Tag Archives: Driving license

West Medinipur News: মেলায় পাওয়া যাচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স! মেদিনীপুরে চলছে, জেলা পুলিশের বড় উদ‍্যোগ

পশ্চিম মেদিনীপুর: নিত্যদিন বাড়ছে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা। একই হারে মৃত্যু হচ্ছে সাধারণ মানুষের। মানুষের অসচেতনতা, অসাবধানতার কারণেই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। অধিকাংশ মানুষ হেলমেট না পরে, লাইসেন্স ছাড়া রাস্তায় বাইক নিয়ে বেরোচ্ছেন। জেলা পুলিশের ব্যবস্থায় নয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে জেলায় সাত দিন ধরে চলবে ড্রাইভিং লাইসেন্স মেলা। যেখানে খুব সহজে সাধারণ মানুষ ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে পারবেন। খরচ হবে খুব সামান্য। শুধু তাই নয় জেলা পুলিশের উদ্যোগে সাত দিন ধরে থাকবে নানা সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন জিনিস বাগানে সবুজ, বাজারে কালো আর ‘বাড়িতে লাল’ হয়? রান্নাঘরেই আছে কিন্তু! ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

চলতি মাসের ৮ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি, চলবে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে এই ড্রাইভিং লাইসেন্স মেলার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে সরকারি মূল্যে গাড়ির লাইসেন্স তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি গাড়ির চালক ও আরোহীদের জন্য সচেতনতা মূলক শিবিরও করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারের হাত ধরে উদ্বোধন হয় এই অনুষ্ঠানের। আগামী ৭ দিন ধরে থাকবে নানান সচেতনতামূলক কর্মসূচি। প্রতিটি থানার পক্ষ জন্য নির্দিষ্ট দিনে এই লাইসেন্স তৈরি করা হবে।

প্রসঙ্গত চালকের অজ্ঞতা ও অসাবধানতার কারণে নিত্যদিন লেগেই আছে দুর্ঘটনা। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। তাই দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে এবং সাধারণ মানুষ যাতে নিয়ম মেনে গাড়ি চালান তার জন্য নেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন: ওয়ানাডে প্রধানমন্ত্রী, আকাশপথে ধস বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন মোদি

শুধু তাই নয় শেষ দিনে থাকছে সচেতনতামূলক পথনাটিকা। কীভাবে বাইক চালানো যাবে রাস্তায়, কী কী ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, তা বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তুলে ধরবেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।

স্বাভাবিকভাবে আরটিও অফিসে লাইন দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা নয়, পুলিশের উদ্যোগে তৈরি করা হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স। প্রতিদিনই বেশ ভালো ভিড় জমছে পুলিশ লাইনে। আর এই লাইসেন্স পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।

রঞ্জন চন্দ

Murshidabad News: ঘরের কাছেই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন! লাইসেন্স পেতে সদরে যেতে হবে না কান্দির মানুষকে

মুর্শিদাবাদ: এত দিন গাড়ি বা বাইক চালাতে গেলে লাইসেন্স বার করতে যেতে হত জেলার সদর শহর বহরমপুরে। এখন সেই সমস্যার সুরাহা হল কিছুটা। কান্দি মহকুমার বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখেই মহকুমা স্তরে চালু হল আরটিও বা অতিরিক্ত আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের অফিস। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ও রঘুনাথগঞ্জে আগেই ছিল আরটিও অফিস। তবে এবার কান্দি মহকুমাতে চালু হওয়ায় আর বহরমপুর বা রঘুনাথগঞ্জে যেতে হবে না কাউকে। বাড়ির কাছেই নম্বর প্লেট সহ পরিবহণ দফতরের সমস্ত কাজ করতে পারবেন স্থানীয়রা, আশা পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের।

ঘরের কাছেই এবার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন! খুশি স্থানীয়রানতুন আরটিও অফিস তৈরি হতেই চিন্তামুক্ত সাধারণ মানুষ। কান্দি মহকুমার মুকুটে যুক্ত হল নতুন পালক। মুর্শিদাবাদের কান্দিতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল আরটিও অফিসের। কান্দির মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্থানীয় একটি আরটিও অফিসের। এত দিন কান্দি মহকুমায় ৫টি ব্লকের মানুষকে মোটর ভেহিকেলসের যে কোন কাজের জন্য যেতে হত বহরমপুরে। এবার সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কান্দি মহকুমার মানুষ।

