কোথাও দফায় দফায় তো কোথাও নাগাড়ে বৃষ্টি। জল থইথই চারদিক। তার ওপর রথের মরশুম। একইদিনে রথ ও রবিবার। এমন ঝমঝমে রেইনি ডে-তে দুপুরে গরমাগরম খিচুড়ির সঙ্গে ডিমের ওমলেট পেলেই খুশি হয়ে যান অনেকে।
যদিও খিচুড়ির সঙ্গত হিসেবে কেউ ভালোবাসেন মাছ ভাজা তো কেউ আবার পাঁপড়। আমিষ না চললে ডিমের বদলে মুচমুচে পাঁপড় কিংবা লম্বা বেগুন ভাজা। শেষপাতে একটু চাটনি। বৃষ্টির দিনের এই মেনুর কাছে মাংস-পোলাও-বিরিয়ানিও পিছিয়ে পরে।বাঙালির জীবনে বৃষ্টি আর খিচুড়ি যেন মুদ্রার দুই পিঠ। খিচুড়ি এমন একটি পদ যা বর্ষা ঋতুর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানানসই। তবে শীত গ্রীষ্ম সব সময়েই অল্প সময়ে ঝট করে রান্না করে ফেলার জন্য এর আলাদাই কদর আজকের সুপারফাস্ট জীবনে।তবে অনেকেই খিচুড়ি রান্না করতে গিয়ে করে ফেলেন বড় ভুল। এক চাল ও ডালের ভুল অনুপাতের কারণেই খিচুড়ি রান্না ঠিক জমাতে পারেন না অনেক বড় রাঁধুনীরাও। কিন্তু কী এই অনুপাত? কী ভাবে রান্না করলেই বানাতে পারেন পারফেক্ট খিচুড়ি?চলুন জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে সহজ পদ্ধতিতে সুস্বাদু খিচুড়ি রান্না করা যায় সামান্য সময় নিয়েই।খিচুড়ি রান্নার জন্য মোটা বা পুরোনো চাল কখনও ব্যবহার করবেন না। সবসময় ভাল চাল ব্যবহার করুন। গোবিন্দ ভোগ চাল একত্রে আদর্শ।বাসমতি চাল বা লম্বা দানার কোনও চাল ব্যবহার করা যেতে পারে খিচুড়ি রাঁধতে। ডাল ও শোনা মুগডাল ব্যবহার করে করলে ভাল হয় খিচুড়ির স্বাদ।এই খিচুড়িতে আপনি চাইলে সবজি যোগ করতেও পারেন। বিশেষত ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলু, মটরশুঁটি জাতীয় সবজি দেওয়া যেতে পারে। যা স্বাদ আরও বাড়াবে।এক্ষেত্রে আরও একটি প্রয়োজনীয় টিপস হল খিচুড়ির ফোড়ন। খিচুড়ি রান্নার ফোরণে জিরে, হিং ও ঘি দেওয়া মাস্ট। আর মুসুর ডালের খিচুড়িতে দিতে পারেন পেঁয়াজ ও রসুন।খিচুড়িতে চাল ডালের হিসেব : এটি খুবই জরুরি টিপস। খিচুড়ি রান্নার চাল ডালের ভুল হিসেব কিন্তু স্বাদের বারোটা বাজাতে পারে।খিচুড়িতে চাল ডালের অনুপাত ১:১ বা ১:২ হতে পারে। অর্থাৎ সমান সমান দেওয়াই আদর্শ হিসেব। মানে ১ কাপ চলে ১ কাপ ডাল। তবে ১ কাপ চলে ২ কাপ ডালের অনুপাত দেওয়া হয়ে থাকে পারফেক্ট খিচুড়ি বানাতে।চাইলে কেউ ১ কাপ মুসুর ও ১ কাপ মুগ ডাল দিতে পারেন। এক্ষেত্রে মুগ ডাল অবশ্যি একটু শুকনো কড়াইয়ে ভেজে নিতে হবে।জেনে গেলেন তো খিচুড়ির হিট রেসিপির সুপার হিট টিপস! এবার যে কোনও রাঁধুনীকে ১০ গোল দেবে আপনার বানানো খিচুড়ি। আঙ্গুল চাটতে থাকবে সবাই।
সাধারণ জ্ঞানের পরিসরে এমন এমন তথ্য উঠে আসে যা আমাদের হতবাক করিয়ে দেয়। যেমন ধরুন আমরা সকলেই তো জানি গাড়ি বা বাইক কিরকম মাইলেজ দেয়। কিন্তু বলুন তো দেখি ক’জন জানেন ট্রেনের মাইলেজ কী?আসলে মাইলেজ হল সেই সংজ্ঞা যা যে কোনও যানবাহন এক লিটার জ্বালানি ব্যবহার করে কতটা পথ যেতে পারে তা নির্দেশ করে। কিন্তু আপনি কি জানেন একটি ট্রেনের ক্ষেত্রে এই মাইলেজ ঠিক কত?দেখা যায় যখন আমরা একটি টু-হুইলার বা একটি গাড়ি কিনি, তখন আমরা প্রথম প্রশ্নই করি ‘কত কিলোমিটার মাইলেজ?’ এক্ষেত্রে সেই উত্তর যদি আমাদের সন্তুষ্টি দেয়, তবেই নতুন গাড়ি কিনতে উদ্যোগী হই আমরা।অথচ যে বাস, ট্রেন এবং বিমানের মতো গণপরিবহনে আমরা প্রায়ই যাতায়াত করি সেই সব যানের মাইলেজ কিন্তু আমাদের অনেকেরই অজানা। আসলে আমরা কখনও এই বিষয় গুলি ভেবেই দেখি না।মাইলেজ একটি গাড়ির জ্বালানী খরচ নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা নির্ধারণ করে। অর্থাৎ, মাইলেজ শব্দটির সংজ্ঞা হল একটি গাড়ি এক লিটার জ্বালানি খরচ করে ঠিক কতদূর যেতে পারে।অন্যান্য গাড়ির মত, ট্রেনের মাইলেজ অনেক কারণের উপর নির্ভর করে। একটি ট্রেন প্রতি লিটারে কত কিলোমিটার মাইলেজ দেবে তা সরাসরি বলা কঠিন, কারণ এর মাইলেজ যাত্রীবাহী ট্রেনের ধরন অর্থাৎ – এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট, হাইস্পিড, প্যাসেঞ্জার ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। কোচের সংখ্যার উপর নির্ভর করেও বদলে যায় মাইলেজ।বস্তুত একটি ট্রেনের মাইলেজকে প্রভাবিত করার সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হল এটি কতগুলি কোচের সঙ্গে সংযুক্ত সেই বিষয়টি। বগির সংখ্যা কম হলে, মেশিন কম লোড টানতে পারে। একটি ডিজেল ইঞ্জিনের মাইলেজ প্রতি ঘণ্টার ভিত্তিতে গণনা করা হয়।সূত্র বলছে, প্রতি ১ কিলোমিটারে ২৪-২৫টি কোচ বিশিষ্ট ট্রেনের ইঞ্জিন ৬-লিটার ডিজেল ব্যবহার করবে। একইসঙ্গে আবার আশ্চর্যজনকভাবে, সুপারফাস্ট ট্রেন যাত্রীবাহী ট্রেন বা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের তুলনায় কম ডিজেল ব্যবহার করে।যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন প্রতি ১ কিলোমিটারে ৫-৬ লিটার ডিজেল খরচ করে। এর কারণ প্রায় সব স্টেশনেই যাত্রীবাহী ট্রেনকে থামতে হয়।অন্যদিকে একটি এক্সপ্রেস ট্রেন ১২টি বগি টেনে ১ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করতে ৪.৫ লিটার ডিজেল খরচ করে।মাইলেজের হিসেবে বলছে, সুপারফাস্ট ট্রেনগুলি এক লিটার ডিজেলে ২৩০ মিটার পর্যন্ত যাত্রা করতে পারে এবং যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি প্রায় ১৮০-২০০ মিটার পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারে।জেনে গেলেন তো হাতে গরম উত্তর? এবার তাহলে কেউ যদি প্রশ্ন করেন একটি ট্রেন ঠিক কত মাইলেজ দেয়? আপনিও চাইলে ঝটপট বলে দিতে পারবেন উত্তর।ডিসক্লেইমার: এই খবরের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য নিউজ 18 বাংলা নিশ্চিত করে না। বিশেষত আপনার সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করাই আমাদের এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য। আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার জন্য এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত জ্ঞানের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মত নেওয়া কাম্য।
