Tag Archives: Family

South 24 Parganas News:  বাড়ির লোক খোঁজ নেয় না, ৫ বছর ধরে হাসপাতালই ঠিকানা বারুইপুরের ‘শান্তিবুড়ি’র!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২০১৯ সালের মার্চ মাসে অসুস্থতার কারণে ৭৮ বছরের শান্তিদেবীকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন পরিবারের লোকজন। তার পর কেটে গিয়েছে কয়েক বছর। এখন এই হাসপাতালই হয়ে উঠেছে আশ্রয় তাঁর আশ্রয়স্থল।

নার্স, চিকিৎসকদের সেবায় দিব্যি সুস্থ তিনি। সবাই তাঁকে চেনেন ‘শান্তিবুড়ি’ নামে। সুস্থ হলেও ভাল নেই এই শান্তিবুড়ি। মন জুড়ে তাঁর রাগ। বিড়বিড় করে বলছিলেন, “আমার জায়গা-জমি সব লিখে নিয়েছে পরিবারের লোকজন। তাঁরা কেউই আমার খোঁজ নেয় না।”

আরও পড়ুন- বাংলাদেশের নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী! রাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি রাজ্যে, জেনে নিন আবহাওয়ার পূর্বাভাস!

হাসপাতালের ফ্যাকাল্টি ম্যানেজার শ্যামল চক্রবর্তী জানালেন, পাঁচ বছর হয়ে গেল, তিনি এই হাসপাতালেই আছেন। ২০২৩ সালে শান্তিদেবীকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি আবার চলে আসেন এখানে। বলেন, “বাড়ির লোকজন তাড়িয়ে দিয়েছে। যাব কোথায়? তার পর থেকে এই হাসপাতালই হয়ে উঠেছে তাঁর বাড়ি-ঘর।”

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বারুইপুরের শাসন রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি শান্তিদেবীর। তাঁর পরিবারে ছেলে বউমা সবাই আছেন। মাঝে মধ্যেই তাঁদের কথা বলেন শান্তিবুড়ি। হাসপাতালের ফিমেল ওয়ার্ডের বারান্দায় তাঁর জন্য একটি বেড বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্যান্য রোগী থেকে শুরু করে তাঁদের পরিবারের লোকজন সবাই ভালোবাসেন এই বৃদ্ধাকে। আয়াদের কাছে নানা আবদারও করেন তিনি। কখনও দোকান থেকে বিস্কুট এনে দিতে বলেন, কখনও গরম দুধ চান।

আরও পড়ুন- পুল কার থেকে নেমেই বমি! স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে NRS-এর দোরগোড়ায় মৃত্যু ছাত্রের

হাসপাতালের ভিতর অপরিষ্কার দেখলেই হল, বকুনি দেন আয়াদের। এক নার্স জানালেন, উনি পুরোপুরি সুস্থ। প্রতিদিনই ডাক্তার রাউন্ড দিতে এলে তাঁকে একবার দেখে যান। শরীর খারাপ লাগলে নিজেই ওষুধ চেয়ে নেন আমাদের কাছ থেকে। তবে এ ভাবে কয়েক বছর ধরে একটি বেড শান্তিদেবীর জন্য আটকে থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অস্বস্তিতে। শান্তিবুড়ি যে হাসপাতাল ছেড়ে বৃদ্ধাশ্রমেও যেতে চান না। তিনি বলেন, “হাসপাতালই আমার ঘর। রোগীদের পরিবারের লোকজন কেউ না কেউ আমাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেন। তা দিয়ে আমার দিব্যি চলে যায়। বাড়িতে গেলে যদি আবার তাড়িয়ে দেয় ওরা!”

