Tag Archives: DVC

DVC flood situation: বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ল ডিভিসি! পুজোর আগে বন্যার আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়

জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি। সোমবার সন্ধে থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১,৪৯,০০০ কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা।
জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি। সোমবার সন্ধে থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১,৪৯,০০০ কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা।
নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে ডিভিসির দুই জলাধারে জল বাড়ছে। তাই ডিভিসি এই দুই জলাধার মাইথন ও পঞ্চায়েত জল ছাড়া শুরু করে।
নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে ডিভিসির দুই জলাধারে জল বাড়ছে। তাই ডিভিসি এই দুই জলাধার মাইথন ও পঞ্চায়েত জল ছাড়া শুরু করে।
সোমবার সন্ধ্যে থেকেই মাইথন জলাধার থেকেই জল ছাড়া শুরু হয়। সেটা বারতে বারতে ১ লাখ কিউসেকে দাঁড়ায়।
সোমবার সন্ধ্যে থেকেই মাইথন জলাধার থেকেই জল ছাড়া শুরু হয়। সেটা বারতে বারতে ১ লাখ কিউসেকে দাঁড়ায়।
অন্যদিকে, পাঞ্চেত জলাধার থেকে মঙ্গলবার ৪৯০০০ কিউসেক জল ছাড়ার কথা। এই দুই জলাধারের জল দামোদর নদী বেয়ে দুর্গাপুর ব্যরেজে পৌঁছায়। ফলে সেখান থেকেও জল ছাড়ার পরিমান বেরেছে।
অন্যদিকে, পাঞ্চেত জলাধার থেকে মঙ্গলবার ৪৯০০০ কিউসেক জল ছাড়ার কথা। এই দুই জলাধারের জল দামোদর নদী বেয়ে দুর্গাপুর ব্যরেজে পৌঁছায়। ফলে সেখান থেকেও জল ছাড়ার পরিমান বেরেছে।
ডিভিসি জানিয়েছে, নিম্নচাপের জন্য আসানসোল-দুর্গাপুরের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শানিবার থেকে অনবরত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তার জন্য জল ছাড়ার পরিমান বাড়ানো হয়েছে।
ডিভিসি জানিয়েছে, নিম্নচাপের জন্য আসানসোল-দুর্গাপুরের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শানিবার থেকে অনবরত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তার জন্য জল ছাড়ার পরিমান বাড়ানো হয়েছে।

Flood Situation in Bengal: অতিবৃষ্টির জেরে ফের জল ছাড়ল ডিভিসি! ২৪ ঘণ্টা নজরদারির নির্দেশ মুখ‍্যমন্ত্রীর

দুর্গাপুরঃ  জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি। ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টির কারণে এই জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। নিম্নচাপের অতিবৃষ্টির কারণে ফের জল ছাড়ল ডিভিসি। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৪৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হল। এদিন মাইথন থেকে ১০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হল।

আরও পড়ুনঃ লাগাতার বৃষ্টির জেরে ধুবুলিয়ায় রাস্তায় ধ্বস! যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গোটা গ্রামের

২৪ ঘণ্টা নজরদারি করা হচ্ছে৷ ঘাটাল, আরামবাগ, গোঘাট, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমের একাংশের বিভিন্ন জায়গায় জলমগ্ন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে দায়িত্ব দিয়েছেন ঘাটাল পরিস্থিতি দেখার জন্য৷ রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে দায়িত্ব দিয়েছেন হুগলির আরামবাগ, গোঘাট এই সব অঞ্চল দেখার জন্য৷ এই সব জায়গায় জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও বিধায়কদের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে৷

আরও পড়ুনঃ ভরদুপুরে সন্তোষপুরে পুলিশের বিরাট টিম! কার বাড়িতে পৌঁছল? আরজি কর কাণ্ডে চাঞ্চল্য! এবার নজরে সার্ভে পার্কের বহুতল…