সরকারি চাকরির পরীক্ষায় পাশ করতে গেলে জেনারেল নলেজ বা সাধারণ জ্ঞান ভাল হওয়া বিশেষ প্রয়োজন। শুধুমাত্র সরকারি চাকরির পরীক্ষাই নয়, অন্যান্য বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল জিকে।যে কোনও ক্যুইজ কম্পিটিশনে যাওয়ার জন্যেও জেনারেল নলেজ ভাল থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে সাধারণ জ্ঞান এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন।সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নগুলি অনেক সময় একটু প্যাঁচালো হয়। খুবই সাধারণ উত্তরের কোনও প্রশ্নকেই ধাঁধার আকারে লেখা থাকে। তাই জিকে ভাল থাকা অত্যন্ত জরুরি।এসএসসি, ব্যাংকিং, রেলওয়ে এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার পরীক্ষার সময় এই সম্পর্কিত অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন পরীক্ষায় আসতে পারে।উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কোন জিনিস সকালে সবুজ, দুপুরে কালো, সন্ধ্যায় নীল এবং রাতে সাদা দেখায়? প্রশ্নটি শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এর উত্তর হল শ্যাওলা। তেমনই আর একটি প্রশ্ন হল কোন ফল নিয়ে প্লেনে ওঠা যায় না? উত্তর হল নারকেলতেমনই একটি প্রশ্ন হল কোন মাছ জলে সাঁতার কাটে, আকাশে ওড়ে এবং ডাঙায় চলাফেরাও করতে পারে? শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমন মাছ সত্যিই রয়েছে।এই মাছকে বলা হয় ‘গরনাই ফিস’ বা বাংলায় এর নাম উড়ুক্কু মাছ। এই মাছ জলে সাঁতার কাটে।পাশাপাশি দিব্যি আকাশে উড়তে পারে। তবে, বেশিক্ষণ নয়। এই ওড়াকে ঠিক পাখির মতো ওড়া বলা হয় না। এই ওড়াকে বলা হয় গ্লাইডিং। সেইসঙ্গে উড়ুক্কু মাছ চলতেও পারে। এই চলা অবশ্য অন্য প্রাণীদের মতো চলা নয়।
আপনি প্রায়ই দেখেছেন যে কোনও সংখ্যাকে যদি ১০০০ দিয়ে প্রকাশ করতে হয় তবে তার জন্য ইংরেজি অক্ষর ‘K’ লেখা হয়। হয়তো আপনিও একাধিকবার লিখেছেন৷বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে, সকলেই এটি অনেক দেখে থাকেন, কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন কেন হাজারের জন্য ‘K’ লেখা হয়। এই বিষয়ে আপনার কি কোনও ধারণা আছে?একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় বেশিরভাগ ওয়েবসাইটগুলিতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বা ভিউ বা এমনকি অর্থ গণনা করা হয় সেখানে হাজার সংখ্যাটি ইংরেজি অক্ষর ‘K’ দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয়।সাধারণত ‘M’ ব্যবহার করা হয় মিলিয়নের জন্য, ‘B’ ব্যবহার করা হয় বিলিয়নের জন্য। এমন পরিস্থিতিতে হাজারের জন্য T অক্ষর থাকা উচিত কিন্তু তা ‘K’ এর মাধ্যমে দেখানো হয় কেন?শুধুমাত্র ‘১০০০’ সংখ্যার জন্য ‘K’ ব্যবহার করা হয় কেন? এটা জানতে হলে ইতিহাসে যেতে হবে। এর পেছনে যে কারণটা রয়েছে তা বেশ মজার।অনেক পশ্চিমা দেশ গ্রীক এবং রোমান সংস্কৃতি দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত ছিল। হাজারের জন্য ‘K’ অক্ষরের ব্যবহারও রোমান সংস্কৃতি থেকে এসেছে। গ্রীক ভাষায় ‘CHILLOI’ মানে হাজার। যেখান থেকে এই শব্দটি এসেছে। এছাড়া ‘K’ শব্দটিও বাইবেলে হাজারের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।ফরাসিরা গ্রীক শব্দ ‘CHILLOI’-কে ছোট করে কিলো করে। এরপর কিলোমিটার, কিলোগ্রাম ইত্যাদি হিসেব করা হয়েছিল। যেহেতু কিলোগ্রামে ১০০০ গ্রাম আছে, তাই হাজারের জন্য চিহ্ন ‘K’ হয়ে গেল।এভাবে ‘কিলো’কে ‘K’ প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মিলিয়নের জন্য ‘M’, বিলিয়নের জন্য ‘B’, ট্রিলিয়নের জন্য ‘T’ আছে, তাই আমরা হাজারের জন্য ‘T’ অক্ষর ব্যবহার না করে ‘K’ দিয়ে এটিকে উপস্থাপন করা শুরু করেছি।
