গ্রামাঞ্চলের অবহেলিত সবজির মধ্যে ডুমুরে রয়েছে বহুগুণ! নখ ও হাড়ের পক্ষে দারুণ উপকারী, পাশাপাশি স্নায়ু শান্ত করে ডাকে ডুমুর।শুকনো ডুমুরে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম থাকে যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম একটি ভাসোডিলেটর হিসাবে কাজ করে, রক্তনালী এবং ধমনীতে চাপ কমায়।এছাড়াও ডুমুর ব্যবহার করলে শরীরের ত্বক আরও তরুণ এবং উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে । উচ্চ ওমেগা – ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সামগ্রী ত্বকে পুষ্টি জোগায়। তাড়াতাড়ি বার্ধক্যের হাত থেকেও রক্ষা করে, এবং শরীরে ব্রণ হওয়া থেকে ডুমুর মুক্তি দেয়।ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৬ সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায়, যা কোলেস্টেরল কমায়! মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখে! ডুমুর অনিদ্রায় সাহায্য করতে পারে । ডায়াবেটিস রোগিদের ক্ষেত্রে ও সর্দি কাশি নিরাময়েও এটি খুবই উপকারী খাদ্য।এ প্রসঙ্গে ডা: শুভ্রাংশু ধোলে জানান, হার্টের পক্ষে ভীষণ উপকারী গ্রামবাংলার বনে জঙ্গলে জন্মানো ডুমুর।এই ডুমুর শরীরে আয়রনের ঘাটতি মিটিয়ে আয়রনের অভাবজনিত রোগের হাত থেকে রক্ষা ও দেহে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখে।
ডুমুরকে খুবই স্বাস্থ্যকর ফল। এই ফল খেলে শরীরের একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জানেন কি ডুমুর পাতাতেও রয়েছে নানা গুণ। এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী৷এই পাতা চওড়া এবং আকারে বড়। ডুমুর পাতায় ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড এবং কপার রয়েছ্র। এর পাশাপাশি এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে এবং ভিটামিন বি পাওয়া যায়। এলাহাবাদের চিকিৎসক নরেন্দ্র শর্মা এই পাতার একাধিক গুণের কথা জানিয়েছেন৷যদি আপনার হাড় দুর্বল হয় তবে আপনার ডুমুর পাতা খাওয়া উচিত কারণ এটি হাড়কে শক্তিশালী করে। ডুমুর পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম। এটি হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়।ডুমুর পাতা অ্যান্টি-এজিং গুণে পরিপূর্ণ। এটি ত্বকে বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি মুখে ব্রণর দাগ এবং যে কোনওরকম দাগ কমাতে সাহায্য করে।ডুমুর পাতায় ওমেগা-৩ এবং ওমেগা ৬ পাওয়া যায়, যা হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এটি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে৷ডুমুর পাতায় এমন পদার্থ উপস্থিত থাকে যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে খুবই উপকারী। এতে পেকটিন নামক দ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যায়, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দূর করে।ডুমুর পাতা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য খুবই উপকারী। ডুমুর পাতায় প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যায়, যা পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ওজন কমাতে চাইলে ডুমুর পাতার চা খেতে পারেন। এতে ফাইবার পাওয়া যায়, যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।ডুমুর পাতার চা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও খুবই উপকারী। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
সাধারণ ভাবে প্রচুর গাছপালা আমাদের চারিপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কমবেশি সকল গাছের মধ্যেই কিছু না কিছু রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য দারুণ কাজের। তেমনই এই বিশেষ ফলের উপকারিতা জানলে চমকে যাবেন!অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, এমনই একটি গাছ হল ডুমুর গাছ। এই গাছের ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তবে একদিনে ২ থেকে ৩টের বেশি শুকনো ডুমুর খাওয়া উচিত না।পেটের রোগের পাশাপাশি যৌন ক্ষমতাকে ধরে রাখতেও ডুমুরের গুণাগুণ রয়েছে অনেক। ডুমুর গাছের ফল এক বিশেষ উপায়ে খেলে যৌন ইচ্ছে বেড়ে যায়! জীবন সুখের হয়!পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল ডুমুর। ডুমুরের ফলে থাকা জিঙ্ক পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে পুরুষদের দেহে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনের মাত্রা অনেকটাই বাড়ে।পুরুষরা শুকনো ডুমুর দুধে ভিজিয়ে খেতে পারেন। এতে অনেকটাই উপকার পাবেন। এছাড়াও স্যালাডে খেতে পারেন শুকনো ডুমুর। এতেও ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বেশ অনেকটাই মুক্তি দেয় ডুমুরের ফল। এই ফল খেলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে পাবেন মুক্তি পাবেন। এটি খেলেই কমে যাবে পেটের সমস্যা জনিত বেশ কিছু রোগ।ডুমুরের ফল খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায় অনেকটাই। এই ফলে থাকা পটাশিয়াম শরীরের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই ফলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাবলী হার্ট সুস্থ রাখে।