মন্ত্রী পুলক রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উলুবেড়িয়া, সাঁকরাইল, আমতা-সহ একাধিক জায়গায়। জল ঢুকতে শুরু করলে তাদের যেন নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এদের তিন জনের সঙ্গেই কথা বলেছেন৷ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও যোগাযোগ করা হয়েছে৷ বৃষ্টি কমলে জলের স্রোত কমে যাবে৷ তাই বন্যা পরিস্থিতি হয়ে আছে৷  একাধিক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে৷ তার ছিঁড়ে পড়ে গিয়েছে৷ যাঁদের ঘর ভেঙে গেছে তাঁদের সাহায্য করা হবে৷ যাঁদের ফসল নষ্ট হয়েছে তাঁদেরও সাহায্য করা হবে৷ পুজোর আগে প্রতিবছর এমন আবহাওয়া থাকে৷ আর এই রাজ্য নৌকার মতো৷ ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে জল ঢুকে যাচ্ছে৷ সরকার সম্পূর্ণ সাহায্য করছে সকলকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়।

Purba Bardhaman: ডিভিসির জলে জলের তলায় পূর্বস্থলীর একাঝধিক গ্রাম! সমস্যায় স্থানীয় বাসিন্দারা

ভারী বৃষ্টি ও ডিভিসির জলে প্লাবিত পূর্বস্থলী। পূর্বস্থলীর দোগাছিয়ায় পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা। মাথাপিছু ভাড়া কুড়ি টাকায় বিপাকে যাত্রীরা। পঞ্চায়েত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি অভিযোগ। আজ থেকেই পারাপারে বিনামূল্যে দু’টি নৌকা। বিনামূল্যে পারাপারের দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের।

Massive Cultivation Loss: ডিভিসি’র ছাড়া জলে ডুবে চাষের জমি, মাথায় হাত কৃষকদের

হুগলি: বেশ কিছুদিনের বৃষ্টি ও ডিভিসির জল ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হুগলি জেলায়। আরামবাগ, খানাকুল, জাঙ্গিপাড়া, পোলবা, পাণ্ডুয়া সহ বেশ কিছু ব্লক জলমগ্ন। এর ফলে ধান ও সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কৃষকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ, চাষ জমি থেকে জল না নামলে ব্যাপক লোকসান হবে তাঁদের।

এখনও পর্যন্ত হুগলিতে ১ লক্ষ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩৩ শতাংশ ধান জমি জলের তলায় চলে গেছে। প্রায় ৩৯ হাজার হেক্টর জমির ধান এখন‌ও জলের তলায়। যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে তবে সমস্ত ধান গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। আবার নতুন করে চাষ করতে হবে কৃষকদের, ফলে খরচ বাড়বে বহুগুণ।

আর‌ও পড়ুন: বৃষ্টির জমা জল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, বাড়ছে মশার উপদ্রব

এই পরিস্থিতিতে হুগলি জেলা কৃষি দফতর বন্যা পরিস্থিতি সংক্রান্ত সমস্ত দিক খতিয়ে দেখচ্ছে। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, হুগলিতে ১ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। প্রথম দিকে বৃষ্টির ঘাটতি থাকলেও এই কয়েকদিন অনেকটা বৃষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়েছে। কিন্তু ডিভিসি তাদের বাঁধগুলো থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে বিপদ দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহের বেশি ধান গাছ জলের তলায় থাকলে গাছ পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গাছ নষ্ট হয়ে গেলে নতুন করে বীজ রোপন করতে হবে কৃষকদের। তাতে চাষের ক্ষেত্রে দেরি হওয়ার সম্ভবনা থাকছে। অন্যদিকে নতুন বীজের অভাব রয়েছে যথেষ্টই। কৃষকদের দ্বিতীয়বার চাষ করতে গেলে খরচও বাড়বে। সরকরি তরফে কৃষকদের বীজ ও ঋণের ব্যবস্থা না করলে আখেরে সমস্যার মুখে পড়বেন কৃষকরাই।

রাহী হালদার

DVC water discharge: আবার জল ছাড়ল মাইথন, পাঞ্চেত জলাধার! বন্যার আশঙ্কায় মাথায় হাত মানুষের