সুমন সাহা

Family Death Mystery: স্বামীর মৃত্যুর পর ৪ মাস পরই দ্বিতীয় বিয়ে, মা-মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী দ্বিতীয় বর

বহরমপুর: স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য বহরমপুরের কুঞ্জঘাটা এলাকায়। শনিবার ঘরের মধ্যেই স্বামী, স্ত্রী ও ৫বছরের শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের নাম সুজয় মন্ডল, শোভা ঘোষ  ও আরাধ্যা ঘোষ । পারিবারিক অশান্তির জেরেই স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বহরমপুর থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। তবে  কী ভাবে একইসঙ্গে তিন জনের মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখতে বহরমপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

দু’বছর আগে শোভা ঘোষের প্রথম পক্ষের স্বামীর পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। মৃত্যুর চার মাসের মাথায় সুজয় মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় শোভার। পাঁচ বছরের কন্যা সন্তানটি প্রথম পক্ষের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাস খানেক আগে কুঞ্জঘাটা এলাকায় সৈদাবাদ কেদার মাহাতো লেনের একটি বাড়িতে ভাড়া আসেন ওই দম্পতি। কিন্তু মাঝেমধ্যেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। এদিন সকালে বাচ্চাটিকে বাইরে দোকানে যেতে দেখেছিল প্রতিবেশীরা। তার পর বাড়ির বাইরে আর কাউকে দেখা যায়নি।

প্রতিবেশীদের অভিযোগ পারিবারিক অশান্তির কারনেই স্ত্রী ও শিশুটিকে খুন করে ওই যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রতিবেশী বিভাস কুন্ডু বলেন, “কয়েক মাস আগে ওরা এই বাড়িতে ভাড়া আসে। সকালেও বাচ্চা মেয়েটাকে আমি দোকানে যেতে দেখেছিলাম। প্রতি দিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত। সেই কারনেই স্ত্রী আর বাচ্চা মেয়েটাকে খুন করে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছে।”

মৃত শোভা ঘোষের প্রথম পক্ষের শাশুড়ি লক্ষ্মী শীল বলেন, “আমার ছেলের মৃত্যুর পর আমাদের সঙ্গে শোভার কোনো সম্পর্ক ছিল না। বাচ্চা মেয়েটাকেও আমাদের দেখতে দিত না। মেয়েটার জন্যই আমি ছুটে এসেছি।” মৃত শোভা ঘোষের দাদা টিঙ্কু ঘোষ বলেন, “দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পর আমাদের সঙ্গে বোন কোনও সম্পর্ক রাখত না। একই সঙ্গে তিনজনের কিভাবে মৃত্যু হল কিছু বুঝতে পারছিনা। পুলিশ তদন্ত করলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”

আরও পড়ুন-সরকারি জমিই বর্ষায় সাক্ষাৎ যম! ক্রিকেট খেলতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই পড়ুয়ার

Wayanad tragedy survival: মাঝরাতে তোতাপাখি যা করল…ওয়ানাড ধসে তাতেই রক্ষা পেল এই পরিবার! দেখুন

এখন এখানেই শ্মশানের নীরবতা। সবুজের সমারোহে এত দিন পাখির কলতানে ভরে থাকত এই এলাকা। এখন এর রুক্ষ জর্জর ছবি দেখে আগে কী ছিল তা বোঝা কঠিন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসে সব কিছু তছনছ করে গিয়েছে। যারা বেঁচে আছেন তাঁদের মুখে কথা নেই, আনন্দ নেই। হাসতে ভুলে গিয়েছে এখানকার মানুষ।
এখন এখানেই শ্মশানের নীরবতা। সবুজের সমারোহে এত দিন পাখির কলতানে ভরে থাকত এই এলাকা। এখন এর রুক্ষ জর্জর ছবি দেখে আগে কী ছিল তা বোঝা কঠিন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসে সব কিছু তছনছ করে গিয়েছে। যারা বেঁচে আছেন তাঁদের মুখে কথা নেই, আনন্দ নেই। হাসতে ভুলে গিয়েছে এখানকার মানুষ।

 

