আলিপুরদুয়ার: বিরাট সাফল্য পেলেন বীরপাড়া থানার পুলিশ ও দলগাঁও রেঞ্জের বনকর্মীরা। পাচারের আগেই উদ্ধার হল মূল্যবান কাঠ। ফলে ভেস্তে গেল পাচারকারীদের প্রচেষ্টা।
বীরপাড়া এলাকায় বেশকিছুদিন ধরেই বেড়েছে বেআইনি কাঠ পাচারের ঘটনা। এদিকে কাঠ পাচার রুখতে যদিও তৎপর বীরপাড়া থানার পুলিশ ও বন দফতর। গত দু’দিন ধরে গভীর রাতে দু’টি অভিযান চালায় পুলিশ ও বন দফতর। তাতে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার কাঠ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এক পাচারকারীকেও গ্রেফতার করেন বনকর্মীরা। জানা যায়, অভিযানের সময় লঙ্কাপাড়া রোড থেকে রাজা বসুমাতারি নামের এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে মূল্যবান কাঠ উদ্ধার করেছে দলগাঁও রেঞ্জের বনকর্মীরা।
আরও পড়ুন: জল না পেয়ে এ কী কাণ্ড! কল উপড়ে ফেলে দিল হাতির দল…
আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালত ওই ব্যক্তির জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছে। গতকাল গভীর রাতে বীরপাড়ার নাংডালা রোডে পাচারের সময় একটি কাঠবোঝাই ছোট গাড়িকে তাড়া করেন বনকর্মীরা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গাড়ি ফেলে পালায় চালক। এরপর বনকর্মীরা গাড়িটি রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসেন। বর্তমানে গাড়ির মালিকের খোঁজ চলছে।
অনন্যা দে
আলিপুরদুয়ার: দলছুট হরিণ উদ্ধার করতে গিয়ে কালঘাম ছুটল বনকর্মীদের। অবশ্য শেষ পর্যন্ত দলছুট হরিণটিকে হল ভাতখাওয়া চা বাগান থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে। এদিন দুপুরে এই নিয়ে রীতিমত তোলপাড় পড়ে যায় চা বাগানে।
বুধবার দুপুরে রাজাভাতখাওয়া চা বাগানে লাঞ্চ ব্রেকের পর যখন শ্রমিকরা কাজে ফিরে আসেন তখন এই দল ছুট হরিণটিকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে দেখেন তাঁরা। এরপর খবর দেওয়া হয় বন দফতরে।জানা যায় হরিণটি চিতল প্রজাতির। তবে পূর্ণ বয়স্ক নয়।
আরও পড়ুন: পুনর্বাসনের জায়গা নিয়ে আপত্তি, প্রতিবাদে মেদিনীপুরে পথ অবরোধ হকারদের
হরিণটিকে উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীদের। সেটি পুরো বাগান দৌড়ে বেরোচ্ছিল। এরপর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীরা পুরো এলাকা নেট দিয়ে ঘিরে ফেলেন। পরে হরিণটি নেটে আটকে গেলে সেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বনকর্মীরা। অনুমান করা হচ্ছে, বক্সার জঙ্গলে বাঘের খাবারের জন্য যে হরিনগুলিকে ছাড়া হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে এটি একটি হবে। হরিণগুলির বংশবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাই মাঝে মধ্যেই জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে প্রবেশ করছে তারা।
অনন্যা দে
Just another WordPress site