Tag Archives: Ganga Aarti

Day Outing Plan: গঙ্গার বুকে ক্রুজে চেপে গঙ্গারতি, বাউল গান, দেদার খাওয়াদাওয়া, কবে শুরু পরিষেবা? জানুন

হাওড়া: প্রায় আড়াই ঘণ্টায় গঙ্গাবিহার। গঙ্গা আরতি, বাউল গানের সঙ্গে ফুচকা, ঝালমুড়ি-সহ নানা খাবারের আয়োজন। গঙ্গা আরতি বা বাউল গান চাক্ষুষ করার অভিজ্ঞতা বহু মানুষের রয়েছে। তবে গঙ্গায় ভেসে থেকে সম্পূর্ণ বিপরীতে থেকে গঙ্গারতি দেখার অনুভূতিই আলাদা। সেদিক থেকে এই গঙ্গা বিহারে মানুষের প্রচুর আগ্রহ থাকবে স্বাভাবিক। এবারে সেটাই আয়োজন করতে চলেছে, হুগলি নদী জলপথ পরিবহন এবং একটি বেসরকারি সংস্থা যৌথ উদ্যোগে।

সূত্রের খবর, ১ জুলাই বাবুঘাট থেকে শুরু হতে পারে গঙ্গাবিহার। এই গঙ্গাবিহারের মূল লক্ষ্য কলকাতার বাবুঘাট ও হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে গঙ্গারতি দেখানো। একটি বেসরকারি সংস্থার লঞ্চে গঙ্গাবিহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জুলাইয়েই বাবুঘাট থেকে এই পরিষেবার উদ্বোধন হতে পারে। শুরু হওয়ার পর চলবে নিয়মিত। আড়াই ঘণ্টার সফরে টিকিটের মূল্য কম-বেশি ৩০০ টাকা হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ বাড়িতে অনেকেরই থাকে, এই গাছ পাইলস-কোষ্ঠকাঠিন্যের যম! গাছ নয়, অলৌকিক ওষুধ! কীভাবে খাবেন জানুন

এই গঙ্গা বিহারে লঞ্চের রুট বাবুঘাট থেকে ছেড়ে নিমতলা ঘাট। হাওড়া ব্রিজ, মিলেনিয়াম পার্ক ঘুরিয়ে বাবুঘাটে এসে গঙ্গারতি দেখাবে সেখান থেকে সরাসরি যাবে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে গঙ্গারতি দেখাতে। হাওড়া রামকৃষ্ণপুর ঘাট হয়ে আবারও লঞ্চ বাবুঘাট ফিরবে। আড়াই ঘণ্টার এই সফরে থাকবে চা, স্ন্যাক্স-সহ বিভিন্ন খাবার, থাকবে ফুচকা, ঝালমুড়িও।

জানা গিয়েছে, এই গঙ্গা বিহারে লঞ্চে আসন সংখ্যা ৪০-৫০টির মধ্যে হতে পারে। হুগলি জলপথ পরিবহনের ডিরেক্টর অজয় দে জানান, যদিও সবে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। কত ভাড়া হবে তা এখনও সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত হয়নি। যাত্রীদের নিরাপত্তা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব রেখে, সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে দ্রুত বাস্তবায়িত হবে এই গঙ্গাবিহার পরিষেবা।

রাকেশ মাইতি

আড়াই ঘণ্টার জমজমাট গঙ্গা বিহার ! থাকছে গঙ্গারতি, বাউল গান ও খাবার, দাম সাধ্যের মধ্যেই

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: আড়াই ঘণ্টার গঙ্গা বিহারে থাকছে গঙ্গারতি, বাউল গান, সঙ্গে মুখরোচক খাবার। টিকিট মাত্র ২৯৯ টাকা। এর আগে রাজ্য পরিবহণ দফতর এমন ক্রুজ পরিষেবা চালু করেছিল। এখনও মাঝে মধ্যে সেই ক্রুজ চলাচল করে। বিশেষ দিনে পরিষেবা পাওয়া যায় নতুন ভাবে।

আরও পড়ুন– রাজ্যের সর্বত্রই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস, তবে বর্ষা এলেও ভারী বৃষ্টি এখনই নয় দক্ষিণবঙ্গে

এবার গঙ্গা বিহারের আয়োজন করছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই বিশেষ পরিষেবা চালু করতে চলেছে তারা। ১ জুলাই বাবুঘাট থেকে শুরু হবে গঙ্গা বিহার। মূলত কলকাতার বাবুঘাটে ও হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে গঙ্গারতি দেখাতেই এই উদ্যোগ।

