পাঁচমিশালি Knowledge Story: বিশ্বের সবচেয়ে বড় বটগাছ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, কোথায় রয়েছে সেই গাছ জানেন? বয়স শুনলে চমকে যাবেন Gallery August 14, 2024 Bangla Digital Desk বিশ্বের সবচেয়ে বড় বটগাছ কোথায় রয়েছে জানেন? শুনলে চমকে যাবেন। ভাবতে পারবেন না, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বটগাছ রয়েছে হাওড়া শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে। বোটানিক্যাল গার্ডেনে রয়েছে শাল, শিমূল, সেগুন, বট, অশ্বত্থ, মেহগনি, লবঙ্গ, জায়ফল-সহ আরও নানা রকমের গাছ রয়েছে। তবে এই গার্ডেনের প্রধান আকর্ষণ ২৫০ বছরেরও বেশি পুরনো বিশাল মহাবটবৃক্ষ। যা ইতিহাস বহন করে চলেছে। অনেকেই বলেন, একটি খেজুর গাছের মাথায় এই বটগাছটির বীজ পড়ে। এর পর সেই খেজুর গাছের উপরেই জন্ম নেয় এই বটগাছটি। এর পর সেখান থেকে বেড়ে উঠতে শুরু করে এর পর সেটি বিশাল আকারের হয়ে যায়। বটগাছের শাখাপ্রশাখা আর জুড়ির ফাঁসে মারা যায় খেজুর গাছটি। এখন সেই বটগাছ প্রায় ৫ একর জায়গা জুড়ে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে। শত শত ঝুরি নিয়ে এখনও সে যথেষ্ট প্রাণবন্ত। রানি ভিক্টোরিয়ার শাসনকালে এই উদ্যানটির নাম রাখা হয়েছিল রয়্যাল ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৬৩ সালে এই উদ্যানের নাম রাখা হয় ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন। ২০০৯ সালে আবার গার্ডেনের নাম পাল্টে যায়। কিংবদন্তি বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্র বসুর জন্ম সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে এর নাম রাখা হয় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেন। তবে এখন এই উদ্যানটি ভারত সরকারের বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধীনে রয়েছে। ১৭৮৭ সালে বাগানের সূচনা ৩১০ একর জমি নিয়ে। পরে ৪০ একর জমি যা কিড সাহেবের সম্পত্তি ছিল পরে তা দিয়ে দেওয়া হয় বিশপ’স কলেজকে। সে কলেজ আর নেই। সেই জমিতে এখন বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি। আঠারো শতকে বিশ্বের কোনও বাগান এমন বিশাল পরিধি নিয়ে জন্ম নেয়নি। এমনকি ১৮৪০ সালের আগে বিলেতের বিখ্যাত কিউ গার্ডেনস ছিল মাত্র এগারো একর জমি নিয়ে। কলকাতার বোটানিক্যাল গার্ডেন বিশ্বের বৃহত্তম গার্ডেনের শিরোপা পরে ছিল বহু বছর ধরে। এর আগে ১৭৮০ সালে উইলিয়াম রক্সবার্গ– যিনি রবার্ট কিডের পর বাগানের কর্তা তৎকালীন মাদ্রাজের কাছে একটা বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অবশ্য বাগানের পরের ইতিহাস স্বতন্ত্র। অতি গৌরবময়। তার সাক্ষী বর্তমানে বোটানিক্যাল গার্ডেনের ১৪০০ প্রজাতির প্রায় ১৭,০০০ গাছ, বিরল প্রজাতির গাছগাছড়া, ম্যাগনোলিয়া, রোডোডেনড্রন এবং অ্যালপাইনের মতো বিচিত্র সম্ভার। এই বটবৃক্ষের বয়স কত? অন্তত ২৫০ বছর বয়স হয়েছে এই গাছটির। কতটা প্রশস্ত এই বটগাছ? বটগাছের প্রধান কাণ্ড ছিল ১৫.৫ মিটার (বা ৫০ ফুট চওড়া)। কিন্তু আজ গাছটির পরিধি ৪৮৬ মিটার এবং ৩.৫ একর জুড়ে বিস্তৃত। কতটা লম্বা এই গাছ? ২৪.৫ মিটার, প্রায় মুম্বাইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার মতো লম্বা।