সাধারণ জ্ঞান নিয়ে চর্চা কুইজের জ্ঞান বৃদ্ধির একটি অত্যন্ত মজার উপায়। কখনও কখনও আবার কুইজের জন্য বেশ মজার, কিন্তু চ্যালেঞ্জিং প্রশ্ন ভাবা কঠিন হতে পারে। এখানে আপনার জন্য এমনই কিছু মজার এবং তথ্যপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান শেয়ার করা হয়েছে যা আপনাকে অবাক করবে নিঃসন্দেহে।শুধু কুইজ নয়, এসএসসি, ব্যাঙ্কিং, রেলওয়ের মতো অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত নানা ধরণের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়।এমতাবস্থায়, আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এমনই কিছু প্রশ্ন যার সম্পর্কে আপনি আগে কখনও শোনেননি। যার উত্তরও প্রায় বেশিরভাগেরই অজানা।প্রশ্ন- কোন প্রাণী খাবার খেতে গিয়ে কাঁদে? উত্তর: কুমির যখন তাদের শিকারকে চিবিয়ে খায়, তখন চোখের জল পড়তে থাকে। এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। তবে আপাত দৃষ্টিতে কান্না মনে হয় বলেই বলা হয় কুমির খাবার খাওয়ার সময় কাঁদে।প্রশ্ন: ভারতের কোন রাজ্যে প্রথম সূর্যোদয় হয়? উত্তর: প্রতিদিন সকালে সূর্যোদয় আমরা প্রায়ই দেখি আর পৃথিবীর সর্বত্র যে একসাথে সূর্য ওঠে তা কিন্তু নয়। এলাকাভিত্তিক সূর্যোদয় হবার এই তারতম্যের কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। পৃথিবীর আহ্নিক গতির কথা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু ভারতের একটি বিশেষ রাজ্য রয়েছে যে খানে দেশের মধ্যে সবার আগে সূর্যোদয় হয়। এই রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ।প্রশ্ন: ভারতের জাতীয় সবজি কী জানেন? উত্তর: ভারতের জাতীয় সবজি হল কুমড়ো। ভারতীয় কুমড়ো, সাধারণত হিন্দিতে ‘কদ্দু’ নামে পরিচিত। মিষ্টি কুমড়ার বীজ খুবই পুষ্টিকর। এটি ড্রাই ফ্রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই বীজ কাচা বা ভাজা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া হয়ে থাকে।প্রশ্ন : ভাত পুনরায় গরম করলে কী হয়? উত্তর: পুনরায় গরম করা ভাত খাওয়ার ফলে খাদ্যে বিষক্রিয়া হতে পারে। সমস্যাটির কারণ পুনরায় গরম করা নয়, তবে পুনরায় গরম করার আগে চাল যেভাবে সংরক্ষণ করা হয় তা।প্রশ্ন: রক্তচাপ কম হলে কোন ফল খাওয়া উচিত? উত্তর : রক্তচাপ কম হলে কিউই খাওয়া উচিত। অন্যান্য যে ফলগুলি খাওয়া ভাল সেগুলি হল, লেবু, কমলা লেবু, জাম্বুরা। এছাড়া, সবুজ শাক সবজিও রাখুন ডায়েটে। খাদ্য তালিকায় ডিম যোগ করতে পারেন কারণ এগুলি ফোলেটে সমৃদ্ধ।প্রশ্ন- গাজর খেলে কী উপকার হয়? উত্তর: গাজর চুলের জন্য প্রয়োজনীয় বায়োটিন সরবরাহ করে। এটি রক্তচাপ এবং হার্টের রোগীদের জন্যও ভাল, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে। অনেক গবেষণায়, গাজর প্রোস্টেট, পাকস্থলী এবং অন্ত্রের ক্যানসার থেকে রক্ষা করে। এটি খেলে শরীরে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল কমতে শুরু করে।