আরও পড়ুন- হোস্টেলে ফ্রিজ নেই, কুলারকেই রেফ্রিজারেটর বানিয়ে নিলেন পড়য়ারা ! ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

জানা গিয়েছে, নিজেদের বড় ভেসেল থাকলেও একটি বেসরকারি সংস্থার থেকে বেশ কয়েকটি কাঠের লঞ্চ ভাড়া নিয়ে চালায় হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। সেই সংস্থার একটি লঞ্চেই গঙ্গা বিহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১ জুলাই বাবুঘাট থেকে উদ্বোধন হবে এই ব্যবস্থার। তারপর চলবে নিয়মিত। আড়াই ঘণ্টার সফরে টিকিটের মূল্য হবে ২৯৯ টাকা। সেই লঞ্চ বাবুঘাট থেকে ছেড়ে নিমতলা ঘাট, হাওড়া ব্রিজ, মিলেনিয়াম পার্ক ঘুরিয়ে বাবুঘাটে এসে গঙ্গা আরতি দেখাবে। সেখান থেকে যাবে ওপারে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে। সেখানেও গঙ্গারতি হয়। তা দর্শনের পর ফের বাবুঘাটে ফিরে আসবে ওই লঞ্চ।

আরও পড়ুন– হাত ধরাধরি করে থানায় এসে দুই মেয়ে বলল, ‘স্যার, আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করুন’, তারপর যা হল…

আড়াই ঘণ্টার এই সফরে থাকবে চা, স্ন্যাক্স-সহ বিভিন্ন খাবার। থাকবে ফুচকা, ঝালমুড়ির মতো স্ট্রিট ফুডও। ৪০ আসন বিশিষ্ট এই বিশেষ লঞ্চে চড়ে গঙ্গা বিহারে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হতে চলেছে বাউল গান। যা গঙ্গা বিহারকে অন্য মাত্রা দেবে।

Ganga Aarti: উল্টো পথে বয়ে চলেছে স্রোত! গঙ্গা না হয়েও তার পাড়ে ‘গঙ্গা আরতি’

জলপাইগুড়ি: এবার‌ও হবে গঙ্গা আরতি। ভাবছেন তো জলপাইগুড়িতে আবার গঙ্গা কোথায়? এ তো অবাক কথা! জলপাইগুড়ির ডাঙা পাড়া গৌরি হাট সংলগ্ন বারুনি স্নানের মধ্য দিয়েই প্রতি বছর পবিত্র গঙ্গা স্নান সারেন পুণ্যার্থীরা।

আর‌ও পড়ুন: গান শুনে সাদা কাগজে প্রকাশ করতে হল আবেগ ও ভাবনা! আইআইটি খড়গপুরে বিশেষ আসর

এই বারুনি স্নান হল বহমান করলা নদীতে স্নান। তবে এর একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই নদীর স্রোত উল্টো পথে বয়ে চলে। তাই এই নদী উত্তরের গঙ্গা হিসেবে পরিচিত। তবে আরও একটি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে এবার। এবার গঙ্গা স্নানের পাশাপাশি হবে গঙ্গা আরতি। যা এতদিন কাশী, বেনারস, কলকাতার মত গঙ্গা নদীর তীরে হতে দেখা গিয়েছে। এই প্রথম জলপাইগুড়ি জেলায় গঙ্গা আরতী তথা করলা নদীর তীরে আরতি হবে বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই আরতি করার জন্য সুদূর কাশি থেকে পন্ডিতরা আসছেন। ডাঙাপাড়া শ্মশান কালী মন্দিরের উদ্যোগে এই আরতির প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আগামী ৬ এপ্রিল থেকে টানা ৭ দিন চলবে এই আয়োজন। গৌরীহাট বারুণি মেলা জলপাইগুড়ি শহর তথা জেলায় খুবই বিখ্যাত ও জনপ্রিয়। ৭ দিনের ঐতিহ্যবাহী বারুনি মেলা নিয়ে এবারেও উৎসবের আমেজ এলাকাজুড়ে। জানা গিয়েছে, অতি প্রাচীনকাল থেকেই এখানে বহমান উত্তরবাহী করলা নদীর ঘাটে পবিত্র বারুণি স্নান এবং মেলার আয়োজন অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বাদশ তিথিতে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করলা নদীর উত্তরবাহী স্রোতে পবিত্র পুণ্য স্নানে সামিল হন বহু দূর-দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীরা। নারী পুরুষ, ছোট ছোট ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে এই পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করে। মস্তক মুণ্ডন করে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে নদীর জলে তর্পণ করেন তাঁরা।

সুরজিৎ দে