Tag Archives: Guinness Book of World record

Wonder Kid: ছোট্ট শিশুর এত গুণ! সংখ্যাখেলায় তাক লাগিয়ে নাম উঠল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে

মুর্শিদাবাদ: এক ছোট্ট শিশুর বিস্ময়কর প্রতিভা। বয়স মাত্র চার বছর। আর এই বয়সেই নিজের প্রতিভা তুলে ধরে তাক লাগিয়ে দিল। ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত উল্টো করে বলে নাম উঠল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। আর পাঁচটা খুদের মতো খেলাধুলায় মেতে থাকে না রিফাত। সে করে পড়াশোনা। রিফাত থাকতে ভালবাসে একাই। সব সময়ই পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে সে। মুর্শিদাবাদ জেলার ইসলামপুর থানার শিশু পল্লি এলাকায় এমনই এক খুদের নাম উঠেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে।

আরও পড়ুন: বহু দেশের চায়ের ডাক টিকিট! চা-কাহিনি সংগ্রহ করাই নেশা জলপাইগুড়ির এই ব্যক্তির

জানা গিয়েছে, ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত উল্টো করে বলতে পারে সে। তার অনেক প্রতিভা, তাকে নিয়ে গর্বিত তার পরিবারের সদস্যরা। অঙ্ক যেন রক্তে রয়েছে রিফাতের। রিফাত কবিরের বাবা সব সময় বাইরে থাকেন। কাজের ক্ষেত্রে তার মা তাকে সব সময় গাইড করেন। আর বাকি বাচ্চারা যখন হাতে মোবাইল পেলেই কার্টুন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের ভিডিও নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তখন রিফাত পড়াশোনায় ডুবে।

খুদে ১ থেকে ১০০ উল্টো করেই বলেই শিশুর এই বিস্ময়কর প্রতিভাতে খুশি পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে বাড়িতে ফোন করে জানানোর পরেই এসেছে শংসাপত্র ও একটি মেডেল। রিফাতের বাবা বলেন, ”আমার ছেলে নিজে থেকেই সমস্ত কিছু শিখেছে। সে খেলাধুলা করতে বেশি পছন্দ করে না। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গেও থাকতে বেশি পছন্দ করে না। সে পছন্দ করে পড়াশোনা। তাই সে সেটাই বেছে নিয়েছে। তার ভবিষ্যতে কী আছে, আমি জানি না। তবে আমার ছেলে কিছু একটা হয়ে দেখাক, এটাই চাইব।”

এর প্রসঙ্গেই রিফাতের মা বলেন, ”আমার ছেলেকে নিয়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। আমরা ভাবতে পারিনি সে এমনটা করে দেখাবে, আমার ছেলের বয়স মাত্র পাঁচ বছর। আর এইটুকু বয়সের মধ্যেই সে নাম কেড়ে নিল। আমরা গর্বিত।”

কৌশিক অধিকারী

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক বিড়াল এটি! বয়স শুনলে হা হয়ে যাবেন, এবার বিশ্বরেকর্ড

নয়াদিল্লি: আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিড়াল আলোচনায় রয়েছে। সই বিড়ালের বয়স শুনে অনেকেই ভিড়মি খাচ্ছেন। অবেকেই আবার বিশ্বাসই করছেন না।

২৯ বছর বয়সী বিড়ালটি তার বয়সের কারণে শীঘ্রই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাতে পারে। যদিও বিড়ালের বয়স আনুমানিক ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে হয়। কিন্তু এই বিড়ালের বয়স শুনে চমকে উঠছেন অনেকে। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক বিড়াল বলে দাবি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- ফোনে Truecaller ইনস্টল করেছেন? স্ক্যাম নিয়ে আর চিন্তা নেই, দেখে নিন পদ্ধতি

ইংল্যান্ডের লেসলি গ্রিনহফের মতে, তার বিড়ালটি বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক বিড়াল। জানলে অবাক হবেন, ইংল্যান্ডের ৬৯ বছর বয়সী লেসলি গ্রিনহফের মিলি নামের এই বিড়ালটির বয়স ২৯ বছর হতে চলল। লেসলি গ্রিনহফের মতে, মিলির বয়স যখন ৩ মাস তখন তাঁর স্ত্রী (যিনি কোভিড-১৯ মহামারীতে মারা গেছেন) তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