লাইফস্টাইল Use Of 2 Knives in Nail Clipper: নেলকাটারের মাঝে থাকে ২টি ছুরি! সেগুলির কাজ কী বলুন তো? ৯৯ শতাংশই ডাহা ফেল করবেন Gallery August 13, 2024 Bangla Digital Desk নেলকাটার আমাদের প্রতি দিনের জীবনে অত্যন্ত দরকারি একটা ছোট্ট যন্ত্র। এই যন্ত্র দিয়ে নখ কাটা যায়। নখে শান দেওয়া যায়। কিন্তু নেলকাটারের মধ্যে থাকে দুটো ব্লেড! সেগুলির ব্যবহার আমরা অনেকেই জানি না। নখ কাটতেও কাজে আসে না। তবে ওগুলো আছে কেন বলতে পারবেন? দাঁত মাজা, স্নান করা এবং নখ কাটা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। একইভাবে নখ পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। কারণ নখের মাধ্যমেই আমাদের মুখের মাধ্যমে জীবাণু সরাসরি পাকস্থলীতে পৌঁছায়। এতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। কখনও কখনও এর থেকে বাসা বাঁধে জটিল রোগ। আমরা শুধুমাত্র নখ কাটার জন্য নেল কাটার ব্যবহার করি। কিন্তু একটি নেল ক্লিপারে ব্লেডের মতো দুটি ছুরি থাকে। এগুলির ব্যবহার সবাই না জানলেও এগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেন জানেন? এই ছুরিদুটির বিশেষ ব্যবহার রয়েছে। নেলকাটার ব্যবহার না করে দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস থাকে অনেকের। এতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস মুখ থেকে আঙুলে কিংবা নখ থেকে আপনার মুখে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আপনি যদি সংক্রমণপ্রবণ হন এই বদ অভ্যাস থেকে মুক্তি দিন নিজেকে। নেলকাটার ব্যবহার করুন। আমরা শুধুমাত্র নখ কাটার জন্য নেল কাটার ব্যবহার করি। কিন্তু একটি নেল ক্লিপারে ব্লেডের মতো দুটি ছুরি থাকে। এগুলির ব্যবহার সবাই না জানলেও এগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেন জানেন? এই ছুরিদুটির বিশেষ ব্যবহার রয়েছে। মূলত, নখ পরিষ্কার করতে কাজে লাগে এই ছুরির মুখ। তবে, এটা দেওয়া হয় ছোট ছোট জিনিস সামলানোর জন্যও। শুধু তাই নয়, বোতলের ছিপি খুলতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। নেল কাটারে দুটি ব্লেড যুক্ত করার পর এর উপযোগিতা অনেক বেড়ে যায়। আপনি যেখানেই যান এটি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। কারণ এটা খুবই ছোট। বোতলের ঢাকনা কাটা, ড্রিলিং এবং খোলার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। যখন বাইরে থাকেন তখন পাতিলেবু, কমলা বা অন্য কিছু সহজেই এই ছুরি দিয়ে ছাড়াতে পারেন। এছাড়াও আত্মরক্ষার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে এই ছুরি।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: জল না খেয়েও দিব্যি বেঁচে থাকে! বলুন তো দেখি, কোন প্রাণী? নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি…! Gallery August 13, 2024 Bangla Digital Desk পৃথিবীতে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা জেনে আমরা অবাক হয়ে যাই। আবার আমাদের চারপাশে এমন অনেক জিনিস ঘটে যা দেখে আমরা বিস্মিত হই৷ এখানে আমরা এমন ৫টি প্রাণীর কথা বলছি যারা সবচেয়ে কম জল পান করে কিংবা জল না খেয়েও দিব্যি বেঁচে থাকে। উত্তর আমেরিকায় পাওয়া এই ক্যাঙ্গারু ইঁদুর জল না খেয়েও বেঁচে থাকতে পারে। এই ইঁদুরগুলো তাদের খাবারের মাধ্যমে জলের অভাব পূরণ করে। অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া থর্নি ডেভিল টিকটিকি তার বিশেষ শারীরিক গঠনের জন্য পরিচিত। এদের শরীর জলের অভাব পূরণ করে যার কারণে জল খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। এক ধরনের শিয়াল আছে যারা জল না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে। তারা তাদের খাবারের মাধ্যমে জলের অভাব দূর করে। অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া কোয়ালা ভাল্লুকও জল না খেয়ে বেঁচে থাকে। তারা খাবারের মাধ্যমে জলের অভাব পূরণ করে। উট, যাকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়, তাদের ঘাড়ে জল সংগ্রহ করে। উট জল ছাড়া ১৫ দিন বেঁচে থাকতে পারে।
