Tag Archives: Bengali Wedding
Fire Incident: আনন্দ বদলে গেল বিষাদে! বিয়ের আগের রাতে পুড়ে ছাই মণ্ডপ, একটুর জন্য…
হাওড়া: আনন্দের মাঝেই বেজে উঠল বিষাদের সুর। বিয়ে বাড়ির মণ্ডপে কারা যেন আগুন লাগিয়ে দিল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সাঁকরাইলের। রাতের অন্ধকারে বিয়ের মণ্ডপে আগুন লাগানোর এই ঘটনাটি ঘটে। একটুর জন্য বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে। কিন্তু গোটা ঘটনায় হকচকিয়ে গিয়েছে বিয়ে বাড়ির সদস্যরা থেকে শুরু করে এলাকাবাসী সকলে।
বিয়ের অনুষ্ঠানের আগেই নির্মিত প্যান্ডেলে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনাটি হাওড়ার সাঁকরাইলের রঘুদেবাটি মিতালি পাড়ার। সোমবার সকালেই বিয়ের অনুষ্ঠান শুরুর কথা ছিল। কিন্তু গভীর রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ায় পুড়ে যায় মণ্ডপ। আগুন লেগে যাওয়ার বিষয়টি নজরে আসতেই সকলে মিলে তা নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তার মধ্যেই প্রায় অর্ধেক মণ্ডপ পুড়ে যায়। এই আকস্মিক ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকাবাসী। ওই এলাকায় বিয়ে বাড়ির মত অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা এর আগে কোনওদিনও ঘটেনি বলে দাবি স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: একটি গাছের হত্যা! রবীন্দ্রনাথের বকুল হত্যায় তদন্তের দাবি
তবে ঠিক কী ঘটেছিল, কী কারণে এমন ভয়াবহ কাণ্ড তা ভেবে কুল পাচ্ছে না পরিবার। এই প্রসঙ্গে পাত্রের বাবা আনসারুল সরদার বলেন, রাত পার হলেই বড় ছেলে রিয়াজউদ্দিন সর্দারের বিয়ে। কিন্তু বিয়ের আগের দিন যা হল তাতে সকলেই আতঙ্কিত। ওই সময় প্যান্ডেল থেকে সকলে বাড়িতে খেতে এসেছিল, না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। পাত্রের বাবা আনসারুল সরদার বলছেন, শত্রুতা নাকি রাজনৈতিক চক্রান্ত বুঝে উঠতে পারছি না। এমন ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবারটি।
রাকেশ মাইতি
Wedding House Chaos: বিয়ে বাড়ির ভোজ রইল পড়ে, মারামারি করে হাসপাতালে কনে ও পাত্রপক্ষের লোকেরা!
মুর্শিদাবাদ: বিয়ে বাড়িতে খেতে গিয়ে এমন পরিণতি হবে কে আর ভেবেছিল। আনন্দের ভোজসভা বদলে গেল হাতাহাতিতে। শেষে মারামারি করে হাসপাতালে যেতে হল পাঁচ নিমন্ত্রিতকে। বড়ঞার ঘটনা। ক্যাটারিংয়ের ছেলেদের সঙ্গে পাত্রপক্ষের বিবাদ দিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। মুহূর্তের মধ্যে সেটা মেয়ের বাড়ির সঙ্গে ছেলের বাড়ির অতিথিদের মারামারিতে পর্যবসিত হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার অন্তর্গত খোরজুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিমাটি গ্রামে। এই ঘটনায় বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি গোলাম মোর্শেদ জর্জ সহ তাঁর পরিবারের সবাই আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। গুরুতর আহত পাঁচজনকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একরামুল হক, হাজিকুল ইসলাম, আসিকুল রহমান, বাকু শেখ, রামেজ শেখরা আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: শুরু হয়েছিল ওপার বাংলার ঢাকায়, সেই বাসন্তী পুজো এখন ধুমধাম করে জলপাইগুড়িতে
আহত একরামুল হক জানান, মঙ্গলবার বিয়ের ভোজ ছিল গ্রামেই। বিয়ের ভোজ খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আর সেই ভোজ খেতে গিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। খাবার চাইতে গিয়ে ক্যাটারিং-এর সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় পাত্র পক্ষের। পরে সেই বিবাদ আরও বড় আকার নেয়। কোণে পক্ষের আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন পাত্রপক্ষের বাড়ির লোকেরা। দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। তাতেই গুরুতর আহত হন গ্রামের পাঁচজন। তাঁদের উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বড়ঞা থানার পুলিশ। যদিও কাউকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়নি।
কৌশিক অধিকারী
Viral News: গায়ে হলুদের অপেক্ষায় বসে পাত্রী, খবর এল বরকে ধরে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ! কারণ জানলে…
হুগলি: বিয়ের পিঁড়ি সাজানো থেকে শুরু করে অতিথি আভ্যাগতদের জন্য রান্নাবান্নার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। গায়ে হলুদের জন্য প্রস্তুত কনে। অপেক্ষা করছে কখন বরের বাড়ি থেকে গায়ে হলুদের তত্ব এসে পৌঁছবে। দেরি হচ্ছে দেখে বাধ্য হয়ে কনের বাড়ির বড়রা বরের বাড়িতে ফোন করেন। আর তখনই উল্টো দিক থেকে খবর শুনে মাথায় ভেঙে পড়ল আকাশ। জানা গেল, বর বিয়ে করতে আসতে পারবে না, তাকে আটক করেছে পুলিশ!