প্রশ্ন- কোন ভারতীয় মিষ্টি খেলে মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ হয়? উত্তর: বলা হয় রসগোল্লা খেলে ব্রেন শার্প অর্থাৎ তীক্ষ্ণ হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে রসগোল্লায় ফলিক অ্যাসিড এবং থায়ামিন উপাদান শক্তি জোগায় এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ভাল রাখে। ডায়াবেটিস রোগীরাও এটি খেতে পারেন।তবে এছাড়াও ডার্ক চকলেট খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। ডার্ক চকলেটে থাকা ফ্ল্যাভোনল ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে: রসগোল্লার গুণ আরও। ডাইটিশিয়ানদের মতে এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। রসগোল্লা হাই প্রোটিন ডায়েট। রসগোল্লার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে পরিমিত খেলে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ছোট্ট শিশু দেখলেই গাল টিপে আদর বা চটকাতে ইচ্ছা করে? কিংবা কুকুরছানা দেখলেই কোলে তুলে আদর করতে মন চায়। আমার-আপনার সকলের মধ্যেই এমন স্বভাব আকছার দেখা যায়। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)কিন্তু এসবকে যদি শুধুই নিজের আবেগের বহিঃপ্রকাশ বলে ভাবেন, তা হলে মস্ত ভুল করছেন! বরং বিজ্ঞান বলছে, খুব একটা আবেগী নন, এমন মানুষও এই ধরনের ব্যবহার করে থাকেন। বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে হোক বা বাইরে কোনও শিশু বা কুকুরছানা দেখলেই আদর করতে মন চায় কেন, কেনই বা কোনও শিশুর নানা ভুলত্রুটি সত্ত্বেও তাদের প্রতি মমত্ব বোধ জাগে আমাদের? শুধুই নরম তুলতুলে চেহারা আর ছোট বলেই কি তাদের প্রতি এতটা সহমর্মী হই আমরা?বিজ্ঞান একে ‘কিউট অ্যাগ্রেশন’ বলছে। এই কিউট অ্যাগ্রেশন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপকেরা। ‘ফ্রন্টায়ার্স’ জার্নালে প্রকাশিত ব্যবহারিক স্নায়ুবিদ্যা বিভাগে এই গবেষণা নিয়ে বিস্তারিত একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।তাতেই শিশু বা কুকুরছানার প্রতি মানুষের এমন ব্যবহারের নেপথ্যে মস্তিষ্কের আচরণকেই দায়ী করেছেন বিজ্ঞানীরা। দেখা গিয়েছে, যখনই মিষ্টি বা সুন্দর কোনও কিছুকে দেখি, তখনই মস্তিষ্কের রিওয়ার্ড সিস্টেম (স্নায়বিক অংশ যেখানে নানা রকম আবেগ, ভাললাগা, মন্দলাগা, চাওয়া-পাওয়ার অনুভব প্রকাশ পায়) আগ্রাসনের সঙ্গে উত্তেজিত হয়।বিশেষ করে কী চাইছে মস্তিষ্ক বা কোন বিষয়ে ঠিক কেমন অনুভূতির প্রকাশ প্রয়োজন তা তখনই কিছুটা নির্ধারণ হয়ে যায়। এর সঙ্গেই যোগ হয় আবেগ নিয়ন্ত্রণকারী সেনসরি অংশের কাজ।গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ‘কিউট’ কিছু দেখার সঙ্গে মস্তিষ্কের রিওয়ার্ডসিস্টেমের সঙ্গেআবেগের সেনসরি অর্গ্যান খুব শক্তিশালী যোগাযোগ স্থাপন করছে। তা থেকেই মস্তিষ্কে এক আগ্রাসন ঘটে (কিউট অ্যাগ্রেশন)। তাই শিশু বা কুকুরছানা দেখলে এমন চটকানোর স্পৃহা জাগে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
