আলিপুরদুয়ার: দলছুট হরিণ উদ্ধার করতে গিয়ে কালঘাম ছুটল বনকর্মীদের। অবশ্য শেষ পর্যন্ত দলছুট হরিণটিকে হল ভাতখাওয়া চা বাগান থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে। এদিন দুপুরে এই নিয়ে রীতিমত তোলপাড় পড়ে যায় চা বাগানে।
বুধবার দুপুরে রাজাভাতখাওয়া চা বাগানে লাঞ্চ ব্রেকের পর যখন শ্রমিকরা কাজে ফিরে আসেন তখন এই দল ছুট হরিণটিকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে দেখেন তাঁরা। এরপর খবর দেওয়া হয় বন দফতরে।জানা যায় হরিণটি চিতল প্রজাতির। তবে পূর্ণ বয়স্ক নয়।
আরও পড়ুন: পুনর্বাসনের জায়গা নিয়ে আপত্তি, প্রতিবাদে মেদিনীপুরে পথ অবরোধ হকারদের
হরিণটিকে উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীদের। সেটি পুরো বাগান দৌড়ে বেরোচ্ছিল। এরপর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীরা পুরো এলাকা নেট দিয়ে ঘিরে ফেলেন। পরে হরিণটি নেটে আটকে গেলে সেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বনকর্মীরা। অনুমান করা হচ্ছে, বক্সার জঙ্গলে বাঘের খাবারের জন্য যে হরিনগুলিকে ছাড়া হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে এটি একটি হবে। হরিণগুলির বংশবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাই মাঝে মধ্যেই জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে প্রবেশ করছে তারা।
অনন্যা দে
আলিপুরদুয়ার: বন্যপ্রাণী হত্যা করা এই দেশে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু সেই সব আইনকে থোরাই কেয়ার করে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী হত্যা করে তাদের মাংস খাওয়ার চল এখনও বহুল মাত্রায় আছে। সেই নজির অনুসরণ করে কুমারগ্রামে হরিণ হত্যা করে তার মাংস দিয়ে চলছিল পার্টি! যদিও শেষ রক্ষা হল না।
বেআইনিভাবে হরিণ হত্যা করে তার মাংস দিয়ে পার্টি করার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের বারবিশা পুর্বচকচকা এলাকায়। জানা গিয়েছে, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভলকা রেঞ্জের রেঞ্জার প্রভাত কুমার বর্মনের নেতৃত্বে বারবিশা পূর্ব চকচকা এলাকার একটি বাড়ির রান্নাঘরে অভিযান চালন বনকর্মীরা। ওই বাড়ির রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হয় রান্নাকরা হরিণের মাংস।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিলের খরচ কমাতে বসল সোলার প্যানেল, নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে বাড়ির মালিক মদন বর্মন সহ প্রেমসাগর রাজভর নামে আরও এক ব্যক্তিকে। ধৃতরা জেরায় দোষ স্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে। তারপরই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে বনবিভাগ। উদ্ধার করা হয় রান্না করা হরিণের মাংস। এই ঘটনার সাথে আরও কারা যুক্ত আছে তার খোঁজ চালাচ্ছে বন দফতর।
অনন্যা দে
আলিপুরদুয়ার: সাত সকালে লোকালয়ে চলে আসে দুটি চিতল হরিণ। কুকুরের তাড়া খেয়ে তারা জঙ্গল ছেড়ে লোকালয় প্রবেশ করে। এদিকে গ্রামের মধ্যে হরিণ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ভিড় করতে শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে চিঞ্চুলা চা বাগান এলাকায়। এদিন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে দুটি চিতল হরিণ চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় ঢুকে পড়ে। হরিণটি বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। পরবর্তীতে এলাকার বাসিন্দারা মিলে হরিণ দুটিকে ধরে ফেলে। সেগুলিকে রাখা হয় একটি ঘরে বন্ধ করে।
আরও পড়ুন: রোদে পুড়ে যাচ্ছে নদিয়ার লিচু, অসহায় চাষিরা
এরপর এলাকাবাসীরা খবর দেয় বন দফতরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে হরিণ দুটিকে উদ্ধার করে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পানা মোবাইল রেঞ্জের বনকর্মী ও আধিকারিরা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর দুটি হরিণকে আবারও গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বন দফতর সূত্রের খবর। হরিণ দুটি কুকুরের তাড়া খেয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও হরিনগুলির শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বনকর্মীরা।
