Tag Archives: district police

West Medinipur District Police: পুজোর আগে পুলিশের নিজের তলায় রদবদল

পশ্চিম মেদিনীপুর: এবার জেলা পুলিশের একাধিক পদে রদবদল। বদল করা হল একাধিক থানার ওসি’কে। শুধু তাই নয়, বদল করা হয়েছে সাব-ইন্সপেক্টর এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টরদেরও। একটি নির্দেশিকায় এই রদবদলের বিষয়টি জানানো হয়েছে। যদিও প্রশাসনিক মহল থেকে দাবি করা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের পর এটি রুটিন বদলি।

বেলদা, পিংলা, গুড়গুড়িপাল থানার ওসি-দের বদল করা হয়েছে। এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাধিক থানায় বেশ কয়েকজন সাব ইন্সপেক্টর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টরদের বদলি করা হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গুড়গুড়িপাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সমীর সর্দারের পরিবর্তে নতুন ওসি হিসেবে যোগ দেবেন মনোরঞ্জন শিট। একইভাবে পিংলা থানার ওসি গোবর্ধন সাহুর জায়গায় নতুন ওসি হিসেবে আসছেন চিন্ময় প্রামাণিক। অন্যদিকে বেলদা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুজিত ঘোষের পরিবর্তে নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করতে চলেছেন গোবর্ধন সাহু।

আরও পড়ুন: দেওয়ালে পট চিত্র, মধুবনী পেইন্টিং, জানেন কোথায় আছে এমন বিদ্যালয়?

জেলার তিনটি থানার ওসি এবং বেশ কয়েকটি আউটপোস্টের ইনচার্জদের বদল করা হয়েছে। এছাড়াও দাঁতন, সবং, গড়বেতা, চন্দ্রকোনা সহ একাধিক থানার সাব-ইন্সপেক্টর এবং দুজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর মিলিয়ে মোট ১৮ জনের বদলির নির্দেশিকা জারি হয়েছে।

জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, এটি রুটিন বদলি। রদবদলের ফলে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অধিকারীদের দ্রুততার সঙ্গে নতুন জায়গার দায়িত্বভার গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব নিতে শুরু করেছেন আধিকারিকেরা।

রঞ্জন চন্দ

Bangla Video: নিরাপত্তায় জোরদার মালদহের সোনার মার্কেট চত্বর! ২৪ ঘণ্টা মোতায়েন পুলিশ

মালদহ: নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে মালদহ শহরের সোনার দোকান গুলিতে। বারবার সোনার দোকানে একের পর এক চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীরা। তাই সমস্ত সোনার দোকানের সামনে সিসিটিভি লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন মালদহ জেলা পুলিশ। এছাড়াও মোতায়ন করা হয়েছে অস্ত্রধারী পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। প্রত্যেক ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশের জরুরী কালীন মোবাইল নম্বর।

আরও পড়ুন: লাইব্রেরিয়ানের দেখা নেই, নাইট গার্ডের ভরসায় চলছে পাঠাগার!

জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, পুলিশ টহলদারি ও মোটর বাইকে পাহাড়া চলছে। নিরাপত্তা জোরদার করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সিসিটিভি ক্যামেরা ও বন্ধকধারী নিরাপত্তা রক্ষী দোকানে মোতায়েন করার পরামর্শ দেওয়া

বঙ্গীয় স্বর্ণ শিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উজ্জ্বল সরকার বলেন,পুলিশ খুব ভাল উদ্যোগ নিয়ে এই কাজ শুরু করেছে। এরফলে ব্যবসা ক্ষেত্রে রাতে সামান্য দেরি হলেও পুলিশের নজরদারির জন্য প্রত্যেক ব্যবসায়ীরা স্বস্তিতে থাকবে। কিছুটা হলেও নিরাপত্তা বোধ করছি আমরা। মালদহ জেলা পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বঙ্গীয় স্বর্ণ শিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্মকর্তারা।

হরষিত সিংহ

Bankura News: বাঁকুড়া শহরে বিরাট নিরাপত্তা! বসানো হল ১২৮ সিসিটিভি

বাঁকুড়া: বাঁকুড়া সদর থানার অন্তর্গত এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে লাগানো হল সিসিটিভি ক্যামেরা। জনস্বার্থে সুরক্ষার কথা ভেবে লাগানো হয়েছে এই ক্যামেরাগুলি। স্বাধীনতা দিবসের দিন ১২৮ টা সিসিটিভি ক্যামেরা উদ্বোধন করল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ।