পাঁচমিশালি General Knowledge Story: বলুন তো দেখি, মানুষ ছাড়া আর কোন প্রাণী নিজেদের নাম রাখতে পারে? উত্তরটা কিন্তু অবাক হওয়ার মতো Gallery August 12, 2024 Bangla Digital Desk এই পৃথিবীর আনাচ-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অপার রহস্য। যার সমাধান হওয়া খুব মুশকিল। ঠিক তেমনই এক প্রশ্ন আজ আপনাদের সামনে হাজির। এই জগতের সবথেকে বুদ্ধিমান প্রাণী মানুষ। তার চিন্তা, ভাবনা বাকিদের থেকে আলাদা। তার এমন একটা জিনিস আছে তা আর কারও নেই। সেটা হল নাম। মানুষ তার পোষ্যদের নাম দেয়। সেটা কুকুর হতে পারে, বেড়াল হতে পারে, পাখি হতে পারে। তারা সাড়াও দেয়। কিন্তু কুকুর বা বিড়াল নিশ্চয়ই নিজেদের নাম দেবে না। তারা মানুষের দেওয়া নামেই সাড়া দেয়। কিন্তু এমন এক প্রাণি আছে যারা নিজেরা নিজেদের নাম দেয়। সেই প্রাণিটি হল ডলফিন। ডলফিন নিজেরা নিজেদের নামে চিনতে পারে। এক এক ডলফিনের এক এক নাম। তারা ডাকে হুইসলের মতো আওয়াজ করে। প্রতিটি ডলফিনের আলাদা হুইসল হয়। বটলনোজ ডলফিনরা অনেকে একসঙ্গে থাকে। কেউ যদি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তখন বাকিরা তার নামের হুইসলের ডাক ডাকতে থাকে। ইউনাইটেড কিংডমের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী জীববিজ্ঞানী পিটার টাইক বলেছেন, “এটি একটি বিস্ময়কর গবেষণা, যা বিশ্বাস করা সত্যিই কঠিন।” বিজ্ঞানীরা প্রায় ৫০ বছর আগে ডলফিনের হুইসেল আবিষ্কার করেছিলেন। তারপর থেকে, গবেষকরা দেখিয়েছেন যে শিশু ডলফিনগুলি তাদের মায়েদের কাছ থেকে তাদের পৃথক শিস শেখে। Tyack এর 1986 সালের একটি গবেষণাপত্র দেখায় যে একজোড়া পুরুষ ডলফিন একে অপরের হুইসেল অনুকরণ করেছিল। বিষয়টি কিন্তু বিস্ময়কর।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: কোটি টাকায় বিক্রি হয় ‘এই’ প্রাণীর বমি, কিনে নেয় পারফিউম কোম্পানি… মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ উত্তরটা জানেন Gallery August 12, 2024 Bangla Digital Desk জানার কোনও শেষ নেই। আমাদের আশেপাশে থাকা যে কোনও বিষয় ঘিরেই আছে নানা আশ্চর্যজনক তথ্য যা আমাদের জানার পরিধির বাইরে। যা শুনলে আমরা আকাশ থেকে পড়ি। এমনও যে হতে পারে ভাবা যায় না। উত্তরটা জানলে আমাদের অবাক হওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। আজকাল অনেক প্রতিযোগিতাতে এমসিকিউ আসে। আর সেই সব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য এসব জানা খুব জরুরি। কখনও কখনও এমন হয়, উত্তরটা হয়তো আমরা জানতাম। কিন্তু শুধু মাথা ঠান্ডা না রাখার কারণে জানা জিনিসের উত্তর দিতে ভুল করি। আজ যে প্রশ্নটি এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে তা চেনা একটি প্রশ্ন হলেও এর উত্তর অনেকের কাছেই অজানা। বলা ভাল বেশিরভাগ মানুষই এর উত্তর দিতে ভুল করেছেন। আমরা জানি যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জেনারেল নলেজ হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যে কোনও চাকরির পরীক্ষাতে জেনারেল নলেজ প্রায়শই এসে থাকে। সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সগুলি