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না স্বস্তি। আবার চিন্তা বাড়াল ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। নতুন করে এদিন বুধবার ফের একবার জল ছাড়া হল জলাধারগুলি থেকে। এদিন মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে। সবমিলিয়ে দামোদরের উচ্চ অববাহিকার দু’টি জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে ৬৫ হাজার কিউসেক জল।

মাইথন এবং পাঞ্চের থেকে জল ছাড়ার পরে ফের দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে যে জল ছাড়া হয়েছে, তা এদিন রাতের দিকে পৌঁছবে দুর্গাপুর ব্যারেজে। দুর্গাপুর ব্যারেজে জলের চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত জল ছাড়া হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ফের একবার নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষজনের আশঙ্কা বাড়ল।

আরও পড়ুন: তারকেশ্বর গেলে সোনায় সোহাগা! বাড়ছে ৮ জোড়া ট্রেন, দাঁড়াতে হবে না টিকিটের লাইনেও

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতের পর শুক্র, শনি, রবিবার ব্যাপক মাত্রায় জল ছাড়া হয়েছে দামোদরের এই সমস্ত জলাধারগুলি থেকে। যার ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে নদীতীরবর্তী এলাকাগুলিতে। বিশেষ করে দুর্গাপুর ব্যারেজের দুই পাশে অবস্থিত মানাচর, ডিহিরচরের মত জায়গাগুলিতে মানুষজন রীতি মতো ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু সোমবারের পর থেকে ধাপে ধাপে জল ছাড়া কমানো হয়। যা দেখে কিছুটা চিন্তামুক্ত হয়েছিলেন মানুষ। তবে ফের বুধবার সেই চিন্তা বাড়ল।

আরও পড়ুন: আম নিয়ে শিশুদের লড়াই থেকে তিনজনের যাবজ্জীবন… ৪০ বছর পরে কমল শাস্তি

প্রসঙ্গত, দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আসানসোল, দুর্গাপুর-সহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত লেগেই আছে। যার ফলে বাড়তি জল এসে ঢুকছে জলাধারগুলিতে। জলধারণ ক্ষমতার কাছাকাছি লেভেলই জল মজুত রয়েছে সেখানে। যে কারণে বাড়তি যে জল ব্যারেজগুলিতে ঢুকছে, চাপ সামাল দিতে সেই জল ছাড়া হচ্ছে। আর জল ছাড়া দেখলেই বাড়ছে চিন্তা।

এক কিউসেক মানে কতটা জল? বর্ষা এলেই লাখ লাখ ‘কিউসেক’ জল ছাড়ে ডিভিসি!

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : সোমবারের পর মঙ্গলবার আরও স্বস্তিদায়ক খবর এল দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে। কারণ বিগত কয়েক দিনের তুলনায় অনেকটা কম করা হয়েছে জল ছাড়া।

শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, মঙ্গলবার প্রথমার্থে প্রায় পঞ্চাশ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। দুপুরের পর সেই মাত্রা আরও কমবে বলে জানা গিয়েছে সেচ দফতর সূত্রে।

আরও পড়ুন- সোনা ডাবল করতেই এসেছেন তিনি! প্রথম থ্রোতেই জ্যাভেলিন ফাইনালে নীরজ চোপড়া

জানা গিয়েছে, দামোদরের উচ্চ অববাহিকায় অবস্থিত জলধারগুলিতে ইন-ফ্লো অনেকটাই কমেছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা বা ঝাড়খন্ড সংলগ্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। যে কারণে মাইথন, পাঞ্চেত অথবা তেনুঘাট থেকে অনেকটা কমেছে জল ছাড়ার পরিমাণ।

খুব স্বাভাবিকভাবেই একই কারণে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ কমেছে। যা স্বস্তি দিয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলির মানুষজনকে।

বিগত কয়েকদিনে কিউসেক শব্দটা শোনা গিয়েছে বারবার। এই একটা শব্দ বহু মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। আবার স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে কেউসেক শব্দটা। কিন্তু জানেন কি কেউসেক শব্দের অর্থ কি? কিভাবে কিউসেকের মাধ্যমে জলের পরিমাপ করা হয়? এক কিউসেক সমান কত লিটার জল হয় জানেন? বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন দফতরের এক আধিকারিক।

