের মধ্যে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে গলায় দড়ি দিয়ে। তাঁদের শরীরে কোনো রকমের ধস্তাধস্তির বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
পরিবাররের সবথেকে বয়স্ক সদস্য ৭৭ বছরের নারায়ণ দেবীর দেহ উদ্ধার হয় মেঝে থেকে। সে সময় প্রশ্ন ওঠে এটি কি কোনও গণ আত্মহত্যা নাকি খুন? বুরারি রহস্যমৃত্যু-কাণ্ডের উপর ভিত্তি করে একটি তথ্যচিত্র নিয়ে এসেছে নেটফ্লিক্স। যার নাম 'হাউস অফ সিক্রেটস: দ্য বুরারি ডেথস।
পরিবাররের সবথেকে বয়স্ক সদস্য ৭৭ বছরের নারায়ণ দেবীর দেহ উদ্ধার হয় মেঝে থেকে। সে সময় প্রশ্ন ওঠে এটি কি কোনও গণ আত্মহত্যা নাকি খুন? বুরারি রহস্যমৃত্যু-কাণ্ডের উপর ভিত্তি করে একটি তথ্যচিত্র নিয়ে এসেছে নেটফ্লিক্স। যার নাম ‘হাউস অফ সিক্রেটস: দ্য বুরারি ডেথস।
টানটান সেই ছবিতে প্রতিটি মুহূর্ত একেবারে চমকে ওঠার মতো। মৃত্যুর পিছনে কী কী কারণ থাকতে পারে সেসব পরিষ্কার ভাবে তথ্যচিত্রে তুলে ধরেছেন পরিচালক লীনা যাদব। দীর্ঘদিন এনিয়ে বিভিন্ন মাধ্য়মে গবেষণা চালিয়ে তথ্য জোগার করে তথ্যচিত্রটি বানিয়েছেন তিনি।
টানটান সেই ছবিতে প্রতিটি মুহূর্ত একেবারে চমকে ওঠার মতো। মৃত্যুর পিছনে কী কী কারণ থাকতে পারে সেসব পরিষ্কার ভাবে তথ্যচিত্রে তুলে ধরেছেন পরিচালক লীনা যাদব। দীর্ঘদিন এনিয়ে বিভিন্ন মাধ্য়মে গবেষণা চালিয়ে তথ্য জোগার করে তথ্যচিত্রটি বানিয়েছেন তিনি।
বুরারি এলাকার সন্ত নগরের দোতলা বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ভাটিয়া পরিবারের ১১ জনের প্রাণহীন দেহ। এঁরা হলেন বছর সাতাত্তরের গৃহকর্ত্রী নারায়ণ দেবী। দুই ছেলে ভবনেশ (৫০) ও ললিত (৪৫), দুই পুত্রবধূ সবিতা (৪৮) ও টিনা (৪২) এবং পাঁচ নাতি-নাতনি—প্রিয়ঙ্কা (৩৩), নীতু (২৫), মোনু (২৩), ধ্রুব (১৫) এবং শিবম (১৫)।
বুরারি এলাকার সন্ত নগরের দোতলা বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ভাটিয়া পরিবারের ১১ জনের প্রাণহীন দেহ। এঁরা হলেন বছর সাতাত্তরের গৃহকর্ত্রী নারায়ণ দেবী। দুই ছেলে ভবনেশ (৫০) ও ললিত (৪৫), দুই পুত্রবধূ সবিতা (৪৮) ও টিনা (৪২) এবং পাঁচ নাতি-নাতনি—প্রিয়ঙ্কা (৩৩), নীতু (২৫), মোনু (২৩), ধ্রুব (১৫) এবং শিবম (১৫)।
এঁদের মধ্যে ১০ জনের দেহ পাওয়া যায় একই ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায়। অন্য ঘরে পড়ে ছিল নারায়ণ দেবীর দেহ। তিনি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
এঁদের মধ্যে ১০ জনের দেহ পাওয়া যায় একই ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায়। অন্য ঘরে পড়ে ছিল নারায়ণ দেবীর দেহ। তিনি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের মনে হয়েছিল, তাঁরা প্রত্যেকে হয়ত আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু লেখা নথি উদ্ধারের পর, পুলিশের একাংশের ধারণা, পরিবারের অন্যান্যদের মেরে শেষ ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু তিনি কে? তবে কি পরিবারের সকলেই অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাস করতেন? উদ্ধার হওয়া একটি কাগজে লেখা ছিল, ‘শরীর সাময়িক, কিন্তু আত্মা অবিনশ্বর।’
প্রাথমিকভাবে পুলিশের মনে হয়েছিল, তাঁরা প্রত্যেকে হয়ত আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু লেখা নথি উদ্ধারের পর, পুলিশের একাংশের ধারণা, পরিবারের অন্যান্যদের মেরে শেষ ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু তিনি কে? তবে কি পরিবারের সকলেই অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাস করতেন? উদ্ধার হওয়া একটি কাগজে লেখা ছিল, ‘শরীর সাময়িক, কিন্তু আত্মা অবিনশ্বর।’
সমস্ত লেখায়, ‘মোক্ষ লাভ হলে চিরশান্তি লাভ করা সম্ভব’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এখানেই রহস্যের গন্ধ পায় পুলিশ। প্রত্যেকের হাত ও পা বাঁধা হয়েছিল একই ভাবে। পরিবারে ছোটদের হয় খুন করা হয়েছিল, না হলে তাঁদের আত্মহত্যায় উত্‌সাহ দেওয়া হয়েছিল। বয়সের কারণে নারায়ণ দেবী টুলে উঠে গলায় দড়ি দিতে পারবেন না বুঝে, তাঁকে গলা টিপে মারা হয়েছিল। এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
সমস্ত লেখায়, ‘মোক্ষ লাভ হলে চিরশান্তি লাভ করা সম্ভব’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এখানেই রহস্যের গন্ধ পায় পুলিশ। প্রত্যেকের হাত ও পা বাঁধা হয়েছিল একই ভাবে। পরিবারে ছোটদের হয় খুন করা হয়েছিল, না হলে তাঁদের আত্মহত্যায় উত্‌সাহ দেওয়া হয়েছিল। বয়সের কারণে নারায়ণ দেবী টুলে উঠে গলায় দড়ি দিতে পারবেন না বুঝে, তাঁকে গলা টিপে মারা হয়েছিল। এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।