জেনে রাখা উচিত। এগুলি যেমন নলেজ বাড়াতে সাহায্য করে তেমন দেশ-বিদেশের অনেক তথ্যগুলি জানা যায়। এরকম প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু বুদ্ধি খরচ করলেই এর উত্তর দেওয়া সম্ভব। বলুন তো কোন প্রাণীর বমি কোটি টাকায় বিক্রি হয়? উত্তর দিতে কিন্তু হিমশিম খেয়েছেন সবাই তিমি মাছের বমিকে অ্যাম্বারগ্রিস (Ambergris) বলে। এই পদার্থটি তিমির অন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসে। অ্যাম্বারগ্রিস ধূসর বা কালো রঙের একটি কঠিন পদার্থ। নীল তিমির গড়ে ওজন ৩০ হাতির ওজনের সমান। প্রায় ২২০ টন। জন্মানোর সময় নীল তিমির ওজন থাকে ৪ হাজার কেজি প্রায়। পারফিউম তৈরির কোম্পানিগুলি এটি ব্যবহার করে। এতে পারফিউমের সুগন্ধ অনেকক্ষণ ধরে থাকে। চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয়।
পাঁচমিশালি General Knowledge: ৯৯ শতাংশ উত্তরই ভুল! চোখের কালো অংশকে তো ‘মণি’ বলে, সাদা অংশের নাম জানেন কী? Gallery August 12, 2024 Bangla Digital Desk জানার কোনও শেষ নেই। আমাদের আশেপাশে থাকা যে কোনও বিষয় ঘিরেই আছে নানা আশ্চর্যজনক তথ্য যা আমাদের জানার পরিধির বাইরে। যা শুনলে আমরা আকাশ থেকে পড়ি। এমনও যে হতে পারে ভাবা যায় না। উত্তরটা জানলে আমাদের অবাক হওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। আজকাল অনেক প্রতিযোগিতাতে এমসিকিউ আসে। আর সেই সব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য এসব জানা খুব জরুরি। কখনও কখনও এমন হয়, উত্তরটা হয়তো আমরা জানতাম। কিন্তু শুধু মাথা ঠান্ডা না রাখার কারণে জানা জিনিসের উত্তর দিতে ভুল করি। আজ যে প্রশ্নটি এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে তা চেনা একটি প্রশ্ন হলেও এর উত্তর অনেকের কাছেই অজানা। বলা ভাল বেশিরভাগ মানুষই এর উত্তর দিতে ভুল করেছেন। আপনারা তো জানেন চোখের কালো অংশকে মণি বলে, জানেন চোখের সাদা অংশকে কী বলে ? এর নাম শ্বেতমণ্ডল বা স্ক্লেরা। চোখ নিয়ে এমন অনেক বিষয় আছে যা আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। যেমন আরও একটি প্রশ্ন আপনাদের সামনে নিয়ে আসি। প্রশ্নটি হল আমরা চোখ বন্ধ করলে যে রঙ দেখি তার নাম কী? এর উত্তর কালো নয় তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হল। সঠিক উত্তরটি হল চোখ বন্ধ করলে আমরা যে রংটি দেখতে পাই বা অনুভব করতে পারি সেটির নাম হল আইগেনগ্রাও (Eigengrau, #16161D)। এটি একটি ইউনিক রং। যা কালো নয়।
পাঁচমিশালি GK: বলুন তো, বিশ্বের সবথেকে লম্বা গাছের নাম কী? উচ্চতা জানলে চমকে যাবেন Gallery August 12, 2024 Bangla Digital Desk জিকে অর্থাৎ সাধারণ জ্ঞান নিয়ে আমাদের সকলেরই কম-বেশি কৌতুহল থাকে। কারণ অজানাকে জানবার ইচ্ছে বা পৃথিবী আশ্চর্য বিষয়গুলি জানতে সকলেরই ভাল লাগে। এতে জ্ঞানেরও বৃদ্ধি হয়। এখন যদি আপনাদের বলি এই বিশ্বে এমন একটি গাছ রয়েছে যার উচ্চতার কাছে কুতুবমিনার এবং স্ট্যাচু অফ লিবার্টিও একেবারে ছোট। তাহলে অবাক হবেন অনেকেই। কিন্তু সত্যিই এমন গাছ রয়েছে। এত উচ্চতার কারণে এই গাছটি বিশ্ব রেকর্ড করেছে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু গাছ হিসেবে পরিচিত। এই উঁচু গাছটির নাম হলো হাইপরিয়ন, এটি কোস্ট রেডউড। এটি ২০০৬ সালে প্রথমে নজরে আসে। ভাবছেন বিশ্বের সব থেকে উঁচু সেই গাছটি কোথায় অবস্থিত? গাছটি বর্তমানে রয়েছে উত্তর আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে। গাছটির উচ্চতা প্রায় ১১৫.