আরও পড়ুন- প্রতিমার অঙ্গে কী সেই বিশেষ সাজ? বিসর্জনের পর ক্ষতি হবে না পরিবেশের

অফিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক দীননারায়ন ঘোষ, কান্দি মহকুমা শাসক উৎকর্ষ সিং, কান্দি বিধানসভার বিধায়ক অপূর্ব সরকার কান্দি পৌরসভার পৌরপিতা জয়দেব ঘটক, পরিবহন দফতরের আধিকারিক সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। কান্দি মহকুমা শাসক কার্যালয়ে এই অফিস চালু হতেই এবার কাজ হবে অতি দ্রুতই। স্বস্তিতে বাইকচালক থেকে গাড়ির চালক সকলেই।

কৌশিক অধিকারী

Success Story: দুই হাত নেই, পা দিয়েই চালান গাড়ি, ড্রাইভিং লাইসেন্স পেলেন এশিয়ার প্রথম প্রতিবন্ধী মহিলা কেরলের জিলুমল

কলকাতাঃ দৃঢ় সংকল্প থাকলে কী না করা যায়! পাহাড় ডিঙনোও সম্ভব। এর সঙ্গে যদি মেশে আবেগ, কোনও কিছুই আর অধরা থাকে না। সংকল্প আর আবেগের সবচেয়ে বড় উদাহরণ জিলুমল মেরিয়েট থমাস। কেরলের বাসিন্দা। ৩২ বছর বয়স। দুটো হাত নেই। কিন্তু তিনিই এশিয়ার প্রথম মহিলা, দুই হাত না থাকা সত্ত্বেও যিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ রাতে নিজের বা প্রিয়জনের মৃত‍্যুর স্বপ্ন! এ আসলে কোন ইঙ্গিত, কোনও বিপদ-সঙ্কেত কি

জিলুমল তাহলে গাড়ি চালান কীভাবে? পা দিয়ে। হ্যাঁ, দুই পা দিয়েই স্টিয়ারিং ধরেন তিনি। গিয়ার বদলান। ব্রেক কষেন। সব। দীর্ঘ ৬ বছরের অপেক্ষার পর ২০২৩ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয় তাঁকে। পাল্লাকাদে জিলুমলের হাতে লাইসেন্স তুলে দিয়েছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন স্বয়ং।

জন্ম থেকেই দুই হাত নেই জিলুমলের। এটা এক ধরনের জন্মগত ব্যাধি। তবে জিলুমল ভেঙে পড়েননি। দোষারোপ করেননি ভাগ্যকে। তিনি অন্য ধাতুতে গড়া। ছোট থেকেই নিজেকে গড়ে তুলেছেন অন্যভাবে। হাতের সমস্ত কাজ তিনি পা দিয়েই করেন। অত্যন্ত অনায়াসে। গাড়িও চালান। তবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য রাজ্য কমিশন এবং কোচির একটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় তাঁর গাড়িতে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।

গাড়ি চালানো জিলিমলের স্বপ্ন ছিল। বিশেষ করে মা-বাবাকে হারানোর পর, স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য এটা প্রয়োজনও ছিল। ভাদুথালার মারিয়া ড্রাইভিং স্কুলে গাড়ি চালানো শেখেন তিনি। তারপর ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ইদুক্কি জেলার থুদুপুজা আরটিও-তে আবেদন করেন। আরটিও আধিকারিকরা এককথায় নাকচ করে দিয়েছিলেন তাঁর আবেদন। সঙ্গে সঙ্গে কেরালা হাই কোর্টে মামলা ঠোকেন তিনি।

আদালতের হস্তক্ষেপে জিলুমলের ড্রাইভিং টেস্ট হয়। এমভিভি কর্মকর্তাদের সামনে গাড়ি চালান তিনি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে অস্বীকার করে। অবশেষে, তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য রাজ্য কমিশনের কাছে যান৷ কমিশন ইন্দোরের বিক্রম অগ্নিহোত্রীর উদাহরণ দেন। তিনিই ভারতের প্রথম ব্যক্তি যিনি দুই হাত না থাকার পরেও ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছিলেন।

এরপর অবশেষে ড্রাইভিং লাইসেন্স পান জিলুমল। তিনি বলেন, “এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল। এখন লাইসেন্স হাতে পেয়ে আমি খুশি। সবচেয়ে বড় বাধা অতিক্রম করতে পেরেছি”।