আরও পড়ুন: ১০ বছর ধরে জেনারেটর নেই, তাতেই চলছে সরকারি হাসপাতালের রোগী দেখা
এই খবরে মাথায় কার্যত আকাশ ভেঙে পড়ে কনের বাড়ির লোকজনের। হুগলির বৈদ্যবাটির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের এসসিএম রোডের এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ত্রিবেণীর সৈকত অধিকারীর। হির চিরাচরিত দেখাশোনার বিয়ে। গত বছর নভেম্বর মাসে দেখাশোনা শুরু হয়েছিল। তারপর দুই বাড়ির সদস্যরা কথা বলে বিয়ে পাকা করেন।
সবার সম্মতির ভিত্তিতে বৈদ্যবাটির ওই যুবতীর সঙ্গে বিয়ে চূড়ান্ত হয় মগড়ার ত্রিবেনী বাসুদেবপুর অধিকারী পাড়ার বছর ৩০-এর সৈকত অধিকারীর। বিয়ের দিন সকালে যখন দুই বাড়িতেই গায়ে হলুদের তোরজোর চলছিল তখনই যা ঘটার ঘটে যায়। কিন্তু মেয়ের বাড়ি সেই খবর জানতে পারে দুপুর দু’টো নাগাদ। তাঁদেরকে ছেলের বাড়ি থেকে বলা হয়, মগড়া থানার পুলিশ সৈকতকে গ্রেফতার করেছে। যদিও হবু জামাইকে পুলিশ কেন গ্রেফতার করেছে তা জানতে পারেননি মেয়ের বাড়ির সদস্যরা। এরপরই তাঁরা মেয়েকে নিয়ে হাজির হন ছেলের বাড়িতে। কিন্তু সেখানে যা শোনেন তারপর সঙ্গে সঙ্গেই এই বিয়ে পুরোপুরি বাতিল করে দেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ বছর ধরে এলাকারই এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত সৈকত অধিকারীর। তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। তাই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সোমবার সৈকতের বিয়ে ছিল। তার আগে রবিবার রাতে ‘প্রতারিত’ যুবতী মগড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সৈকতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাত্রীর মা বলেন, বক্স খাট আলামারি আরও যৌতুক চেয়েছিল ছেলে। সেইমত সব কেনা হয়। এত আয়োজন, আত্মীয় স্বজন নিমন্ত্রিত আমার অনেক টাকা খরচ হল। তবু একটাই ভাল, আমার মেয়েটা বেঁচে গিয়েছে।
রাহী হালদার
Wedding Date: মাঘের শুরু, ফেব্রুয়ারি-মার্চে বিয়ের দিন কবে কবে? জ্যোতিষীর থেকে জানুন
Bangla News: বৌভাতের রাতে গমগম করছিল বাড়ি! এমন সময়ে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর কাণ্ড! বর-বউ ছেড়ে দৌড়ে পালাল সবাই
মসলন্দপুর: বিয়ের পর বৌভাতের রাতে আনন্দে মেতে উঠেছিল বাড়ি। আত্মীয়-স্বজন থেকে প্রতিবেশীদের ভিড় তখন গমগম করছে। কিছুক্ষণেই এসে পৌঁছনোর কথা ছিল আমন্ত্রিতদেরও। বিয়ে বাড়ির রান্নাও তখন শেষের পথে। সেই মুহূর্তে ঘটল বিপত্তি। অনুষ্ঠান বাড়িতে পড়ে গেল হুলুস্থুল। বৌভাতের রাতেই গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়।
উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়া থানার অন্তর্গত মহিষা মসলন্দপুর এলাকার বাসিন্দা পিন্টু পালের রবিবার বৌভাত ছিল। সেখানে রান্নার সময় হঠাৎই গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ঘটনাস্থলে। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, পিন্টু পাল পেশায় ফার্নিচার ব্যবসায়ী। তাঁর বাড়ির একদিকে খাট-সহ একাধিক আসবাব রাখা ছিল। পাশেই রান্নার জায়গা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, ফলে পুড়ে যায় সব। কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চুল স্ট্রেটনিং, কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করান? সাবধান…! আপনার শরীরে বাড়ছে ‘এই’ ৪ ক্যানসারের আশঙ্কা