২০২৩ সালে লাগানো হয়েছিল ১৪০ টি ক্যামেরা। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরে ক্যামেরা লাগানোর ফলে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে সুবিধে হয়েছে। সেই কারণেই সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আবারও ২০২৪ সালে ১৫ আগস্ট উদ্বোধন করা হল১২৮ টি ক্যামেরার। গোটা শহর জুড়ে যতগুলো এন্ট্রি এবং এক্সিট রয়েছে ততগুলি জায়গাতে বসানো হয়েছে নতুন ক্যামেরা।

শহর জুড়ে প্রায় ৫০টি জায়গায় বসান হয়েছে এই ক্যামেরাগুলি। বিশেষ করে টার্গেট করা হয়েছে স্পর্শকাতর জায়গাগুলিকে। সিসিটিভি লাগানহয়েছে হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকাতেও। শুধুমাত্র হাসপাতাল চত্বরেই বসানো হয়েছে কুড়িটা সিসিটিভি। বাঁকুড়া এসপি বৈভব তিওয়ারি বলেন,”এই ক্যামেরা ব্যবহার করে আমরা অপরাধীদের সনাক্ত করতে পারব। এবং প্রযুক্তির সাহায্যে জন সুরক্ষা আরওনিশ্চিত হবে।”

তবে আরজি কর কান্ডের প্রভাব পড়ল বাঁকুড়া শহরেও। চোখে আঙুল দিয়ে কলকাতার বুকে দেখা গেল সুরক্ষায় ছিদ্র, তাই জন্যই কি তড়িঘড়ি বাঁকুড়া শহরে নতুন করে বসানহল ১২৮ টি ক্যামেরা। উত্তরে পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন,”অনেকদিন ধরেই শহরের সুরক্ষা উন্নতি করার প্রচেষ্টা চলছে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাক্রম থেকে শিক্ষা নিয়েছে জেলা পুলিশ। এবং সেই মোতাবেক হাসপাতাল চত্তর এবং শহরের বিভিন্ন অংশে লাগানো হল সিসিটিভি। পুলিশ সুপার আরও বলেন যে এই সিসিটিভি ক্যামেরার প্রত্যক্ষ সাহায্যে প্রতাপ বাগানের খুনের ঘটনার বেশিরভাগটাই সমাধান করা হয়েছে।”

আরও পড়ুনঃ Indian Railways: ট্রেনের টিকিটে অবিবাহিত মহিলাদের জন্য বিশেষ সুবিধা, অজানা অনেকের কাছে

তবে অনেক সময় দেখা যায় “চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে।” অপরাধমূলক কর্ম করার পর দেখা যায় সিসিটিভি কাজ করছে না। এসব ক্ষেত্রে কি করবে জেলা পুলিশ? উত্তর এসপি বলেন,”আমরা সব সময় ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করব। কোনও কিছুই ১০০ শতাংশ পারফেক্ট নয়। প্রথমে অফিসে ঢুকেই আগে ক্যামেরাগুলি কাজ করছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হয়েছে। আশা করি আগামী দিনে কোনও সমস্যা হবে না।”

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

West Medinipur News: মেলায় পাওয়া যাচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স! মেদিনীপুরে চলছে, জেলা পুলিশের বড় উদ‍্যোগ

পশ্চিম মেদিনীপুর: নিত্যদিন বাড়ছে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা। একই হারে মৃত্যু হচ্ছে সাধারণ মানুষের। মানুষের অসচেতনতা, অসাবধানতার কারণেই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। অধিকাংশ মানুষ হেলমেট না পরে, লাইসেন্স ছাড়া রাস্তায় বাইক নিয়ে বেরোচ্ছেন। জেলা পুলিশের ব্যবস্থায় নয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে জেলায় সাত দিন ধরে চলবে ড্রাইভিং লাইসেন্স মেলা। যেখানে খুব সহজে সাধারণ মানুষ ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে পারবেন। খরচ হবে খুব সামান্য। শুধু তাই নয় জেলা পুলিশের উদ্যোগে সাত দিন ধরে থাকবে নানা সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন জিনিস বাগানে সবুজ, বাজারে কালো আর ‘বাড়িতে লাল’ হয়? রান্নাঘরেই আছে কিন্তু! ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