মেপ্পাদি: এখন এখানেই শ্মশানের নীরবতা। সবুজের সমারোহে এত দিন পাখির কলতানে ভরে থাকত এই এলাকা। এখন এর রুক্ষ জর্জর ছবি দেখে আগে কী ছিল তা বোঝা কঠিন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসে সব কিছু তছনছ করে গিয়েছে। যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁদের মুখে কথা নেই, আনন্দ নেই। হাসতে ভুলে গিয়েছেন এখানকার মানুষ। কথা হচ্ছে মেপ্পাদির। একটি অপূর্ব শহর যা কেরলে সদ্য ঘটে যাওয়া ভয়ানক ধসে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।
মেপ্পাদি: এখন এখানেই শ্মশানের নীরবতা। সবুজের সমারোহে এত দিন পাখির কলতানে ভরে থাকত এই এলাকা। এখন এর রুক্ষ জর্জর ছবি দেখে আগে কী ছিল তা বোঝা কঠিন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসে সব কিছু তছনছ করে গিয়েছে। যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁদের মুখে কথা নেই, আনন্দ নেই। হাসতে ভুলে গিয়েছেন এখানকার মানুষ। কথা হচ্ছে মেপ্পাদির। একটি অপূর্ব শহর যা কেরলে সদ্য ঘটে যাওয়া ভয়ানক ধসে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।
 মানুষ এই পৃথিবীতে আসা অতিথির মতো। যেমন বাড়িতে অতিথি এলে তাঁকে চলে যেতেই হয়, তাই বাড়িটি আমাদের বলে গর্ব করলে কী হয়, ওয়ানাড দেখিয়েছে দিয়েছে। মানুষের সমস্ত অহংকার ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে এক ধস। ওয়ানাডের মেপ্পাদিতে ভূমিধসে ৩৫০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছেন। আরও শতাধিক নিখোঁজ। এত মানুষের হদিস এখনও পাওয়া যায়নি। এখানে সেখানে এখনও মিলছে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। তাঁদের সনাক্ত করাও সম্ভব হচ্ছে না।
মানুষ এই পৃথিবীতে আসা অতিথির মতো। যেমন বাড়িতে অতিথি এলে তাঁকে চলে যেতেই হয়, তাই বাড়িটি আমাদের বলে গর্ব করলে কী হয়, ওয়ানাড দেখিয়েছে দিয়েছে। মানুষের সমস্ত অহংকার ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে এক ধস। ওয়ানাডের মেপ্পাদিতে ভূমিধসে ৩৫০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছেন। আরও শতাধিক নিখোঁজ। এত মানুষের হদিস এখনও পাওয়া যায়নি। এখানে সেখানে এখনও মিলছে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। তাঁদের সনাক্ত করাও সম্ভব হচ্ছে না।
তবে, অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছেন এক পরিবার ও তাঁদের বন্ধুরা। বাড়ির একটি পোষা টিয়া পাখিই নাকি দশজনের বেশি মানুষকে বাঁচিয়েছে! চির কালই কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে পশু-পাখিরা সবার আগে টের পায়। সেই কথাই প্রমাণিত হল বিপদের সময়ে।
তবে, অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছেন এক পরিবার ও তাঁদের বন্ধুরা। বাড়ির একটি পোষা টিয়া পাখিই নাকি দশজনের বেশি মানুষকে বাঁচিয়েছে! চির কালই কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে পশু-পাখিরা সবার আগে টের পায়। সেই কথাই প্রমাণিত হল বিপদের সময়ে।
চুড়ামালার কে এম বিনোদের বাড়ি যেখানে ভূমিধস হয়েছিল সেখানেই। কিন্তু মর্মান্তিক ঘটনার আগের দিন সন্ধ্যায় বিনোদ ও তাঁর পরিবার কলোনি রোডে তাঁর বোন নন্দার বাড়িতে গিয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁদের ঘরের কোনও চিহ্ন নেই। সব ভেসে গিয়েছে। বিনোদ যে তাঁর বাড়িতে অরুমা নামে একটি 'কিঙ্গিনি' তোতা পালন করছিলেন, তিনি তাঁর বড় বোনের বাড়িতে যাওয়ার সময় খাঁচা-সহ তোতাটিকে নিয়ে যান।
চুড়ামালার কে এম বিনোদের বাড়ি যেখানে ভূমিধস হয়েছিল সেখানেই। কিন্তু মর্মান্তিক ঘটনার আগের দিন সন্ধ্যায় বিনোদ ও তাঁর পরিবার কলোনি রোডে তাঁর বোন নন্দার বাড়িতে গিয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁদের ঘরের কোনও চিহ্ন নেই। সব ভেসে গিয়েছে। বিনোদ যে তাঁর বাড়িতে অরুমা নামে একটি ‘কিঙ্গিনি’ তোতা পালন করছিলেন, তিনি তাঁর বড় বোনের বাড়িতে যাওয়ার সময় খাঁচা-সহ তোতাটিকে নিয়ে যান।
সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় সন্ধ্যার পর বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই সেদিন বিনোদ তাঁর বোন নন্দার বাড়িতে থেকে যান। রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। জানা যায়, মধ্যরাতে ভূমিধসের কিছুক্ষণ আগে, তোতাপাখি ভূমিধসের বিষয়ে পরিবারকে সতর্ক করেছিল। খাঁচার মধ্যে পাখি তার ডানা ঝাপটাতে থাকে। ডাকতে থাকে বিনোদকে।  সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। কিন্তু পাখির ডাকে জেগে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে অবাক হয়ে যান। বোঝেন কিছু বিপদ সংকেত দিচ্ছে পাখি। (ছবির ক্রেডিট: মনোরমা অনলাইন ওয়েবসাইট)
সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় সন্ধ্যার পর বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই সেদিন বিনোদ তাঁর বোন নন্দার বাড়িতে থেকে যান। রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। জানা যায়, মধ্যরাতে ভূমিধসের কিছুক্ষণ আগে, তোতাপাখি ভূমিধসের বিষয়ে পরিবারকে সতর্ক করেছিল। খাঁচার মধ্যে পাখি তার ডানা ঝাপটাতে থাকে। ডাকতে থাকে বিনোদকে। সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। কিন্তু পাখির ডাকে জেগে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে অবাক হয়ে যান। বোঝেন কিছু বিপদ সংকেত দিচ্ছে পাখি। (ছবির ক্রেডিট: মনোরমা অনলাইন ওয়েবসাইট)
কারণ বিনোদ পাখির আর্তনাদের পাশাপাশি বাড়ির উঠোনে ঘোলা জল দেখেছিলেন। কাদা-জল বাড়তে থাকায় তাঁরা ভূমিধসের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। বিনোদ অবিলম্বে পরিবারকে জাগিয়ে তোলেন। চুড়ামালার বাসিন্দা তাঁর বন্ধু জিজিন, প্রশান্ত এবং আশকারকে ডেকে বিপদের বিষয়ে সতর্ক করেন। তিনি তাদের অবিলম্বে বাড়ি খালি করে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং তাঁরাও পরিবারের সঙ্গে বেরিয়ে পড়েন। (ছবির ক্রেডিট: জন্মভূমি ওয়েব)
কারণ বিনোদ পাখির আর্তনাদের পাশাপাশি বাড়ির উঠোনে ঘোলা জল দেখেছিলেন। কাদা-জল বাড়তে থাকায় তাঁরা ভূমিধসের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। বিনোদ অবিলম্বে পরিবারকে জাগিয়ে তোলেন। চুড়ামালার বাসিন্দা তাঁর বন্ধু জিজিন, প্রশান্ত এবং আশকারকে ডেকে বিপদের বিষয়ে সতর্ক করেন। তিনি তাদের অবিলম্বে বাড়ি খালি করে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং তাঁরাও পরিবারের সঙ্গে বেরিয়ে পড়েন। (ছবির ক্রেডিট: জন্মভূমি ওয়েব)
তাঁরা জায়গাটি খালি করার মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে ভূমিধসে বাড়িটি ধসে পড়ে। বিনোদ এবং তাঁর বন্ধু জিজির বাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আশকর ও প্রশান্তের বাড়ি আংশিক ধ্বংস হয়েছে। বর্তমানে বিনোদ ও তার পরিবার মেপ্পাদি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পে রয়েছেন। পোষা তোতা যে প্রাণ বাঁচিয়েছে তাঁদের এ কথা বোঝার পর স্তম্ভিত বিনোদ ও তাঁর বন্ধুরা।
তাঁরা জায়গাটি খালি করার মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে ভূমিধসে বাড়িটি ধসে পড়ে। বিনোদ এবং তাঁর বন্ধু জিজির বাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আশকর ও প্রশান্তের বাড়ি আংশিক ধ্বংস হয়েছে। বর্তমানে বিনোদ ও তার পরিবার মেপ্পাদি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পে রয়েছেন। পোষা তোতা যে প্রাণ বাঁচিয়েছে তাঁদের এ কথা বোঝার পর স্তম্ভিত বিনোদ ও তাঁর বন্ধুরা।