৮৫ মিটার। ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যাশনাল পার্কে রয়েছে গাছটি। ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যাশনাল পার্কে এই গাছটি আপনি দেখতে পাবেন অনেক দূর থেকেও। কিন্তু কাছে যাওয়া মানা। গাছটির আশপাশ দিয়ে হাঁটাচলা করতে দেখা যায় তাহলে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং জেল পর্যন্ত হতে পারে। গ্রিক পুরান থেকে গাছের কোস্ট রেডউড নামটি নেওয়া হয়েছে। জানলে অবাক হবেন গাছটির মূল অত্যন্ত গভীরে এবং এর কোনও শাখা-প্রশাখা নেই। এক দম্পতি ২০০৬ সালে প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন গাছটিকে। গ্রীষ্মকালে প্রখর গরমে যদি আপনি এই গাছের নীচে দাঁড়িয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে সেখানকার তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। বর্তমানে এই গাছটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: বলুন তো পেট্রোল-ডিজেলের বাংলা কী? ৯৯ শতাংশের ঘাম ছুটছে উত্তর দিতে, আপনি জানেন? Gallery August 11, 2024 Bangla Digital Desk সাধারণ জ্ঞান থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। জীবনের নানা পর্যায়ে আমাদের প্রয়োজন পড়ে সাধারণ জ্ঞানের। অনেক সময় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা চাকরির ইন্টারভিউতে কিছু এমন প্রশ্ন থাকে যা নিয়ে সচরাচর আমরা ভাবিই না। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) সাধারণ জ্ঞান থাকা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে এখনই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা, যেমন– এসএসসি, ব্যাঙ্কিং, রেলওয়ে এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সময়ও এই সম্পর্কিত অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। আজ এমনই একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো আমরা এই প্রতিবেদনে। আচ্ছা বলুন তো পেট্রোল আর ডিজেলের বাংলা কী? প্রশ্ন শুনে চোখ কপালে উঠছে তো? কিন্তু সত্যি কী আপনি বলতে পারবেন এই দুই অত্যন্ত পরিচিত দৈনন্দিন জীবনের চেনা শব্দের আসল বাংলা কী? পেট্রোল এবং ডিজেল মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সারা বিশ্বের মানুষ পেট্রোল এবং ডিজেলকে এই নামেই চেনে, কিন্তু আপনি কী কখনও ভেবে দেখেছেন, পেট্রোল এবং ডিজেলকে বাংলায় কী বলে? এগুলি তো বাংলা শব্দ নয়, তাহলে? অনেকেই ভাবেননি পেট্রোল বা ডিজেলের বাংলা অর্থ কী হতে পারে। কারণ পেট্রোল পেট্রোল নামেই সর্বাধিক পরিচিত এবং ডিজেলকে ডিজেল নামেই জানেন সবাই। পেট্রোল পাম্পেও লেখা থাকে শুধু পেট্রোল এবং ডিজেল। পেট্রোল-ডিজেলের বাংলা নাম কী? কিছু রিপোর্ট অনুসারে, পেট্রোলকে বাংলায় শিলাতৈল বলা হয়। পেট্রোলের অন্যান্য বাংলা নাম যা প্রচলিত আছে তার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি, তেল, পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম, পরিশোধিত কেরোসিন। অন্যদিকে, ডিজেলকেও বাংলায় ধ্রুবস্বর্ণ বলা হয়। গুগল ও সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে বাংলায় পেট্রোল এবং ডিজেলের অর্থ এগুলিই মিলেছে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: জিভের ওজন ১টি হাতির ওজনের সমান, সবচেয়ে জোরে চিৎকার করতে পারে! বলুন তো কোন প্রাণী? Gallery August 11, 2024 Bangla Digital