চলতি মাসের ৮ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি, চলবে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে এই ড্রাইভিং লাইসেন্স মেলার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে সরকারি মূল্যে গাড়ির লাইসেন্স তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি গাড়ির চালক ও আরোহীদের জন্য সচেতনতা মূলক শিবিরও করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারের হাত ধরে উদ্বোধন হয় এই অনুষ্ঠানের। আগামী ৭ দিন ধরে থাকবে নানান সচেতনতামূলক কর্মসূচি। প্রতিটি থানার পক্ষ জন্য নির্দিষ্ট দিনে এই লাইসেন্স তৈরি করা হবে।

প্রসঙ্গত চালকের অজ্ঞতা ও অসাবধানতার কারণে নিত্যদিন লেগেই আছে দুর্ঘটনা। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। তাই দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে এবং সাধারণ মানুষ যাতে নিয়ম মেনে গাড়ি চালান তার জন্য নেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন: ওয়ানাডে প্রধানমন্ত্রী, আকাশপথে ধস বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন মোদি

শুধু তাই নয় শেষ দিনে থাকছে সচেতনতামূলক পথনাটিকা। কীভাবে বাইক চালানো যাবে রাস্তায়, কী কী ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, তা বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তুলে ধরবেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।

স্বাভাবিকভাবে আরটিও অফিসে লাইন দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা নয়, পুলিশের উদ্যোগে তৈরি করা হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স। প্রতিদিনই বেশ ভালো ভিড় জমছে পুলিশ লাইনে। আর এই লাইসেন্স পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।

রঞ্জন চন্দ

Cow Care: গরু সামলাতে নাজেহাল পুলিশ, নিয়োগ করতে হল অস্থায়ী কর্মী!

পূর্ব মেদিনীপুর: শেষে গরু পাহারা দেওয়ার জন্য লোক নিয়োগ করতে হল পুলিশকে! আসলে বাজেয়াপ্ত গরু নিয়ে মহাফাঁপরে পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। একপ্রকার বাধ্য হয়ে বাজেয়াপ্ত করা গরু দেখা শোনার জন্য অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করল তারা।

পাচারের সময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ প্রায় দুই শতাধিক গরু বাজেয়াপ্ত করেছিল। সেই গরুগুলোকে নিয়েই যত সমস্যা। পুলিশি হেফাজতে থাকা এত বিপুল সংখ্যক গরুর খাবার জোগাড় করতে ও দেখভাল করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে জেলা পুলিশের। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রাণীসম্পদ দফতর।

আরও পড়ুন: ভবিষ্যতের মহকুমাশাসকদের গড়বেন আজকের মহকুমাশাসক! কীভাবে সুযোগ পাবেন জানুন

গত ২ জুলাই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তমলুকের নিমতৌড়ি এলাকা থেকে ১৯৮ টি গরু উদ্ধার করে তমলুক থানার পুলিশ। ৬ টি গাড়িতে করে এইসব গরুগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল উত্তর ২৪ পরগনায়। পুলিশের দাবি, এত সংখ্যক গরু নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারেনি গরু ব্যবসায়ীরা। ফলে ১৬ জন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ও ১৯৮ টি গরু হেফাজতে নেয় পুলিশ। পুলিশের তরফে এরপর উদ্ধার হওয়া গরুগুলোকে যথাস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয় আদালতে।

আদালত প্রাণী সম্পদ দফতরকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গরুগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে না নিয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে পুলিশ। তমলুকের মত এমন প্রাচীন শহরে গরুগুলোকে রাখা হবে কোথায়? অবশেষে ঠিক হয় শহরের বাইরে কোথাও রাখা হবে। সেই মত তমলুক পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বুদ্ধপার্ক এলাকায় খেলার মাঠের একপাশে ত্রিপল-বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বাজেয়াপ্ত গরুদের জন্য অস্থায়ী খাটাল।

পুলিশি হেফাজতে থাকা গরুগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে দিনভর পাহারা দিচ্ছেন দুই কনস্টেবল ও তিনজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। গরুগুলিকে দেখাশোনা করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে তিন অস্থায়ী কর্মীকেও। তারাই দিনরাত সেবা করে চলেছেন গরুদের। তমলুক পুরসভা থেকে জলের ট্যাঙ্ক, বিদ্যুতেরও ব্যাবস্থা করা হয়েছে। দ্রুত যাতে গরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয় তার জন্য জেলা পুলিশের তরফে ফের প্রাণীসম্পদ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

সৈকত শী