আরও পড়ুন- অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, সামনেই T20 WC-র আসর বসার কথা, কী করবে ICC

মূলত তরল পদার্থের প্রবাহ পরিমাপ করা হয় কিউসেকের মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে এক ঘন ফুটে মধ্যে দিয়ে কতটা জল বা তরল প্রবাহিত হচ্ছে, তা বুঝতে কিউসেকের ব্যবহার।

জলধারগুলি থেকে কত জল ছাড়া হল, তা বুঝতে কেউসেক ব্যবহার করা হয়। ওই অধিকারিক জানিয়েছেন, হিসাব বলছে ১ কিউসেক সমান ২৮.৩১৭ লিটার।

নয়ন ঘোষ

DVC Water discharge: মাইথন, পাঞ্চেত থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ল ডিভিসি, বন্যার আশঙ্কায় কাঁপছেন বাসিন্দারা

পশ্চিম বর্ধমান: দক্ষিণবঙ্গে টানা চলছে ভারী বৃষ্টি। এই বৃষ্টির জেরে পূর্ণ হয়ে রয়েছে মাইথন, পাঞ্চেত-সহ একাধিক জলাধার। তাই শুক্র এবং শনিবারের পরে রবিবারও মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ার কথা জানাল ডিভিসি।

ডিভিসি সূত্রে খবর রবিবার বিপুল পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে পাঞ্চেত জলাধার থেকে। অল্প পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে মাইথন থেকেও। এর মধ্যে পাঞ্চেত থেকে ছাড়া হয়েছে ১,১৪,০০ কিউসেক জল। পাশাপাশি মাইথন থেকে ছাড়া হয়েছে ৬০০০ কিউসেক জল। দামোদর এই দু’টি নদী থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ার জেলে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে একাধিক এলাকা ঘিরে।

আরও পড়ুন: মাত্র কয়েক মিনিটের টর্নেডোর মতো ভয়াল ঝড়! লন্ডভন্ড হুগলির একের পর এক গ্রাম

প্রসঙ্গত, শুক্রবারে ২০ হাজার কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছিল দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে। যখন দুর্গাপুর, আসানসোল সহ বিভিন্ন এলাকা ভারী বৃষ্টির ফলে জলের তলায়, তখন এই জল ছাড়া চিন্তা বাড়িয়েছিল মানুষের।

আরও পড়ুন: ১৪ লাখের চাকরি, ৬০০ বর্গ গজ জমি… বড় পুরস্কার পাচ্ছেন সিরাজ, কে দিচ্ছে জানেন?

শনিবারও বিপুল পরিমাণে জল ছাড়া হয় মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে। শনিবার মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার মিলিয়ে মোট ৪৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। যার মধ্যে মাইথন জলাধার থেকে ছাড়া হয় ১২ হাজার কিউসেক জল। অন্যদিকে পাঞ্চেত জলধার থেকে মোট জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার কিউসেক। টানা বৃষ্টির জেরে চাপ বাড়ছে জলাধারগুলিতে, সেই সঙ্গে অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতিরও।

DVC water release: জল ছাড়ছে ডিভিসি, বন্যা পরিস্থিতির কীরকম অবস্থা পূর্ব বর্ধমান জেলার? শুনলে চমকে যাবেন

বর্ধমান: ক্যাচমেন্ট এলাকায় ভারী বর্ষণের জেরে জল ছাড়া হচ্ছে জলাধারগুলি থেকে। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ছে ডিভিসি। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ওই জল দামোদরে ছাড়া হচ্ছে। তার ফলে দামোদরের জলস্তর বাড়বে তবে এতে এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৬৫ হাজার কিউসেক ও মাইথন জলাধার থেকে ১০ হাজার কিউসেক করে জল ছাড়া হচ্ছে।
সেচের জন্য ২৫ জুলাই পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে জল ছেড়েছিল ডিভিসি। সেই জল ২৭ জুলাই দুর্গাপুর জলাধার থেকে ছাড়া হয়। তার সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বর্ষণ। ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় পূর্ব বর্ধমান জেলায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই জেলায় দেড়শোরও বেশি গ্রাম জলবন্দি হয়ে পড়েছে। খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। সেখানে দুর্গত মানুষদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ত্রিফলার প্রভাবে লাগামছাড়া বৃষ্টি, একটানা দুর্যোগ…! কবে মিলবে মুক্তি? রইল ‘বড