South 24 Parganas News: রাতে একসঙ্গে খেতে বসেছিল সবাই, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল মাটির দেওয়াল! নিমেষে শেষ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাত্রে বাড়িতে খেতে বসেছিল পরিবারের সবাই, মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে আহত ৫ মৃত ১। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগরের বকুলতলা থানার বেলে দুর্গানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব দুর্গানগর গ্রামের জমাদার পরিবার। স্বামী-স্ত্রী ছেলেমেয়ে নিয়ে খেতে বসেছিল রাত্রে, সেই খাওয়াই শেষ খাওয়া হল গৃহবধূর। শাহানারা জমাদারের কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি চলছে।

আরও পড়ুনঃ ফের ট্রেনে আতঙ্ক! এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন, গল গল করে বেরোচ্ছে ধোঁয়া, বীরভূমে ভয়ঙ্কর কাণ্ড

 

বৃষ্টি কমে যাওয়ার পরে পরে মাটির দেয়াল কিন্তু নড়বড়ে হয়ে যায়, জমাদার পরিবার যখন খেতে বসেছিল তখন হঠাৎ মাটির দেওয়াল ভেঙে পড়ে তাদের গায়ের উপর, চিৎকার চেঁচামেচিতে এই এলাকার মানুষজন দৌড়ে এসে মাটির ভেতর থেকে ৬ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় নিমপীঠ হাসপাতাল নিয়ে যায়।

সেখান থেকে গৃহবধূ শাহনারা জমাদার এবং আরেকটি ছেলেকে কলকাতা স্থানান্তরিত করা হয়, রাস্তায় শাহনারার মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নুর জামাল জমাদার-সহ এক ছেলে এক মেয়েকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, সুরত জমাদারের চিকিৎসা চলছে নিমপীঠ হাসপাতালে, কলকাতার মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে এক মেয়ে।এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।

সুমন সাহা

Richest Family: বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবার কারা জানেন? ৪০০০ কোটির শুধু বাড়ি, ৮ প্রাইভেট জেট, ৭০০ গাড়ি! মোট সম্পত্তির পরিমাণ জানলে চোখ কপালে উঠবে