প্রত্যেক মানুষের সাধারণ জ্ঞান থাকা জরুরি। কারণ এটি এমন একটি জ্ঞান যা খুবই প্রয়োজনীয়। ইন্টারভিউ বোর্ড, তর্ক-বিতর্কের মঞ্চ হোক বা ঘরোয়া আড্ডা, এই একটি জিনিস দিয়ে মুহূর্তে মন জিতে নিতে পারেন অনেকেই। কিন্তু এর জন্য যেমন নিজেকে হতে হয় বুদ্ধিমান তেমনই প্রয়োজন চিন্তা ভাবনার স্বচ্ছতা। দরকার চর্চারও।আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি প্রশ্ন আনা হল, যা এর আগে আপনি হয়ত কখনও শোনেননি। এটি এমন আপনি এই প্রশ্ন যা কখনও আপনি নিজেও ভাবেননি। আর সেইজন্যই এই প্রশ্নটি খুবই অন্যরকম। তবে প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার জন্য ১৫ সেকেন্ড সময় দেওয়া হল।প্রশ্ন – আজকের প্রশ্ন হল সমগ্র বিশ্বের কোনটি একমাত্র দেশ, যা গোটা পৃথিবীর কেন্দ্রে অবস্থিত? যদি এই প্রশ্নটির উত্তর জানেন তবে আপনি অবশ্যই একজন প্রতিভাধর ব্যক্তি।কিন্তু আপনি যদি এই প্রশ্নের উত্তর না জানেন তবে ঘাবড়াবেন না। মাথা চুলকেও লাভ নেই। বরং দেখে নিন নীচে দেওয়া বিস্তারিত উত্তর।উত্তর – আসলে পৃথিবীর কেন্দ্রে যে দেশটি পড়ে, সেই দেশের নাম ঘানা। কিন্তু যদি সত্যিকার অর্থে দেখা যায়, পৃথিবীর কেন্দ্র হল 0°N 0°E, এবং সেখানে কোনও দেশই নেই। বিজ্ঞানীরা এই স্থানটিকে একটি কাল্পনিক স্থান হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন।কিন্তু এখন প্রশ্ন আসে পৃথিবীর কেন্দ্রে কোনও দেশ না থাকলে ঘানাকে পৃথিবীর কেন্দ্রে অবস্থিত দেশ বলা হয় কেন? বস্তুত, পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে সবচেয়ে কাছের দেশটি হল আফ্রিকা মহাদেশের ঘানা।আসলে কী জানেন, এই দেশটি একটি ল্যান্ডমার্ক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। যা পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু থেকে যেকোনও কিছু বা যেকোনও স্থানের দূরত্ব পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু থেকে ঘানার দূরত্ব প্রায় ৩৮০ মাইল।এছাড়াও, গ্যাবন পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু থেকে প্রায় ৬৭০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত।
মৃত্যু জীবনের এক অমোঘ সত্যি। এর রহস্য ভেদ করা আজও সম্ভব হয়নি। কারণ, মৃত্যুর পরে কী আছে কেউ জানে না।মৃত্যুর ঠিক আগে এক এক করে অঙ্গগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেয়। প্রথমে শ্বাস প্রক্রিয়া বন্ধ হয়। তার পরই হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী পাঁচ মিনিটের মধ্যে শরীরের অভ্যন্তরে অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং কোষগুলি মারা যেতে শুরু করে। এই অবস্থাকে বলা হয় ‘পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন’।তবে এমন কয়েকটি অঙ্গ রয়েছে যা মারা যাওয়ার পরেও সচল থাকে।মৃত্যুর পরের কয়েক ঘন্টার মধ্যে সেগুলি বের করে অন্য রোগীকে দেওয়া হয়। মৃত্যুর পরবর্তী ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা হৃদপিণ্ড সজীব থাকে। কিডনি ৭২ ঘণ্টা, লিভার ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা সতেজ থাকে।নখ ও চুল মৃত্যুর পরও বাড়তে পারে। অনেক সময় দেখা গিয়েছে, মানুষের মৃত্যুর পরও তাঁর দাড়ি বাড়ছে।মৃত্যুর পরও মূত্রনালির ব্লাডার খালি হতে পারে। অনেক সময় মৃত্যুর পর মৃতদেহ থেকে প্রসাব নির্গত হতে পারে।মৃত্যুর পরেও স্নায়ুতন্ত্র তার কাজ বন্ধ করতে বেশ কিছুটা সময় নেয়। এই কারণেই প্রায়শই শরীর নড়াচড়া করতে দেখা যায়। পেশী শক্ত হয়ে গেলেও নড়াচড়া ঘটে। যেমনটা জীবিত অবস্থায় ঘটত।