Desk পৃথিবীর এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ও ভারী প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে নীল তিমিকে। যদিও বিভিন্ন সময় এ নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁরা আদিম প্রজাতির এমন এক তিমির দেহাবশেষ খুঁজে পেয়েছেন, যা নীল তিমির চেয়েও ওজনে বেশি হতে পারে। গত বছর অগাস্টের দিকে তাঁরা পেরুতে এ ধরনের তিমির আংশিক কঙ্কাল খুঁজে পেয়েছেন। চার কোটি বছর আগে পেরুসেটাস কোলোসাস নামের এ তিমির অস্তিত্ব ছিল। তবে নীল তিমিকেই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রাণী হিসেবে ধরা হয়েছে। জানেন নীল তিমির কয়েকটি বিশেষত্ব, এগুলি জানলে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন। জন্মের সময়ই এই তিমির যা আকার তা বিশাল। বিজ্ঞানীদের দাবি, ১০০ ফুটেরও বড় হতে পারে নীল তিমি। নীল তিমির গড়ে ওজন ৩০ হাতির ওজনের সমান। প্রায় ২২০ টন। জন্মানোর সময় নীল তিমির ওজন থাকে ৪ হাজার কেজি প্রায়। বিশ্বের সব প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় হৃদপিণ্ড রয়েছে নীল তিমির। ওজন প্রায় গড়ে ২০০ কেজি। মিনিটে মাত্র ২ বার হৃদস্পন্দন হয় নীল তিমির। সবচেয়ে জোড়ে চিৎকারও করতে পারে এই নীল তিমি। তাদের চিৎকারের শব্দ প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে শোনা যায়। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে জলের সাঁতার কাটতে পারে তারা। অন্তত ১০০ বছর আয়ু রয়েছে প্রতিটি নীল তিমির। নীল তিমির একটি জিভের ওজন প্রায় একটি হাতির সমান। বিশাল আকারের এই জিভ দিয়েই জলে শিকার করে নীল তিমি। বহু সময় না গিলে মুখের ভিতর খাবার ধরে রেখে দিতে পারে নীল তিমি। জলও ভরে রাখতে পারে দীর্ঘ সময়।
পাঁচমিশালি General Knowledge Story: বলুন তো চোখ বন্ধ করলেই আমরা কোন রং দেখতে পাই? উত্তরটা কালো নয় কিন্তু… তাহলে? Gallery August 11, 2024 Bangla Digital Desk আপনি কি কখনও লক্ষ্য করেছেন যে চোখ বন্ধ করার পরেও আমরা একটি অদ্ভুত রঙ দেখতে পাই? সাধারণত আমরা এটিকে কালো বলে মনে করি তবে তা নয়, এই রঙটি আলাদা কিছু, যা আলোর সঙ্গে কিছুটা পরিবর্তন হয় বলে মনে হয়। সাধারণত অন্ধকার জায়গায় চোখ বন্ধ করলে আপনি কালো রং দেখতে পান এবং উজ্জ্বল জায়গায় চোখ বন্ধ করলে লাল বা কমলা দেখতে পান। তবে এটি কিন্তু আসল রং নয়। সঠিক উত্তরটি হল চোখ বন্ধ করলে আমরা যে রংটি দেখতে পাই বা অনুভব করতে পারি সেটির নাম হল আইগেনগ্রাও (Eigengrau, #16161D)। এটি একটি ইউনিক রং। যা কালো নয়। রংটি নিজেই একটি অপটিক্যাল বিভ্রম। এটি আমাদের রেটিনার আলো-সংবেদনশীল কোষগুলিকে উদ্দীপিত করে। যখন আমরা অন্ধকারে থাকি তখন কোষগুলি কম সক্রিয় থাকে এবং আমরা এই রং দেখতে পাই। যখন আমাদের ব্রেন ভিজ্যুয়াল ইনফরমেশন তৈরি করে, তখন উজ্জ্বলতার চেয়ে কন্ট্রাস্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেটা দেখছি অন্ধকার সেই উজ্জ্বল জিনিসের সাথে আপেক্ষিক। উদাহরনস্বরূপ, রাতের আকাশ আইগেনগ্রাও (Eigengrau)-এর থেকে বেশি কালো। কারণ তারা আলো কন্ট্রাস্টের কাজ করে। মজার বিষয় হল, হেক্স কালার চার্টে, যেখানে কালো #000000, EIGENGRAU #16161D। মাইগ্রেন বা তীব্র মাথাব্যথা এবং মাথা ঘোরার সময়েও এটি দেখা যায়। কারও কাছে এটি কালো এবং কারও কাছে এটি রঙিন বলে মনে হতে পারে। সাধারণত এর প্রভাব মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয় এবং তারপর চলে যায়।