কলকাতা: দল পালটায়, কোচ বদলায়, ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য আর বদলায় না৷ ফের একটা ডার্বি, এবং সেখানে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের কাছে হারতে হল লাল-হলুদ ব্রিগেডকে৷ তবে একই দিনে কার্যত সবুজ-মেরুন সমর্থকদের হৃদয় জিতে নিলেন অসি স্ট্রাইকার ম্যাকলারেন৷
নতুন মরশুম অনেক আশা নিয়ে শুরু করেছিল লাল-হলুদ৷ কোচ কুয়াদ্রাতকে ঘরে স্বপ্ন দেখাও শুরু হয়েছিল৷ কিন্তু আইএসএল শুরু হতেই যে কে সেই৷ ইস্টবেঙ্গল ফের সেই হারের সারণীতে৷ কবে ঘুরে দাঁড়াবে তারা? ঈশ্বরও হয়তো জানেন না৷ ঠিক উল্টো ছবি মোহনবাগানে৷ পালে হাওয়া পেতেই অপ্রতিরোধ্য মোহনবাগান৷ তাদের দুই অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলারই লাল-হলুদের কফিনে পেরেক পুঁতে দিলেন শনিবার৷
আরও পড়ুন : ডার্বি মোহনবাগানের, শেষ ৯ টি বড় ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গল
শনিবারের সন্ধ্যায় ডার্বিতে নামার আগেই অবশ্য সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের থেকে মানসিক দিক থেকে পিছিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল৷ আর সেটা তাদের খেলাতেও পরিষ্কার৷ মোহনবাগানের লিস্টন, মনবীররা সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো আক্রমণ করে যাচ্ছিল একের পর এক৷ কপাল সঙ্গে থাকলে মোহনবাগান আজ আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত৷
অস্ট্রেলিয়ার তারকা স্ট্রাইকার জেমি ম্যাকলেরেন-এর এটাই প্রথম ডার্বি৷ হাই প্রোফাইল প্লেয়ার৷ সুযোগ পেলে চোখ বন্ধ করে গোল করে দিতে পারেন৷ গোটা ম্যাচে সবমিলিয়ে দুটো সুযোগ পেলেন, ঈগলের মতো ছোঁ মেরে একটা গোল করে দিয়ে গেলেন৷ লাল-হলুদের গিল প্রথম পোস্টে দেখে গেলেন৷ তাঁর গোলেই বিরতির আগে এগিয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট৷ ম্যাকলারেনের নামের পাশে গোল সংখ্যা দুইও লেখা হতে পারত৷ একটি সুযোগ নষ্ট করলেন৷ ফাঁকায় বল পেলেও লাল-হলুদের গোলকিপার গিলের গায়ে মারলেন তিনি৷
আরও পড়ুন : বিশ্বকাপ ফাইনাল রবিবার! দুই দলের নাম পাকা, ক্রিকেটবিশ্ব পাবে নতুন চ্যাম্পিয়ন
আশা করা হয়েছিল খোঁচা খাওয়া বাঘের মতোই বিরতির পর ফিরবে ইস্টবেঙ্গল৷ তালাল, ক্রেসপো, সৌভিকরা চেষ্টা করলেন৷ কিন্তু গোলের সামনে গিয়ে বারবার খেই হারিয়ে ফেলল লাল-হলুদ আক্রমণ৷ তালাল টানা চেষ্টা করে গেলন, কিন্তু মোহন প্রাচীরকে টপকাতে পারলেন না৷
মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোল দিমি পেত্রাতোসের৷ পেনাল্টি থেকে৷ তবে এই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠলে অবাক হবার থাকবে না৷ প্রথমার্ধের মতোই, সেকেন্ড হাফে একাধিক সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করলেন কোলাসো এবং মনবীর৷ গোলগুলি হলে আরও লজ্জায় পড়তে হত ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের৷