বিশ্বের ধনী ব‍্যক্তিদের নাম বলতে বসলে মাথায় আসবে এলন মাস্ক, অ‍্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস বা বিল গেটস্-এর মতো ধনী ব‍্যক্তিদের নাম। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবারের নাম জানেন কি?
বিশ্বের ধনী ব‍্যক্তিদের নাম বলতে বসলে মাথায় আসবে এলন মাস্ক, অ‍্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস বা বিল গেটস্-এর মতো ধনী ব‍্যক্তিদের নাম। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবারের নাম জানেন কি?
এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে আলোচিত এই পরিবারের বিলাসবহুল জীবন। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবারের রয়েছে প্রাসাদোপ্রম বাড়ি। গাড়ির সংখ্যা এত বেশি যে সবচেয়ে বড় শোরুমকেও হার মানায়। পরিবারের সদস্যদের তুলনায় পরিবারে বেশি গাড়ি পার্ক করা আছে। সবগাড়িই নামজাদা। সম্পত্তির পরিমাণ জানলে চোখ কপালে উঠবে।
এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে আলোচিত এই পরিবারের বিলাসবহুল জীবন। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবারের রয়েছে প্রাসাদোপ্রম বাড়ি। গাড়ির সংখ্যা এত বেশি যে সবচেয়ে বড় শোরুমকেও হার মানায়। পরিবারের সদস্যদের তুলনায় পরিবারে বেশি গাড়ি পার্ক করা আছে। সবগাড়িই নামজাদা। সম্পত্তির পরিমাণ জানলে চোখ কপালে উঠবে।
ব্লুমবার্গের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই পরিবারের ৮টি ব্যক্তিগত জেট রয়েছে। এই পরিবারের প্রায় ৭০০ টি বিলাসবহুল গাড়ি এবং একটি ইয়ট রয়েছে যেখানে এমনকি গল্ফও খেলা যায়।
ব্লুমবার্গের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই পরিবারের ৮টি ব্যক্তিগত জেট রয়েছে। এই পরিবারের প্রায় ৭০০ টি বিলাসবহুল গাড়ি এবং একটি ইয়ট রয়েছে যেখানে এমনকি গল্ফও খেলা যায়।
বিলাসবহুল সম্পত্তির মালিক বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবার হল আবু ধাবির রাজ পরিবার। অল-নয়ন পরিবার নামেও পরিচিত এই বিশ্ববিখ‍্যাত ধনী পরিবার।
বিলাসবহুল সম্পত্তির মালিক বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবার হল আবু ধাবির রাজ পরিবার। অল-নয়ন পরিবার নামেও পরিচিত এই বিশ্ববিখ‍্যাত ধনী পরিবার।
ইউএই-এর প্রেসিডেন্ট এবং রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ অল নয়নের পরিবারের খ‍্যাতি বিশ্বজোড়া। এই পরিবারের প্রাসাদোপ্রম বাড়িটির দামই নাকি ৪ হাজার কোটি টাকা। ৯৪ বর্গফুট জুড়ে বিস্তৃত। এছাড়াও এই পরিবারের রয়েছে ৭০০ বিলাসবহুল গাড়ির বহর।
ইউএই-এর প্রেসিডেন্ট এবং রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ অল নয়নের পরিবারের খ‍্যাতি বিশ্বজোড়া। এই পরিবারের প্রাসাদোপ্রম বাড়িটির দামই নাকি ৪ হাজার কোটি টাকা। ৯৪ বর্গফুট জুড়ে বিস্তৃত। এছাড়াও এই পরিবারের রয়েছে ৭০০ বিলাসবহুল গাড়ির বহর।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ অল নয়ন হলেন এই পরিবারের প্রধান। তাঁর ১৮ জন ভাই, বোন রয়েছে। নয়টি সন্তান এবং 18 জন নাতি-নাতনি রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ অল নয়ন হলেন এই পরিবারের প্রধান। তাঁর ১৮ জন ভাই, বোন রয়েছে। নয়টি সন্তান এবং 18 জন নাতি-নাতনি রয়েছে।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, পরিবারের মোট সম্পদ আনুমানিক ২৫,৩৩, ১১৩ কোটি টাকা। যা এই মুহূর্তে বিশ্বের অন‍্যতম ধনী ব‍্যক্তি এলন মাস্কের মোট সম্পদের ১৪,৮৭,৩৬০ কোটি টাকার চেয়েও অনেক বেশি।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, পরিবারের মোট সম্পদ আনুমানিক ২৫,৩৩, ১১৩ কোটি টাকা। যা এই মুহূর্তে বিশ্বের অন‍্যতম ধনী ব‍্যক্তি এলন মাস্কের মোট সম্পদের ১৪,৮৭,৩৬০ কোটি টাকার চেয়েও অনেক বেশি।