লেসলির মতে, মিলির জন্ম ১৯৯৫ সালে। তিনি তার পরিবারের সদস্য বলে মনে করেন বিড়ালটিকে। লেসলি গ্রিনহফ বলেছেন, ‘আমি আমার স্ত্রীর স্মরণে মিলিকে উপাধি দিতে চাই। এই খেতাব তার নামেই থাকবে। প্রত্যেকেরই জানা উচিত যে ও কতটা দুর্দান্ত বিড়াল!

লেসলি গ্রিনহফ আত্মবিশ্বাসী যে মিলি বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত বিড়ালের মুকুট পাবে। বর্তমানে এই শিরোনাম ফ্লোসি নামে একটি ২৮ বছর বয়সী বিড়ালের নামে রয়েছে।

আরও পড়ুন- এসি, ফ্যান, ফ্রিজ কিনবেন? ভোটের ফলাফলের দিন বড় খবর, জুন মাসেই বিরাট সিদ্ধান্ত

লেসলি গ্রিনহফ বলেছেন, তার বয়স্ক বিড়ালের নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে রেকর্ড করা হতে পারে। লেসলি গ্রিনহফ বলেছেন, মিলি এখনও লাফ দিতে পারে। তবে সময়ের সাথে সাথে কিছুটা ধীর হয়ে গেছে। বর্তমানে মিলির কথা শুনতে একটু কষ্ট হচ্ছে।

১১২ বছর! মানুষ এতদিন বাঁচে? ইনি বেঁচে আছেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ

কলকাতা: ১১২ বছর! মানুষ এতদিন বাঁচে নাকি! এটাই তো আপনার প্রশ্ন? হ্যাঁ, ইনি তো দিব্যি বেঁচে আছেন।

ইউনাইটেড কিংডম-এর মার্সিসাইডের জন টিনিসউড বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত পুরুষ। ইনি এখন সাউথপোর্টের একটি কেয়ার হোমে থাকেন। ইনি এখন সবাইকে ‘মস্তিষ্কের ব্যায়াম’ এবং ‘শান্ত থাকার’ পরামর্শ দেন।

টিনিসউডের আগে ভেনিজুয়েলার হুয়ান ভিসেন্তে পেরেজ মোরা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি। মঙ্গলবার ১১৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

টিনিসউড বলেছেন, তাঁর দীর্ঘায়ু কেবল ভাগ্যের খেলা। তিনি কোনও বিশেষ ডায়েট অনুসরণ করেন না। তবে প্রতি শুক্রবার তাঁর প্রিয় খাবার মাছ ও চিপস খেয়ে থাকেন।

আরও পড়ুন- ‘মোবাইলের জনক’ ইনি! এই মানুষটির জন্য়ই আজ আপনার হাতে ফোন!

৬ অগাস্ট, ১৯১২ সালে উত্তর ইংল্যান্ডের মার্সিসাইডে জন্মগ্রহণ করেন টিনিসউড। একজন অবসরপ্রাপ্ত অ্যাকাউন্ট্যান্ট তিনি। ডাক বিভাগের প্রাক্তন কর্মচারী। তাঁর বয়স ১১২ বছর এবং ২২২ দিন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার ৫০ বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে।

টিনিসউডের কাছে তাঁর দীর্ঘায়ুর রহস্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘এই ব্যাপারে আপনি খুব বেশি কিছু করতে পারবেন না। এটা ভাগ্যের খেলা।’

তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবী সব সময় তার নিজের মতো করে পরিবর্তনশীল।’  গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠেছে এই ব্যক্তির। এখনও পর্যন্ত পরিচিত সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন জাপানের জিরোমন কিমুরা। তিনি ১১৬ বছর ৩৪ দিন বেঁচে ছিলেন।

আরও পড়ুন- পুরো ওলটপালট! চেহারা বদলে গেল WhatsApp-এর, কী ধরনের বিশেষ সুবিধা পাবেন দেখুন

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত মহিলা এবং সামগ্রিকভাবে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হলেন স্পেনের মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা, তাঁর বয়স ১১৭ বছর।

