Tag Archives: Devastating Fire

Devastating Fire: রিমল-এর দাপটে বৃষ্টি, তার মাঝেই জ্বলছে সব! দুর্গাপুরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড

পশ্চিম বর্ধমান : সকাল থেকে যখন ঘূর্ণিঝড় রিমলের প্রভাবে শহর জুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তখন দুর্গাপুর বাজারে দেখা গেল দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। দুর্গাপুর স্টেশন বাজারে একটি কাপড়ের দোকানে এদিন আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা দোকানে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ইঞ্জিন। অন্যদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুর স্টেশন বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

কারণ ওই কাপড়ের দোকান থেকে আশপাশের সমস্ত দোকানগুলিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছিলেন অনেকে। যদিও দমকলের তৎপরতায় বড় এড়ানো গিয়েছে। তবে যে কাপড়ের দোকানে আগুন লেগেছিল, সেখানে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত আগুন লাগার সঠিক কারণ সামনে আসেনি। অনুমান করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। যদিও দমকল ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: বাজারে ছেয়ে আছে ল‍্যাংড়া, হিমসাগর, চৌসা! দেদার খাচ্ছেন আম? বাড়ছে নাকি ইউরিক অ‍্যাসিড? বড় সত‍্যি জানেন না ৯৯% লোকজন

অন্যদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ওই দোকানের মালিক। দোকানে মজুত করে রাখা বিভিন্ন নামিদামি জামা কাপড় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে এই বড়সড় ক্ষতির পর কার্যত মুছরে পড়েছেন তিনি। দোকানের মালিক জানিয়েছেন, তিনি যখন সকালে দোকান খুলতে আসেন, তখনই তিনি এই আগুন দেখতে পান। দ্রুততার সঙ্গে তিনি দমকলে খবর দেন।

কারণ এই আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ বাহিনী। কিন্তু কাপড়ের দোকানের লাগা এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক ঘন্টা সময় লেগেছে দমকল কর্মীদের।

আরও পড়ুন: ফোন সময়ে আপডেট করছেন না? বড় ক্ষতি হচ্ছে! বিস্ফোরণ হতে পারে কী? ৯৯%ই করছেন বিরাট ভুল

এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল এলাকা। অন্যদিকে দমকল বাহিনীর তৎপরতায় এই আগুন আশপাশের দোকানগুলিতে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। যে কারণে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন দুর্গাপুর স্টেশন বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।

নয়ন ঘোষ

Fire: গেমিং জোনে ভয়াবহ আগুন! গুজরাতের রাজকোটে মৃত অন্তত ২০, শিশুদের আটকে থাকার আশঙ্কা

গুজরাত: শনিবার রাতে মর্মান্তিক ঘটনা। গুজরাতেকর রাজকোটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত‍্যু ২০ জনের। সূত্রের খবর অনুযায়ী গেমিং জোনে আগুন লেগেই ঘটেছে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা যায় রাজকোটের টিআরপি গেমিং জোনকে। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

রাজকোট থানার পুলিশ কমিশনার রাজু ভার্গব সংবাদমাধ‍্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘সন্ধ‍্যে নাগাদ টিআরপি গেমিং জোনে আগুন লাগে। উদ্ধারকাজ চলছে। এই মুহূর্তে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দেহ উদ্ধারের কাজ চলছে।’’

আরও পড়ুন: ‘রিমল’ আসার আগেই প্রকৃতির তাণ্ডব দক্ষিণের ৩ জেলায়! ধেয়ে আসছে বজ্রবিদ‍্যুত্‍-সহ বৃষ্টি, বইবে ঝোড়ো হাওয়া

তিনি আরও জানান প্রায় ২০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গেমিং জোনের মধ‍্যে আরও অনেকেই আটকে থাকতে পারে আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এমনকী গেমিং জোনে খেলতে আসা বহু অল্পবয়সি এবং শিশুদের আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, গেমিং জোনের মালিক যুবরাজ সিং সোলাঙ্কি নামের এক ব‍্যক্তি। কীভাবে আগুন লাগল, সেই বিষয়ে তদন্ত চলবে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: শনিবার রাত থেকেই শুরু রিমলের তাণ্ডব! কলকাতায় কবে কাটবে দুর্যোগ? উত্তরের আবহাওয়া কেমন থাকবে?

