হুগলি: বিয়ের পিঁড়ি সাজানো থেকে শুরু করে অতিথি আভ্যাগতদের জন্য রান্নাবান্নার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। গায়ে হলুদের জন্য প্রস্তুত কনে। অপেক্ষা করছে কখন বরের বাড়ি থেকে গায়ে হলুদের তত্ব এসে পৌঁছবে। দেরি হচ্ছে দেখে বাধ্য হয়ে কনের বাড়ির বড়রা বরের বাড়িতে ফোন করেন। আর তখনই উল্টো দিক থেকে খবর শুনে মাথায় ভেঙে পড়ল আকাশ। জানা গেল, বর বিয়ে করতে আসতে পারবে না, তাকে আটক করেছে পুলিশ!
আরও পড়ুন: ১০ বছর ধরে জেনারেটর নেই, তাতেই চলছে সরকারি হাসপাতালের রোগী দেখা
এই খবরে মাথায় কার্যত আকাশ ভেঙে পড়ে কনের বাড়ির লোকজনের। হুগলির বৈদ্যবাটির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের এসসিএম রোডের এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ত্রিবেণীর সৈকত অধিকারীর। হির চিরাচরিত দেখাশোনার বিয়ে। গত বছর নভেম্বর মাসে দেখাশোনা শুরু হয়েছিল। তারপর দুই বাড়ির সদস্যরা কথা বলে বিয়ে পাকা করেন।
সবার সম্মতির ভিত্তিতে বৈদ্যবাটির ওই যুবতীর সঙ্গে বিয়ে চূড়ান্ত হয় মগড়ার ত্রিবেনী বাসুদেবপুর অধিকারী পাড়ার বছর ৩০-এর সৈকত অধিকারীর। বিয়ের দিন সকালে যখন দুই বাড়িতেই গায়ে হলুদের তোরজোর চলছিল তখনই যা ঘটার ঘটে যায়। কিন্তু মেয়ের বাড়ি সেই খবর জানতে পারে দুপুর দু’টো নাগাদ। তাঁদেরকে ছেলের বাড়ি থেকে বলা হয়, মগড়া থানার পুলিশ সৈকতকে গ্রেফতার করেছে। যদিও হবু জামাইকে পুলিশ কেন গ্রেফতার করেছে তা জানতে পারেননি মেয়ের বাড়ির সদস্যরা। এরপরই তাঁরা মেয়েকে নিয়ে হাজির হন ছেলের বাড়িতে। কিন্তু সেখানে যা শোনেন তারপর সঙ্গে সঙ্গেই এই বিয়ে পুরোপুরি বাতিল করে দেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ বছর ধরে এলাকারই এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত সৈকত অধিকারীর। তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। তাই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সোমবার সৈকতের বিয়ে ছিল। তার আগে রবিবার রাতে ‘প্রতারিত’ যুবতী মগড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সৈকতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাত্রীর মা বলেন, বক্স খাট আলামারি আরও যৌতুক চেয়েছিল ছেলে। সেইমত সব কেনা হয়। এত আয়োজন, আত্মীয় স্বজন নিমন্ত্রিত আমার অনেক টাকা খরচ হল। তবু একটাই ভাল, আমার মেয়েটা বেঁচে গিয়েছে।
রাহী হালদার