ঘটনায় রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন পিন্টু। খবর দেওয়া হয় দমকল ও হাবড়া থানায়। যদিও এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় দমকল কর্মীদেরও বেগ পেতে হয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। তবে স্থানীয়ওরাও ঝাঁপিয়ে পড়েন আগুন নেভানোর কাজে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত, আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আশপাশের বাসিন্দারা।
দমকলের একটি ইঞ্জিনের বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্টায় অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার লিক করেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে দমকল ও পুলিশের তরফ থেকে। যদিও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৌভাতের রাতে এমন ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়।
Rudra Nrayan Roy
Wedding Bride Throws Rice: শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগে কেন পিছনে চাল ছুড়ে আর তাকায় না কনে? কনকাঞ্জলির পিছনে রয়েছে বড় কারণ
Bengali Wedding: বিয়ের মরশুমে টোপরের চাহিদা তুঙ্গে! কারিগরের হাতে দিনের শেষে কত টাকা আসে জানলে চমকে যাবেন
রাকেশ মাইতি, হাওড়া: এ বাংলার সংস্কৃতিতে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে শোলা শিল্প! বাঙালি বিভিন্ন পুজার্চনা থেকে হিন্দু বিবাহের অন্যতম প্রধান উপকরণ শোলার তৈরি সামগ্রী। যেমন পুজোর চাঁদমালা বা অন্যান্য শোলার সামগ্রীর মতই হিন্দু বিবাহ অনুষ্ঠানে শোলার তৈরি বরের টোপর ও মুকুট অন্যতম উপকরণ। শোলার এই উপকরণ ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী বাঙালির হিন্দু বিবাহ কোনও ভেবেই সম্ভব নয়।
সেকাল থেকে একালেও শোলার তৈরি উপকরণের চাহিদা রয়েছে। তবে এই শোলা গাছ সংগ্রহ থেকে উপকরণ তৈরি জেলার কারিগরদের অবস্থার উন্নতি নেই বলেই জানাচ্ছে। এই সমস্ত কারিগরদের হাতে তৈরি হয় বেশ কয়েক রকমের টোপর। এক একটি টোপর তৈরি করতে কয়েক ঘন্টা সময় লাগে। ১০০ টাকা দাম থেকে ৩৫০ টাকা দামের টোপর তৈরি হয়। প্রতিবছর পুজোর শেষ হলেই টোপর তৈরি চাপ বাড়ে। সাধারণত এই টোপরের কাজে চাপ থাকে অগ্রহায়ণ, মাঘ, ফাল্গুন,বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসের লগনসায়।
আরও পড়ুন : এক লাফে বাড়ল ডিমের দাম! কেকের মরশুমে এ বার কি ডিম নাগালের বাইরে নাকি কমবে দাম? জেনে নিন
জানা যায়, এর কাঁচা মাল অর্থাৎ শোলা আমদানি হয় পাশের জেলা মেদিনীপুর থেকে। দিন দিন কাঁচামালের দাম বাড়ছে। ফলে এই শিল্পে লাভের পরিমাণ কমছে। শোলা গাছ নিয়ে আসর পর তার ছাল ছড়িয়ে কাজের উপযুক্ত করা। তারপর বিভিন্ন সাইজ বা সেপের কাটিং। চাঁদমালা বা শোলার মুকুট তৈরি করতে প্রথমে ফরমা তৈরি। তারপর আঠা দিয়ে শোলার সৌখিন ডিজাইন কেটে বসানো হয়।
শোলা কারিগরদের কথায় জানা যায়, একটি ভাল শোলার টোপর তৈরি করতে সময় লাগে প্রায় চার – পাঁচ ঘণ্টা। পুরুষদের সঙ্গে কাজে সহযোগিতা করে বাড়ির মহিলারা। বর্তমানে কাচা মালের দাম বাড়ার ফলে লাভের পরিমাণ কম।