গুজরাতের মুখ‍্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং প‍্যাটেল জানিয়েছেন তিনি উদ্ধারকার্যের উপর নজর রাখছেন। ট‍্যুইট করে তিনি জানান, ‘‘ রাজকোটের গেম জোনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাৎক্ষণিক উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য পৌর সভা এবং প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

Fire: সকালে চা বানাতে গিয়েই…দাউদাউ করে জ্বলে উঠল বাড়ি! বিধ্বংসী আগুন চুঁচুড়ায়

হুগলি: শনিবার সাত সকালে বিধ্বংসী আগুন হুগলির চুঁচুড়ায়। আগুনে পুড়ে ছাই বাড়ির সর্বস্ব। ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়া ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিলপাড় এলাকায়। সেখানেই এক বৃদ্ধার বাড়িতে আগুন লাগে। দমকলের প্রচেষ্টায় আধ ঘণ্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিলপাড়ের বাসিন্দা তপতী দাস। সেখানেই নিজের নাতনিকে নিয়ে বসবাস করতেন বাড়িতে। আজ সকালবেলায় কাঠের উনুনে চা বানিয়ে চা খেয়ে কাজে চলে যান। সেই কাঠের আগুনের ফুলকি থেকেই এই আগুন লেগেছে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: পুরনো মাটির কলসি ফেলবেন না, ২ সহজ টিপস্ মনে রাখুন, কনকনে ঠান্ডা থাকবে জল! ফ্রিজের চেয়ে হাজার গুণ আরামদায়ক

ঝিলপাড় এলাকা অত্যন্ত ঘন জনবসতিপূর্ণ। তাই আগুন লাগার পরেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেই কারণে পাড়া-প্রতিবেশীরাই প্রথমে জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে দমকল এসে পৌঁছানোর পর আধঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এলাকার মানুষ জানান, হঠাৎ করেই আমরা দেখি তপতীর বাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। উঁকি মেরে দেখলেই জানা যায় ভিতরে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, পাড়া-প্রতিবেশীরা তড়িঘড়ি খবর দেয় এলাকার কাউন্সিলর মৌসুমী মাঝিকে , খবর পেয়েই মৌসুমী ফায়ার ব্রিগেডে খবর দিলে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি সেখানে সময় মত চলে আসে। কিন্তু এলাকার সংকীর্ণ হওয়ায় ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়।

আরও পড়ুন: ছোট্ট ছোট্ট দানাই ইউরিক অ‍্যাসিডের মহাশত্রু! খালি পেটে এই বীজের এক গ্লাস জল খেলেই কেল্লাফতে

পরবর্তীতে একটি ছোট দমকলের ইঞ্জিন নিয়ে এসে ঝিল থেকে জল তুলে প্রায় ৩০ মিনিটের অভিযানে সেই আগুন নেভানো হয়।,বাড়ির মালিক তপতী দাস জানান তিনি তার ছোট্ট নাতনিকে নিয়ে ওই ঘরে থাকেন, সকালবেলা কাঠের উনুনে চা করে চা খেয়ে তার কাজে বেরিয়ে গিয়েছিল। নাতনিও সেই সময় ছিল না ঘরে, এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে সাহায্যর আবেদন জানান বৃদ্ধা তপতী দাস।

রাহী হালদার

Fire: দাউদাউ করে জ্বলছে গোটা বাড়ি! ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বসিরহাটে

বসিরহাট: আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই বাড়ি, প্রাণে বাঁচল পরিবারের সদস্যরা। বসিরহাট মহাকুমা এলাকায় অগ্নিকাণ্ড যেন পিছু ছাড়ছে না।

গত রবিবার রাতে হাসনাবাদের রেল স্টেশন সংলগ্ন বস্তিতে আগুন লাগার পর ফের অগ্নিকাণ্ডের ছবি ধরা পড়ল হিঙ্গলগঞ্জের কাঠালবেড়িয়ায়। আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে গেল বাড়ি-সহ নগদ টাকা, শংসাপত্র-সহ জমির দলিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের গোবিন্দকাঠী পঞ্চায়েতের কাঁঠালবেড়িয়া গ্ৰামের রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ভূষ্মীভূত হল বাড়ি। মাটির বাড়ির পাশাপাশি আলাদাভাবে পাশেই ইটের বাড়ি তৈরি করেছেওই পরিবার।

আরও পড়ুন: চার্জে বসালেই আগুণ হয়ে যাচ্ছে ফোন? বড় সর্বনাশ হতে পারে, এখনই জেনে নিন সমাধানের উপায়

বাড়ির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন না হয় মাটির বাড়িতেই ছেলে মেয়েও স্ত্রীকে নিয়ে দিন কাটাতেন রবীন্দ্রনাথ। প্রাথমিক অনুমান, উনানের আগুন উপরে উঠে পুড়ে গিয়েছে বাড়ি। পাশাপাশি আগুনে পুড়ের ছাই হয়ে গিয়েছে পিয়ালী মন্ডল ও ভাই রাজীব মণ্ডলের স্নাতকোত্তর ডিগ্রির শংসাপত্র। আগুন ধরার পর একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন ধরে লেলিহান শিখায় পরিণত হয়।

এলাকার মানুষ এসে জল দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে তা আগুনের গ্রাসের দখলে চলে যায়। দমকলে খবর দেওয়া হলে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে যদিও ততক্ষণের সব পুড়ে শেষ।

জুলফিকার মোল্যা