অ্যান্টার্কটিকের জলে ওয়েটসুট ছাড়া সাঁতার কেটে বিশ্বরেকর্ড করলেন চিলির ‘আইস মারমেইড’

শীতকালে যেখানে আমরা ২ ডিগ্ৰি তাপমাত্রায় রাস্তায় বেরতে ইতস্তত করি, সেখানে কেউ একই তাপমাত্রাযুক্ত কনকনে ঠান্ডা জলে ওয়েটস্যুট ছাড়াই সাঁতার কাটতে পারে সেকথা কল্পনাও করা যায়না। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ সত্যি। “আইস মারমেইড” নামে পরিচিত ৩৭ বছর বয়সী চিলির সাঁতারু বারবারা হার্নান্দেজ ৪৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাযুক্ত অ্যান্টার্কটিকের জলে ওয়েটস্যুট বা নিওপ্রণ স্যুট এবং কোন রকম সুরক্ষা সরঞ্জামাদি ছাড়াই সাঁতার কেটে বিশ্ব রেকর্ড ভাঙলেন।

অ্যান্টার্কটিকা এবং দক্ষিণ মহাসাগরের উপর জলবায়ু সংকটের প্রভাব এবং সমুদ্রের পরিবেশ রক্ষা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে বারবারা হার্নান্দেজ এত কম তাপমাত্রায় হাড়হিম করা ঠান্ডা জলে সাঁতার কেটেছেন। ড্রেক প্যাসেজের উত্তাল জলে দ্রুততম সাঁতারু হিসাবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের খেতাব জয় করেছেন এই ৩৭ বছরের মহিলা। নাও দিস এর দ্বারা শেয়ার করা ভিডিওটিতে বারবারাকে একটা ছোট বোট থেকে ওয়েটস্যুট ছাড়াই কনকনে অ্যান্টার্কটিকার জলে ঝাঁপ দিতে এবং কনকনে ঠান্ডা জলে ওয়েটস্যুট ছাড়াই দ্রুতবেগে সাঁতার কাটতে দেখা যায় । ভিডিওটি এখানে দেখুন-

স্প্যানিশ ভাষায় তিনি জানিয়েছেন ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অ্যান্টার্কটিকায় সাঁতার কাটা তার স্বপ্ন ছিল। তিনি আরও যোগ করেন যে তার সাঁতার কাটার উদ্দেশ্য কোন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ বা অসম্ভবকে সম্ভব করা নয়। বরং অ্যান্টার্টিকাকে রক্ষা করা এবং তার ওপর জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে সবাইকে অবগত করা এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই তিনি এই কাজে নিজেকে যুক্ত করেছেন। এছাড়াও তিনি সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে এই চমৎকার জায়গাটিকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তিনি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করেন এই ক্ষেত্রে। শেষে তিনি তার দলের সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানাই।

কোন দুর্গম কাজ কখনও একদিনে সম্ভব হয়না। এই কথাটা চিরন্তন সত্য। বারবারাও টাস্কের জন্য প্রস্তুতি নিতে তিন বছর পরিশ্রম করেছেন। এর জন্য তার শরীরের ওপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। হাড়হিম করা ঠান্ডায় সাঁতার কাটতে গিয়ে হাইপোথারমিয়ার নামক রোগের শিকার হন তিনি যেখানে তার শরীরের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়।

একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে ২০২২ সালের জুন মাসে দক্ষিণ চিলির কাবো দে হর্নোসে প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যবর্তী অঞ্চল ড্রেক প্যাসেজ দিয়ে মাত্র ১৫ মিনিট ৩ সেকেন্ড এক নটিক্যাল মাইল পাড়ি দিয়ে সবচেয়ে দ্রুততম সাঁতারু হয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডের রেকর্ড ভাঙেন বারবারা। পাশাপাশি দ্য ওয়ার্ল্ড ওপেন ওয়াটার সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের পুরষ্কারও জেতেন তিনি।

“আইস মারমেইড” নামে পরিচিত এই বারবারা হার্নান্দেজ পেশায় একজন মনোবিজ্ঞানী এবং সাঁতারু।