Delhi Crime: মুখার্জিনগরে যুবতীকে কোপ রাঁধুনির, রাস্তায় রক্তের বন্যা! কারণ শুনলে শিউরে উঠবেন

নয়াদিল্লি: রাস্তায় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ভয়ঙ্কর দৃশ্য। শুক্রবার দিল্লির মুখার্জিনগরে এক যুবতীকে দিনের বেলা আচমকা এক যুবকের একাধিক বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর ঘটনা ঘটে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ঘটনার ভিডিও।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি ধারালো ছুরি হাতে নিয়ে এক যুবক আচমকা এক যুবতীর উপর হামলা চালাতে শুরু করে। পেটে প্রায় পাঁচ বার কোপানো হয়। জানা গিয়েছে অভিযুক্তের নাম আমন। ওই এলাকাতেই একটি পেয়িং গেস্টে রাঁধুনির কাজ করে সে। পুলিশকে অভিযুক্ত জানিয়েছে কেন সে এই হামলা চালিয়েছে।

আরও পড়ুন: এ কেমন পোজ! বিকিনিতে বোল্ড শর্মিলাকে দেখে ?নোংরা? মন্তব্যের বন্যা, টাইগার পতৌদি কী বলেছিলেন জানেন?

পুলিশের দাবি, পেয়িং গেস্টের পড়ুয়ারা তাকে ?পাগল পাগল? বলে বিরক্ত করে। উত্যক্ত করে অসংখ্যবার। সে কারণেই এমন ভয়াবহ হামলা চালায় সে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীরা ওই ঘটনা দেখতে পান। ছুটে এসে যুবতীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। আপাতত যুবতী স্থিতিশীল রয়েছেন।

আরও পড়ুন: অনুষ্কার ভাইয়ের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম হঠাৎ একদিন শেষ! তৃপ্তি-কর্ণেশের প্রেম কেন ভেঙেছিল জানেন? চমকে যাবেন

পুলিশের দাবি, ওই ঘটনার পর সেখান থেকে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে সনাক্ত করে পরে গ্রেফতার করা হয়। দিনের পর দিন অপমানিত হয়েই রাগে এই হামলা আমন চালিয়েছে বলে দাবি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।