বৃষ্টি থামলেও এখনও জলমগ্ন গুসকরা পুরসভার একাধিক এলাকা।  উদ্ধার কাজ শুরু করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবারের টানা বৃষ্টি ও কুনুর নদীর জল বাড়ার ফলে এখনও জলমগ্ন গুসকরা পুরসভার ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকা। বাড়িতে জল ঢুকে বাড়ির মধ্যেই আটকে রয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার। শনিবার সকাল থেকে স্থানীয়রাই শুরু করেছে উদ্ধার কাজ। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফেও বেশ কিছু পরিবারকে উদ্ধার করা হয়।কয়েকটি পরিবারকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও আটকে রয়েছেন বেশ কয়েকজন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,বৃহস্পতি বার টানা বৃষ্টিপাত ও কুনুর নদীর জল উপচে গুসকরা পুরসভার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত করেছে।
জলবন্দি হয়ে রয়েছে, ভাতার ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম। একই অবস্থা মন্তেশ্বর, বর্ধমান এক নম্বর ব্লকে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলা শাসকের অফিসে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সব ব্লকে ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত রয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকেও।

Flood alert in districts: বন্যার সতর্কতা ৪ জেলায়! ডিভিসি না বলেই জল ছাড়ল কেন? কড়া বার্তা নবান্নর

কলকাতা: টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যের একাধিক জেলায়। আলিপুরদুয়ারে জারি লাল সতর্কতা। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোল, বর্ধমান এই চার জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই শনিবারের বৈঠকে এই চার জেলা নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।

সেই সঙ্গে ডিভিসিকেও কড়া বার্তা নবান্নের। সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলে তবেই জল ছাড়তে হবে। ইচ্ছামত জল ছাড়া যাবে না। ডিভিসির চেয়ারম্যানকে বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।

দুপুর ২টো থেকে নবান্নে জরুরি বৈঠক করছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। সেই বৈঠকে জরুরি তলব করে উপস্থিত থাকতে বলা হয় ডিভিসির চেয়ারম্যানকে। বৈঠকে উপস্থিত থেকে ডিভিসির চেয়ারম্যানকে এই বার্তা রাজ্যের মুখ্য সচিবের।

আরও পড়ুন- জল জমে দুর্ভোগ! কী ভাবে আটকানো যায় বন্যা? জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্য সচিব

আজ সকালেই ডিভিসি জল ছেড়েছে একাধিক জলাধার থেকে। তার জেরে হুগলি, বীরভূম, মেদিনীপুরে একাধিক এলাকা বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এই পরিস্থিতি কাম্য ছিল না, জানিয়েছেন মুখ্য সচিব। বার বারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না জানিয়ে কেন ডিভিসি জল ছাড়ে? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার।

আরও পড়ুন- বিমানবন্দরে জলস্রোত! যেন নদীতে দাঁড়িয়ে বিমান, কলকাতা বিমানবন্দরের ভিডিও দেখলে চমকাবেন

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে বিগত ৪৮ ঘণ্টায় প্রচুর জল ছেড়েছে ডিভিসি। আগামী ৫ ও ৬ তারিখে জোয়ার। সে কারণে হাওড়া, হুগলি সহ বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হতে পারে। এর ফলে রাজ্য সরকার সকলকেই সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে।

আলাপন জানান, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার শহরে শহর বেশ কয়েকটি জায়গায় আশঙ্কা রয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী পুরো বিষয়ের উপর নজর রেখেছেন। মুখ্য সচিব দফতরের সেক্রেটারি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ডিভিসি আরও  ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়বে বলে জানা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বা রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই জল ছাড়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এতে আরও বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।