অনেকেই বলেন পৃথিবীটা আসলে রঙিন। অনেকে আবার বলেন সবটাই সাদাকালো। কেউ কেউ আবার সাদা আর কালোর মাঝের যে ধূসর, তা দিয়েই দেখতে চান পৃথিবীকে।রং আছে বলেই মানুষের এত বৈচিত্র্য। রঙ আছে বলেই রুচি এত ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন পৃথিবীর প্রাচীনতম রঙ কোনটি?অনেকেই মনে করেন কালো এবং সাদাই বিশ্বের প্রাচীনতম রঙ। সত্যটা আসলে মোটেই তেমন নয়। কালো এবং সাদা দিয়ে মানুষকে অনেকে বিচার করেন ঠিকই তবে তা পৃথিবীর প্রাচীনতম রং নয়।অনেকের বিশ্বাস, কালো এবং সাদা রংই প্রথম সৃষ্টি হয়। বাকি সমস্ত রঙ যা যা আমরা দেখি তা এই দু’টি রঙের পরে তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, সাদাও নয়, কালোও নয়, পৃথিবীর প্রাচীনতম রং হল গোলাপি।গোলাপি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন রং এমনটা মানতে একটু অসুবিধা হতে পারে বৈকি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পৃথিবীতে প্রথম যে রংটি এসেছিল তা হল গোলাপি। গবেষকরা জানিয়েছেন, গোলাপি রঙটি প্রায় ১.১ বিলিয়ন বছরের পুরনো।গবেষকরা মাটি থেকে কয়েক মিলিয়ন বছরের পুরনো পাথর খনন করে তার ভিতরে গোলাপি রঙের সন্ধান পেয়েছেন। এই রঙটি খানিক বাবল গামের মতো। অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা জানিয়েছেন, এই আবিষ্কারটিই প্রমাণ করে যে পৃথিবীর অস্তিত্বের পর থেকে গোলাপি রঙের অস্তিত্ব রয়েছে। আগে গোলাপি রঞ্জক ছিল যা মাইক্রোস্কোপিক প্রাণীরা তৈরি করেছিল। এই সমস্ত অনুসন্ধানের কারণেই এটি প্রমাণিত যে কালো বা সাদা নয়, গোলাপিই পৃথিবীর প্রাচীনতম রং।
আমরা জানি যেকোনো চাকরির পরীক্ষা তা সরকারি হোক আর বেসরকারি জেনারেল নলেজ হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে সাধারণ জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন এসেই থাকে। তাই চাকরির পরীক্ষার আগে নিজেকে সবসময় সেইভাবেই তৈরি করা উচিৎ।সাধারণ জ্ঞান যেমন নলেজ বাড়াতে সাহায্য করে। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে তেমনই একটি প্রশ্ন হলেও এর উত্তর অনেকের কাছেই অজানা।এছাড়াও বর্তমানে চাকরির পরীক্ষাগুলিতে বুদ্ধির প্রশ্নও এসে থাকে। তেমনই একটি প্রশ্ন এই প্রতিবেদনে তুলে ধরেছি আমরা।ভারতে এমন একটি শহর রয়েছে যে শহরের নাম সোজা অথবা উল্টো যেভাবে লিখবেন একই হবে? তিনটি ভাষাতে দেখা যাবে একই হবে। সেই শহরের নাম কী?এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু একটি বুদ্ধি খরচ করলেই এর উত্তর দেওয়া সম্ভব। আরও একবার ভেবে দেখুন।এবারের আসা যাক উত্তরে। ওড়িশা রাজ্যের কটক শহরের নাম বাংলা, হিন্দি, উড়িয়া ভাষায় সোজা বা উল্টো যেইভাবেই লিখবেন তা একই দেখাবে।