অনন্যা দে
জলপাইগুড়ি: বন থেকে লোকালয়ে এসে ছুটে বেড়াচ্ছে এই প্রাণী! চাক্ষুস করতে ভিড় এলাকা জুড়ে। অবশেষে বনদফতরের সহায়তায় উদ্ধার হল হরিণটি। জানা যায়, জলপাইগুড়ি সংলগ্ন বানারহাট ব্লকের শালবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় খাবারের সন্ধানে চলে আসে একটি ছোট্ট হরিণ। হরিণ ধরতে স্থানীয় বাসিন্দারা ছোটাছুটি শুরু করে। একটি দিঘীতে ঝাঁপ দেয় ক্ষুদে হরিণটি। অবশেষে হরিণটিকে ধরতে সক্ষম হয় স্থানীয় বাসিন্দারা।
এরপর দেরি না করে খবর দেওয়া হয় মরাঘাট রেঞ্জের বন কর্মীদের। এরপরই মরাঘাট রেঞ্জের তোতাপাড়ার বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণটিকে উদ্ধার করে। স্থানীয় বাসিন্দা লালচান মিয়ার কথায়,”এদিন দুপুরের তীব্র গরম বাঁচতে গাছের তলায় বসে ছিলাম। উত্তর ডাঙ্গাপাড়া থেকে একটি ছোট হরিণ আমাদের দিকে তেড়ে আসছিল। আমায় দেখতে পেয়ে আমার বাড়ির পাশেই একটি দিঘীর মধ্যে ঝাঁপ দেয় হরিণটি। তারপরই স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় হরিণটিকে।”
আরও পড়ুনঃ KKR News: আইপিএল থেকে পুরোপুরি ছিটকে গেলেন কেকেআর তারকা? বড় আপডেট দিলেন কোচ
পরে মরাঘাট রেঞ্জের বন কর্মীদের খবর দেওয়া হলে আধ ঘন্টার মধ্যে তারা এসে হরিণটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। জানা গিয়েছে হরিণটির প্রাথমিক শুশ্রুষা করে ফের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
সুরজিৎ দে
জলপাইগুড়ি: উত্তরের ঘন জঙ্গলে মানুষ বন্যপ্রাণীর সংঘাতে মানুষের মৃত্যু কিংবা আহত হওয়ার খবর সংবাদের শিরোনামে চোখে পড়ে প্রায়ই। কিন্তু ছটফটে এই প্রাণীর মৃত্যু হল লোকালয়ে।
এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের ঝাড়মাঝগ্রাম এলাকায়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ক্রান্তি ব্লকের ঝাড়মাঝগ্রাম এলাকার মহুয়া তলায় একটি পরিত্যক্ত মাঠে একটি মৃত হরিণ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: শাহরুখ, সলমন, আমির সবাই ফেল! এটি বলিউডের সবচেয়ে ধনী পরিবার, পরিবারে নেই একজনও সুপাস্টার, কত কোটির সম্পত্তি জানেন?
দেরি না করে স্থানীয় বাসিন্দারাই কাঠামবাড়ি আপালচাঁদ রেঞ্জ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে আসেন কাঠামবাড়ি আপালচাঁদ রেঞ্জের বনকর্মীরা এবং ঘটনাস্থল থেকে মৃত হরিণটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
কীভাবে হরিণটির মৃত্যু হয় তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে কাঠামবাড়ি আপালচাঁদ রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত হরিণটির ময়নাতদন্ত করা হবে। তারপরেই জানা যাবে হরিণটির প্রকৃত মৃত্যুর কারণ। লোকালয়ে মৃত হরিণকে দেখতে ভিড় জমে যায় এলাকা জুড়ে।
সুরজিৎ দে
আলিপুরদুয়ার: হঠাৎই লোকালয়ে ঢুকে পড়ল একটি হরিণ। যদিও এলাকাবাসীরা সেই হরিণটিকে চোখের আড়াল হতে দেননি। সুযোগ বুঝে বন দফতরের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দোলের আগে অকাল সরস্বতী পুজো! ব্যাপারটা কী?
ঘটনাটি কালচিনি ব্লকের গাড়োপাড়া এলাকার। এই এলাকা থেকে এদিন হরিণ উদ্ধার করলেন বনকর্মীরা।জানা যায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একটি হরিণ গাড়োপাড়া এলাকায় ঢুকে পড়ে। হরিণটি এলাকার বিভিন্ন স্থানে দাঁপিয়ে বেড়তে থাকে।পরবর্তীতে হরিণটি এলাকার এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জের বনকর্মী ও আধিকারিকরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বনকর্মীরা এসে বাড়ির ভেতর থেকে হরিণটিকে উদ্ধার করে আনেন। এলাকার মানুষ বুদ্ধি করে ঘরের দরজা দিয়ে দেওয়ায় সে অন্যত্র পালাতে পারেনি। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এটি পূর্ণ বয়স্ক চিতল হরিণ ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার করার ফের তাকে রাজাভাতখাওয়ার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অনন্যা দে
Just another WordPress site